নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেশাগত মর্যাদার প্রশ্নে আপোষ নয়

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৮





পেশাগত দিক বিবেচনায় সম্ভাবত ব্যাংকাররা সবচেয়ে নিরীহ পেশাজীবী। অধিকাংশজনই সচারচার কোন কিছুর সাথে পাছে থাকেন না । এড়িয়ে চলেন ঝামেলা ঝঞ্জাট। ভয় পায় মানুষের জটলায়।



ব্যাংকারদের কাজের ক্ষেত্রেও নেই কোন বৈচিত্রতা । নেই সৃষ্টিশীলতা। বরং আছে গদবাধা কাজের একঘেয়েমিতা।

আসলে আর্থিক বলয়ের মধ্যে রুটিন মাফিক জীবন কাটাতে গিয়ে কিছুটা আত্নকেন্দ্রিক, হিসাবি ও সঞ্চয়ী মানসিকতার হয়ে যেতে বাধ্য হন ব্যাংকারদের অনেকেই।



আজ একটি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে "ফেনীতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে থাপ্পড় দিলেন ইউএনও।"

সংবাদের তথ্য মতে, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফেনী ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মেরেছেন ফেনী সদর উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা এনামুল করিম। ঘটনার বিবরণ মতে ভ্রাম্যমান আদালতের কাজ পরিচালনাকালে ইউএনও আজিজ শপিং সেন্টারের সামনের সড়কে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল অবৈধভাবে পার্কিং করা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি মোটরসাইকেলগুলোর মালিকদের কাছে পার্কিংয়ের কারণ জানতে চান। ইউএনও'র প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে লেনদেন করতে এসেছেন বলে এখানে মটরসাইকেল রেখেছেন। এ কথা জানার পর ইউএনও ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে তলব করেন । ঘটনাস্থলে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল মান্নান উপস্থিত হন। উল্লিখিত স্থানে ‘পার্কিং নিষিদ্ধ’ সাইনবোর্ড কেন লাগানো হয়নি তা জানতে চান ইউএনও পিকেএম এনামুল করিম। এ সময় কথাকাটির একপর্যায়ে তিনি শার্টের কলার চেপে ধরে জনসম্মুখে ওই কর্মকর্তাকে থাপ্পড় দেন। তখন ওই কর্মকর্তাসহ উপস্থিত লোকজন হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।

আদালত চলাকালে একজন বিচারকের এমন কাণ্ডের খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে ।



ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক এবং নিন্দনীয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) ওই সিনিয়র কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল মান্নান, যিনি ফেনী ব্রাঞ্চের সেকেন্ডম্যান, তাকেই তাঁর অফিস কার্যালয়ের নিচে শতশত মানুষের সামনে থাপ্পড় খেতে হলো। তাঁর অপরাধ, কেনো ডাচ বাংলা ব্যাংকের কাস্টমাররা সড়কের পাশে মটরসাইকেল পাকিং করে রেখেছে (?)



এ অপরাধে কাউকে কি থাপ্পড় মারা যায়?



জানিনা প্রথমশ্রেণীর একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে এনামুল সাহেব এধরণের আচরণ কিভাবে করলেন। তাছাড়া ওই সময় তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের একজন বিচারক। আদালতের কাজ নিশ্চয় কাউকে চড়-থাপ্পড় মেরে শাস্তি দেয়া নয়। তাছাড়া রাস্তার ধারে বা ব্যাংকের নিচে কাস্টমাররা যদি মটরসাইকেল রেখে ব্যাংকে যান, তো সে দোষ কি ব্যাংকারের? এটি দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের।



আমাদের বোঝা উচিৎ প্রতিটি মানুষের সম্মানবোধ আছে। প্রতিটি পেশাজীবী মানুষেরই স্ব স্ব গন্ডিতে রয়েছে আত্ন মর্যাদা। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, পুলিশ, উকিল, সেবিকা, পতিতাসহ সকল পেশার মানুষেরই সম্মান আছে। আমরা বৈধ পেশাজীবী কোন মানুষের আত্ন মর্যাদায় আঘাত দিতে পারিনা।



ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এই অশোভন আচরণ এবং ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে দেশের সকল ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সোচ্চার হওয়া উচিৎ। আজ যদি এটির সম্মানজনক কোন ফয়সালা না হয়, তাহলে আগামীতে সরকারি কর্মকর্তাদের ড্রাইভার-পিয়নরাও একই আচরণ করতে কুন্ঠাবোধ করবে না।



সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উচিৎ হবে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয়, সংস্থাপন এবং আইন মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেয়া। প্রয়োজনে অভিযুক্ত নির্বাহি কর্মকতার বদলিসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি তুলতে হবে ।



