নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধের সুখ মনে মনে, আর রাজনীবিদদের সুখ ----------।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলা কিংবা এদিক-ওদিক ঘুরে মূল প্রসঙ্গে আসা- দুটোরই দিন শেষ হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে এদেশের মানুষের সামনে সংকটময় সেই সংকট নিয়ে কিছু বলার ব্যাপারে তো নয়ই। তবু এটুকু ভূমিকার অবতারণা আমাকে করতেই হলো।

আমাদের জনসংখ্যার বড় অংশ হচ্ছে অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত-খেটে খাওয়া- নুনআনতে পান্থা ফুরায় অবস্থা। কাজেই কথার থুবড়ি উড়িয়ে উল্টো-পাল্টা বুঝিয়ে এদের সহমর্মিতা আদায় করা সহজ। আমার মনে হয় এই মিথটা এক সময় যেমন কার্যকর ছিল, এখন তেমনি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যায় পর্যবসিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আমাদের রাজনীতিবিদরা এই বাস্তবতাকে কোন ভাবেই উপলব্ধি করতে চাইছেন না।

অন্ধের সুখ মনে মনে -- বলে একটা কথা কবে যেন শুনেছিলাম। সেই কথাটা আজ ভীষণভাবে মনে পড়ছে। ক্ষমতার দড়ি টানাটানিতে আমাদের দুই দলের আজ সেই অবস্থা। দেশের মানুষ জ্বলুক-পুড়ুক-মরুক তাতে যেন তাদের কিছু যায় আসেনা। ক্ষমতা ধরে রাখা আর ক্ষমতায় যাওয়া -- রাজনীতির মূল লক্ষ্য যখন শুধুমাত্র এই বৃত্তে ঘুরপাক খায় তখন অন্যসব কিছু মূল্যহীন হয়ে পড়ে রাজনীতিবিদদের কাছে। যেমন অবস্থা হয়েছে আজ আমাদের, এদেশের সাধারণ জনগণের।

ক্ষমতার মোহ যাদেরকে কোনদিন ভাবায়না, জীবনের নূ্ন্যতম চাহিদা পূরণে যারা উদয়াস্ত খেটে মরে তাদের একটু শান্তিতে জীবন যাপনের চাওয়াটুকুও আজ বার বার পরাজিত হচ্ছে রাজনীতিবিদদের পারষ্পরিক অসহিষ্ণুতার কাছে, জ্বলে অঙ্গার হচ্ছে তাদের হিংসার অনলে। এই নির্মমতার কি কোন তুলনা হয় ?

বলছিলাম অন্ধের সুখের কথা। সেরকমই আত্মসুখে ভুগছেন আমাদের রাজনীতিবিদরা এটা বোধহয় আজ এদেশের অতি সাধারণ মানুষটিও বুঝে গেছে। সরকারের মন্ত্রীরা অহরহ বলছেন শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু এই শীঘ্র সময়টা কবে আমাদের সামনে আসবে সে নিয়ে কোন দিক নির্দেশনা নেই। কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই এই পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করার।

কারণটা বোধহয় একেবারে অষ্পষ্ট নয় আমাদের কাছে। সরকার ভাবছে যতই জ্বালাও পোড়াও করবে ২০ দলীয় জোট ততই তাদের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামবে। জনগণের আস্থা হারাবে ২০ দলীয় জোট। অন্যদিকে জ্বালাও পোড়াও এ মদদ দাতা ২০ দলীয় জোট ভাবছে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। কাজেই পরিস্থিতি যত অস্থিতিশীল করে তোলা যাবে তার দায়-দায়িত্ব সরকারের উপর বর্তাবে। জনগণ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তোলে নিবে।

অর্থাৎ দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে দুই দলই মনে মনে সুখের কলা খেতে ব্যস্ত। এই কলার খোসায় হোঁচট খেয়ে প্রতি র্ সাধারণের জীবনে যে বিভীষিকাময় অন্ধকার নেমে আসছে সেদিকে নজর দিতে তারা মোটেও প্রস্তুত নয়।

