নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রান্সজেন্ডারদের কথা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হতে পারে। কিন্তুপ্রকৃত পক্ষে এটা নতুন কোন শব্দ নয়। আমরা সকলেই তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের কথা জানি। এরাই হলো ট্রান্সজেন্ডার। বলা যায় আমাদের সমাজের অবহেলিতএকটি অংশ। অবহেলিত বলছি এ কারণে যে সমাজের আর সবার মতো হিজড়াদের শিক্ষালাভ বা কর্মযোগের তেমন কোন সুযোগনেই আমাতদর দেশে। তাহলে এদের জীবিকা অর্জনের উপায় কি ? ওদেরও তো আমাদের মতো ক্ষুধা-তৃষ্ণা আছে বা সমাজে মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার আছে।



সত্যিকার অর্থে এ নিয়ে আমরা কেউ ভাবিনা। তাই নিজেদের অন্ন-বস্ত্রের সংস্থানের জন্য এরা ভিন্নমাত্রিক উপায় বা কৌশলের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। হিজড়ারা সব সময় দল বেধে চলাফেরা করে এটা আমরা সকলেই জানি। এ দৃশ্য আজকাল আমাদের অতিপরিচিত যেহিজড়ার দল কোন দোকানে ঢুকে পড়েছে এবং যার যা দরকার তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে মূল্য না দিয়েই। দোকানদারের এমন অবস্থায় করার কিছুই থাকেনা অসহায়ের মতো তাকিয়ে দেখা ছাড়া। কারণ, বাধা দিতেগেলেই ওরা দোকানদারের সাথে এমন আচরণ করবে, গায়ে এমনভাবে হাত দিবে যে বেচারা দোকানদারের জন্য পুরো ব্যাপারটা অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই ভালোয় ভালোয় যা ইচ্ছে হয় নিয়ে চলে যাক, এতেই মঙ্গল।



শুধু কি তাই ? রাস্তা-ঘাটে চলতে ফিরতে কোন ভদ্রলোক যদিকোন হিজড়াদলের খপ্পরে পড়ে তাহলে তারও একই অবস্থা দাঁড়াবে। পকেটে যা থাকে সাবাড় করে নিয়ে চলে যাবে ওরা। কিন্তু বলার বা করার কিছু থাকেনা কারও। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা কিছু এ প্রসঙ্গে এখানে শেয়ার করতে চাই। আমার এক কলিগের গাড়ি জ্যামে পড়ে একদিন। জানালা ছিল খোলা। দুই হিজড়া দুই জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে ড্রাইভারের শরীরে বুলাতে লাগল। ড্রাইভারের পকেটে যা ছিল মোবাইলসহ নিয়েও তাদের চাহিদা মিটলনা। শেষে আমার কলিগ তার ব্যাগ থেকে আরও কিছু টাকা দিয়ে ওদেরকে বিদায় করল। এই ঘটনা ঘটার পর থেকে রাস্তায় কোন মতেই গাড়ির গ্লাস খোলা রাখিনা আমি।



ভারতে একবার ট্রেনে করে শেয়ালদাহ থেকে ট্রেনে করে জয়পুর যাচ্ছিলাম। এটা ২০০২ সালের কথা। দুইজন হিজড়া এসে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিল আমার স্বামীর দিকে।  আমার হাজব্যান্ড পকেট থেকে টাকা বের করে দেয়ার আগেই এক হিজড়া ওর শরীরে হাত বুলাতে লাগল। দেখে আমার গা যেন ঘিনঘিন করে উঠছিল। আমার হাজব্যান্ড তাড়াতাড়ি একটা দশ রুপীর নোট বের করে ওর হাতে দিল। কিন্তুমোটেও খুশী হলনা সে। বরং আমাদেরকে ভাতেমরা বাঙালী বলে টাকাটা ছুড়ে মেরে চলে গেল।



এই হলো সমস্যা। কোন হিজড়া আপনার কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতলে আপনি তাকে সাধারণ ফকির মনে করে সামান্য কিছু দিয়ে বিদায় করতে পারবেন না। ওকেখুশীকরে দিতে হবে। নতুবা আপনার শরীরের নানা জায়গায় হাত বুলাতে শুরু করবে কিংবা নানা আপত্তিকর মন্তব্য ছুঁড়ে দিবে আপনার দিকে, যাতে করে আপনি একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাবেন। এটাই ওদের বড় অস্ত্র। এই অস্ত্রটা পুরুষদের উপর প্রয়োগ করে বেশী লাভবান হতে পারে বলে সাধরণত দেখা যায় হিজড়ারা সাহায্যের জন্য পুরুষদের কাছে বেশী যায়।



