নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার স্কুলের প্রথম দিন/শৈশবের মধুর স্মৃতি অমলিন।

২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

আমার স্কুলের প্রথম দিন/শৈশবের মধুর স্মৃতি অমলিন।







শৈশব থেকেই পড়াশুনার প্রতি আমার ছিল দুর্দান্ত আগ্রহ। আমি প্রথম স্কুলে গিয়েছি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর। এর আগে বাড়িতে নিয়মিত পড়াশুনা করতাম আমি। এখনও মনে আছে ‘সবুজ সাথী’ নামে একটি বই ছিল তখন। সুন্দর সুন্দর কবিতা আর গল্পে ভরা এই বইয়ের দুই/একটা কবিতার কথা এখনও আমার মনে আছে। যেমন - বাবুরাম সাপুড়ে/কোথা যাস বাপুরে/আয় বাবা দেখে যা/দুটো সাপ রেখে যা, আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা/ফুল তুলিতে যাই/ ফুলের মালা গলায় দিয়ে/মামার বাড়ি যাই, ভোর হলো দোর খোল/খুকুমণি উঠো রে/ঐ ডাকে জুঁই শাখে/ফুলকলি ছোট রে। আরও কত সুন্দর সুন্দর কবিতা ! তাছাড়া বাদশার মেয়ে জুলেখার গল্প, কৃষক গণি মিয়ার গল্প। স্কুলে ভর্তি হবার আগেই ‘সবুজ সাথী’ বইয়ের সব কবিতা আমি মুখস্থ করে ফেলেছিলাম, সব গল্প পড়ে ফেলেছিলাম। তাছাড়া সংখ্যা ও নামতা শেখার জন্য আব্বা ধারাপাত কিনে দিয়েছিলেন। তবে আমার ‘সবুজ সাথী’ বইটার দিকেই আকর্ষণ ছিল বেশী। তখন শিশু বয়সে ইংরেজী শেখার কোন বালাই ছিলনা। সম্ভবত ক্লাস ফোরে উঠে আমি প্রথম ইংরেজী বর্ণমালা শিখতে শুরু করেছিলাম। বাড়িতে রজব আলী মাস্টার আমাদেরকে পড়িয়ে যাবার পর আমি প্রায়ই পুকুর পাড়ের বেল গাছের বড় শিকড়টার উপর বসে উঁচু স্বরে ‘সবুজ সাথী’ বইয়ের কবিতা পড়তাম। তারপর খেলার সাথীরা এসে জড়ো হলে সব ফেলে ওদের সাথে চলে যেতাম। তবে ওদের কেউ আমার মতো বাংলা পড়তনা।







স্বাধীনতা সংগ্রামের পর আব্বা প্রথম আমাকে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলেন লংগার পাড় প্রাইমারী স্কুলে। সেটা ১৯৭২ সালের কথা। হেড স্যারের সামনে আব্বা আমাকে দাঁড় করিয়ে দিলেন। আব্বাকে বসতে দেয়া হলো পাশের একটি চেয়ারে। হেডস্যারের সামনে টেবিলের উপর একটি বেত। হেডস্যার আমাকে নাম জিজ্ঞেস করলেন। তারপর আব্বার নাম জিজ্ঞেস করলেন, একটি কবিতা বলতে বললেন। তারপর একটি নামতা, কোন নামতা সেটা আজ আর মনে নেই। আমি উত্তর দিচ্ছিলাম আর বারবার টেবিলের উপর রাখা বেতের দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলাম। হেডস্যার কিছু একটা বুঝে বেতটা টেবিল থেকে নামিয়ে রেখে বললেন, ভয় নাই, মারবনা। তারপর আব্বার দিকে তাকিয়ে বললেন, ঠিক আছে, ও পারবে। ভর্তি হয়ে গেলাম আমি স্কুলে। তবে ক্লাস ওয়ানে নয়, ক্লাস টুতে। মুক্তিযুদ্ধের কারণে স্কুলে ভর্তি হতে দেরী হওয়ায় এই ব্যবস্থা। ওয়ানের ক্লাস আমার আর স্কুলে পড়া হলনা।



