নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে বলে বদলে দেবে মানচিত্র !

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪৩

খুলনা ও সিলেটকে ভারতের করে নেয়ার এক ফমূর্লা বের করেছে মোদীর বিজেপি। ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের দক্ষিণ-পশিমাঞ্চল চলে যাবে পশিমবঙ্গের ভেতর। অপরদিকে সিলেট ঢুকে যাবে মেঘালয়ের সাথে।

বা: হা:
বাংলাদেশ যেন খেলার পুতুল!
যা খুশী ভাবতে পারো!

ভারতের শিলাচরের "সাময়িক প্রসঙ্গ " নামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত বিজেপি নেতার বক্তব্যর খবরটি বাংলাদেশের কোন কোন মিডিয়া প্রকাশ করেছে। তাঁর প্রস্তবনা নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমাদের একটি প্রস্তাব রয়েছে। তা হলো আসাম-ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত এই বেল্টের পরপর অঞ্চলগুলো আমাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। সে অনুযায়ী আগামী দিনের বাংলাদেশের একটি ম্যাপের খসড়া ছবি লেখার শুরুতে তুলে ধরা হয়েছে।

মোদীর দল বিজেপি দিল্লির সিংহাসনে বসুক বা না বসুক,
ভিন্ন কোন রাষ্ট্রের একজন রাজনীতিক কি আমার দেশের জমি দাবি করতে পারেন?
এই ধরণের আর একটিও উক্তি যদি দ্বিতীয়বার ভারতীয় কোন রাজনীতিকের মুখে আসে, আমরা বাধ্য হবো প্রস্তাবিত খসড়া ম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূখন্ড দখলের অভিযানে নামতে। যাইহোক, মূল আলোচনায় আসি।

ভারতের সাময়িক প্রসঙ্গ পত্রিকার খবর মতে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করেছেন।

কেনো করলেন?



মি. স্বামী মনে করছেন, তাদরে অঞ্চলে বাংলাদেশ থেকে বহু অনুপ্রবেশকারী চলে গিয়ে বসবাস শুরু করছে। এতে নানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভারত। তাই অনেকটা ভারসাম্য রক্ষায় খুলনা ও সিলেট অঞ্চল ভারতের করে নেয়া প্রয়োজন। বিষয়টি এখনও মোদীর কান পর্যন্ত পৌছেনি।

ভারতের সাময়িক প্রসঙ্গ পত্রিকার তথ্য মতে, বিজেপি নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী এই দাবির কথা আলোচনা করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে। তিনি আরও বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে সংসদে এই নিয়ে প্রস্তাব তোলা হবে।

বিজেপির শীর্ষনেতা স্বামীর দেয়া ফর্মুলা অনুযায়ী খুলনা ও সিলেট ভারতভুক্ত হলে বাংলাদেশের মানচিত্রর রুপ কেমন রুগ্ন দেখাবে তা আকিঁয়েও দেখলাম। মেজাজ চড়ে গেলো খুব। আপনারও মেজাজ খারাপ হবে, চিত্রে দেখুন:



কথা হচ্ছে, রাষ্ট্রের সীমারেখা নিয়ে কথা বলার অধিকার যদি হয় সবার, তবে আমরাও প্রশস্থ করতে পারি আমাদের মানচিত্র। মেঘালয়, ত্রিপুরা ও আসাম হতে পারে বাংলাদেশভুক্ত । পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে উত্তর চব্বিশ পরগণা, কলকাতা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ হয়ে রাজশাহীর সাথে মিলিত হবে। এ অঞ্চলগুলো হবে বাংলাদেশেরই জেলা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় ত্রিপুরা অঞ্চল অন্তত বাংলাদেশের হওয়া উচিৎ। মানচিত্রের একেবারেই পেটের কাছে রয়েছে।

ত্রিপুরার উত্তর ও দক্ষিণে বাংলাদেশ। এক কথায় সীমান্তের ৮৪ শতাংশ বাংলাদেশ। মানুষের মুখের ভাষা বাংলা। ৩৫ শতাংশ মুসলিম। এদের অনেকখানি ভরসা বাংলাদেশ। সুখে-দুঃখে কাছাকাছি, পাশাপাশি। আখাউড়া থেকে আগরতলা একটুখানি। কলকাতার রসগোল্লার চেয়ে কুমিল্লার রসমালাই এখানে সহজলভ্য। ট্রেনে আগরতলা থেকে কলকাতা যেতে তিন দিন। সে তুলনায় ঢাকা নাগালে।



এদিকে সিলেটের শেষ সীমান্তে অর্থাৎ তামাবিল থেকে দূরে যে পাহাড়গুলো দেখা যায়, সেগুলো সবই ভারতের। আমরা পাহাড়ের তলদেশেও যেতে পারিনা। জাফলং এ গেলেই যেন কষ্টটা বেড়ে যাই আরও বেশি। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া ওই পাহাড়গুলো ছুতে পারিনা আমরা।

পাহাড়গুলো কেবলই ভারতের হলো কেনো?

ভাষা ও ধর্ম বিবেচনায় বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত হওয়ার কথা নয় কি! কিন্তু বেছে বেছে পাহাড়গুলো বাদ দিয়ে স্রেফ সমতল অঞ্চলটুকু পেলো বাংলাদেশ।

অপরদিকে রাজশাহীর ওপাশে মুর্শিদাবাদের অধিকাংশ মানুষ আমাদের মত বাঙালি। তাদের ও রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের কথাবার্তায় রয়েছে একই ধরণের আঞ্চলিক টান। কলকাতা বা দিল্লির চেয়ে অনেক বেশি আপন আমরা। মুর্শিদাবাদের ২৬টি থানার মানুষের মুখের ভাষা বাংলা। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান।

বিশ্ববাসীর কাছে "আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা- মুর্শিদাবাদ" বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তুলে আমরা নতুন করে সামিল হতে পারি এক কাতারে। জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ ভাসানীর প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে পারি। যেভাবেই দেখা হোক না কেনো, যুক্তিতর্কে, জনমত জরিপে, কিংবা বসবাসরত মানুষের মতামতের প্রেক্ষিতে ভারতের ওই রাজ্যগুলোর মালিক বাংলাদেশ।

কিন্তু আমরা কখনও এমন প্রস্তাবনার পথে হাটিনি। যদিও জননেতা মাওলনা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এধরণের একটি বাংলার প্রস্তাব করেছিলেন। সেই ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় থেকে ঢাকাকে বাংলার রাজধানী করে পূর্ব বাংলা ও আসামকে বাংলাদেশভুক্তর পরিকল্পনা ছিল।

আমরা শত বছর আগের সেই পরিকল্পনা বা প্রস্তাবনা নিয়ে আসলে কথা বলতে চাইনি কখনও। বরং সীমান্ত নিয়ে ভারতের সাথে থাকা বিভিন্ন অমিমাংসিত ইস্যুর যৌক্তিক সমাধান চেয়ে এসেছি ।

সত্যিকথা বলতে কি, ৪৭ এ দেশ ভাগের সময় আমাদের মুসলিম নেতা মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট এলাকাগুলো বেছে নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছিলেন বেশি। মজার ব্যাপার হচ্ছে যেসব অঞ্চল নিয়ে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার ছিল রাজত্ব, সেইসব অঞ্চলগুলো আমরা পাইনি।

অথচ এগুলো কি বাংলাদেশের প্রাপ্য না?

