নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যা বলা অভ্যাস ভাল নয় : জেনে নিন মিথ্যাবাদী চেনার উপায়

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

ছোটবেলা থেকেই নাকি গড়ে ওঠে মিথ্যা বলার অভ্যাস। এটি মনোবিদদের বিশ্লেষণ। ছোট বাচ্চারা অনেক সময়ই দুষ্টুমি লুকানোর জন্যে মিথ্যা কথা বলে। বড়রা তা সংশোধন করে না দিলে এই অভ্যাস থেকেই যায়।



কী করে বুঝবেন যে মিথ্যে বলছেন আপনার চারপাশের কোনও মানুষ?



আসুন জেনে নেই মনোবিদদের গবেষণায় আসা মিথ্যাবাদী চেনার উপায় গুলো:



১. যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করুন। তিনি যদি চোখ সরিয়ে নেন বা নিচের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাহলে বুঝবেন তিনি মিথ্যে বলছেন। এটা একটা মিথ্যা বলার লক্ষণ।



২. যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন তাঁর কথা বলার ধরনের দিকে খেয়াল করুন। যদি তিনি সাধারণভাবে কথা বলে যান কোনও বিরতি ছাড়া এবং মাঝে মাঝে 'আম, উম' এই ধরনের শব্দ করেন, তাহলে সেটাও একটা মিথ্যা বলার লক্ষণ।



৩. মিথ্যা বলার সময় মানুষ হাত গুটাতে পারে অথবা পায়ে ঘষা দিয়ে হাঁটতে পারে অথবা অস্বস্তি অনুভব করতে পারে। এটার কারণ সে নার্ভাস এবং তার সাধারন আচার-ব্যবহার পরিবর্তন করতে চাইছে।



৪. মুখের ভাবের পরিবর্তন মিথ্যা বলার আরেকটি লক্ষণ। লক্ষ্য করুন, মিথ্যা বলার সময়ে ব্যক্তিটির চোখের ভুরু উপরের দিকে উঠছে কিনা! স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভুরু নড়াচড়া করবে বেশি অথবা তিনি হাসবেন এমন একটা সময়ে যখন হাসার কোনও কারণ নেই।



৫. একইভাবে মিথ্যা বলার সময় মানুষের শারীরিক নড়াচড়া বেড়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হওয়া, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া, নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যাওয়া মিথ্যা বলার লক্ষণ।



এদিকে ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের গবেষকরা মিথ্যাবাদী শনাক্ত করার এক অভিনব উপায় বের করেছেন। তাদের তৈরি "টাইমড অ্যান্টাগেনেস্টিক রেসপন্স অ্যালথিওমিটারে"র মাধ্যমে দেখা গেছে মিথ্যা উত্তর দিতে সত্যের চেয়ে গড়পড়তায় ৩০ শতাংশ বেশি সময় লাগে। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সিরিজ প্রশ্নের জবাব দিতে হয় কম্পিউটারে টাইপ করে। যারা সত্যি উত্তর দিয়েছে তাদের প্রতিটি উত্তরের জন্য সময় লেগেছে ১ দশমিক ২ সেকেন্ড আর মিথ্যা উত্তরদাতাদের লেগেছে ১ দশমিক ৮ সেকেন্ড।



ধরুণ আপনার কোন বন্ধু কথায় কথায় মিথ্যা বলে বা বানিয়ে বানিয়ে কথা বলার প্রবণতা রয়েছে।এই অভ্যাসটি দূর করাতে হলে গল্পের মাধ্যমে তার সামনে তুলে ধরুণ পরিস্থিতি। দেখুন তিনি নিজের প্রবলেমটি বুঝতে পারছে কি না! এমন ইম্পালসিভ লায়ার-রা অনেক সময়ই না-বুঝেই বলে থাকে মিথ্যে কথা। এটির কারণে অন্যদের কাছে মিথ্যাবাদী প্রবণ মানুষটির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে হ্রাস পেতে থাকে।



মিথ্যা কথা বলা নিয়ে আমাদের দেশে কখনও কোন গবেষণা হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই। দেশের কত ভাগ মানুষ মিথ্যা কথা বলে বা কোন পেশার মানুষের মধ্যে মিথ্যা কথা বলার প্রবণতা বেশি, তা নিয়েও হয়তো কোন পরিসংখ্যান বের হয়নি। তবে পেশাগত প্রয়োজনে আইনজীবীরা যে মিথ্যার আশ্রয় নেন, তা সর্বজন স্বীকৃত। এর বাইরে মিথ্যা বলা বা মিথ্যা আশ্বাস দেয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় রাজনীতিকদের ভেতর। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে ঘায়েল করতে জনগণকে মিথ্যা বলার প্রতিযোগিতায় নামেন তাঁরা। এক ধরণের ধ্রুম্যজাল তৈরি করে দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টিতে বেশ পারদর্শী আমাদের শীর্ষ রাজনীতিকরা। অপরদিকে দেশের একশ্রেনীর মিডিয়াকর্মীদের ভেতরেও রয়েছে মিথ্যা বলার অভ্যাস। ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজের গুণগান গাওয়া বা রঙ চড়িয়ে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়ে বিভ্রান্তকর কিছু ছড়িয়ে দিতে কেউ কারোর চেয়ে কম যাচ্ছেন না এখন। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই যেন এখন পরষ্পর দোষারোপ করতে নিচ্ছে মিথ্যার আশ্রয়। অথচ প্রতিটি ধর্মেই বলা আছে সদা সত্য কথা বলতে। কিন্তু আমরা কেউই সেটি অনুসরণও করিনা।



