নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহাবাগ থেকে জন্ম নিলো ৭ ধারার মানুষ

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৪

ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে গোটা শাহাবাগের রুপ ছিল পূর্ণ যৌবনে টগবগে যুবক, যে কেবল চিৎকার করে বলছে তার যাতনার কথা, ক্ষোভের কথা। মার্চ মাস ঘুরে এপ্রিল আসার আগেই যেন শাহাবাগের সেই ক্ষিপ্রতা রুপ নিলো শান্ত বালকে। আর তখনই যেন দৃশ্যপটে হাজির হতে থাকলো "হেফাজতে ইসলাম।" তারা সবাই "ইসলাম" ঠেকাতে ঝাপিয়ে পড়লো। মিডিয়িাও ব্যস্ত হয়ে গেলো তাদের খবরা-খবর নিয়ে। এখন আবারও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে "শাহাবাগ।"



"গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে বদলাতে শুরু করেছে দেশের চিত্র," এমন একটি কথা আলোচনা হচ্ছে বিক্ষিপ্ত ভাবে।টক শো গুলোতে সেভাবে উঠে না আসলেও দেশে চলমান সহিংস ও আতংকজনক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে চায়ের দোকানে, হাটে-বাজারে, বন্ধুদের আড্ডায়, কিংবা অফিসে কাজের ফাকে কলিগরা করছেন এমনই নানা আলোচনা। পজেটিভ এবং নেগেটিভ দু ধরণের মন্তব্য চলছে। কেউ কেউ সরাসরি দাবি করছে, দেশের এ পরিস্থিতির পেছনে বাস্তবিক অর্থে শাহাবাগ দায়ী।৫ ফেব্রুয়ারি তারা সেখানে যাওয়ার পর থেকে দেশে রক্ত ক্ষরণ বেড়েছে।অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে বা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ। শাহাবাগের কারণে দেশে নানা পক্ষ তৈরি হয়েছে, এটি দাবি অনেক সাধারণ মানুষের।



তবে যা হয়েছে, বা হচ্ছে, সবই আমাদের মঙ্গলের জন্য। আমরা অন্তত রাজাকারের বিচারের দাবিতে নব উদ্যোমে জাগ্রত হতে পেরেছি। তারপরও যেন একটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে মনের অজান্তে।



গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে কয়টি ধারায় বিভক্ত হলো?



এমন প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর জানা নেই। তবে নানা পেশার, মতের, বয়সের ও ধর্মের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে এবং বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে মনে হয়েছে মানুষ এখন ৭ ধারায় বিভক্ত।



১. গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সক্রিয় পক্ষ।



২.মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তবে গণজাগরণ মঞ্চকে সমর্থন করেননা।



৩. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তবে ধর্মীও মুল্যবোধকে গুরুত্ব দেন বেশি।



৪.দেশে চলমান অমানবিকতার বিচারের পক্ষে সোচ্চার, তবে ৪২ বছর আগের মানবিক অপরাধের বিষয়ে আগ্রহী নয়।



৫. সরকার, গণজাগরণ মঞ্চ, বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাত, হেফাজতে ইসলাম, বাম সংগঠনসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বিরক্ত।



৬. প্রকৃতবাদী তথা নাস্তিক পক্ষ।



৭. ঝোঁক বুঝে ঝাঁক বেঁধে চলা পক্ষ।



এই ৭ম পক্ষটিকে নিয়ে যত বিপত্তি। তাদের কারণে আসলে সবকিছু ঘোলাটে থেকে যাচ্ছে। দ্ধিধা-দন্দের মধ্যে থাকছে সরকার, রাজাকার ও বিরোধী দল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

সাউন্ডবক্স বলেছেন: Ami 5.... Age chilam 1...... Kintu imraner faijlami marka emotional dabi gular karone sob sesh..... Emotion diya sob hoy na......

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাউন্ডবক্স মন্তব্যর জন্য। আসলে কিছু কিছূ কারণে একটু বিতর্কীত মনে হচ্ছে তাদেরকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.