নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা আমি বাঁচতে চাই

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২০





জীবনের শেষ মুহূর্তেও এ কথা বলতেন নির্ভয়া। ন’মাস আগে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাওয়া দিল্লির সেই মেয়ে। কেমন আছেন তাঁর বাবা-মা? খোঁজ নিয়েছেন কলকাতার একটি বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটি অবলম্বনে এ প্রতিবেদন "মা আমি বাঁচতে চাই।"



ষাট ছুঁইছুঁই ফ্ল্যাটের কর্তা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ন’টায় যন্ত্রের মতো অফিসে যান, রাত ১০টা নাগাদ ফেরেন। একটি বিমান সংস্থায় লোডারের কাজ করেন তিনি। এ বাড়ির দুই ছেলে। বাড়ির কর্ত্রী প্রাণহীন পুতুলের মতো ঘরের কাজ, রান্না, পুজো করেন।

রবিবার এলে এ বাড়ির চারটি প্রাণী একসঙ্গে সিঁটিয়ে যান। ছুটির দিনের এক-একটা মুহূর্ত স্নায়ুকে বিকল করে দেয়। আবার, আবার একটা রবিবার...!

ন’মাস আগে এক রবিবারের রাতেই সিনেমা দেখে ফেরার পথে দিল্লির বাসে ছিন্নভিন্ন হয়েছিলেন এই বাড়ির ‘নির্ভয়া’।’ তার পরেরটা ইতিহাস।

দিনকয়েক আগে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ফোন করেছিলেন নির্ভয়ার বাবা-র মোবাইলে। মানসিক ভাবে রক্তাক্ত দু’টি মানুষের সঙ্গে সেই ভয়াবহ স্মৃতির বিষয়ে কথা বলা নিয়ে যথেষ্ট কুণ্ঠা ছিলেন তিনি। প্রশ্ন হারিয়ে ফেলছিলেন থেকে থেকে। তবু পেশার তাগিদেই ফোন দিলেন।



পরিচয় জানার পর শান্ত-মার্জিত গলায় উত্তরপ্রদেশীয় দেহাতি হিন্দিতে ‘বোলে বেটি’ বলে কথা শুরু করলেন ভদ্রলোক—



আমার বাড়ি ছিল উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার নেরোরা গ্রামে। চার ভাই ছিলাম আমরা। বাড়িতে সবাই খেতি করত। কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা শিখে চাকরি করব। বারো ক্লাসে ওঠার আগেই বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়ে দিল।

হাই স্কুল পাশ করে বাড়ির সঙ্গে এক রকম বিদ্রোহ করেই গ্রামতুতো এক দাদা-র সঙ্গে দিল্লি চলে এলাম। কাজ নিলাম ওয়াশিং মেশিন-প্রেসার কুকার তৈরির একটা কারখানায়। তিন-চার মাস পর স্ত্রীকেও নিয়ে এলাম। আর গ্রামে ফিরিনি। দিল্লিতেই ছেলেমেয়েরা জন্মাল। প্রথমে মেয়ে, তার তিন বছর পর মেজ ছেলে, আরও তিন বছর পর ছোটটা।

সবার থেকে লেখাপড়ায় চৌখশ ছিল আমার মেয়ে। ওকে ‘বেটা’ ডাকতাম। খুব ধীর-স্থির। ছবি আঁকত। গল্পের বই পড়তে ভালবাসত। আমাদের অবস্থা অতি সাধারণ ছিল। তিন ছেলেমেয়েই সরকারি স্কুলে পড়েছে। কোনও দিন টিউটর রাখতে পারিনি। তবু স্কুলে কখনও ফার্স্ট-সেকেন্ড ছাড়া হয়নি নির্ভয়া।

খুব ভাল যোগব্যায়াম করত মেয়েটা। অনেক মেডেল পেত। ক্যারাটেও জানত। “লোকগুলো যখন ওকে কষ্ট দিচ্ছিল তখন আপ্রাণ লড়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একা এঁটে উঠতে পারেনি।



