নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৩ সালে ১৩ দফা : মানা না মানা

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৯

সালটাও ১৩, হেফাজতে ইসলামের দাবিও ১৩। বেশ ভাল কথা। কিন্তু তাদের এই দাবি গুলো কতটা যৌক্তিক এবং অযুক্তিক তা নিয়ে ভেবে দেখবেন এ দেশের জনগণ। যদিও মৌখিক আশ্বাস মিলেছে সরকারের ওপর মহল থেকে। এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলবে আগামী কয়েকদিন। তবে প্রাথমিক অবস্থায় একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দাবিগুলো পড়ে মনে হলো, এগুলো মানা-না মানা নিয়ে খুব বেশি বেগ পেতে হবেনা সরকারের। দাবিগুলো খুব জটিল বা স্পর্শকাতর বলে মনে হয়নি। ঘুরে ফিরে একই কথা বলে পয়েন্ট বাড়িয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু কথা যৌক্তিক বলা যেতে পারে।তবে তাদের দাবিগুলো কোন ভাবেই আমাদের স্বাধীনতার চেতনার সাথে সাংঘর্ষিকপূর্ণ বলে মনে হয়নি। নিম্মে উল্লেখ করা হলো :





১। সংবিধানে ‘আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্র বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।



( ১নং দাবি প্রসঙ্গে বলা যায়, সংবিধানে "পরমকরূনাময় আল্লাহ/সৃষ্টিকর্তার" নামে শুরু করার কথা উল্লেখ আছে। সুতরাং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টিতো পূর্বে থেকে আছেই।)



২। আল্লাহ্‌, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।



(২নং দাবিটি এদেশের সরকার ও সকল রাজনৈতিক দল মানতে রাজি থাকবেন। ভোটের রাজনীতির কথা বিবেচনা করে সরকার এটির প্রতি নমনীয় হবে বলে মনে হয়। তাদের এই দাবরি সাথে অন্য ধর্মের মহাপুরুষদের অবমাননাকর কিছু করা হলে তথা ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা রটালে শাস্তি মৃত্যুদন্ড।





৩। শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।



(শাহাবাগের আন্দোলনের নেতেৃত্বে থাকা ব্লগার কেউ নাস্তিক থাকলে তা তদন্তে বের করার প্রক্রিয়াতো সরকার ইতিমধ্যে শুরু করেছে।)



৪। ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।



( নারী পুরুষের গায়ে জামা-কাপর দিয়ে রাস্তায় বিচরণ করলে সমস্যার কি আছে? এদেশেতো ইসলাম ধ্বংস হয়ে যায়নি। এমনতো না এদেশের রাস্তায় ছেলে -মেয়েরা যৌনকার্যে লিপ্ত হচ্ছে। বেহায়পনা বা বেভিচার, অনাচার হয়ে থাকলে তা হচ্ছে চারদেয়ালের মধ্যে।)



৫। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।



(ধর্মীয় শিক্ষা বইতো ক্লাসে ছোটবেলায় আমরাও পড়েছি। যার যার ধর্ম অনুযায়ী পাঠ্যবই থাকলে সমস্যার কিছূ নেই্।)





৬। সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।



(একটি দেশের সরকার কি কাউকে অমুসলিম ঘোষণা করতে পারে?)



৭। মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।



(মূর্তি ভেঙে ফেললে কি আমাদের অন্তরে ইসলামের তিব্রতা বেড়ে যাবে। এটি যৌক্তিক কোন দাবি হতে পারেনা। দেশটা বাংলাদেশ। ভুলে গেলে চলবেনা, মুসলিম রাষ্ট্র ইরাকে একসময় সাদ্দামের মূর্তি ছিল। অনেক মুসলিম রাষ্ট্রে ভাস্কর্যর প্রচলন আছে। )



৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।



(প্রতিবন্ধকতা সাময়িক সময়ে কিছুটা হলেও এটি পরিস্থিতির কারণে। অচিরেই বায়তুল মোকারমসহ সকল মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সকল প্রতিবন্ধকতা সরকার তুলে ফেলবেন। তাছাড়া নামাজ পালনের ক্ষেত্রে মসজিদে যেতে প্রতিবন্ধকতা খুব একটা হচ্ছে বলে দেখছিনা।)





৯। রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।



( দাবিটি আসলেই হাস্যকর। টিভি নাটকের নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে কেউ কি আমার অন্তরে থাকা "ইসলাম" এর ওপর থেকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ তুলে দিতে পারবে?)