বাস্তবতা হলো দেশের বেসরকারি ব্যাংকারদের সক্রিয় কোন সংগঠন নেই। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে Bangladesh Association of Banks নামে একটি সংগঠন থাকলেও এরা মূলত ব্যাংকিং ক্যারিয়ার ডেভলপ, ব্যবসা প্রসারসহ ব্যাংকের লাভ ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা অভাব অভিযোগ, বেতন কাঠামোসহ প্রাইভেট ব্যাংকারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলার মত কোন সংগঠন গড়ে ওঠেনি বা উঠতে দেয়া হয়নি। নিজ নিজ ব্যাংকে কর্মচারি ইউনিয়ন করার সুযোগ রাখা হয়নি। পক্ষান্তরে সরকারি ব্যাংকের কর্মচারীদের রয়েছে শক্তিশালী সংগঠন। তাদের দাবিদাওয়া বা অভিযোগ নিয়ে বার্গেনীং করে সিবিএ'র নেতারা। তাদের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী এভাবে ইউএনও'র হাতে মার খেলে অবশ্যই তিব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়তেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

অবশ্য ব্যাংকারর্স ফোরাম নামে একটি সংগঠন এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বৈঠক শেষে নিন্দা জানিয়েছে।



ব্যাংকিং পেশায় থাকা মানুষদের ঠাট্টার ছলে বা অবজ্ঞা করে যতই বলিনা কেনো "সুদখোরের কেরানী," তবুও তাদের ভূমিকা বা পেশাগত মর্যাদাকে খাটো করতে পারিনা। বাস্তবতা হলো একজন শিক্ষকের চেয়েও নিরীহ হলেন ব্যাংকার। কেননা একজন শিক্ষক লাঞ্ছিত বা অপমানিত হলে সোচ্চার হয়ে ওঠে গোটা শিক্ষক সমাজসহ শিক্ষাঙ্গন। সর্বত্র ওঠে সমালোচনার ঝড়। কিন্তু একজন ব্যাংকাররের ক্ষেত্রে?



মানুষের পেশাগত মর্যাদার প্রশ্নে আপোষ নয়।



অক্ষুণ্ন থাকুক মানুষের পেশাগত মর্যাদা

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ! আমার মতে এটা প্রসাশনের দায়িত্ব কোথায় পার্কিং হবে , কোথায় হবেনা ঠিক করে দেয়া ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: খবরটা পড়ে এবং ছবি দেখার পর খুব খারাপ লাগলো। অপ্রত্যাশিত আচরণ।

ভাল থাকবেন।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ! আমার মতে এটা প্রসাশনের দায়িত্ব কোথায় পার্কিং হবে , কোথায় হবেনা ঠিক করে দেয়া ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: লেখাটি পড়ে মন্তব্য করায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: +

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: পেশাগত মর্যাদাহানীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া জরুরি।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩১

দূষ্ট বালক বলেছেন: আমি হইলে ঐ হালারে কান বরাবর কষাইয়া দুইটা চটকানা দিতাম। পরের টা পরে হইত, তারপরও কইতে পারতাম এক হারামিরে চটকাইচি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঘটনার বিবরণে আমারও মেজাজটা বেশ চড়ে গেলো।

অপ্রত্যাশিত আচরণ!

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: দেখেন গিয়া তিনি হয়তো কোন রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারী চাকুরিতে ঢুকছে আর নাইলে হয়ত কোন টাইপ কিছু হবে... ...

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইকরাম বাপ্পী ভাই।
অনেক দিন হলো নিয়মিত লেখা হয়না। সামুতেও আসি কম।

আজ এ লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো খুব।

ঠিকই বলেছেন, দলীয় বিবেচনায় চলে আসা লোকজনের আচরণ ইদানিং ভয়াবহ খারাপ হয়ে উঠছে।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

সুফিয়া বলেছেন: ঘটনাটা চরমভাবে নিন্দনীয়। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে অফিসিয়ালী প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো উচিত বলে আমি মনে করি। উদ্ভূত সমস্যার মুলে প্রবেশ করলে প্রথমেই যে কথাটা বলতে হয় সেটা হলো, ব্যাংকার বা যাই হোক। এমন অন্যায়ভাবে প্রশাসনের লোক দ্বারা শারিরীক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার কেন হবে মানুষ ? প্রশাসনের লোক বলেই তারা কি সবকিছুর উর্ধ্বে ? আরও দেখতে হবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এই শাখার গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা কোথায় ? সেটা কি গ্রাহকদের জন্যও উন্মুক্ত কি-না। আর একটি কথা হলো ব্যাংকশাখার পার্কিং ব্যবস্থা থাকুক আর না-ই থাকুক, জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কেউ গাড়ি পার্কিং করলে সেটা দেখার দায়িত্ব ব্যাংক শাখার নয়। সেটা দেখার জন্য যারা আছে তারা কি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে ? এই চড় তো তাদের গালে মারা উচিত। যিনি চড়টা মেরেছেন তিনি তাদেরই গোত্রীয়। কাজেই চড়টা তিনি নিজের গালেই মেরেছেন।

আমি আবারও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় আছি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার অভিব্যক্তি। আসলেই তো, এটি দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ যদি যথাযথ দায়িত্ব পালন না করে, সে দোষ কি সাধারণ পেশাজীবী মানুষের?

আপনি ঠিকই বলেছেন, চড়টা ওই নির্বহী কর্মকর্তা নিজের গালেই মারলেন।

ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৯

রাসেলহাসান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা!!

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১০

শামীম সুজায়েত বলেছেন:

অক্ষুণ্ন থাকুক মানুষের পেশাগত মর্যাদা
Click This Link

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০০

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন: দুঃখজনক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.