তাহলে সমাধানটা আসবে কি করে ? এই যে দুই দলের মধ্যে একটা সংলাপ অনুষ্ঠানের তাগিদ উঠছে চারপাশ থেকে তার কি আদৌ কোন কার্যকারিতা থাকবে এই অবস্থায় ? আমার মনে হয় যতক্ষণ না দুই নেত্রীকে তাদের আত্মসুখের জগত থেকে বের করে আনা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিলবেনা এই সংকট থেকে উত্তরণের।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেখেন কোনদিকে যায়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আমাদের তো এখন আসলেই দেখা ছাড়া আর কিছু করার উপায় নেই।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সত্যিই দলীয় ক্রন্দলে আমরা সাধারণ জনগণ আজ নিরাপত্তাহীন।
দেশকে ভালোবাসি - এটা আজ আহম্মকের বাণী।

ভালো থাকবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

সুফিয়া বলেছেন: দেশকে ভালোবাসি --- এটা রাজনীতিবিদদের বেলায় চিন্তা করলে আর আমরা সেটা বিশ্বাস করলে আহাম্মকের বাণীই বটে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন:
কারণটা বোধহয় একেবারে অষ্পষ্ট নয় আমাদের কাছে। সরকার ভাবছে যতই জ্বালাও পোড়াও করবে ২০ দলীয় জোট ততই তাদের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামবে। জনগণের আস্থা হারাবে ২০ দলীয় জোট। অন্যদিকে জ্বালাও পোড়াও এ মদদ দাতা ২০ দলীয় জোট ভাবছে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। কাজেই পরিস্থিতি যত অস্থিতিশীল করে তোলা যাবে তার দায়-দায়িত্ব সরকারের উপর বর্তাবে। জনগণ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তোলে নিবে।


উপরের কথাগুলোকে বেশ যথার্থ মনে হল সুফিয়া। আপনার কথাগুলো এটাই প্রমাণ করে যে, রাজনীতিবিদদের কাছে আমরা হলাম খেলার পুতুল। যখন দরকার পড়ে তখন তারা জনগণকে খেলে। খেলা শেষ হলে আবার ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
ক্ষমতা আর মসনদই আমাদের রাজনীতিবিদের প্রধান উদ্দেশ্য। বাকী যা কিছু তারা করে সবই নাটক আর অভিনয়। এই নাটক এবং অভিনয়ের মাধ্যমেই তারা জনগণকে ধোঁকা দেয় আর এক দল ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় আর অন্য দল ক্ষমতা ফিরে পেতে চায়। গ্রাম্য একটা প্রবাদের মতোই হয়েছে জনগণের অবস্থা। 'পাটায় পুঁতায় ঘষাঘষি, মরিচের জীবন শেষ।'
তবে কি জানেন সুফিয়া, আমরা জনগণও অনেকাংশে দায়ী। কারণ আমাদের মধ্যে দলকানা রোগ আছে। আর এই রোগের কারণে আমাদের কাছে দেশের চেয়ে দলই যে বড় হয়ে যায়। ফলে দেশ রসা তলে যাক, সেটা নিয়ে আমরা কোন মাথা ব্যথা করি না। কিন্তু আমরা একবারও ভেবে দেখি না যে, অবরোধ হরতালে যারা মরছে তারা সবাই সাধারণ মানুষ। একটা রাজনীতিবিদও কিন্তু হরতাল অবরোধের শিকার হচ্ছে না। এটা সাধারণ জনগণকে অনুধাবন করতে হবে। তখনই যদি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
ভালো লাগলো আপনার পর্যালোচনা। ভালো থাকবেন সুফিয়া।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

সুফিয়া বলেছেন: রাজনীতিবিদদের কাছে আমরা হলাম খেলার পুতুল। যখন দরকার পড়ে তখন তারা জনগণকে খেলে। খেলা শেষ হলে আবার ছুঁড়ে ফেলে দেয়।

একদম ঠিক বলেছেন।

আমরা জনগণ এর জন্য দায়ী -- কথাটা ঠিক বলেছেন। এর সাথে আমি কি ভাবি জানেন ? এই যে বলি এদেশের জনগণ আর আগের মতো নেই, বুঝতে শিখেছে। কিন্তু কোথায় বুঝতে শিখেছে বলুন তো ? নিজেদের ভালোটাই তো বুঝেনা ওরা। তাহলে ?

ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.