নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিউলির একজন শুভাকাঙ্খি

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

কখনও কি ভেবে দেখেছেন,পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী স্বামীর স্ত্রী হওয়া কত জ্বালা ! প্রতি ধাপে ধাপে তাকে কত নিষ্ঠুর বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। কথাটা বলে সরাসরি আমার চোখের দিক তাকালো মেয়েটি। চেয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তারপর দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে বললো, সেই স্ত্রী যদি সুন্দরী হয়, তাহলে মানুষের করুণার কোন অভাবে হয়না। সবাই কিছু না কিছু উপকার করার আগ্রহ দেখায়। নানা ভাবে সংস্পর্শে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু যতটা না উপকার করে, তার চেয়ে বেশি ....... ।



কথাটা শেষ না করে ঠান্ডুর স্ত্রী আবার বলতে শুরু করলো, ওর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে আট বছর। এর মধ্যে সাত দফা জেলে গেছে। প্রতিবারই থেকেছে কমপক্ষে চারমাস। এপর্যন্ত তিনটি মামলায় জামিনে আছে। তার বিরুদ্ধে হওয়াএকটি মামলায় সাজা হলেও উচ্চ আদালতে গিয়ে তা মওকুফ হয়েছে। সে চাদাবাজি, বোমাবাজি করেছে, কিন্তু কখনও খুনখারাবি করেনি। তার বিরেুদ্ধে এধরণের কোন অভিযোগের প্রমানও মেলেনি। তবুও পুলিশ বারবার তাকে ধরে।

কোন প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ ছাড়াই হরহর করে এতক্ষুণ বলে গেলো ঠান্ডুর স্ত্রী শিউলি। তার কথা বলার ধরণ দেখে বোঝা যায়, এসব কথা বলতে বলতে বেশ অভ্যাস্ত হয়ে গেছে সে। হওয়াটাও স্বাভাবিক। সন্ত্রাসী স্বামীরা ঘনঘন জেলখানায় গেলে ঘরের বউরা আর পর্দর আড়ালে থাকেনা। পরপুরুষের সামনে তাদের যেতেই হয়। তাও আবার যে সে পুরুষ মানুষ নয়। পুলিশ, উকিল ও সাংবাদিক। এই তিন পেশার পুরুষ মানুষদের হাতে থাকে অনেত ক্ষমতা । আর ক্ষমতাবান মানুষগুলো চাইলেও সবসময় নিজেদের চরিত্রকে ফুলের মত পবিত্র রাখতে পারেন না। আসলে তাদের কোন দোষ নেই! নানভাবে অপরাধের সাথে জড়িত পরিবার গুলোর গৃহবধুরা পুলিশ ও উকিলের দ্বারস্থ হতে হতে তারা নিজেরাই যেন কাটিয়ে ফেলেন সবটুকু জড়তা ।

শিউলিকে দেখে কোন ভাবেই মনে হবেনা সে একজন সন্ত্রাসীর স্ত্রী । সে অনেক সুন্দর। ফর্সা না হলেও উজ্বল শ্যাম বর্ণের। তার চাহনীতে রয়েছে মায়াবী ভাব। এটিই যেন চেহারার আকর্ষনীয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সে কথাও বলে বেশ গুছিয়ে। তার শরীরের গঠন বেশ আবেদনময়ী।



শিউলির সাথে পরিচয় বলতে সেদিন আমার ওটুকুই। কিন্তু জানিনা, কিভাবে কিভাবে সে আমার খুব কাছের মানুষ হয়ে গেলো। খুব আপন একজন মানুষ, যার সবকিছুই ব্যবহারে কোন বাধা নেই। তার চেনাজানা পরিধিতে আমি হয়ে গেলাম দেবতুল্ল্য।

কিন্তু আমি নিজেতো জানি, আমার ভেতরের মানুষটা অত বেশি ভাল না। সেই একই লোভ, একই কামনা, সেই একই ভাবে স্বার্থ হাসিলের তাড়না আমিওতো লালন করি মনে মনে।