ইতিহাস ঘাটলেও দেখা যায়, ৪৭ এ দেশ ভাগের আরও দুবছর সময় পর্যন্ত আসাম ও বাংলা ভারতভুক্ত ছিলনা। কাগজ কলমে ৪৯ সালে ভারতের রাজ্য হিসাবে অর্ন্তভূক্ত হয়। ইতিহাসে আছে, আসাম ও বাংলা মিলে "বেনসাম" নামে স্বতন্ত্র একটি রাষ্ট্র করার প্রস্তবনা উঠেছিল তৎকালীন সময়ে। কিন্তু এটি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা সেভাবে এগোয়নি। আরও একটি বড় কারণ হলো আমাদের মধ্যে চলমান হানহানি ও ধর্ম নিয়ে রক্তারক্তি রকমের বাড়াবাড়ি সব পরিকল্পনাকে বিনষ্ট করেছে।

বিজেপি নেতার ওই মন্তব্যর কারণেই আসলে আমাদের মুখ থেকে এখন বেরিয়ে আসছে "গ্রেট বাংলা" গঠনের প্রস্তাব। তবে সবাই যে এই প্রস্তাবের সমর্থন জানাবেননা, সেটি নিশ্চিত করে বলা যায়। আমাদের দেশের এমন অনেক নাগরিককে খুঁজে পাওয়া যাবে, যিনি ওই প্রস্তাবনার পক্ষে থাকা তো দূরের কথা, বিজেপির ওই নেতার সমালোচনাও করতে চায়বেননা। ভারতের অন্ধভক্ত ওই বাংলাদেশীরা হয়তো ইতিমধ্যে বলেও বসেছেন, কে কি (ভিন্ন রাষ্ট্র) বললো, তা নিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এত লেখালেখির কিছু নেই।
কেউ কেউ আবার বিষয়টিকে গুজব হিসাবে দাবি করে বলতে শুরু করেছেন, "হলুদ সাংবাদিকতা।" অনেকে আবার বলেছেন, এতে করে "সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা" বাধার আশঙ্কা থাকে। কোন ভাবেই যেন ভারতের প্রতি নতজানু মনোভাবের পরিবর্তন হচ্ছেনা তাদের।

বাস্তবতা হলো, বিষয়টি হিন্দু-মুসলিম বিবেচনায় না দেখে, বাংলা ভাষা তথা বাঙালী জাতীয়তাবাদের চেতনায় দেখা উচিৎ। আমাদের মানচিত্র নিয়ে কেউ যদি কাটাছেড়া করার স্বপ্ন দেখে, তবে আমরাও গুড়িয়ে দেবো তাদের স্বপ্ন। বদলে দেবো তাদেরই মানচিত্র।

মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৭

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: চমৎকার এবং যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষন। যে ঢিল মারবে তাকে পাটকেলটিই ছুড়তে হবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আমরা তো কারোর পেছনে লাগিনা। কিন্তু কেউ লাগলে তাকে উপযুক্ত জবাব দেয়া উচিৎ বলে মনে করি।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৯

লাতি বলেছেন: মাঠে ঘাটে কুকুর বিড়াল কত ঘেউ ঘেউ করে, আর আগামীতেও করত থাকতে,

বাংলাদেশ যেই ভাবে আছে চিরজীবণ এই রকমই থাকবে,



কুকুর ঘেউ ঘেউ নিয়ে মাথা মাথা করা কতটুকু যুক্তি যুক্তি নিজে ভাল করে একবার চিন্তা করুন।

হ্যাঁ এই খবরটি জামাত শিবির ও বি,এন,পি জন্য একটি সু সংবাদ, এটি প্রচার করে অন্তত কিছুটা রাজনৈতিক মাটে গরম করে আর গরম গরম সমালোচনা করা যাবে, ব্যাস এতটুকু, তবে তা খুবই সাময়ীক ,



অন্তত আমি নিজে জীবন্ত থাকতে সেটি হতে দিব না। বাংলাদেশের এক চুল পরিমাণ ভুমি কাউকে দেওয়া হবে না।







২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: নিজে জীবন্ত থাকতে সেটি হতে দিব না। বাংলাদেশের এক চুল পরিমাণ ভুমি কাউকে দেওয়া হবে না।

এটাই আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৯

নিশাত তাসনিম বলেছেন: মি. স্বামী আগেও একবার এই মামা বাড়ির আবদার করেছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার তার মামা বাড়ির আবদার রক্ষা করবেনা তার নিশ্চয়তা কি ?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হুম, সন্দেহ টা মাথায় রাখা উচিৎ ।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৬

বেলা শেষে বলেছেন: ....now they are asking to take whole Bangladesh!!!


২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হা: হা: ভাল বলেছেন ভাই বেলা শেষে।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:০৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:




দাদারা চাইলে তো দিতেই হবে ! বড় ভাই বলে কথা :P

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: তা যা বলেছেন দাদা!

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:১২

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ১৯০৫ সালে লর্ড কার্যন যে বাংলা বিভাজন করেছিলেন, তাতেও কিন্তু স্বামী হয়তো জানেন না। তাই তার জন্য নিচের উদ্ধৃতি "আমার দেশ" থেকে নিয়ে দিলাম(উদ্ধৃতি দেবার অনুমতি চাইবার কোন স্থান দেখি নাই)

জন্য সত্যাশ্রয়ী ইতিহাস জানার গুরুত্ব অপরিসীম। (সূত্র দৈনিক সংগ্রাম ২২.০৬.০৫) সে অভাববোধ থেকেই আমার এ লেখার চেষ্টা।