আজকাল ওরা সুযোগ বুেজ কোন কোন বাড়িতে ঢুকে পড়ে ছোট্ট শিশুদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করছে। এই কিছুদিন আগের ঘটনা। চারজন হিজড়া কলিংবেল টিপে আমার ভাস্তির বাসায় ঢুকে পড়ে। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ওর পাঁচ মাসের মেয়েকে কোলে তোলে নেয় একজন। তারপর দশ হাজার টাকা দাবী করে। না দিলে মেয়েকে নিয়ে চলে যাবে। আমার ভাস্তি বাড়িওয়ালাকে ডেকে এনে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ওদেরকে বিদায় করে। আজকাল ঢাকা শহরে এসব ঘটনা অহরহই ঘটছে। এলাকার কোন বাসায় ছোট্ট্ বাচ্চা আছে, কোন বাসায় ঢুকলে টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে ঢুকতে হবে এসব খবর নাকি কেউ কেউ ওদের কাছে পৌঁছে দেয়। অর্থাৎ হিজড়াদের মাধ্যমে কেউ কেউ নিজেও কিছু কামিয়ে নিচ্ছে।



যেহেতু হিজড়াদের বিরুদ্ধে আইনের শাসন কিংবা বিচার ব্যবস্থার কোন খবরদারিত্ব নেই সেহেতু ওরা যে কোন উপায়ে নিজেদের অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করতে মরিয়া। দিন যতই যাচ্ছে নতুন নতুন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে ওরা। মানুষের ভদ্রতা ও সম্মানবোধকে জিম্মি করে হিজড়াদের জীবিকা অর্জনের এসব কৌশল আজকাল যেভাবে বেড়ে চলছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। তাই আমার মনে হয় হিজড়াদের কার্যকলাপ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। কিছুটা হলেও এদের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত। আর সেটা করতে গেলেই যে ইস্যূটা বড় হয়ে দেখা দিবে সেটা হলো এদের জীবিকা অর্জনের কিহবে ? হ্যাঁ, এটা একটা বড় সমস্যা অবশ্যই এবং মূল সমস্যা। সেজন্যই আমি বলব যারা সমাজ সংস্কারক আছেন, সমাজের উন্নয়নে কাজ করেন, সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার নিয়ে ভাবেন, তারা একটু হিজড়াদের নিয়ে ভাবুন। এদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দিয়ে এদের সামনে সম্মানজনক উপায়ে জীবিকা অর্জনের একটি উপায় আপনারা করে দিতে পারেন।



আমাদের পাশবতী দেশ ভারত এক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। তার একটি ছোট্ট উদাহরণ এখানে দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়গড় করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একজন হিজড়া। তার নাম মধু কিন্নর ওরফে নরেশ চৌহান। মেয়র নির্বাচিতহবার আগেসেট্রেনে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। সেতার নির্বাচনী প্রচারণাও চালিয়েছে গান গেয়ে এবং বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র পদে জয়লাভকরেছে। মধু কিন্নরের এই জয় দেশ-কালভেদে অবহেলিত হিজড়া সম্প্রদায়ের সামাজিক স্বীকৃতি ও প্রতিষ্ঠা অর্জনের পথে একধাপ অগ্রগতি। অবশ্য এর আগে গত বছর এপ্রিল মাসে ভারতীয় সুপ্রীমকোর্ট কিজড়াদের স্বতন্ত্র লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।



হিজড়াদের সামাজিক স্বীকৃতিও প্রতিষ্ঠা দানের ব্যাপারে ভারত যতদূর এগিয়েছে আমরা এই মুহূর্তে ততটুকু হয়তো পারবনা। কিন্তু সেপথে অগ্রসর হলে কিছুটা হলেও অর্জন আসবে। এ অর্জন শুধু হিজড়াদের নয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অর্জন হবে এটা। কারণ,সমাজের অবহেলিত এই অংশটাকে একটা বিধিবদ্ধ কর্মশৃংখলার মধ্যে আনতে পারলে আমরা বহু অনাকাংখিত ঘটনার হাত থেকে নিস্কৃতি পাব।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৬

