নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুকাল পর আজকে বিকেলে সৌভাগ্যবশত আমাদের কলেজ হোস্টেল মাঠে ক্রিকেট খেললাম! এই মাঠে খেলা ছেড়ে ছিলাম প্রায় ৫বছর আগে।যাইহোক, আসলে ক্রিকেট না ফুটবল খেললাম বুঝতে পারলাম না। কারণ পুরো মাঠেই আমাকে দৌড়াতে হয়েছে। ব্যটিং করেছি ২ ওভার ৪বল আর দৌড়িয়েছি প্রায় ২০ ওভার! রীতিমতো আমি অত্যাচারিত!
BOOST না খেয়েও যে এতো স্টেমিনা পাওয়া যায় তা আজ আমার দ্বারা প্রমাণিত! তাই আমাকে নিয়ে নতুন কোন অ্যাড তৈরি করার জোড় দাবি জানাচ্ছি।
সেই ঐতিহাসিক দৌড়াদৌড়িময় খেলা শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম। খেয়াল করলাম আমার শরীরের অববাহিকায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা'র ধারা বয়ে চলছে! সেই ধারায় বিনা বৃষ্টিতে আমার টি শার্ট, প্যন্ট ভিজে একাকার। গোসল করা ছাড়া আর কোন উপায় না পেয়ে গোসলখানায় প্রবেশ করলাম। গোসল করে আসার পর দেখলাম বাসার সবাই সান্ধ্যকালীন প্রার্থনা শুরু করে দিয়েছেন। তাড়াতাড়ি প্রার্থনা করতে বসলাম। হায়রে আমার কপাল! এবার বিদ্যুৎ চলে গেল। এই ভেবে চিন্তায় পড়ে গেলাম যে, হয়তো আবার শরীর দিয়ে শ্রাবণ ধারা বয়ে যাবে! প্রার্থনারত অবস্থায় সরকারকেও গালি দিতে পারছি না। তাই প্রার্থনা চালিয়ে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে হলো। প্রার্থনায় মনযোগী হলাম।
হঠাৎ অনুভব করলাম শান্ত, নির্মল, প্রাণ জুড়ানো বাতাস আমার শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে। ভাবলাম, হয়তো বিদ্যুৎ চলে এসেছে! চোখ মেলে দেখি কোথাও কেউ নেই! থুক্কু কোথাও বিদ্যুৎ নেই। বরঞ্চ, ঘর আলোকিত হয়ে আছে চার্জার লাইটের কৃত্রিম আলোয়! ডান দিকে তাকিয়ে দেখলাম জানালা খোলা কিনা। না, জানালাও বন্ধ! আজব! তাইলে, বাতাস আসে কোথা থেকে? পেছনে তাকালাম। দেখি বাবা। উনি মোটামুটি একটা বড় সাইজের শক্ত কাগজ দিয়ে বাতাস করছিলেন, যাতে আমার গরম না লাগে!
এই হলেন আমার বাবা, যিনি আমার হিরো।।
২| ২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাবাকে চমৎকার লিখেছেন। সুন্দর ।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৯
সোজা কথা বলেছেন: শুভ সকাল! পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৪
সোজা কথা বলেছেন: আমি আর বেশি সময় প্রার্থনা করতে পারলাম না। আমার মনে হল বাবাকে আর কষ্ট দেয়া উচিত হবে না। জানি না আমি পাপ না পূণ্য করলাম???
সকল বাবার প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।।