বঙ্গ ভঙ্গ কী?
এক সময় বেঙ্গল ফোর্ট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সির অধীনে পূর্ব বাংলা (আজকের বাংলাদেশ) এবং পশ্চিম বাংলা মিলে অবিভক্ত বাংলা ছাড়াও বিহার, ছোট নাগপুর ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত একই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারত সচিব লর্ড কার্জন (যার নামে কার্জন হল রাখা আছে) ঢাকাকে রাজধানী করে নতুন প্রদেশের নাম ‘পূর্ব বঙ্গ ও ‘আসাম’ রাখার পরামর্শ দিয়ে তত্কালীন ভারত সচিব লর্ড হ্যামিল্টনের কাছে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভাগ করার যুক্তি দেখিয়ে একটি চিঠি পাঠান।
সেই মোতাবেক ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর পূর্ব বাংলা এবং আসামকে নিয়ে একটি আলাদা প্রদেশ ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণাই পাক-ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘বঙ্গভঙ্গ’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। নতুন প্রদেশের গভর্নর হন আসামের চিফ কমিশনার র্যামফিল্ড ফুলার।

‘বঙ্গভঙ্গ এবং মুসলিম ভারতে তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে গোলাম কবীর লিখেছেন, (ইনকিলাব ১৬ অক্টোবর ০৫)
‘১৯০৩ সালের শেষ নাগাদ লর্ড কার্জন ঢাকায় সফরে এলে আহসান মঞ্জিলে অবস্থানকালে নবাব সলিমুল্লাহ পূর্ব বাংলার মুসলমানদের সমস্যাগুলো সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন এবং এই অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের আবেদন জানান। ওদিকে আসামের পাট রফতানির ব্যাপারে পরিবহন ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশ্যে কলকাতার বন্দরের পরিবর্তে চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহারের চিন্তা করে ব্রিটিশরা। ব্রিটিশদের বাণিজ্য স্বার্থ (ও প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে) রক্ষায় এবং নবাব সলিমুল্লাহর সদিচ্ছা যুক্ত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলা বিভাজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অবশেষে কলকাতার বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী ও জমিদারদের তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ উপেক্ষা করে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বাংলার মানচিত্র ভেঙে ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ব বঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি পৃথক প্রদেশে রূপান্তর করা হয়।’

১৯০৫ সালের বঙ্গ কি প্রথম ভঙ্গ?
বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ : ঢাকাকেন্দ্রিক জাতিসত্তার নব উত্থান শিরোনামে মাসুদ মজুমদার লিখেছেন, (নয়া দিগন্ত ১৪.১০.০৫)
‘যে ভূখণ্ড নিয়ে আজকের বাংলাদেশ, মূলত সেই জনপদই বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল। চার শতকের গোড়া থেকে এগারো শতকের শেষ নাগাদ পুন্ড্র, পাল ও সেন রাজাদের আমলেও এই এলাকার নাম ছিল বঙ্গ। এখন যা পশ্চিম বঙ্গ, এর নাম ছিল অঙ্গ।’
বঙ্গভঙ্গ ও ক্ষুদিরাম বন্দনা প্রসঙ্গ শিরোনামে ড. তারেক ফজল (সূত্র ইনকিলাব ১৬.১০.০৫) লিখেছেন—
ক. ১৮৭৪ সালের ১২ অক্টোবর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে প্রথবারের মতো দশটি জেলা আলাদা করে একজন চিফ কমিশনারের অধীনে পৃথক আসাম প্রদেশ গঠন করা হয়।
খ. ১৮৭৪ সালে দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গ হয়। সিলেট জেলাকে বাংলা থেকে আলাদা করে আসামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
গ. ১৮৯২ সালে তৃতীয় বারের মতো বাংলাকে ভাগ করা হয়।
ঘ. ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের চতুর্থ বঙ্গভঙ্গ সংঘটিত হয়।
ঙ. ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পঞ্চম বারের মতো বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে এ পাঁচবার বঙ্গভঙ্গের মধ্যে চতুর্থটির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত হিন্দু জনগোষ্ঠী সর্বাত্মক সহিংস প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিল। ফলে এটি ১৯১১ সালে বাতিল হয়ে যায়। আর মজার ব্যাপার হলো, পশ্চিমবঙ্গের যে সব শিক্ষিত হিন্দু জনগোষ্ঠী চতুর্থ বঙ্গভঙ্গ বাতিলের জন্য সর্বাত্মক সহিংস প্রতিরোধ সৃষ্টি করেছিল, পঞ্চম বারের বঙ্গভঙ্গের পক্ষে তারাই আবার সর্বাত্মক রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে সফল হতে পেরেছিল।
ইংরেজ কর্তৃক বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের কারণ কী ছিল?
ইংরেজ রাজত্ব ফুলে-ফেঁপে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা ও চাপ বেড়ে চলছিল। বেঙ্গল ফোর্ট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সির অধীনে অবিভক্ত বাংলা ছাড়াও বিহার, ছোট নাগপুর ও উড়িষ্যা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠিত ছিল। এর আয়তন ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ বর্গমাইল। পূর্ব থেকে পশ্চিমে চিহ্নিত সীমানার দূরত্ব ছিল ৮০০ মাইল। পৌরসভা ছিল ১৫৮টি, জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৮০ লাখ। এই বিশাল আয়তনের প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ১৯০২ সালের ২৪ মে লর্ড কার্জন লন্ডনে ভারত সচিব লর্ড হ্যামিল্টনের কাছে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভাগ করার যুক্তি দেখিয়ে একটি চিঠি পাঠান। (সূত্র নয়া দিগন্ত)

বঙ্গভঙ্গ ও ক্ষুদিরাম বন্দনা প্রসঙ্গ শিরোনামে ড. তারেক ফজল (ইনকিলাব ১৬.১০.০৫) লিখেছেন—
‘১৮৬২ সালে কলকাতায় হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এ প্রদেশের নাম ছিল বেঙ্গল ফোর্ট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সি। সংক্ষেপে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি। তখন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির আওতায় ছিল আসাম, পূর্ববঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বিহার, ছোট নাগপুর। আয়তন ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ বর্গমাইল। ১৮৬৫ সালে এই প্রেসিডেন্সিতে ভয়াবহ এক দুর্ভিক্ষ হয়। দুর্ভিক্ষে উড়িষ্যার ছয়টি জেলা, বিহারের অংশবিশেষ ও উত্তরবঙ্গের প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ মারা যায়। তত্কালীন লে. গভর্নর স্যার সি বেডন এই মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিশাল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির যোগাযোগ সমস্যাকে দায়ী করেন।

