নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দূরন্ত শৈশব এখন কাফন পড়া লাশ

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

কারোর চোখে ব্যান্ডেজ, কারও নাক বেয়ে রক্ত, কেউ দু’পা পুড়িয়ে হাসপাতালের বেডে, কারও মাথায় তখনও গেঁথে রয়েছে বোমের টুকরো কিংবা বেরিয়ে পড়েছে মাথার খুলি, কারোর গাল দুটো যেন ছাল উঠে যাওয়া আপেল।





এরা সবাই গাজা-র শিশু। কিছুই বুঝতে পারে না, পালাতে পারে না, আত্মরক্ষা করতে পারে না, সবচেয়ে বড় কথা, ঘুরে মারতে পারে না। ওদের হাত মুচড়ে ভেঙে দিলে, কিংবা পেটে লাথি মারলে, ওরা সে মার ফিরিয়ে দিতে পারেনা। আঘাতে কেবল কুকড়ে ওঠে।







গাজায় কেবল বিমান হামলা নয়, স্থল পথেও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞে নেমেছে ইজরায়েল। উঠে গেছে পৈশাচিকতার সর্বোচ্চ স্তরে । তাদের নিষ্ঠুরতা থেকে এখনও দূরে বা নিরাপদে থাকা শিশুরা ভয় ও বিস্ময়ে দেখছে ইজরায়েলি সৈন্যদের নৃশংসতা।





(ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রাণে বাঁচতে ফিলিস্থিনি শিশুদের নিরাপদ স্থানে নেয়া হচ্ছে। বাস্তবতা হলো ফিলিস্তিনিদের পক্ষে গাজার বাইরে যাওয়া প্রায় অসম্ভব৷ কারণ অঞ্চলটির দুই দিক ইসরায়েল এবং অপরপাশে মিসরের সঙ্গে সীমান্ত৷ এই সীমান্ত পথও বন্ধ রয়েছে বহুবছর। অপর পাশে সমুদ্র৷ ফলে গাজার মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান করতে হয় তাদের৷)



১৮ লক্ষের কিছু বেশি মানুষের বাস গাজায়। জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৫০৪৬ জন। এমন জায়গায় স্থলপথে অভিযানে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে বেশি। বাস্তবে ঘটছেও তাই। ইজরায়েলের সৈন্যরা স্থলে পথে অভিযান শুরু করেছে। ইচ্ছেমত হত্যা করছে। জিম্মি করে নির্যাতন চালাচ্ছে।

গাজার রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকছে শিশুদের খন্ড-বিখন্ড দেহ। দূরন্ত শৈশব হয়ে যাচ্ছে কাফন পড়া লাশ।



পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর মতে, ২৫ জুলাই ১৮ তম দিন পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৭। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে ১৯০জন। আহত ৫ হাজার ২৪০। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী গাজায় প্রতি ঘন্টায় একজন করে শিশু ইজরায়েলি হামলায় মারা যাচ্ছে।



UN High Commissioner for Human Rights Navi Pillay said on Wednesday that Israel’s military actions are responsible for the death of a child every hour in recent days and observed, “Respect for the right to life of civilians, including children, should be a foremost consideration. Not abiding by these principles may amount to war crimes and crimes against humanity.”



Pillay noted that since July 7, Israel has launched 2,100 air strikes on the densely-populated slum that the occupation has turned Gaza into. Hundreds of civilian homes have been destroyed and 140,000 people have been displaced and made homeless.



ইতিমধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ইসরায়েলের রাজধানী তেলাবিব সফর করেছেন। তিনি মুখে যুদ্ধ বিরতির কথা বললেও বাস্তবে ইজরায়েলের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। একই ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানিসহ ক্ষমতাধারী রাষ্ট্রগুলো রয়েছে ইহুদিদের পক্ষে।







২০১২ সালে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের আট দিনের সংঘর্ষে ৩৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়। এ বার সেই সংখ্যা চার গুণ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এত শিশুমৃত্যর জন্য ইজরায়েলের অস্ত্রকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাদের হামলায় চার-পাঁচ তলা বাড়ি গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। বড়রা সেখান থেকে কোনও ভাবে বেরিয়ে পড়লেও বাচ্চারা পারছে না। গাজায় বেশির ভাগ শিশুই মাথা, বুক, পাঁজরে ক্ষতের জন্য মারা যাচ্ছে।



কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে গাজার আল শাইফা হাসপাতালের চিকিৎসক নবিল হাল আদালের বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে ওই চিকিৎসক জানান, “বেশিরভাগ শিশুই ভাঙা বাড়ির তলায় চাপা পড়ে জখম হচ্ছে। আর যারা বোমার আঘাত নিয়ে ভর্তি হচ্ছে, তারা কেউ কথাই বলতে পারছে না। বলছে, মনে হচ্ছে হাজারটা সূচ শরীরে বিঁধে রয়েছে।” ওষুুধ-অস্ত্রোপচারেও সে যন্ত্রণা কমছে না বলে জানান তিনি।







ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, ইজরায়েলের ‘ফ্লিচেট সেল’ শরীরে ৪ সেন্টিমিটার লম্বা একটি ধাতব যৌগ ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই আঘাত সহ্য করতে পারছে না শিশুরা। যদিও আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করেই ‘ফ্লিচেট সেল’ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে খোদ ইজরায়েলের মানবাধিকার কমিশন। শিশুমৃত্যুর বিবরণ কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মীরাও। শরণার্থী শিবিরের আনাচে কানাচে এখন সন্তানশোক।



তেহেরান টাইমস এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইজরায়েলি হামলায় ১৫২০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি। এছাড়া প্রায় ১০ হাজার শিশু বিভিন্ন সময়ে ইজরায়েলি সৈন্যদের হাতে আটক হয়েছে । ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইজরায়েলের জেলখানায় বন্ধি অবস্থায় নির্যাতিত হচ্ছে ২ শতাধিক শিশু।



মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে উঠে আসা ফিলিস্থিনি শিশুদের রক্তে রাঙানো যন্ত্রণামাখা মুখগুলো দেখলে যেন ভেসে ওঠে আমারই সন্তানের প্রতিচ্ছবি। সেই মুখ আমাকে কতটুকু বিচলিত করতে পারে, তা কেবল আমি নই, বিশ্বের সকল পিতার উপলব্দি করা উচিৎ।

-------------------------------------------------------------------------

ছবি ও তথ্য সংগ্রহ: http://www.maannews.net/ENG/Default.aspx

Click This Link

http://www.anandabazar.com/international

Click This Link

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এত কিছুর পরেও আমরা ব্যাস্ত রয়েছি আমাদের ঈদ উদযাপন নিয়ে। কিছুই কি করার নেই আমাদের ?

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমরা আমাদের ঈদ উদযাপন নিয়ে রয়েছি নানা ব্যস্ততায়। অথচ প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণায় কাতর এবং আতংকিত গাজাবাসীর জন্য কিছুই যেন হচ্ছেনা করা।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.