নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু নির্যাতন - প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

শিশু নির্যাতন - প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ।


মানুষের মধ্যে যে সমস্ত মানবিক গুণাবলীর অভাব একটা সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ডেকে আনে সেগুলোর মধ্যে শিশু নির্যাতন অন্যতম। শিশুরা সুন্দরের প্রতীক, পবিত্রতার প্রতীক, নিসর্গ আনন্দের উৎস। প্রতিটি শিশুর নিরাপত্তা ও সঠিকভাবে গড়ে উঠার জন্য দরকার তার সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর আদর-ভালবাসা-যথাযথ পরিচর্যা ও সঠিক দিক নির্দেশনা। এক কথায় একটা সুস্থ পরিবেশ ও নিরাপদ আশ্রয়। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ দারিদ্র-পীড়িত পরিবার তাদের শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনা। এমনকি দারিদ্রের শতমুখী পীড়নে সন্তানের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো আহারও তুলে দিতে পারেনা। বাধ্য হয়ে তারা তাদের শিশু সন্তানকে উপার্জনমুখী কাজে লাগিয়ে দেয়। কিন্তু সেই কর্মস্থল শিশুদের জন্য কতটা নিরাপদ সেটা নিয়ে ভাবেনা কেউ।

নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠছে তার কারণ আমাদের দেশে শিশু নির্যাতনের একটি বড় ফ্ল্যাটফরম হচ্ছে তাদের কর্মক্ষেত্র অর্থাাৎ শিশুরা যেখানে শ্রম দেয়। নিজেদের কর্মক্ষেত্রে শিশুরা নির্যাতিত হয় তাদের নিয়োগকারিদের দ্বারা। কিছু মানুষের নিষ্ঠুরতা, হিং¯্রতা ও মানবিকতার অভাব প্রধানত এর জন্য দায়ী। এসব মানুষের দ্বারা আমাদের দেশে শিশু নির্যাতনের যেসব ঘটনা ঘটে সেগুলো যেমনি ভয়াবহ তেমনি উদ্বেগজনক। সাধারণভাবে আমাদের দেশে শিশু নির্যাতনের কারণগুলো খতিয়ে দেখলে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করে দেখা যায় এই ঘটনাগুলোকে।

তার আগে আমাদের জানা দরকার এই শিশু কারা অর্থাৎ বয়সের কোন স্তর অবধি একজন মানুষকে শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশের আইন অনুসারে বার বছর পার না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষ শিশু। এখন প্রশ্ন এই বয়সের একটা মানুষ কেন নির্যাতনের শিকার হবে ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলেই বেরিয়ে আসবে শিশু নির্যাতনের বিভিন্ন পর্যায়গুলো। অর্থাৎ কোন কোন শিশুরা নির্যতিত হচ্ছে এবং কাদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে ?

শিশু নির্যাতনের প্রসঙ্গে বলতে গেলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে গৃহকর্ত্রী কর্তৃক গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের দৃশ্যপট। শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যাওয়া, কালসেটে দাগ. দগদগে ঘা নিয়ে গৃহকর্ত্রীর কবল থেকে কোনমতে উদ্ধার পাওয়া গৃহকর্মী শিশুদের ছবি আমরা বহুবার দেখেছি, শিহরিত হয়েছি।ওদের উপর অত্যাচারী গৃহকর্তা-গৃহকর্মীদের বিচার চেয়েছি। গৃহকর্মী শিশুদের উপর এদের অত্যাচার অনেক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে শিশুটির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। শুধু তাই নয়। এই গৃহপরিচারিকা শিশুরা অনেক সময় গৃহকর্তার দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। অত্যন্ত লজ্জা ও পরিতাপের বিষয় এই যে, শিশু নির্যাতনকারী এসব পাষন্ডদের অধিকাংশই শিক্ষিত ও ভদ্র সমাজের বাসিন্দা। আমার মতে, শিক্ষিত সমাজ কর্তৃক মানবাধিকার লংঘনের এরচেয়ে বড় উদাহরণ আর হয়না।