স্কুলটা বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। প্রতিদিন হেঁটে স্কুলে আসতাম এবং ছুটির পর ঠিক তেমনভাবে বাড়ি ফিরতাম। স্কুলের চারপাশের পরিবেশের কথা এখনও মনে আছে। একটামাত্র পাকা ঘর। এতেই ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত ক্লাস হতো। বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য আলাদা কোন ক্লাস রুম ছিলনা। প্রতিটি ক্লাস রুম চিহ্নিত করা ছিল মাঝখানে একটার উপর আর একটা বেঞ্চ পেতে। ফলে আমরা সবাই একজন আর একজনকে দেখতে পেতাম। স্কুলের সামনে ছিল একটা বড় খেলার মাঠ। এই মাঠের শেষ প্রান্তের ডান দিকে একটা খাল ছিল। বর্ষাকালে স্বচ্ছ পানি টলমল করত এই খালে। খালের পাড়েই ছিল একটা বড় তেতুল গাছ। এই তেতুল গাছের গোড়ায় বসে বুট-বাদাম খেতাম আর পানিতে খোসা ছুঁড়ে মারতাম। ছোট ছোট অসংখ্য মাছ তখন কিলবিলিয়ে উপরে উঠে আসত এগুলোকে তাদের খাবার ভেবে। এই দৃশ্য দেখতে খুব ভাল লাগত আমার।



স্কুলের ক্লাস শুরু হবার আধ ঘন্টা আগে এই তেতুল গাছ তলায় একটা ক্লাস হতো। এক স্যার বাঁশীতে ফু দিতেন। আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই খেলা ফেলে তেতুল গাছ তলায় এসে গোল হয়ে বৃত্তাকারে দাঁড়াতাম। একজন দাঁড়াত গোল বৃত্তের ঠিক মাঝখানে। সে নামতা বলত। আমরা সবাই সমস্বরে তার সাথে সাথে বলতাম, এক একে এক, দুই একে দুই, দুই দুগুণে চার ----। মাঝে মাঝে কবিতাও পড়তাম আমরা। আমার আজও মনে পড়ে, মাঝে মাঝে গোল বৃত্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমি এই ক্লাসের নেতৃত্ব দিতাম। আধ ঘন্টা চলত এই ক্লাস। তারপর ঘন্টা পড়লেই সবাই দৌড়ে যে যার মতো ক্লাসে গিয়ে বসতাম। স্কুল ছুটি হতো দুপুরে। ছুটির ঘন্টা পড়লেই সবাই কলরব করতে করতে ক্লাস থেকে বের হয়ে আসতাম। তারপর বই-খাতা বুকে চেপে ধরে বাড়ির দিকে হাঁটতাম। আমার বাড়ির দিকে যাবার পথে আমিই ছিলাম সর্বশেষ জন। সবার বাড়ি আমার বাড়ি যাবার পথে আগে পড়ত। আমি যখন বাড়ি পৌঁছুতাম তখন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলতে শুরু করেছে। সারাটা পথ আমাকে সূর্যের দিকে মুখ করে হাঁটতে হতো। বাড়ি ফিরলেই আম্মা তাই প্রথমে শাড়ির আঁচল দিয়ে আমার মুখটা মুছে দিতেন আর বলতেন, রোদে মুখটা পুইরা ছাই অইয়া গেছে।



হায় রে সময় ! আর একটিবার যদি আম্মা এসে তার শাড়ির আঁচলে আমার মুখটা মুছে দিতেন !

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি পোস্ট দিলেন আপু, অনেক কথা মনে পড়ে গেল যে... হায়রে সেই স্কুল জীবন...

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।।


অসংখ্য ভালো লাগা এবং +++++++

ভালো থাকুন সবসময়।

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৯

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। প্রতিটি মানুষের শৈশব তার জীবনের এক স্বর্ণালী অধ্যায়। শৈশবের ধাপে ধাপে পেরিয়ে এসা এক একটি ঘটনা এক একটি স্মৃতির ভান্ডার। সেখান থেকে তুলে ধরলাম সামান্য কিছু অংশ। আপনাদের ভাল লাগছে দেখে আমারও খুব ভাল লাগছে।

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



আপনার স্কুলের স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২০

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য।

ভাল থাকুন সব সময়।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নস্টালজিক করে দিলেন আপু। সেই দিন গুলো মনে পড়ে গেল। স্মৃতিচারণ ভালো লাগল। ভালো থাকবেন।

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২১

সুফিয়া বলেছেন: সেই দিনগুলো সত্যিই মধুর। মাঝে মাঝে মনে পড়লে বর্তমানের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে সুখের পরিত্রাণ মিলবে।

ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন সব সময়।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্কুল, খেলা, খেলার মাঠ....
সব ভাবলে মন ভাল হয়ে যায়
চমৎকার স্মৃতি চারন।

শুভ কামনা :)

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২২

সুফিয়া বলেছেন: আপনার জন্যও রইল অনেক অরেক শুভ কামনা মনিরা। ভাল থাকুন আপনি।

আমার লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অপূর্ব সমৃদ্ধশালী স্মৃতির ঝুলি । খুব ভাল লাগলো ।

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৩

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন সব সময়।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সুমন কর বলেছেন: পুরানো সেই দিনের কথা...............