নাগা উপজাতির বিদ্রোহীরা ১৮৬৭-৬৮ সালে আসামের শিবসাগর জেলায় কয়েক দফা হামলা চালায়। এরাই ১৮৭০-৭১ সালে ত্রিপুরা রাজ্য ও সিলেটে আক্রমণ করে আসামের একটি চা বাগান ধ্বংস করে, বাগানটির ইংরেজ প্লান্টার মি. উইনচেস্টারকে হত্যা করে, তার শিশুকন্যাকে অপহরণ করে। এসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছাড়াও আরও অনেক প্রশাসনিক, আইনি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিষয়ক পরিস্থিতি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির শাসকরা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছিল মূলত প্রেসিডেন্সির বিশালতা ও সেই সূত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুকতার কারণে।


এই সব বাস্তবতার আলোকে ১৯০২ সালের ২৪ মে লর্ড জর্জ ন্যাথনিয়েল কার্জন (লর্ড কার্জন) লন্ডনস্থ ভারত সচিব লর্ড হ্যামিল্টনের কাছে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার স্বার্থে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে ভাগ করার যুক্তি দেখিয়ে একটি চিঠি পাঠান। লর্ড কার্জন লিখেন, এখানে অবস্থা এমনই জটিল যে, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির লে. গভর্নর সারা বছর ধরে সফর করলেও একাংশের বেশি সফর করতে পারেন না।’


‘বঙ্গভঙ্গের শতবর্ষ এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ শিরোনামে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (ইনকিলাব ১৬ অক্টোবর ০৫) লিখেছেন—
‘তাই বলে ব্রিটিশরা যে মুসলমানদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা নয়। বরং তাদের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করে দেয়া। তখন ভারতীয়দের মধ্যে শিক্ষা ও রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ এবং ভারতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে যে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গড়ে উঠতে শুরু করেছিল, তা রোধ করার জন্যই ব্রিটিশরা বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা করে। মূল উদ্দেশ্য ছিল কলকাতা কেন্দ্রিক আন্দোলন দুর্বল করা। আসলে বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের স্বার্থ হাসিল করা।’
বঙ্গ ভঙ্গের ফলে পূর্ব বাংলার মুসলিম জনগোষ্ঠী কি ধরনের লাভবান হয়েছিল?


বঙ্গভঙ্গ ও ক্ষুদিরাম বন্দনা প্রসঙ্গ শীর্ষক নিবন্ধে ড. তারেক ফজল, (ইনকিলাব ১৬.১০.০৫) লিখেছেন—
‘প্রাসঙ্গিকভাবে বলা যেতে পারে, ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ব বঙ্গের বর্তমান বাংলাদেশের সব মানুষ এবং বিশেষ করে সংখ্যাগুরু মুসলিম জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে উপকৃত ও সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। তারা শিক্ষায় এগিয়ে গিয়েছিল সর্বাধিক। এছাড়া শিল্প-কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি উত্পাদনসহ সব অংশেই তারা উল্লেখযোগ্য উন্নতি অর্জন করে। নবাব সলিমুল্লাহ মুন্মীগঞ্জের এক জনসভায় বলেছিলেন, বঙ্গভঙ্গ আমাদের নিষ্ক্রিয় জীবন থেকে জাগিয়ে তুলেছে এবং সক্রিয় জীবন ও সংগ্রামের পথে ধাবিত করেছে।’


‘বঙ্গভঙ্গের শতবর্ষ এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ নিবন্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আরও লিখেছেন—
‘বাংলার মুসলমানরা বিভিন্ন কারণে সেদিন বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তকে সানন্দে গ্রহণ করেছিল। কারণ তখন মুসলমান নেতারা অনুধান করতে পেরেছিল যে, নয়া প্রদেশের শাসন ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করা যাবে। নিজেদের ঐক্য ও সংহতি জোরদার হবে। অবহেলিত পূর্ব বাংলার উন্নয়ন ও অগ্রগতি হবে। শিক্ষার বিস্তার ঘটবে।
সে সময় বাংলার শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব কিছু ছিল কলকাতা কেন্দ্রিক এবং সেখানে ছিল হিন্দুদের একচ্ছত্র আধিপত্য। পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ জমিদার বাস করত কলকাতায়। তারা প্রজাদের কল্যাণে তো কিছু করতই না উপরন্তু প্রজাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে খাজনা আদায় করে কলকাতায় বিলাসী জীবনযাপন করত। পূর্ববঙ্গের মুসলমান নাগরিকরাই বেশি অবহেলিত থাকত।


বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জন এবং শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ লাভ করে। এই সময়ে মুসলমানরা তাদের হারানো গৌরব উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকে। তাদের দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে শুরু করে। ঢাকাকে কেন্দ্র করে সচিবালয়, পরিষদ ভবন, সরকারি অফিস-আদালত, ব্যবসা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে শুরু করে। পূর্ব বাংলার মুসলমানরা নতুন আশায় বুক বেঁধে জেগে উঠতে থাকে।

বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ, ঢাকা কেন্দ্রিক জাতিসত্তার নব উত্থান শিরোনামে মাসুদ মজুমদার : (নয়া দিগন্ত ১৪.১০.০৫) লিখেছেন—
‘বঙ্গ বিভাগ তাত্ক্ষণিক কয়েকটি সুফল নির্ণয় করে দিয়েছিল, ১. নতুন প্রদেশ উন্নতির সুযোগ পেল।
২. গরিষ্ঠ মুসলমানদের ভেতর নতুন চেতনা যেমন জাগল, তেমনি সংখ্যাধিক্যের সুবাদে লেখাপড়া ও চাকরির সুযোগ বাড়ল।
৩. বর্ণ হিন্দুদের দৌরাত্ম্য কমে যাওয়ার কারণে তারা নিজেদের একটু স্বাধীন ভাবার সুখ অনুভব করল।

৪. দুই সহোদর প্রদেশের মধ্যে সমানুপাতিক প্রতিযোগিতার ভেতর উন্নতির সুযোগ সৃষ্টি হলো।

৫. ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুনর্জন্ম হলো।
৬. নদী-খাল উন্নত হলো। রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত হলো চট্টগ্রাম নাগাদ।

৭. নতুন প্রাদেশিক পরিষদে পূর্ব বাংলার সম্প্রসারিত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ সৃষ্টি হলো।

৮. সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বাড়ল।
৯. অনুন্নত আসাম পূর্ব বাংলায় সম্পৃক্ত হয়ে উন্নয়ন ও শিক্ষার ছোঁয়া পেল।

১০. পূর্ব বাংলায় পৃথক পুলিশ বাহিনীর ব্যবস্থা হলো।
১১. প্রদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতির পরিকল্পনা তৈরি হলো। ১২. পূর্ব বাংলার জনগণ সহসাই প্রদেশের কর্মকর্তার সংস্পর্শে আসার সুযোগ পাচ্ছিল, আগে যেটা ছিল প্রায় অসম্ভব।

১৩. পূর্ব বাংলা ছিল সম্পদশালী, জনশক্তি ছিল অফুরন্ত, কৃষিনির্ভর বুনিয়াদ ছিল শক্ত। আগে কলকাতা এই সুযোগ গ্রহণ করত। উপকৃত হতো কলকাতার বাবুরা। রাতারাতি এই স্রোত ঢাকা কেন্দ্রিক হতে লাগল।
ঢাকা চট্টগ্রাম কেন্দ্রিকতা মানেই ছিল গরিষ্ঠ মুসলমানদের সমৃদ্ধি। অবশ্য এ অঞ্চলের হিন্দুরাও এই সুবিধার সমান অংশীদার ছিল।

বঙ্গভঙ্গ বাতিল হওয়ার ফলে পূর্ব বাংলার মুসলিম জনগোষ্ঠী কি ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়েছিল?