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: valo post

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। ভালো থাকুন।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যুকে তুলে এনেছেন। হিজড়ারা আমাদেরই সমাজের অথচ অবহেলিত। জীবিকা নির্বাহের কোন পথ আমাদের সমাজ তাদের জন্য তৈরি করেনি। বাস্তবসম্মত কারণেই তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মৌলিক চাহিদার সবগুলো না হলেও অন্তত খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যয় মিটাচ্ছে। এখানে ওদের দোষ দেয়ার কোন রাস্তা নাই। সংশ্লিষ্ট মহলকে অবশ্যই এব্যাপারে ভাবা উচিৎ। প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা বাসস্থানসহ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। কারণ তারা কিন্তু সংখ্যা অনেক না। সুতরাং এটা করতে সরকারের তেমন কোন অর্থ সংকটে পড়তে হবে না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন এনজিওগুলো কিন্তু এগিয়ে আসতে পারে। সরকারী আওতাধীনে রেখে এদের প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিয়ে সরকার বিভিন্ন সেবামূলকসহ বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারে। দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলো সহজেই ওদের কাজে লাগাতে পারে কোন ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়াই। মূলত সরকারী উদাসীনতা এবং আমাদের সঙ্কীর্ণ মন মানসিকতাই এদের জীবনকে আমরা দুর্বিষহ করে তুলেছি। যার ফলে আমরাও অনেক সময় তাদের দ্বারা বিভিন্ন বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছি। হিজড়াদের পরিবার বিচ্যুত না করে বরং পরিবারেই অন্তর্ভুক্ত করে রাখা উচিৎ। কিন্তু আমি যতদূর জানি আমাদের দেশে কোন পরিবারে কেউ যদি হিজড়া থাকে, তাকে নাকি হিজড়াদের দলে ভিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু এদের জন্মও যে মানুষের ঘরেই সেটা আমরা ভুলে যাই। আমরা আসলে তাদের মানুষই মনে করি না। আমাদের এই মন মানসিকতার আমূল পরিবর্তন দরকার এবং হিজড়াদের সহজ ভাবে আমাদের সাথে মিশতে দেয়া দরকার। তাহলে অবস্থার অনেক উন্নতি হবে। আমরা কেউ কিন্তু তাদের কোন ধরণের কাজে লাগাতে চাই না সামাজিক কুসংস্কারের জন্য। ফলে তারা নিজেদের মতো করে বাঁচতে চেষ্টা করছে।
আমি মোটামুটি আপনার পোস্টের কথাগুলোকেই যেন পুনরাবৃত্তি করলাম। ভালো লিখেছেন আপনি এবং প্রয়োজনীয় কিছু দৃষ্টান্তও তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ সুফিয়া বিষয়টা নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী আপনার সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য। আপনি আমার কথাগুলো অনেকাংশে বললেও এর গুরুত্ব কিন্ত কোন অংশে কম নয়। হিজড়াদের ব্যাপারে আপনিও কিছু নতুন মতামত দিয়েছেন। যেমন সিটি করপোরেশন ইচ্ছে করলে এদেরকে কাজে লাগাতে পারে। সত্যি কথা বলতে কি সদিচ্ছা থাকলে অনেক কিছু করা যায় এদের জন্য। কিন্তু ঐ যে আপনি বললেন কুসংস্কার। সেটা তো অাছেই । হিজড়াদের ব্যাপারে আমাদের সংকীর্ণ চিন্তা-ভাবনা ও সদিচ্ছার অভাব এ কারণে মূলত এদের জন্য কেউ কিছু করতে এগিয়ে আসেনা। বড় কথা হলো ওরা যে এই সমাজেরই একটা অংশ সেটা আমরা কেউ মনে করিনা।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনােক

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৪

জলমেঘ বলেছেন: সহমত

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনােক ।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: আপা আপনি একটি চমৎকার বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ।

আর এ বিষয়ে আমার নিজস্ব বক্তব্যটি ব্লগার বিদ্রোহী বাঙালী চমৎকারভাবে বলে দিয়েছেন।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো অাপনার জন্য।

ভাল থাকবেন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

সুফিয়া বলেছেন: অাপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্চা। ভাল থাকেবন ।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন ।

শুভকামনা রইলো অাপনার জন্য।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

সুফিয়া বলেছেন: অাপনার জন্য রইল শুভ কামনা। ভাল থাকেবন ।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আরও খুশী হতাম আপনারা আরও কেউ কেউ যদি এ বিষয়ে আপনাদের মতামত রাখতেন। আমি চাই বিষয়টি জনসমক্ষে বিস্তারিতভাবে আসুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.