স্মৃতিচারণ মন ছুঁয়ে গেল।

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৪

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। ভাল থাকুন সব সময়।

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সালমান মাহফুজ বলেছেন: সত্যিই এক অমলিন স্মৃতিগাঁথা !

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৫

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সালমান আপনাকে পড়ার জন্য। ভাল থাকুন সব সময়।

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:





নস্টালজিক করে দিলেন! আমিও গ্রামে বড় হয়েছি।

আপনার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা...

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২৯

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

প্রতিটি মানুষের শৈশব তার জীবনের একটি মুখর কবিতা। আর যার শৈশব গ্রামে কেটেছে তার কাছে সেই কবিতা একটি সমৃদ্ধ ভান্ডার, যে ভান্ডারকে আগলে রেখে সারা জীবন সুখে কাটানো যায়।

এটা আমার একান্ত উপলব্ধি মইনুল ভাই।

আপনি ভাল থাকুন সব সময়।

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

নীল কথন বলেছেন: পুরানো সেই দিনের কথা
ভুলবি কিরে হয়
ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা
সেই কী ভোলা যায়....

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকবেন সব সময়।

১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

মোহামমদ ইকবাল হোসেন বলেছেন: শৈশবের কথা। ভালই লাগলো।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সব সময়।

১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো আপু,
মনে করিয়ে দিলেন সেই নামতা পড়া দিনগুলি!
অথবা "ছুটি_গরম গরম রুটি" চিৎকারে বলা দিন!

ধন্যবাদ, ভালোই থাকুন, শূন্যতায় নয়, পূর্ণতায়!

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

সুফিয়া বলেছেন: "ছুটি_গরম গরম রুটি"
মনে পড়ে গেল নামতা পড়ার দিনগুলি।

আমারও ভাল লাগল আপনার ভাল লাগা দেখে।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১২| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৩

আবু জাকারিয়া বলেছেন: এখন শৈশবের কথা মনে আসলে সেই শৈশবে আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। শৈশবের প্রতি ভিষন টান সৃষ্টি হয়, সেই সাথে অনেক কিছু মনে পড়ে যায়। আহ কি দারুন সময় ছিল! কিন্তু তখন মনে হত না যে এটাই ভাল সময়। তখন খুব বড় হরে ইচ্ছে করত। ভাবতাম, কবে বড় হব, কবে বড়দের সাথে ফুটবল খেলব। কিন্তু এখন বড় হয়েছি, কিন্তু ছোট বেলায় যা করলে আনন্দ পাওয়া যাবে ভাবতাম, তাতে কোন আনন্দ নেই। এখন মনে হয়, সুন্দর দিন গুলো সেই শৈশবেই ফেলে এসেছি। সবই হয়ত সময়ের খেলা আর অতিতের মায়া। আবার যখন বৃদ্ধ হয়ে যাব, তখন হয়ত ভাবব যৌবন কত সুন্দর ছিল। সময় যত যায়, ফেলে আসা সময়ের প্রতি মায়া তত বাড়ে। আমাদের মন কোন স্মৃতিকে ধুসর হতে দিতে চায় না। অথচ সময়ের সাথে সাথে আমাদের স্মৃতি ধুসর হয়ে যায়। আমরা বৃথা চেষ্টা করি ফেলে আসা অতিতকে আরো স্পর্শ ভাবে। আর এটাই হল মায়া।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

সুফিয়া বলেছেন: আমি হারিয়েছি সেই দিনগুলিকে এই দিনগুলির মাঝে
তবু সেই দিনগুলি প্রাণের মাঝে বারে বারে বাজে।
খেলাঘরে সবই ছিল একদিন শুধু খেলা আর খেলা
ওরাই আজ জীবন্ত সুখের ঘর এই পড়ন্ত বেলায়।

খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য। তাই এই লাইন ক'টা লিখে ফেললাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ভাল থাকুন আপনি সব সময়।

১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫০

যুগল শব্দ বলেছেন:
দিনগুলি মোর সোনার খাঁচা হতে কোথায় গেল ??
ভালোলাগা আর স্মৃতি জাগানো লেখা, ধন্যবাদ।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

সুফিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকুন সব সময়।

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার স্কুল জীবনের কথা পড়লাম, পড়লাম মায়ের ভালোবাসার কথা। শৈশবের স্কুল জীবনের সুখ বাকী জীবনেও কখনো পাওয়া হবে কিনা সন্দেহ। আমিও আপনার মতো গ্রামের কাদা জলে বড় হয়েছি। নদী পারি দিয়ে স্কুলে গিয়েছি। নদীর পার ধরে হাঁটার সেই সব স্মৃতি আজ চোখের সামনে ভেসে উঠেছে আপনার পোস্ট পড়ে।
আপনার মায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইলো।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখাটা পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য।

শৈশব স্মৃতি সত্যিই অমলিন এক উপাখ্যান একজন মানুষের জীবনে। এই স্মৃতি কখনও ভুলা যায়না। যতই আমরা এগোব জীবনের শেষ বেলার দিকে ততই জীবন্ত হয়ে দেখা দিবে এই দিনগুলি।

ভাল থাকুন আপনি। আমার মা-বাবা আজ আর কেউ বেঁচে নেই। আমার সুখস্মৃতির দুঃখপাথর হয়ে গেছেন উনারা। দোয়া করবেন উনাদের জন্য।

১৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভালো লাগল আপনার স্মৃতিচারণ।সাথে সাথে নিজের প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিনগুলোর স্মৃতি মনে ফ্লাশব্যাক করে গেল।

আপনি এ নিয়ে ব্লগারদের স্মৃতিচারণের একটি পোস্ট সংকলিত করতে চেয়েছিলেন।আমার মনে হয় এ পোস্টেই সে আহবানটা করতে পারেন।খুব চিত্তাকর্ষক একটা পোস্ট হবে সেটা আশা করা যায়।

বোন আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।

ভালো থাকুন।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

সুফিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জাফরুল ভাই আমার লেখাটা পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য।

আপনি ঠিকই বলেছেন এই ধরনের ব্লগারেদের স্মৃতিচারণমূলক একটি সংকলন করতে চেয়েছিলাম এবং আপনাকে এর দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। সেই অনুরোধ কিন্তু এখনও আছে আমার।

যারা আমার এই লেখাটা পড়েছেন তাদেরকে এবং তাদের মাধ্যমে অন্য সব ব্লগার বন্ধুদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি, আসুন আমরা সবাই মিলে এই ধরনের একটা স্মৃতিচারণমূলক সংকলন করি। অন্তত একটু সময়ের জন্য হারিয়ে শৈশবের বিলোল সুখের দিনগুলোতে।

১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

রোদেলা বলেছেন: আমার বয়স তখন চার ,খুব ভালো মনে নেই।শুধু মনে আছে –মা অসম্ভব কাজ করতেন তখন।দুই হাতে রান্না সামলে আমার মুখে লোকমা তুলে দিতেন।আর আমি স্কুলের জুতো পড়ে পা দু’খানা নাচাতাম।

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

সুফিয়া বলেছেন: দেখুন তো এই ঘটনাগুলো মনে করতে গিয়ে কেমন একটা ভাল লাগার সুখ সুখ অনুভূতি মনকে আচ্ছনান করে ফেলেছে।
সত্যি আজ আমরা কতদূর ফেলে এসেছি সেই দিনগুলোকে ! ইচ্ছে করে বার বার ফিরে যাই সেই দিনগুলোতে !

ধন্যবাদ আপনাকে রোদেলা লেখাটা পড়ার জন্য ও সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

ভাল থাকুন আপনি।

১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: নাষ্টালজিক পোস্ট। পিছনের অনেক ভাল লাগার কথা মনে পরে গেল। তবে সাথে সাথে স্যারের বেতের আলত ছোঁয়ার কথা কখনোই ভুলার নয়।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

সুফিয়া বলেছেন: আমি তো প্রথম দিন বেত দেখেই ভয় পেয়েছিলাম। এখন তো সেসব দিন বা ঘটনাগুলো কেবল সুখের স্মৃতি। বার বার ভাবতে ইচ্ছে করে, ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেসব দিনে।

ধন্যবাদ ইমতিয়াজ আপনাকে পড়ার জন্য ও সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

তুষার কাব্য বলেছেন: আহা ! আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম শৈশবের সেই দুরন্তপনায় ! অনেক অনেক স্মৃতি উঁকি দিয়ে গেল যেন ।
ভালো থাকুন অনেক ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

সুফিয়া বলেছেন: আহা ! আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম শৈশবের সেই দুরন্তপনায় !

ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

ভাল থাকুন সবাই। আর লিখে ফেলুন আপনার সেইসব দিনের কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.