যে বঙ্গভঙ্গকে কলকাতার দাদারা প্রমাদ গুনলেন, মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হলো। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ঢাকার সরু চাল দিয়ে প্রভাত পূজা আর পদ্মার ইলিশের ভাজার মজা বুঝি ছুটে গেল। অসুরের মতো গর্জে উঠল কলকাতার দাদাদের কণ্ঠ, না—এ হতে পারে না। বাংলা ভাগ হতে পারে না। বগলে ইট রেখে দেশ দরদীর মেকি কান্না শুরু করলেন। না পেরে ধর্মীয় রূপ দিলেন আন্দোলনকে, অবশেষে সন্ত্রাসের মাধ্যমে বঙ্গভঙ্গকে রদ করে ছাড়লেন। এই যে বিরাট কাণ্ড, সবই ছিল তাদের স্বার্থে।

কিন্তু আল্লাহ বোধ হয় এই অঞ্চলের মুসলমানদের জন্য এরই মাঝে কল্যাণ রেখেছিলেন। দাদাদের স্বার্থবাদিতার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এই অঞ্চলের মানুষ যেন বলে উঠল— দাদাদের কাছ থেকে রাজনীতি করার শিক্ষা আমি পাইরে। আমার তো ধারণা বঙ্গভঙ্গ রদ না হলে এ অঞ্চলের আম জনতা আগের মতোই ঘুমিয়ে থাকত আর ’৪৭-এ দেশ ভাগের সময় হয়তো এ অঞ্চলটি কলকাতার সঙ্গেই জুড়ে দেয়া হতো।

এ প্রসংঙ্গে ‘বঙ্গভঙ্গ এবং মুসলিম ভারতে তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ নিবন্ধে গোলাম কবীর লিখেছেন— ‘নিউটনের তৃতীয় সূত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমমুখী ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। হিন্দুদের মুসলিম বিদ্বেষ এবং ঘৃণার ওপর গড়ে ওঠা হিন্দু রেনেসাঁ আন্দোলন মুসলমানদের মধ্যে চেতনার উন্মেষ ঘটায়।’

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই।
সময়ের অভাবে লেখায় অনেক তথ্য ও ইতিহাস তুলে ধরতে পারিনি।

স্বল্পকথায় প্রকাশ করতে চেয়েছি।

আপনার লেখায় অনেক তথ্য পেলাম, যা পরবর্তিতে এধরণের লেখায় কাজে লাগবে।

অনেক অভিনন্দন অপপনাকে।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:২০

রাজা মশাই বলেছেন: আসল কথা - বাংলাদেশ অনেক আগেই ভারতের সাথে যোগ হয়ে গেছে। সেটা সব দিক দিয়ে। যেমন - আচার, শিক্ষা, ধর্ম, সামাজিক, রাজনৈতিক, নৈতিক সবই ভারতের ফলোয়ার। বাকি ছিল শুধু সীমানা। মোদ্দ্যা এখন চাচ্ছে লিখিত ভাবে সবকিছু। বাংলাদেশ কে এখন আর কিছুই মনে করে না ভারত। হাস্যকর বিষয় এই যে - ন্যাশনাল জিওগ্রাফী পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের দান বলে মনে করে। আর বাকী ছিল সিনেমা। ”গুন্ডে” দিয়ে তারও জবাব দিল ভারত। স্পষ্ট করে দিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার দান। আমার দু:খ হয় বুকের রক্তে যে বাংলাদেশ, গিনেস বুকে উঠেও এখন ও তার মর্যাদা ধরে রাখতে পারছে না। এর জন্য দায়ী কারা? ভারত এত কিছু করছে আমি তো একদিনও কাউরে দেখলাম না ভারতের পতাকা পোড়াতে। তার মানে কি সবই বাবাজীর দয়া?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: চমৎকার বলেছেন রাজা মশাই। শতভাগ সত্য বলেছেন।

আমরা এতবেশি ভারতভক্ত হয়ে পড়েছি যে, বাংলাদেশ নামে এই দেশটির নূন্যতম গ্রহনযোগ্যতা নেই ভারতের কাছে।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০১

কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: ব্যাপার টা নিয়ে হালকা কথা বার্তা কানে আসছিলো, অনলাইনেও মাতামাতি চোখে পড়ছিলো। আপনার পোষ্টে মানচিত্র দেখে মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেলো।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আঁকাতে গিয়ে আমারও অবস্থা হয়েছিল তেমনই।
স্বামী জ্বি বলে কি!
খুলনা ও সিলেট চলে গেলে কেমন রুগ্ন দেখাচ্ছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: দাদারা নিবে তাতে সমস্য কি?


প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: কোন ছমস্যা নাই বস! নিকগে।

১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এ ধরণের কু-চিন্তা যদি বিজেপি বা তথাকথিত বাংলাদেশের বন্ধুরা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে না পারে, তাহলে তাদেরই বিপদে পড়তে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে মরণপণ লড়াই করে আমরা আমাদের এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। ভারত পাকিস্তানের মতো ইংরেজদের সাথে টেবিল চেয়ারে বসে আলাপ করে আমরা স্বাধীন হইনি।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: চমৎকার, খুবই চমৎকার বলেছেন আবুহেনা ভাই।

"ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে মরণপণ লড়াই করে আমরা আমাদের এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। ভারত পাকিস্তানের মতো ইংরেজদের সাথে টেবিল চেয়ারে বসে আলাপ করে আমরা স্বাধীন হইনি।"

আমরা যুদ্ধ করতে জানি।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২০

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: Dear Mr. & Mrs. political leaders of my motherland, I am saying to you all. If you support or approve any vicious move taken by our f**king next-door neighbor and help them implement, then.... (what will then be done is unnecessary to mention, you know that) X(( X(( X(( X(( X(( X(( X((

...But all of you should keep it in your slavery mind that the true spirit of '71 has not totally been evaporated and it will again be resurrected if situation demands.

পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার কালে। কেন যেন মনে হচ্ছে যদি বিজেপি পরেরবার ভারতের মসনদে বসে তো ভারতের সেই মরিবার কাল অত্যাসন্ন। ওরা নিজেদের জ্বালানো আগুনে জ্বলে, পুড়ে খাক হয়ে যাক, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক, তাতে কোন মাথাব্যথা নেই। আমাদের উচিৎ হবে গড্ডরিকা প্রবাহের মতো সেই আগুনে ঝাঁপ না দেওয়া। পাকিস্তানী নরপিশাচদের হাত থেকে একাত্তরে যে পূর্ণ ভূখণ্ড স্বাধীন করেছিলাম, অন্য সব পিশাচদের হাত থেকে তাঁর সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: পাকিস্তানী নরপিশাচদের হাত থেকে একাত্তরে যে পূর্ণ ভূখণ্ড স্বাধীন করেছিলাম, অন্য সব পিশাচদের হাত থেকে তাঁর সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব।

আমাদের প্রত্যেকের পবিত্র দায়িত্ব।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

চারশবিশ বলেছেন: ছোট বেলায় আমাদের দেশের ম্যাপ আঁকতে খুব কষ্ট হত
তখন চিন্তা হত বাংলাদেশের ম্যাপ যদি গোল বা চারকোনা হত তাহলে খুব ভাল হত

সেই ছোটবেলার আশা মনে হয় পূরন হতে চলেছে

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হবেই হবে চারশবিশ। বাংলাদেশের মানচিত্রটা এবার ফুলে ফেপে মোটা হবে।

১৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

শূণ্য মেঘকাব্য বলেছেন: মানে কি? বললেই হল???
:/
যে যার মন চাইবে আসবে আর আমাদের দেশ নিয়ে যাবে?
আর আমরা নিতে দেব???
না। কখনও না

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অবশ্যই তা কখনও না। আর বল্লেই যে হয়ে গেলো তা তো নয়। এক ধরণের প্রস্তাবনা নিয়ে বিজেপি নেতা জনসম্মূখে আলোচনা করেছেন, যেটি পত্রপত্রিকায় এসছে।

ভাল থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।

১৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তারা তো যা ইচ্ছে বলতেই পারে। কারণ আমরা তো শুধু দিয়েই গেছি কিন্তু তাদের কাছে কোন কিছুই পাইনি। তারপরও যদি ক্ষমতাটা থাকে তাতে মন্দ কিসে?

আমরা এতো দিন পাকি থেকে যেতাম তাদের দয়ায় আমরা এই ভুমি টুকু পেয়েছে। সেই ভূমির সামান্য একটু অংশ মাত্র তারা আবদার করেছে, এই তো?

সামান্য ভূমি বলে কথা (!) এ আর এমন কী? তারা একটু আবদার করেছে! অন্যায় তো কিছু করেনি? আবদার না মেটালে তামাম দুনিয়ার মানুষ যে আমাদেরকে অসভ্য বলবে, তাতে আমাদের সম্মান কোথায় যাবে? ভেবেছেন কী? তার চেয়ে ভূমি টুকু দিয়ে দেওয়াই ভালো, তাই নয় কী?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমরা কেবল দিয়ে যাবো.................

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

ধুমধাম বলেছেন: ইলেকশন বলে কথা, মাথা আউলানোর সিজন।
বলদের ডাক'কে যেন কি বলে?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ভাল জিনিস ধরেছেনতো। সেটাই হবে। ইলেকশনের ওয়াজ!

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

তারেক উজ জামান বলেছেন:

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: দেখলাম, বুঝলাম।

মিজরামও আমাদের হতে পারে। এই পাশের "সেভেন সিস্টার" বাংলাদেশের সাথে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো বেশি।

১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

আবদুল আউয়াল চৌধুরী বলেছেন: শুধু মাত্র , বাংলাদেশ দুর্বল এজন্য তারা যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে। দুঃখের বিষয় হল এই খবরটির ব্যাপারে আমাদের দেশের কোন নেতা এই পর্যন্ত কিছুই বলেনি। আজ যদি ইন্ডিয়া পাকিস্তানের ব্যাপারে এরকম কিছু বলতো তাহলে তারা সাথে সাথে এর পাল্টা জবাব পেয়ে যেত। খবরটা আমি যখন কালের কন্ঠতে পড়েছিলাম , আমার মনে হচ্ছিল উপরোক্ত নেতা এই ধরনের কথা বলার সময় নিশ্চয় মাতাল ছিল। তা নাহলে কিভাবে সে একটা দেশকে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হওয়ার পর তাদের সীমানা নিয়ে কথা বলে? সত্যি রাগে আমার হাত পা কাঁপছে এমন একটা খবর শুনে

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপনি। ভারতীয় বা পাকিস্থানীদের মধ্যে যে দেশত্ববোধ আছে, আমাদের তা নেই। আমরা বোধহয় খুব বেশি তোষামেদকারীতে রুপান্তরিত হচ্ছি।

১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

রমিত বলেছেন: ভালো লেখা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমাদের দু:খ তো সেখানেই ভাই।
আমরা ভারতকে "দ্বৈত্যদা" মনে করি।

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাঃ! এতই সোজা!

বরং মেঘালয়, ত্রিপুরা ও আসামকে প্রস্তাব দেওয়া হোক- তারা বাংলাদেশের অংশ হতে চায় কিনা। অনেক বেশি শান্তিতে থাকতে পারবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন বস। তেমনই একটা পরিকল্পনা করে একটি ম্যাপ ও বানিয়েছি। ব্লগে দেয়া আছে।

ভাল থাকবেন আপনি।

২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

টিকিটাম বলেছেন: ভাই বেয়াদবি মাফ করবেন,
আমি এক্কেবারে নতুন.......


২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হাই হাই, এটা দিসেন কি!

কার্টুনে যতটা মনে হচ্ছে, বাস্তবে ততটা নয় হয়োত।

দারুণ একটা কাটুনের জন্য ধ ন্য বা দ ।

২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

নাসিফ ওমর বলেছেন: Click This Link

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৪১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হুম। দেখলাম।

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পাগলের প্রলাপ ! ছোটলোকের উন্নত প্রজাতী হিসেবে দাদাদের বাজারে তোলা উচিৎ !

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ওদের পাগল প্রলাপে আমিও প্রলাপ করলাম কিছুক্ষণ!

মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: জীবন্ত থাকতে সেটি হতে দিব না। বাংলাদেশের এক চুল পরিমাণ ভুমি কাউকে দেওয়া হবে না।

এটাই আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: জীবন্ত থাকতে সেটি হতে দিব না। বাংলাদেশের এক চুল পরিমাণ ভুমি কাউকে দেওয়া হবে না।

এটাই আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার।

এটাই আমাদের দৃঢ় অঙ্গিকার।

২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: আমার দেশ একটি দেশদ্রোহী পত্রিকা। দেশের জন্য ভাল কিছু হয় - এরকম সব কিছুতেই তার গায়ের জ্বালা। এই পত্রিকার খবর যে বিশ্বাস করে, সে ছাগু আর সেই পত্রিকা থেকে যে কপিপেস্ট করে ব্লগে দেয়, সে নির্ঘাত যুদ্ধাপরাধী। আসুন আমরা স্কলে মিলে ঐসব যুদ্ধাপরাধী ব্লগারদেরকে বর্জন করি

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ভাই, এই লেখাটির সাথে "আমার দেশের" কি সম্পর্ক জানা নেই।
আমার দেশে থেকে কোন কপি-পেস্ট বা কোন উদ্ধৃত্তি, তথ্য, কিছুই নেয়া হয়নি। মোটকথা এই বিষয়ে "আমার দেশ" পত্রিকা কি লিখেছে জানা নেই আমার। পত্রিকাটির কোন লিঙ্কে খুব একটা ঢুকেছি কখনও বলে মনে পড়েনা। তাছাড়া বিজেপি নেতা স্বামীর সিলেট ও খুলনা ভুখন্ড দাবি করার যে খবর ভারতের "সাময়িক প্রসঙ্গ" পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, সেটির লিঙ্ক আমার পোস্টে দেয়া আছে।

দেশের নতুনবার্তা, প্রথম আলোসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে বেরিয়েছে।

আর এটির সাথে যুদ্ধ অপরাধীর কি সম্পর্ক?

২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

মিছবাহ পাটওয়ারী বলেছেন: অকাট্য যুক্তি দিয়ে লেখার জন্য শামীম সুজায়েত ভাইকে ধন্যবাদ। নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক ঠিকই বলেছেন পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার কালে। দাদাবাবুরা দৃষ্টি সংযত করুন। বাংলাদেশে লোলুপ দৃষ্টি না ফেলে নিজেদের দিকে তাকান। পুরো ইন্ডিয়াকে চীনের পেটে ঢুকানোর জন্য প্রস্তুত হন............

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আপনাকে জানায় আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
ভাল কথা বলেছেন। পুরো ইন্ডিয়াকে চিন ও বাংলাদেশের গর্ভে ঢুকিয়ে নেয়ার পথে এগোতে হবে, যদি ভারত আমাদের ভূখন্ড নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে।

ভাল থাকবেন।

২৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৭

নয়নেরজান্নাতী বলেছেন: আমার আর বাংলাদেশে থাকার ইচ্ছা নাই তাই আমাগো খুলনা জলদি ভারতের অংশে পরিনত হোক তাহলে জম্মের খুশি হইতাম। কারন যেদেশে থেকে নাগরিক হিসাবে ভোটের মাঠে যেতে পারিনা ভোটের আগেই সরকার গঠন সে দেশের মায়া মহব্বত আমার দিলের থেকে উঠে গেছে দেশ যেভাবে এগুচ্ছে তাহাতে এমনিও আগামিতে সেটাই হবে আমাদের আবাল জনতার আন্দলনে কারোর বালও ছিড়বেনা ভারত দাবি করেছে তাকে সন্তুষ্টিই করতেই হবে জনগন কি করলো সেটা কোন মিডিয়া সঠিক ভাবে প্রকাশ করবেনা

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: এটি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কিনা জানিনা। সম্ভাবত সমালোচনাও হয়নি সরকারি মহলে। দাদা বলে কথা!

২৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১০

আমিজমিদার বলেছেন: ওই স্বামীরে স্ত্রী বানায়ে দেওয়া হউক B-))

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হা...........হা..............

২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: এই হলো ভারতের সকালের চিত্র। খোলা জায়গায় লুংগী/প্যান্ট নামিয়ে বসে গেছে।



বিজেপি নেতার কথামত ঘটনা ঘটলে এই হবে আপনার সকালের নিত্তনৈমিত্তিক দৃশ্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হাসতে হাসতে পেটে খিল।
নাইস একটা ছবি দিছেন।

তেমনই অবস্থা আর কি!

২৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ওরা দুই জেলা চাইলে আমরা চাইব বিশ জেলা । আসো বদল করি ;)


২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ওদের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলো আমাদের হওয়া উচিৎ।

৩০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৩

উপপাদ্য বলেছেন: জাতীয় অর্থনীতি, ব্যবসা, সংস্কৃতি ও শিক্ষাতো অলরেডী লেডি লেন্দুপ দিয়েই বসেছেন। জাস্ট বাকী শুধু ম্যাটেরিয়াল অবজেক্ট। সেটাতো আজ হোক কাল হোক বিজেপি কিংবা কংগ্রেস কেউ না কেউ চাইতোই।

লেডি লেন্দুপ যতদিন থাকবে ততোদিন ইন্ডিদের চাওয়াও বাড়তে থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্ধেকখানি দাবী করায় লেডী লেন্দুপ নাকি কিছুটা হতাশ কেন যে পুরোটা চাইলোনা??

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: সত্যিকথা বলতে কি ভারতের পাতিনেতা স্বামী বললো বলে যে আমাদের ভুখন্ড নিয়ে নেবে, তা বলা যায়না। কিন্তু ঘটনাটিকে ছোট করে দেখার মতও নয়।
আমরা প্রতিবাদ না করলে তাদের এধরণের কথাবার্তা চলতেই থাকবে।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৩১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ১৯০৫ সালের বাংলার চিত্রটা সামনে আসা দরকার বলে মনে করছি। তখন অনেক বিপ্লবী বের হয়েছিলো।। আর '৪৭এ কেউ না। এখনতো প্রতিবাদের ভাষাও নেই।।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। যেন বিশাল এক দ্বৈত্যর সামনে নতজানু আমরা। দ্বৈত্য আমাদের তৃষ্ণা মেটার মত জলও আটকে রেখেছে দ্বৈত্য।
আমরা কথা বলছিনা।

৩২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই বিষয়টাকে হালকা করে দেখার কিছু নেই। খুব এলারমিং। কোন পথে এগুচ্ছে দেশ ?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অবশ্যই এটা এক ধরণের সংকেত। আমরা এখন থেকে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চেহারা কোন পরিস্থিতিতে দাড়াবে, তা আগাম অনুমান করতে পারা উচিৎ। এটি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ জানানো হয়েছে কিনা জানিনা। সম্ভাবত সমালোচনাও হয়নি সরকারি মহলে।

৩৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:





সুন্দর পোষ্ট!!!
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বক্তব্য কি?