সে ভালবাসত একান্তে থাকতে। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর পড়া শুরু হত ওর। ঘরে ঘুরে-ঘুরে পড়ত। রাত-দু’টো-তিনটের সময় উঠে দেখতাম, পড়ছে। দিনে দেরি করে ঘুম থেকে উঠত। ওর ঘরে মাটিতে গদি পাতা ছিল। তার পাশে একটা বইয়ের র‌্যাক, ল্যাপটপ। ক্লাস টেনের পরীক্ষায় অঙ্কে ৯৯ পেয়েছিল। বিজ্ঞানের সব বিষয়ে খুব ভাল ছিল।



দেহরাদূনে চার বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স শেষ করে ছুটিতে বাড়ি ফিরে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল—“এ বার তোমার দুঃখের দিন শেষ। তোমার বেটা চাকরি করে তোমায় মাথায় করে রাখবে।”

সোমবার ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ দিল্লির একটা সংস্থায় ইনটার্ন হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বলল, একবার চাকরিতে ঢুকে গেলে প্রথম-প্রথম আর ছুটি নেওয়া যাবে না। ‘লাইফ অব পাই’ সিনেমাটা খুব ভাল হয়েছে বলে শুনেছে, তাই বন্ধুর সঙ্গে রবিবার-ই দেখে আসবে।



১৬ তারিখ বিকেলে বেরিয়ে গেল। সাড়ে আটটা নাগাদ ওর মা ওকে মোবাইলে ফোন করল। মোবাইল বন্ধ। সাড়ে দশটার পরেও যখন ফিরল না তখন প্রচণ্ড টেনশন করছিলাম আমরা সবাই। খুব রাগও হচ্ছিল। এগারোটা দশ নাগাদ হাসপাতাল থেকে ফোন, ‘আপনার মেয়ের একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাড়াতাড়ি আসুন।’ এক বন্ধুকে নিয়ে ছুটলাম। ভেবেছিলাম হয়তো গাড়ি দুর্ঘটনায় চোট পেয়েছে।

হাসপাতালে ডাক্তারবাবুরা আমাদের ওর কাছে নিয়ে গেল। একটা স্ট্রেচারে শুয়ে ছিল। গায়ে চাদর। চাদরে ভেপসে উঠেছে চাপ চাপ রক্ত। চোখ-মুখ-ঠোঁট এমন ভাবে ফেটে গিয়েছে যে মুখটা ভাল দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু পুরো হুঁশ ছিল।

আমাকে দেখে শুধু দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। আমার পায়ের নীচে মাটি ছিল না তখন। সারা শরীর থরথর করে কাঁপছিল। মাথা কাজ করছিল না। কোনও রকমে বড় ছেলের মোবাইলে ফোন করে ওর মা-কে নিয়ে আসতে বললাম। অপারেশনের পর ওর মা-র সঙ্গেই ইশারায় কথা বলত। কিন্তু সে দিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তা ওকে জিজ্ঞাসা করার হিম্মত আমাদের দু’জনের কারওরই হয়নি।

মনে মনে একটা জিনিসই চেয়েছিলাম, পঙ্গু হোক, শয্যাশায়ী হোক, অন্ধ হোক, খোঁড়া হোক যে অবস্থাতেই হোক আমার মেয়েটা যেন বেঁচে থাকে। বাকিটা ওকে আমরা সাহস দিয়ে ঠিক জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারব।





এরপর প্রৌঢ়ের কথা আটকে যায়। ফোন নিয়ে নেন পাশে থাকা নির্ভয়ার মা। সেই গলা অসম্ভব ঠান্ডা, নিস্তরঙ্গ। কথা বলতে থাকেন তিনি।