এ তো গেল শিশু নির্যাতনের একটিমাত্র দৃশ্যপট। এবার দৃষ্টি ফেরানো যাক অন্যদিকে। আমরা শহরে-বন্দরে হোটেল-রেস্তোরা, কল-কারখান, গাড়ির গ্যারেজ, ইট-ভাটা - সর্বত্র শিশু শ্রমিকদের একটা লক্ষণীয় উপস্থিতি দেখতে পাই। এদের অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দু’বেলা দু’মুঠো আহার জোগাড় করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে ওরা। অথচ এদের অধিকাংশই ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি কাজে সামান্যতম অবহেলা বা ভুল-ত্রুটির কারণে এই শিশুরা মালিকদের দ্বারা শারিরীক নির্যাতনেরও শিকার হয়ে থাকে। মালিক বা নিয়োগকারীরা একদিকে যেমন এই শ্রমিকদেরকে ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত করে তেমনি এই সমস্ত শিশুদের সুযোগ-সুবিধা ও চিকিৎসার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। অথচ আমরা জানি আর্ন্তজাতিক আইন অনুসারে যে কোন দেশে শিশুশ্রম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশে শিশু নির্যাতনের চিত্র যে কতটা ভয়াবহ এবং কতভাবে যে শিশুরা নির্যাতিত হয়ে থাকে আমাদের দেশে তার আরও কিছু ঘটনা এখানে তুলে ধরতে চাই। আমাদের দেশে প্রায়ই পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্যাতনের শিকার হয় শিশুরা। এও দেখা যায় যে, একপক্ষ আরেক পক্ষকে শায়েস্তা করার জন্য সেই পরিবারের শিশুটিকে তাদের প্রতিশোধ নেয়ার উপায় বা লক্ষ্যবস্থুতে পরিণত করছে। পরিণামে মৃত্যু ঘটে শিশুটির। এক্ষেত্রে মেয়ে শিশু হলে তাকে শিকার হতে হয় যৌন নির্যাতনের। মানুষ কতটা নিষ্ঠুর, ভয়াবহ আর পশুবৃত্তিক হলে এমনটা করতে পারে তা ভাবলেও শরীর শিউরি উঠে।

আরও একটা উপায়ে আমাদের সমাজে অহরহ নির্যাতিত হচ্ছে শিশুরা। সেটা হলো শিশু অপহরণ ও পাচার। আমাদের সমাজে ভয়াবহরূপে ঘটছে এই প্রক্রিয়ায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা। প্রত্যেকটি মা-বাবা সর্বদা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে সন্ত্রস্থ থাকে - এই বুঝি তার আদরের সোনামণি কোন শিশু পাচারকারীর খপ্পড়ে পড়ে হারিয়ে গেল ! এই বুঝি নেমে এলো তাদের সামনে দুর্বিসহ অমানিশা ! এক্ষেত্রেও সেই একই দৃশ্যপট। পাচারকারীদের খপ্পড়ে যদি কোন মেয়ে শিশু পড়ে তবে তাকে অনিবার্যভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

এখানেই শেষ নয়। অনেকে শুনলে অবাক হবেন যে, আমাদের দেশে বাবা-মা কর্র্র্তৃক তার শিশু সন্তানকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এই ধরনের নির্যাতনের দুটি রূপ দেখা যায়। যেমন কোন কোন বাবা-মা জেনেবুঝে-জ্ঞাতসারে তাদের শিশু সন্তানকে নির্যাতন করছে। সাধারণত অশিক্ষিত-দারিদ্র-পীড়িত সমাজে এই চিত্র বেশি দেখা যায়। তবে এসব বাবা-মা জানেও না যে তারা যেটা করছে সেটা আইনত অপরাধ। আবার কোন কোন বাবা-মা অজ্ঞাতসারে তাদের শিশু সন্তানকে নির্যাতন করছে। সাধারণত শিক্ষিত সমাজে এই ধরনের শিশু নির্যাতনের চিত্র দেখা যায়। এর কারণ সন্তানকে নিয়ে বাবা-মায়ের অসুস্থ প্রতিযোগীতা। তার সন্তানকে রেজাল্ট সবচেয়ে ভাল করতে হবে, নাচ-গান-আবৃতি-বিতর্ক-খেলাধূলা, সর্ব বিষয়ে তুখোড় হতে হবে - মা-বাবার এই ধরনের মানসিকতার কারণে নিস্পেষিত হয় সন্তানরা। অথচ এটা সেই বাবা-মায়েরা কখনও ভেবে দেখেননা। ভেবে দেখেন না যে তারা যা চাইছেন তার সবকিছু করার মতো ক্ষমতা কোমলমতি শিশুটির আছে কি-না।