আমারা আসাম , মেঘালয় ও ত্রিপুরা যুক্ত মানচিত্র চাই।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: মিজরামসহ ভারতের কন্যারাজ্য গুলোকে একত্রিত করে একটি মানচিত্র অঙ্কনের কাজ শুরু করে দিচ্ছি ভাই।

৩৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৭

রাব্বী সৃজন বলেছেন: ভারতের সাময়িক প্রসঙ্গ পত্রিকার খবর মতে ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাক্ষণিয়ম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দাবি করেছেন। X(( X((

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: বিষয়টা এমনই। পত্রিকার লিঙ্কে ঢুকে যেকেউ পুরো বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।

৩৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: খুলনা সিলেট ভারতকে দেব না বললে আপনার গায়ে কেন জ্বালা ধরে বুঝতে পারছি না। নতুন প্রসঙ্গে আপনাকে যুদ্ধাপরাধী বলতে ইচ্ছা করছে। আমার দেশ যা করে সবই দেশের বিরুদ্ধে করে দেশের ভালো চায় না। তাহলে আমার দেশ যদি এ বিষয়ে লিখে থাকে তবে সেটা দেশের ভালোর জন্য লিখে নাই। আমার দেশ যদি লিখত ভারত খুলনা ও সিলেট চায় তাদেরকে সেটা দেয়া হোক আপনার দৃষ্টিতে সেটা মনে হয় ভালো বলত। আপনি নতুন প্রজন্মের রাজাকার। আপনি নতুন প্রজন্মের ছাগু। @নীল আকাশ

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ার সময় প্রথম লাইনে কিছুটা হোচট খেয়ে ভাবছিলাম, ভুল কিছু লিখিনিতো। "চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" ব্লগার এভাবে বলছেন কেনো?
পড়তে পড়তে শেষ লাইনের কাছাকাছি এসে তৃপ্ত হলাম দারুণ আপনার মন্তব্যে।

সত্যি, আপনি @নীল আকাশ ২০১৩ কে দিয়েছেন অসাধারণ জবাব।

"ভারত খুলনা ও সিলেট চায় তাদেরকে সেটা দেয়া হোক, আপনার দৃষ্টিতে সেটা মনে হয় ভালো ।"

কোন কোন মানুষের ভারতপ্রীতির মাত্রা দেখে অবাক লাগে খুব! নিজের দেশের অস্তিত্বর ভাগিদার বানানোর প্রস্তবনায় কিভাবে তাঁরা আনুগত্য দেখান? আর এমনতো না যে, বিষয়টি গুজবের পর্যায়ে রয়েছে।

ভারতের প্রতি নানা কারণেই আমার দূর্বলতা আছে। পশ্চিমবঙ্গে নানা বাড়ি হওয়ায় মামা-ভাগ্না মধুর সম্পর্ক সেই শৈশব থেকে। প্রতি বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভারত যাওয়া হতোই।

ভারতের অনেক কিছু আমরা গ্রহন বা ব্যবহার করে থাকি। বলতে গেলে সেই নেশাজাত দ্রব্য ফেনসিডিল থেকে শুরু করে আকাশ সংস্কৃতির বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ভারতের আধিপত্য। অনেক দহরম-মহরম। সম্মানিত করি নানা ভাবে। আমাদের জমিন ও জলপথ ব্যবহারসহ বিদুৎ ট্র্যানজিট পর্যন্ত দিচ্ছি। আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে হুমকির মুখে ফেলে ওদের জন্য বানায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
অথচ তিস্তা এখন লাইফ সাপোর্টে। জলতৃষ্ণায় ছটফট করছে তিস্তা। আমরা সেখানেও মৌনতা করি। বা কেউ প্রতিবাদ করলে, সংগঠিত হলে নিরুৎসাহী করি।

তিস্তার বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে মনে হয়েছে, হয়তো বা অর্ধযুগ সময়ও পার হওয়ার আগেই জলশূন্য খালে রুপান্তরিত হয়ে যাবে তিস্তা। হয়তো আরও বহু বছর পর মানুষ বলবে, "এইখানে এক নদী ছিল জানতো না তো কেউ।"

৩৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩

সাবরিন কল্পনা বলেছেন: Click This Link

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: Thanks a lot Sabrin Kalpona

৩৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

মুদ্রাগণক বলেছেন: [img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/186552/small/?token_id=c588b8cb3d6bddf14ad0b0b883fdfbbf

৩৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

মুদ্রাগণক বলেছেন:

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: এই রকম হবে আমাদের মানচিত্র।

৩৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ৮:২৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: চমৎকার হয়েছে । আমাদের মানচিত্র এমনই হওয়ার কথা।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।

৪০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

ফুলেরপাতা বলেছেন: আপনার পোষ্ট আমার তুলনাহিন ভালো লেগেছে!
লালুচ লাগিয়ে- পরে কিন্তু আমাদের পুরোটা নিয়ে যাবে!

রাজা মশাই বলেছেন: আসল কথা - বাংলাদেশ অনেক আগেই ভারতের সাথে যোগ হয়ে গেছে। সেটা সব দিক দিয়ে। যেমন - আচার, শিক্ষা, ধর্ম, সামাজিক, রাজনৈতিক, নৈতিক সবই ভারতের ফলোয়ার। বাকি ছিল শুধু সীমানা। মোদ্দ্যা এখন চাচ্ছে লিখিত ভাবে সবকিছু। বাংলাদেশ কে এখন আর কিছুই মনে করে না ভারত। হাস্যকর বিষয় এই যে - ন্যাশনাল জিওগ্রাফী পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের দান বলে মনে করে। আর বাকী ছিল সিনেমা। ”গুন্ডে” দিয়ে তারও জবাব দিল ভারত। স্পষ্ট করে দিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার দান। আমার দু:খ হয় বুকের রক্তে যে বাংলাদেশ, গিনেস বুকে উঠেও এখন ও তার মর্যাদা ধরে রাখতে পারছে না। এর জন্য দায়ী কারা? ভারত এত কিছু করছে আমি তো একদিনও কাউরে দেখলাম না ভারতের পতাকা পোড়াতে। তার মানে কি সবই বাবাজীর দয়া?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: যথেষ্ট যৌক্তিক বলেছেন।
আমরা তো ওদেরকে সবকিছু উজার করে দিচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো সেভেন সিস্টার নিয়ে ওদের দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছে আমাদের সরকার, যার ফলে আমাদের আর কোন বার্গেনিং পাওয়ার থাকলোনা্ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.