মিথ্যা কথা বলার ব্যাপারটা অনেকটাই মানসিক। আর যে কোনও মানসিক সমস্যা দূর করতে হলে আগে অন্য মানুষটির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হয়। আসুন আমরা মিথ্যা বলা পরিহার করি। মিথ্যা বলার অভ্যাস ছাড়াতে অপরকে সহায়তা করুণ।



একটি বিদেশি পত্রিকা অবলম্বনে

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

সুমন কর বলেছেন: কিছু বিষয় জানা ছিল। বিস্তারিত পড়লাম।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাল থাকবেন।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

নীল সুমন বলেছেন: আসুন সবাই সত্য বলার অভ্যাস করি।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এটাই হোক চলমান শ্লোগান।
সত্য বলার অভ্যাস করি।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

মিথ্যা কথা বলার ব্যাপারটা অনেকটাই মানসিক। আমরা কৌতুক করেও অনেক মিথ্যা কথা বলে থাকি। এ বদ অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করা জরুরি। ছোটো বাচ্চাদের শেখাতে হবে কোনটাকে মিথ্যা আর কোনটাকে সত্য বলা হয়। কারণ, ওরা এগগুলোর সাথে পরিচিত নয়। কিন্তু না বুঝেই যাতে মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে না তোলে সেজন্য এটা ওদেরকে বোঝাতে হবে।

পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানা গেলো এবং ভালো লাগলো।

শুভ কামনা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি।

ভাল থাকবেন।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

সারাহেপি বলেছেন: অনেক ভাল পোষ্ট, ভাল লাগল ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: খুশি হলাম ভাল লাগাতে পেরেছি বলে।

ভাল থাকা হোক সবসময়।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। মিথ্যা হলো সব পাপের মা।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হুম।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৭

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ভালোলাগা দিয়ে গেলাম +

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আসলে মিথ্যা ধরাটা খুব টাফ। যারা প্রফেশনালি মিথ্যা বলে তাদের ভাবভঙ্গি এবং কথা বলার স্টাইল একবারে নরমাল। আর যারা অকেশনালি বলে তাদের ধরাটা খুব সহজ। যেমন দালালরা দেখবেন মিথ্যা বলতে খুব পারদর্শি হয়। এদের ধরাটা যথেস্ট টাফ। ভাল পোস্ট দিছেন ভাই। ধন্যবাদ

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আপনার কথা ঠিক, যারা প্রফেশনাল, তাদর কথা ধরা যাই না। বা ধরুন এমন অনেক প্রতারক চক্র আছে যারা সম্পূর্ণটাই মিথ্যা বলছে, কিন্তু প্রতারিত হওয়ার পর তা উপলব্দিতে আসছে।

আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।

ভাল থাকবেন।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

বোকামন বলেছেন:
গুড পোস্ট +

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: হা হা হা... ... পড়ে মজা লাগলো... মিথ্যা বলা আমার কাছে একদম সহ্য হয় নাহ... পরে জানতে পারলে খুব খারাপ লাগে... কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেই বলে থাকি... তবে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে বলি নাহ... আর যাদের সাথে বলি যখন দেখি তারা আমার মিথ্যা ধরতে পারছে নাহ তখন তাকে সত্যি কথাটা বলে দেই... আর যারা জানে যে আমি মিথ্যা বলি মাঝে মাঝে তারা বলে "তুমি মিথ্যা এমনভাবে বল যেমন করে মনে হয় সত্যি বলতেছ... বুঝা যাচ্ছে নাহ"

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমরা অনেক সময় কারণে-অকারণে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তবে মোবাইল ফোন আসার পর যেন মিথ্যা বলা আরও সহজ হয়ে গেছে।

ভাল থাকবেন।

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

স্বপনচারিণী বলেছেন: ভাল লাগলো। মিথ্যা বলা কোন সমাধান না। তারপরও মানুষ খুব সহজেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নেয়। এই মিথ্যা ধরার ট্রেনিং সবার জানা থাকা দরকার। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.