১০। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।



(তদন্ত সাপক্ষে সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।)





১১। রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।





(সরকারতো জামাত এর ওপর দমন-পীড়ন করে। তৌহিদী জনতার ওপর না করলেই হলো।)





১২। সারা দেশের কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।



(ষড়যন্ত্রের খবর পেলে হেফাজতে ইসলামের নেতারা সরকারকে অবহিত করুক। কেউ ভয়ভীতি দেখালে তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে দিলে হয়।)





১৩। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।



(১৩ নম্বর পয়েন্টে হেফাজতে ইসলাম কি জামাতের লোকজনের মুক্তি দাবি করছে? তারাতো মুখে জামাতের বিরুদ্ধেই কথা বলে। হেফাজতে ইসলামের লোকজন জেল হাজতে যাওয়া শুরু করেছে বলে মনে হয়না। সুতরাং ১৩ নং দাবি গন্য করা যায়না।







আল্লাহর ধর্ম ইসলামারে হেফাজতের দায়িত্ব নিশ্চয় সুনির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নয়। পরম করুণাময় আল্লাহ এটি সুরক্ষা করবেন।আমরা কেনো মুসলিম ভাইরা একে অপরের বিরুদ্ধে বাকবিতন্ড ও হানাহানিতে লিপ্ত হবো। আমাদের বিবেকটা হেফাজত করা এখন জরুরি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৭

রিজভি মাহমুদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ... আফগানিস্থান এর তালেবান দের মতো দাবি গুলো ।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪১

ুুপাংশুল বলেছেন: দেশ কি তেরোর ফেরে পড়লো না ধর্মব্যবসায়ীরা? দেখার অপেক্ষায়।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই কইছেন ১৩ র ফেরে বাংলাদেশ।
ভাল থেকেন।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ১৩ দফার মধ্যে এমন অনেক কিছূ তারা করেছে যা রিপিট হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে।

প্রশ্ন হলো ব্লগে লিখে আমি ক'জন মুসলিমকে নাস্তিক বানাতে পারবো, বা আমার কথা শুনে কোন ধর্ম সম্পর্কে ধর্মজ্ঞানহীন কেউ নাস্তিক হয়ে যাবে, সেটিও সম্ভব নয় কোন মতে। ধন্যবাদ ভাই রিজভি মন্তব্য করারা জন্য।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪২

চন্দনকন্যা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। কিন্তু কিছু দ্বিমত রয়েছে।

১৩নং দাবিতে মনে হয় নিজেদের কথাই বলেছে। হেফাজত ইসলামের কিছু লোক আটক হয়েছে।

একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ৪নং দাবিটি করতে পারে। কারণ প্রত্যেকটি মুসলিম রাষ্ট্রই এই ধরনের কিছু নিয়ম থাকে।

৩নং দাবিটির প্রতি সরকারের জোর দিতে হবে। কারণ শাহবাগীরা যদি ধর্মপ্রান ও মুসলমান হয়ে থাকে তাহলে তারা নাস্তিক ব্লগারদের নি:শর্ত মুক্তি চাইতে পারে না।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: চন্দনকন্যা

শাহাবাগে প্রয়াত ব্লগার রাজিবের জানাযা অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং তাকে এ প্রজম্মের প্রথম শহীদ বলাটা বোধ হয় সঠিক ছিলনা। তেমনই নাস্তিক ব্লগারদের বিষয়ে প্রজম্ম চত্বরের ভুমিকাটাও ঠিকনা বলে মনে হয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.