যে দিন প্রথম আদালতে ছেলেগুলোকে দেখলাম, রাগে মাথাটা ফেটে যেতে লাগল। মনে হল সোজা গুলি করে দিই বা গলা টিপে মেরে ফেলি। তার পর ঘেন্নায় গা গুলিয়ে উঠল। কৃমিকীটের মতো ওরা, গায়ে হাত দেওয়ার প্রবৃত্তি নেই আমার।

আইন যা করার করুক। আইনের হাতেই ছেড়েছি। তা’বলে ‘নাবালক’ বলে একটা খুনি ছাড় পেয়ে যাবে! আমার মেয়েটা যতটুকু ইশারায় আর কাগজে লিখে বলেছিল তাতে জানতে পেরেছিলাম, ওই ছেলেটাই একটা লোহার রড ওর শরীরে ঢুকিয়ে ওর অন্ত্র বাইরে বার করে এনেছিল! তাকে কিনা জেলে পর্যন্ত রাখা গেল না!

ছুটিতে বাড়ি এসেছিল মেয়ে। রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর সকালে কয়েকটা বই কিনতে যাওয়ার কথা ছিল। যায়নি। পাঁচজন একসঙ্গে অনেক গল্প করলাম, দুপুরের খাবার খেলাম। ওর প্রিয় পনিরের তরকারি আর গুলাবজামুন তৈরি করেছিলাম।

বড় ছেলের কাছে রবিবার কিছু ছেলেমেয়ে টিউশন নিতে আসত। ও পড়াতে বসল আর আমরা মা-মেয়ে টিভি দেখতে-দেখতে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বিকেলে পাশের বাড়ির দু’জন আমাদের বাড়ি এল। মেয়েই চা করল। তার পর বলল বন্ধুর সঙ্গে বেরবে। বইগুলো কিনে নেবে আর সিনেমা দেখে ন’টার মধ্যে ফিরবে।

যখন প্রথম হাসপাতালে ওকে দেখলাম ঠোঁট-মুখ ফেটে গিয়েছে। চোখ বন্ধ। চোখ মেলে আমাকে দেখেই কাঁদতে লাগল। আমার বোধবুদ্ধি সব লোপ পেয়ে গিয়েছিল। তখনও নিজেকে প্রবোধ দিচ্ছি, নিশ্চয় সামান্য অ্যাক্সিডেন্ট। তার বেশি কিছু নয়। কেমন একটা যন্ত্রের মতো বলেছিলাম, “কুছ নেহি হুয়া মেরি বচ্চি। হাম আ গয়ে হ্যায়। সব ঠিক হো জায়গা।”



ওকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেল। একজন ডাক্তার আমাদের বললেন, “আপনারা হিম্মত রাখুন। কারণ আপনার মেয়েকে এখন হিম্মত দেওয়া দরকার। ওর শরীরের সব অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁচা খুব মুশকিল।”

তার পরেও মেয়েটা বাঁচার জন্য আপ্রাণ লড়াই করেছিল। অসম্ভব মনের জোর ছিল। ইশারায় বলত, “মা, ওই লোকগুলোকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া দরকার।’ বলত, “মা, আমি বাঁচতে চাই।” কখনও আমার কান্না দেখে ইশারায় বোঝাতে চাইত, ওর বেশি কষ্ট হচ্ছে না। ১৩ টা দিন আমি হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাইনি, আর ওকে একটু-একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখেছি। আমাদের জীবনের সব উৎসব শেষ করে দিয়েছে একটা রবিবার।



দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্রী নির্ভয়া বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছিলেন অনেকবার। হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকেও ওই ছাত্রী ছোট্ট এক টুকরো কাগজে মায়ের কাছে লিখেছিলেন ,“মা আমি বাঁচতে চাই।” এটি গত বছরের ডিসেম্বরের কথা। সেই আকুতি এখনও বাজে নির্ভয়ার মায়ের কানে। এখনও ভয়ে কুকড়ে যান তিনি। সেই মায়ের প্রতি রইলো অশেষ শ্রদ্ধা, ভালবাসা, সহমর্মিতা।