অস্বীকার করতে পারবো, কোন কিছুর বিনিময় নয়,স্বার্থহীন ভাবে আমি একজন সন্ত্রাসীর উপকার করেছি, যে সন্ত্রাসী সত্যিসত্যি চেয়েছিল স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে। স্রেফ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হওয়ার কারনে তার পরিবারের ওপরও চরম দূর্ভোগ নেমে আসে। হতে পারে শিউলির স্বামী খারাপ। খুন, ডাকাতি বা রাহাজানি করে। কিন্তু তার পাপের কারণে গোটা পরিবারের জীবনধারা বদলে যেতে পারেনা। একজন সন্ত্রাসীর স্ত্রী হতে পারেনা মনোরঞ্জনের উপঢৌকন।

কিন্তু শেষপর্যন্ত তাই হয়। ঠান্ডুর মত সন্ত্রাসীর সুন্দরী বউয়ের অসহায়ত্বর সুযোগ নিতে কেউ বাদ রাখেন না। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা অস্বীকার করেন। মান সম্মান ও ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে নিজের কামনা ও লালসার ন্যক্কারজনক অধ্যায়কে চাপা রেখে দিতে চান সারাজীবন। অথচ দেহমনের তৃষ্ণা মেটাতে ছলচাতুরি কিংবা প্রলোভনের কমতি থাকেনা তাদের। কখনও কখনও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বা একপ্রকার জোরপূর্বক তারা শিউলির মত গৃহবধূর সম্ভ্রমহানী করেন। পুলিশের বড় কর্তাবাবু থেকে শুরু করে আইনজীবি, প্রভাবশালী রাজনীতিক, এমনকি আমার মত একজন সাংবাদিকও একসময় লালসা নিবারণের মিছিলে যোগ দেয়। এভাবেই সমাজের একশ্রেনীর মানুষের কারণে বদলে যেতে থাকে সহজ সরল রমনীদের লাইফ স্টাইল। বাংলাদেশের এমন কতজন শিউলি আছে? এর সঠিক কোন পরিসংখ্যান আছে কি? আমরা কেউ আসলে সেভাবে জানিনা। এনিয়ে কোন কথা বলিনা।

গত বছরের কথা। শিউলির স্বামীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা নিয়ে অনেকগুলো প্রতিবেদন কাগজে দিয়েছিলাম। তা নিয়ে কোনকোন মহলে প্রশংসিত হয়েছি। কোথাও আবার মিলেছে "নাখোশ" হওয়ার ষ্পষ্ঠ ইঙ্গিত। তারপরও ঠান্ডুর পক্ষে থেকে গেছি। তার হয়ে ওসির সাথে কথা বলেছি, জেলখানায় দেখা করেছি। কিন্তু কখনও যে কাজটা করা হয়নি, তা হলো শিউলির সংসারহীন জীবনের পেছনে থাকা মানুষগুলোর কিছু অজানা কাহিনী পত্রিকায় প্রকাশ করা।

মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শিউলি। তার বাবা নেই, মা আছে। দু বোনের মধ্যে সে বড়। অষ্টম শ্রেনীতে থাকতেই প্রেমে পড়ে পাশের মহল্লার হ্যান্ডসাম যুবক টগর ওরফে ঠান্ডুর। একবছরের মধ্যে তারা পালিয়ে বিয়েও করে। আর সেখানেই থেমে যায় তার লেখাপড়া। সংসার জীবনটাও কেমন গুলিয়ে ওঠে। শ্বশ্বুর-শ্বাশুড়ি, দেবর ও এক ভাসুর সহ ছয় সদস্যর সংসারে নানা ঝমেলায় হিমষিম অবস্থা হয় তার। এরই মধ্যে শ্বশুর বাড়ি এলাকার পঞ্চাশার্ধ এক চিরকুমার শিক্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। বিয়ের আগেও একবার সে জেলখানায় গিয়েছিল বোমাবাজির অভিযোগে। বিয়ের আগে একথা জানা ছিলনা শিউলির । কিন্তু একটা খুনের ঘটনায় সে জড়িত থাকতে পারে, এমনটি কোনভাবেই তার বিশ্বাস হয়না। ওই মামলায় চার মাস জেলে ছিল ঠান্ডু। জামিন হওয়ার পর আদালতে হাজিরা দিতে হতো। এদিকে খুনের অভিযোগে স্বামী জেলখানায় থাকায় সবদোষ বা দায়ভারটা যেন পড়লো তার ওপর। ওই সময়ে সবাই কেমন জানি খারাপ আচরণ করতে থাকলেন। তাই শেষমেষ সে তার মায়ের কথা মত আলাদা হলো। শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে নিজেদের আলাদা ভাড়া নেয়া ছোট্ট দুকামরার ঘরে শুরু হয় তাদেরে একান্ত সংসার । ঠান্ডু বাসস্টান্ডে স্টাটার হিসেবে কাজ শুরু করে । টুকটুক করে বেশ ভালই চলছিল তাদের দিন। কিন্তু হঠাৎ করে যেন তার হাবভাব পাল্টাতে থাকে। শিউলির কাছে মনে হয়, তাদের সংসারে উন্নতির গতির সাথে তার স্বামীর স্টাটারের চাকরিটা মেলেনা কোন ভাবে। কতটাকায় বা বেতন পাওয়া যায়!

তাহলে কি সে বাসষ্টান্ডে বসে চাদাবাজি করে?

নান প্রশ্ন মনের ভেতর ঘুরপাক খেতে থাকে শিউলির ।

শিউলির স্বামী টানা দু বছর একজন রাজনীতিকের ছত্রছায়াই থেকে করে নীরব চাদাবাজি। অবশ্য চাদাবাজির টাকার পুরোটাই চলে যেতো ওই নেতার পকেটে। তারপরও সে যা পেতো, তাতে সংসারে কোন অভাব ছিলনা। কিন্তু সেই চাদাবাজির দিনগুলো বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তার জীবনে। রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার পালাবদলের মধ্য দিয়ে ওলট-পালট হয়ে যায় তার সব হিসাব নিকাষ। তাকে ধরতে রাতবেরাত বাড়িতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। শত্রু তৈরি হয়ে যায় অনেক। পালিয়ে পালিয়ে থাকতে পারেনা আর।

তারপর কখনও জেলে, কখনওবা দু-তিন মাসের জন্য মুক্ত বাতাসে। এভাবে টানা পাচ বছরে নান মামলায় ওলট-পালট হয়ে গেলো ঠান্ডুর দাম্পত্য জীবন। তারপরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে কত না চেষ্ঠা চালিয়েছিল সে। প্রতিবারেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন আশ্বাস দেয়া ক্ষমতাধর মানুষরা।

শিউলির জীবনের নানা রঙের কাহিনী নিয়ে বিশেষ একটি প্রতিবেদন তৈরির চিন্তাটা অনেকদিনের। গল্পের ভাষায় লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লেখাটা কোন ভাবেই এগিয়ে নিতে পারিনা। তার মুখ থেকে শোনা কথাগুলো একটু গুছিয়ে লিখতে পারলেই, তা হতে পারে একটি বেদনাদায়ক ষ্টোরি। হতে পারে তা পেশাদার ক্ষমতাবান কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচন। কিন্তু আমি পারিনি। পারছিনা কোন ভাবে।

তার স্বামী ঠান্ডুর মামলাগুলো নিয়ে যে আইনজীবি আদালতে লোড়তেন, তাকেতো ঠিকমত টাকা-পয়শা দিতে পারতো না শিউলি। ব্যপারটা নিয়ে মাঝের মধ্য রাগারাগি করতেন তিনি। রাতবেরাত মোবাইল করে তার সাথে গল্পজুড়ে দিতো। স্ত্রীর সাথে সেক্স করে তিনি কোন মজা পাচ্ছেননা, তাও বলতো।

