নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইনে পুজো

৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

অনলাইনে পুজো দেয়ার সুবিধা চালু করেছে ভারতের কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির। অবশ্য এর আগেও নয়াদিল্লির লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে অনলাইনে পুজো দেওয়ার সুবিধা চালু হয়।



সনাতন হিন্দু ধর্মে ডিজিটালের স্পর্শ লাগার বিষয়টি প্রশংসনিয়। এতে করে সমাজের বিচলিত, হতাশাগ্রস্থ ও নিরুপায় মানুষগুলো অনলাইনে পুজো দিয়ে মনের স্বস্তি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাতে পারবেন। অপরদিকে ধর্মের ওপর ভর করে জীবন-যাপন করা মানুষগুলোর জন্যও বেড়ে গেলো আয় রোজগারের পরিধি।



মুসলিমরাও কি একসময় দোয়া প্রার্থনা, মিলাদ, আকিকা, কুলখানিসহ ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা পালনে অনলাইনে বুকিং দেবে?



এই পদ্ধতিতে দোয়া চাওয়া হলে কি তা আল্লাহ কবুল করবেন?



জানা নেই। সম্ভাবত কুরআন শরীফে "ইন্টারনেট" এর বিষয়ে কিছু বলা নেই। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ তাঁর হাদিস শরীফে এ সম্পর্কে আগাম কিছু বলেননি। তবে নিশ্চিত বলা যায়, একসময় বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাম্বলী মানুষরা অনলাইনে মিলাদ পড়ানোর জন্য বুকিং দেবেন। কুলখানি করবেন। বায়তুল মোকারমের খতিবের কাছে দোয়া চেয়ে লগইন করবেন। নিজের একাউন্ট ডেবিট করে সংশ্লিষ্ট একাউন্টে জমা করে দেবেন চার্জ। তারপর জুম্মার নামাজে হাজার হাজার মানুষের দোয়া চাওয়ার ভিডিও ফুটেজ কাস্টমারের ইমেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। কুরিয়ারে ঢাকা বায়তুল মোকারাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা বিশ্বের যেকোন প্রান্তে পৌছে যাবে মিলাদের মিষ্টি।



অসম্ভব কিছু নয়। এটি হয়ে যাবে এক সময়। আমাদের দেশের মাদ্রাসাগুলো ডিজিটাল হয়ে যাবে। বড় বড় আলেম-মওলানাদের থাকবে নিজস্ব ওয়েব সাইট। ফেসবুক একাউন্ট।



যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে হিন্দু ধর্ম। খৃষ্টান ও বৌদ্ধ ধর্মেও অনলাইনের ব্যবহার বেড়েছে। তাহলে ইসলাম ধর্মে নয় কেনো?



আনন্দবাজার পত্রিকা সুত্রে জানা গেছে, কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের উদ্যোগে মাউসে ক্লিক করলেই তিথি বা নির্ঘণ্ট মেনে পুজো দেওয়া যাবে। এ রাজ্যে মন্দিরে অনলাইন পুজো দেয়ার পদ্ধতি অবশ্য এটাই প্রথম নয়। রাজ্যে তারাপীঠের কালীমন্দিরেও অনলাইনে পুজো দেওয়া যায়। সাধারণ পুজো ৫১ ডলার, আর ভোগের জন্য ১০১ ডলার দিয়ে প্রবাসীরাও পুজো দিতে পারেন ‘তারাপীঠ ডট কম’ ওয়েবসাইটে। উত্তরবঙ্গে এই প্রথম এই পরিষেবা চালু হল। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে ১৮৯০ সালে কোচবিহারে বৈরাগী দিঘির পাড়ে ওই মন্দিরের উদ্বোধন হয়। ১৯৯৪ সালে মদনমোহনের প্রাচীন বিগ্রহ চুরির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার। পরে নতুন বিগ্রহ তৈরি হয়।



মদনমোহন মন্দিরে বাইশ রকম পুজো দেওয়া যাবে। খরচ ভারতীয় রুপিতে ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা। মদনমোহন দেবের পুষ্যাভিষেক যাত্রা, চন্দন যাত্রা ও দমনভঞ্জ যাত্রা পুজোর জন্য খরচ ৫০০ টাকা। সন্ধ্যারতি, রাতের ভোগ ২০০০ টাকা, অন্নভোগ ৫০০০ টাকা, বিকেলের ভোগের জন্য ১৫০০ টাকা। দোলযাত্রা, রথযাত্রার মতো বিশেষ দিনে পুজোর খরচ আলাদা। মা ভবানী, মা কালী ও জয়তারা দেবীর পুজোর খরচ ২০০০ টাকা।



অনলাইনে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক আকাউন্টে টাকা জমা দিলে তাঁর নির্দিষ্ট সময়ে দাতার নাম, গোত্র উল্লেখ করে পুজো দেবেন পুরোহিত। গোটা দৃশ্য ভিডিওতে তুলে ভক্তের ই-মেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কাস্টমার চাইলে পার্সেল পাঠানোর অতিরিক্ত খরচ দিলে বাড়িতে পুজোর শুকনো প্রসাদ, প্রসাদী ফুলও পৌঁছে যাবে।



তবে সশরীরে না পুজো দিলে কি মদনমোহনের কাছে পৌঁছবে ভক্তের প্রার্থনা?



এমন প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সরাসরি মেলেনি আনন্দবাজারের ওই প্রতিবেদনে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং খবর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.