তবে হ্যাঁ। এক্ষেত্রে বাবা-মাকে দোষারূপ করার পাশাপাশি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ না করলেই নয়। বাবা-মায়ের মনে তাদের সন্তানদের নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগীতা মনোভাব তৈরি করার জন্য মূলত দায়ী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকগণ। সরকারী প্রাইমারী স্কুল বাদে আজকাল সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যসূচী নির্ধারণে কোমলমতি শিশুদের মানসিকতার দিকটা মোটেও বিবেচনায় আনা হয়না। ফলশ্রুতিতে যে শিক্ষা শিশুদের জন্য হয়ে উঠতে পারত আনন্দদায়ক, সেই শিক্ষা শিশুদের কাছে হয়ে উঠেছে ভীতিকর। শুধু তাই নয়। স্কুলের পড়ার চাপে বাসায় ফিরে খেলাধূলা করে আনন্দ করে সময় কাটাবে সেই উপায় নেই শিশুদের। কারণ সেখানেও আছে বাবা-মায়ের খবরদারি আর প্রাইভেট শিক্ষকের ট্যাবলেটা খাওয়ানোর মতো করে পড়া শিখানো। এ অবস্থায় শিশুদের সুকুমার বৃত্তিগুলো বিকশিত হবার সুযোগ পায়না। শিশুদেরকে নিয়ে দিন দিন এই প্রতিযোগীতা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়ে বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশিষ্টজনেরা।

সবশেষ কথা। আমরা জানি যে, আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ প্রচলিত আছে। এই আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি বিষাক্ত, দাহ্য বা দেহের ক্ষয় সাধনকারী কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটায় তবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। উল্লিখিত বস্তু দ্বারা নারী বা শিশুর দেহে আঘাত করার ফলে যদি নারী বা পুরুষ চিরদিনের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারায়, তার মাথা কিংবা মুখমন্ডল বিকৃত হয়ে যায়, শ্রবণশক্তি চিরদিনের মতো নষ্ট হয়ে যায় অথবা দেহের কোন অঙ্গ বা গ্রন্থি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়, তবে এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা ন্যূনতম ৭ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।

একই আইন এও বলা হয়েছে যে, নারী বা শিশুকে ধর্ষণের শাস্তি হবে অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড। অবৈধভাবে শিশু পাচার কিংবা হাজতে অথবা কারো কাছে কোন শিশুকে আটকে রাখলে তার শাস্তিও মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড। তাছাড়া শিশু অপহরণ কিংবা অন্যায়ভাবে কোন শিশুকে লুকিয়ে রাখার শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে।

এতসব আইনের ভেরি থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে অহরহ নানাভাবে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। এসব শিশু নির্যাতনের যে ভয়াবহতা তা যে কোন সভ্য-শিক্ষিত সমাজের জন্য কলংকস্বরূপ। শিক্ষা-সংস্কৃতির দিক থেকে আমরা যতদূরই অগ্রসর হই না কেন, আমাদের সব অগ্রযাত্রা ম্লান হয়ে যায় এসব নির্যাতনের দৃশ্যপটের সামনে। আমরা চাই দেশে প্রচলিত শিশু নির্যাতনবিরোধী আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হোক, বন্ধ হোক বাংলাদেশে শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা। আমাদের শিশুরা বেড়ে উঠুক নিরাপদে-সুস্থদেহে-সুস্থমনে-উজ্জল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
ে এ পোষ্টের লেখোকের প্রতি সুভেচ্ছা রহিল ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০২

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রেজাউ লেখাটি পড়ার জন্য।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সুবিন্যস্তভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

সুফিয়া বলেছেন: অাপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভাল থাকুন সব সময়।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২০

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক তথ্য আছে পোস্টাতে

তবে আপু আপনি কিছু আইনের কথা বলেছেন, যা শুধু আইন হয়ে আছে। তাঁর কোন প্রয়োগ নেই এই দেশে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

সুফিয়া বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে এসব নির্যাতন অনেকটা বন্ধ করা যেত।

ভাল থাকুন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভয় হয় এদেশের শিশুদের জন্যে।

শুভেচ্ছা লেখককে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৫২

সুফিয়া বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন এদেশের শিশুদের ভাবষ্যত নিয়ে সবাই আতংকগ্রস্থ। ওদের সামনে এত বিরুদ্ধ পরিবেশ যে অভিভাবকরা সব সময় দুশ্চিন্তায় থাকে তাদের শিশুদেরকে নিয়ে।

ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকুন।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.