নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ এখন বায়স্কপ

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৫

দেশে আজ চরম অস্তিরতা। পুলিশ মরছে, মানুষ মরছে। আগুনে পুড়ছে বাস-ট্রেন-শখের প্রাইভেটকার। ক্রমান্নয়ে কল্পনাতীত ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে দেশ। এনিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই আওয়ামী লীগ সরকারের।বড় বড় কথা আর দাম্ভিকতা দেখিয়ে চলেছেন মন্ত্রী-নেতারা। তারা দেশটাকে এখন বানিয়েছে "বায়স্কপ" । একের পর এক নানা কিচিমের সিরিয়্যাল, মেগা সিরিয়্যাল বানিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা বোকা দর্শক খালি দেখি আর লাফায়।



তিনজন ব্লগারকে কেনো ধরা হলো?



তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুব পরিস্কার, তারা ধর্মীও অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার মত লেখালেখি করেছে।



প্রশ্ন হলো একজন মুসলমানের ধর্মীও অনুভুতি এতই ঠুঙ্ক যে কে কি লিখলো তাতে ইসলাম ভুলে যাবে?



আল্লাহ রসুলের ওপর থেকে আমার বিশ্বাস ও আস্থা উঠে যাবে?



আমি নাস্তিক হয়ে যাবো?



দু-একজন ব্লগারের মুক্তচিন্তা বা প্রকৃতবাদি মনোভাব কখনও "ইসলাম" ধর্মকে বিনষ্ট করতে পারেনা। ধর্মকে যারা গভীর ভাবে অনুভব করেন, আল্লাহ-রসুলের ওপর যাদের বিশ্বাস এবং আস্থা অন্তর থেকে, তারা এসব নাস্তিকতার প্রচারণায় প্রভাবিত হয়না। সুতরাং তাদের এই লেখালেখিতে ধর্মের কিছু যাই-আসেনা। অথচ ধর্মীও অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ তুলে তিন ব্লগারকে আটক করা, প্রেসকনফারেন্স, ফটোসেশন এবং রিমান্ডে চাওয়া হলো। এখন সরকার যেভাবে চা্য়বে, ওদের ওপর তেমন আচরণ করবে পুলিশ প্রশাসন।



ব্লগারদের আটক করা মানে সবচেয়ে দূর্বল শ্রেনীর ওপর একধরণের অমানবিকতা। ব্লগাররা কারোর ক্ষতি করেনা। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলেনা। তারা সাহিত্য চর্চা করে, আলোচনা করে, সমালোচনা করে, নানা মত ও আদর্শের কথা তুলে ধরে। মুক্তচিন্তা, বিবেক বুদ্ভি ও বিবেচনার আলোকে ভাল-মন্দ প্রকাশের চেষ্টা করে। এদের মধ্যে জামাতপন্থি, বামপন্থি, হেফাজতি, আওয়ামী, বিএনপিসহ নানা রাজনৈতিক দলের পক্ষ-বিপক্ষর মানুষ আছেন। মুসলমা-হিন্দু, নাস্তিক-আস্তিকসহ সব ধর্ম ও ধ্যান-ধারণার মানুষ আছেন ব্লগার হিসেবে। কিন্তু তারাতো কারোর ক্ষতি করছেননা। বরং যেযার মত মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখছেন।

ব্লগারদের সবকিছু যে পছন্দ হচ্ছে বা প্রভাবিত করছে তা কিন্তু নয়। এদের মধ্যে কেউ বেশি বুঝে, কেউ কম বুঝে, আবার কেউ মনে করে সে খুবই পন্ডিত। না বুঝে কেউ কেউ ধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পান্ডিত্য দেখায়। কেউ অযৌক্তিক লেখেন। কেউ প্রচুর খাটাখাটনি করে নানা বইয়ের রেফারেন্স টেনে লিখছেন অনেক মুল্যবান লেখা। এতে করে সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার।



বাস্তবতা যাই হোক না কেনো, লেখালেখির কারণে গ্রেফতার করা মানে ধর্ম নিরপেক্ষ একটি স্বাধীন দেশের বাক স্বাধীনতা হরণের নৃক্কারজনক উদাহরণ। আমি দৃঢ ভাবে বলতে পারি ব্লগে লিখে কাউকে নাস্তিক বানানো যায়না। কেউ চাইলেও আমাকে নাস্তিক বানাতে পারবেনা।



দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বলা যাই, আওয়ামী সরকার তাদের কৌশল, দর্শন এবং চরিত্র অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। তাদের কাজ হলো দৃষ্টিভঙ্গি ঘুরিয়ে দেয়া। সেহিসাবে এখনও পর্যন্ত তার সফল। এক কথায় "ফুল কন্ট্রলে।" তাই তারা নিজেদের স্বার্থে কাউকে নাচাচ্ছে, কাউকেবা অপমান-অপদস্ত করে চরম দূর্ভোগের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এখন তাদের শাহাবাগের গণজাগরণ মঞ্চের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। কারণ প্রকৃত অর্থে এই মুহুর্তে তারা জামাতের নিষেধাজ্ঞা চচ্ছেনা। এটি আগামী নির্বচিন পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখতে পারলে ভোটের পাল্লাটা ভারী হবে।

সমস্যা হয়ে গেলো তরুণ প্রজম্মকে নিয়ে। সরকার ভাবতে পারেনি তরুণ প্রজম্ম এমন নাছড় বান্দার মত লেগে থাকবে।



বাস্তবতা হলো, সরকার বুঝে গেছে, আবেগি জাতি বাঙালি "ঝোকে চলে, ঝাকে চলে।"

2 hours ago · Like

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.