নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণ জাগরণ মঞ্চের সাথে সংহতি প্রকাশের পরই ঘটলো বই মেলায় আগুন

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩০

রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে প্রকাশকরা বলেছিলেন, গণজাগরণ মঞ্চ যতদিন থাকবে, ততদিন অব্যাহত থাকুক বাঙালির প্রাণের উৎসব বইমেলা। এই সংহতি প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যে আগুনে ভস্মিভুত হলো মেলার বেশ কয়েকটি স্টল। এই আগুন লাগার ঘটনা একবার নয়, দু থেকে তিন দফা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক অনলাইন নিউজ সংস্থা। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সন্দেহ হচ্ছে যে, এটি একধরণের নাশকতা।



বেশ কয়েকটি নিউজ সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সংবাদ হচ্ছে রোববার রাত ১ টার দিকে বইমেলার পুকুরপাড়ের ধীরেন্দ্রনাথ চত্তর অংশে আগুন লাগে।ফায়ারব্রিগেডের বেশ কয়েকটি গাড়ি এসে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে এর আগেই পুড়ে যায় ২৬২ থেকে ৩০৫ ইউনিট পর্যন্ত অবস্থিত সব কয়টি স্টল। এরপর রাত দুইটার দিকে ৩৬০ ও ৩৬১ নম্বর স্টল জিনিয়াস পাবলিকেশনে আগুন লাগে। অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্য তা নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও রাত আড়াইটার দিকে আগুন লাগে ৩৩০ ও ৩৩২ নম্বর স্টলে অবস্থিত বিজয় প্রকাশনিতে।



নতুনবার্তা ডটকম ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমজাদ আলী জানিয়েছেন, আগুনে ২০-২৫টি স্টল পুরোপুরি পুড়ে গেছে।





অপর একটি নিউজ পোর্টাল বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী বিজয় প্রকাশনীর নুর কাশেম ও স্বত্বাধিকারী প্রকাশক সাইফুল্লাহ খান হঠাৎই স্টলটির ভেতর থেকে পোড়া গন্ধ পান এবং সেখানে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে।



প্রকাশকদের ধারণা এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা। তাদের দাবি রাত নয়টার পর থেকে মেলা প্রাঙ্গনে সব বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ থাকে। তাই এখানে শর্ট সার্কিটজনিত দুর্ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়।



ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মনির হোসেন অগ্নিকাণ্ডের ধরণ দেখে একে নাশকতা বলে সন্দেহ করেছেন।



তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম রাত নয়টার পর মেলা প্রাঙ্গনে সচল একটি মাত্র বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই আগুনের সূচনা ঘটেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ধরণ দেখে ‌এখন নাশকতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’ এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করেই সঠিক তথ্য জানানো যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।



শ্রাবণ প্রকাশের স্বত্বাধিকারী রবিন আহসানও নিউজ সংস্থা বাংলানিউজের কাছে এটিকে নাশকতার আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, রোববার বিকেল ৫টায় মেলার তথ্য কেন্দ্রের সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশকরা গণজাগরণ মঞ্চের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান। তারা সেখান থেকে গণজাগরণ মঞ্চ যতদিন চলবে ততদিন পর্যন্ত মেলা চালানোর দাবি জানান। রবিন আহসানের ধারণা এসব কারণেই ক্ষুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বা অন্য কোনো বিশেষ চক্র এ নাশকতা ঘটাতে পারে।



শিরিন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মামুন খান ইউসুফজি বলেন, ‘শুরু থেকেই মেলায় অংশ নিয়ে আসছি। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এ ধরণের ঘটনা কখনও ঘটেনি। কোনো বিশেষ গোষ্ঠী যদি এ মেলাকে ধ্বংস করতে চায়, তবে তারা ভুল করবে।’



রয়েল পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী জামালউদ্দিন আহমেদ জানান, তার পুরো স্টলই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার বই পুড়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।



অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম এবং সময় প্রকাশের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন সোমবার সকাল নয়টায় মেলায় বাংলা একাডেমী তথ্য কেন্দ্রের সামনে প্রকাশকরা বৈঠকে বসবেন। বৈঠকের পর বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের কাছে তারা বেশ কিছু দাবিও উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।



অতীতে বইমেলায় আগুন লাগার কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। জানিনা এটি স্রেফ দূর্ঘটনা কিনা। তবে মেলা প্রাঙ্গন থেকে মাত্র কয়েক শো গজ দূরে রাজাকারের ফাসির দাবিতে চলমান আন্দলোনের প্রতি সংহতি প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেখানে আগুন লেগে গেলো?



কি শুরু হয়েছে আমার "মা" কে নিয়ে? আমরা আর কতকাল করবো শত্রুর সাথে বসবাস?



পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহ হয়, স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি অনেক বেশি কৌশলী এবং তারা আমাদের সাথে এমন ভাবে মিশে গেছে যে, আমরা কোন কিছু আচ করে ওঠার আগেই তার ঘটিয়ে দিচ্ছে অঘটন। অথবা তাদের চেয়েও অনেক বেশি ধূরন্ধাজ কোন চক্র পর্দার আড়াল থেকে নেড়ে চলেছে কলকাঠি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

তুহিন সরকার বলেছেন: এদের প্রতিহত করুন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আর কোন বিকল্প পথ দেখছিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.