------------------------------------------

মানুষের জীবনের সব দু:খ যন্ত্রণা, সুখ, শান্তির সাথে যেন জড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি শব্দ "মা।" শরীরে আঘাত লাগলেও ভেতর থেকে অস্ফুট বা কখনও চিৎকার করে আমরা "মা" শব্দটি উচ্চারণ করি। এই মা নিয়ে সামুতে চলমান লেখার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এই লেখাটি বেছে নিলাম।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:

সুন্দর গল্প ++

শরীরে আঘাত লাগলেও ভেতর থেকে অস্ফুট বা কখনও চিৎকার করে আমরা "মা" শব্দটি উচ্চারণ করি....... ভালো লাগলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকবেন।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হৃদয়বিদারক। তবে দারুন লিখেছেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক অনেক বেশি হৃদয়বিদারক ঘটনা।

ভাল থাকবেন সবসময়।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: সম্পূর্ণ ঘটনাটা ক্ষুদ্র পরিসরে তুলে ধরেছেন। বেশিদিন হয়নি ঘটনাটা এখনি আমরা ভুলতে বসেছি :(

আদালতের রায়ে নরপশু গুলোর মনে হয় ফাঁসি হয়েছে, একজন ছাড়া।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমার অবশ্য ঠিক জানা নেই।
একজনও বা ছাড় পেলো কেনো?
তবুও ভারত বলে দ্রুত কার্যকর হয়েছে জনমানুষের দাবি।
ভাল থাকবেন।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঘটনাটি বেদনাবিধুর করে তুলল আবারও

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক বেশি বেদনাবিধুর।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

প্রীতম ব্লগ বলেছেন: নারীজাতির জন্য এক নিরাপদ (!!!!!!৥!!!!!!!) আবাসস্থলের নাম হলো ভারত। যার জ্বাজল্যমান দৃষ্টান্ত হলো ”নির্ভয়া”।




নির্ভয়ার জন্য রইল পরম একরাশ দু:খের ঢেউ ও সমবেদনা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। জ্বলজ্যন্ত উদাহরণ।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

সুমন কর বলেছেন: আসলেই করুন একটি ঘটনা। মানুষরা যে কত নিচু হতে পারে, তা আর বলে শেষ করা যাবে না। ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: দিল্লির এই নৃশংসতার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। প্রশান্তি এটুকু যে অপরাধীরা সাজা পেয়েছে।


৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হায়রে! মানুষ কর দ্রুত ভুলে জায় সব! এই ঘটনাটা তো ভুলেই গিয়েছিলাম!

আপনার লেখাটা ভাল হয়েছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

"মা" নিয়ে কিছু একটা লিখতে মন চাইছিল। সেই তাড়না থেকে মনে হলো মৃত্যুর পথযাত্রী নির্ভয়া শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিছানায় কাতরাতে কাতরাতে "মা" বলে শুধু ডেকেছেন। তাঁর সেই মা ডাক থেকেই ঘটনাটি মনে করিয়ে দেয়া।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মানসিক রক্তক্ষরণে বাধ্য আমাদের বিবেক!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: বিবেকের আঙিনায় এক ধরণের ক্ষরণ জাগিয়েছে দিল্লির নির্ভয়া।

ভাল থাকবেন।

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শুধু বলবো সুন্দর একটি গল্প পড়লাম।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পের মত করেই আসলে বলেছে ভারতের ওই সাংবাদিক।

ভাল থাকবেন। শুভরাত্রি।

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

এহসান সাবির বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল.....!! আপনার লেখাটা ভাল হয়েছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। জেনে ভাল লাগলো।

ভাল থাকা হোক সবসময়।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: লিখাটা চমৎকার হয়েছে শামীম সুজায়েত ভাই। কিন্তু মনটাযে খুব খারাপ হয়ে গেলো।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমি নিজেও খুব যন্ত্রণাগ্রস্থ এ কারনে যে আবার সবাইকে মনে করিয়ে দিলাম। ভাল থাকবেন।
দেখা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.