শেষ পযর্ন্ত একদিন সেই আইনজীবির এক বন্ধুর বাড়িতে যেতে হয় তার বেড়াতে। অবশ্য ব্যপারটা তার খারাপ লাগেনি। কারণ এ কাজ সে অতীতে করেছে আরও কয়েকবার ।

টানা আট-ন’মাস আত্নগোপনে থাকার পর যেদিন চুপিচুপি বাড়ি ফিরেছিল ঠান্ডু, ওই দিন রাতেই গোটা বাড়ি ঘেড়াও করে তাকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। ঠিক তার পরের দিন একই সময়, মানে রাত একটা নাগাদ একদল পুলিশ এসে ঠকঠক করে তার বাড়ির দরজায়। সে দরজা খুলতেই তির চারজন পুলিশ ঘরে ঢুকে সারা বাড়ি তছনছ করতে থাকে। বাড়ির সমস্ত জিনিস ছুড়ে ছুড়ে ফেলে দেয় উঠানে। তারপর তল্লাশী করার ভঙ্গিমায় হাত দেয় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে। আচ্ছা, বাড়ির মধ্যে বসে কেউ কি কখনও নিজের শরীরের ভেতর অবৈধ কোন কিছু লুকিয়ে রাখে।

পরের দিন সকালে তাকে মোবাইল করে ডিবি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। তখন তার কাছে এসে এক কনষ্টবল বললো, যে স্যার আপনার স্বামীকে ধরে এনেছিলেন, উনি খুব ভাল মানুষ। আপনি পুলিশ কোয়াটারে গিয়ে স্যারের সাথে দেখা করতে পারেন।

সত্যি ওই দারোগা ছিলেন খুব ভাল মানুষ। তিনি শিউলিকে কিছু বলেননি। তবে তিনি তার স্বামীর মঙ্গলের জন্য একটি উত্তম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এবং সেই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার ফলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে নতুন করে কোন মামলা হয়নি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে মারধোর করা হয়নি। তবে যেটি হলো, তা হলো স্বামীর পর জীবনে প্রথম কোন পুরুষের সাথে একই বিছানায় রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা। তাও আবার জেলা পুলিশ প্রধানের বাংলোয়।

একাজটা একদিন দুদিন নয়। দিনের পর দিন। ওই পুলিশ প্রধান বদলি হয়ে যাওয়ার পরও তার ডাকে সারা দিতে হয়েছিল কয়েকবার। এরপরতো একেএকে আইনজীবি, সাংবাদিক, রাজনীতিক। স্বামীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আকুতি পুরোন করতে গৃহবধূ থেকে শিউলি হলো বেস্যা। আর আমি হয়ে গেলাম তার একজন শুভাকাঙ্খি।

কিন্তু এই শুভাকাঙ্খি কি শেষমেষ পেরেছে তার লালসাকে দমিয়ে রাখতে।

পারেনি, আর তাই শিউলিকে নিয়ে লেখা হয়নি কোন অজানা কাহিনী।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১

ছন্ন ছাড়া০০০১ বলেছেন: কিছুই বলার নাই।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩

মাহমুদুল হাসান অনিক বলেছেন: :( :( :(

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৮

আব্দুল মোমেন বলেছেন: হুম !

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০

আব্দুল মোমেন বলেছেন: হুম !

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

বোকামন বলেছেন: পুরুষের বীরত্বের পিছনে থাকে নারীর মমত্ব .........

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

বোকামন বলেছেন: পুরুষের বীরত্বের পিছনে থাকে নারীর মমত্ব .........

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: গল্পটা পড়ার জন্য সবার প্রতি রইলো আন্তরিক ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.