নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর পর কি হবে আপনার ফেসবুক একাউন্ট

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

দিনে দিনে আপনার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠছে ফেসবুক। আপনার পছন্দ-অপছন্দ, ভাল লাগা, না লাগা, আপনার ধ্যান-ধারণা, পারিবারিক ছবি, বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন, আপনার সামাজিক অবস্থান, গ্রহনযোগ্যতা, আপনার চলমান জীবন-যাপনসহ খুটি-নাটি সবকিছু নিয়ে এক ধরণের মায়ার জগত তৈরি করেছে "ফেসবুক।"

কিন্তু আপনি যখন এই দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় নেবেন, কি হবে আপনার ফেসবুক একাউন্ট এর ভবিষ্যত?

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন নোটিশ না পেলে আপনি মারা যাওয়ার পরও সেটি সচল থাকবে একই নিয়মে। ফলে গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আপনার স্রেফ ফেসবুক ফ্রেন্ডদের অনেকেই হয়তো কোনদিন জানতে পারবেন না, আপনি মারা গেছেন। স্বাভাবিক নিয়মে আপনার ছবি ও নাম PEOPLE YOU MAY KNOW হিসাবে প্রদর্শিত হতে থাকবে আপনার মিউচ্যুয়্যাল ফ্রেন্ডদের ওয়ালে। ফলে আপনার ফেসবুক আইডি তে চেনা-অচেনা মানুষের (যদি তারা না জেনে থাকেন আপনি মারা গেছেন) ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট, "বার্থ ডে" উইশ, মেসেজসহ নানা ধরণের নোটিফিকেশন আসতেই থাকবে এবং তাদের অনেকেই জানবেন না যে তারা একজন মৃত মানুষকে ইনভাইট করছেন। লন্ডনের The Guardian পত্রিকা ৩০ অক্টোবর ২০১৪ What happens to your Facebook account when you die? শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চলতি বছরে প্রায় ৩ মিলিয়ন ফেসবুক ই্উজার মারা যাবেন। হিসাব অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৬০ হাজার করে ইউজার মারা যাচ্ছেন। পাঁচ বছর আগে চালানো জরিপের তথ্যর ভিত্তিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ “memorialise” নামে একটি ফিচার চালু করে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে।

তবে এই ফিচারের সুবিধা গ্রহন করতে হলে বা আপনি যে একজন মৃত মানুষ হয়ে গেছেন, সেটি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অবহিত করার কাজটির দায়িত্ব অবশ্য নিতে হবে আপনার পরিবারকেই। তবে পরিবার বা আত্নীয় স্বজন বাদেও আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড বা কলিগরা নিতে পারেন দায়িত্ব। সেক্ষত্রে আপনার মারা যাওয়ার খবরটির কোন নিউজ লিঙ্ক থাকলে তা সুনির্দিষ্ট ফর্মে পেস্ট করে দিতে হবে।



ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ফিচার সম্পর্কে গার্ডিয়ানকে দুটি পদ্ধতির কথা বলেছে। ধরুণ আপনার স্ত্রী, স্বামী, ভাই-বোন, বাবা-মা বা পরিবারের কাছের কেউ (যার ফেসবুক একাউন্ট আছে) মারা গেলে আপনি দুটি পদ্ধতিতে মৃত মানুষের ফেসবুক একাউন্ট ডিএকটিভ করতে পারেন। একটি হলো একাউন্ট ডিলিট করে দেয়া এবং অপরটি হলো Memorialization Request. তবে একাউন্ট ক্লোজ করে দেয়ার ক্ষেত্রে Facebook বলছে, "If you choose to delete the account, then all the comments, photos etc will also be deleted, unless you take legal steps to preserve them. This is a privacy issue. The application to obtain account content is a lengthy process and will require you to obtain a court order.”

এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হলে আপনাকে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। https://www.facebook.com/help/359046244166395/ এর চেয়ে অবশ্য memorialisation পদ্ধতিটি ভাল এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেটি যাচাই-বাছাই করে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবেন। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, If you choose memorialisation, Facebook changes a number of things:

• No one is allowed to log in to the account

• You can’t change, add to or delete existing content, which includes adding or removing friends

• Automated activities, such as daily quotes or horoscopes, are stopped

• Memorialised accounts don’t appear in “public spaces” such as birthday reminders, People You May Know, or searche

Memorialised accounts can only be accessed by the user’s confirmed friends

However, the original content stays in place. Also, Facebook adds, “depending on the privacy settings of the deceased person’s account, friends can share memories on the memorialised Timeline”.

বিষয়টি সম্পর্কে আরও পরিস্কার ধারণা পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুণ Click This Link এখানে আসার পর মৃত ব্যক্তিটির সম্পর্কে আপনার যেসকল তথ্য দিতে হবে, তা হলো

একাউন্টের পুরো নাম,

জন্ম-তারিখঃ যেটা প্রোফাইলে দেওয়া আছে,

প্রোফাইলটির ইমেইল এড্রেসঃ একাউন্ট তৈরির সময় যেটা ব্যবহার করা হয়েছে,

নেটওয়ার্কঃ যাতে তিনি সর্ম্পক্ত ছিলেন,

নির্বাচিত বাক্তির প্রোফাইল লিঙ্কঃ যেমন https://www.facebook.com/sumon.sujayet

তবে আপনি চাইলে কেবল ফেসবুক নয়, অনলাইনে থাকা আপনার সকল তথ্য-উপাত্ত উইল করে যেতে পারেন। আপনি যাকে সবকিছুর সত্ব দিতে চান, তার ইমেল আইডি http://passmywill.com কে জানিয়ে দিন। অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে দীর্ঘদিন আপনার সক্রিয়তা থেমে গেলে passmywill.com প্রথমে আপনার কাছে মেইল করে জানতে চায়বে আপনি বেঁচে আছেন কিনা, আপনি কোন রিপ্লাই না দিলে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করবে। এরপর আপনার উল্লেখ করে দেয়া মেইল আইডি অর্থাৎ যাকে আপনি আপনার সব তথ্য-উপাত্ত উইল করেছেন, তার মেইল ঠিকানায় passmywill কর্তৃপক্ষ আপনার সবকটি ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড উইল মেইল করে জানিয়ে দেবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

আরিনি বলেছেন: http://www.facebook.com/amargramamarshopno

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঘুরে এসেছি আপনার-আমার-আমাদের গ্রাম।

ধন্যবাদ। ভা্ল থাকবেন।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

খেলাঘর বলেছেন:


২ কাঁধের ২ ফেরেশতা ফেইসবুক থেকে cut & paste করছে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: দারুণ বলেছেন।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

রোহান খান বলেছেন: ভালোলাগলো

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগল ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ভাল লাগলো জেনে আমারও ভাল লাগলো।
ভাল থাকবেন।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

সামসুন নাহার বলেছেন: Valo.

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম ।

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

তাসজিদ বলেছেন: আমি অনেক মৃত মানুষের অ্যাকাউন্ট দেখেছি। কেমন যেন অদ্ভুত মনে হয়। খানিকটা ভয়ও লাগে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হুম, আমারও ফ্রেন্ড লিস্টে রয়েছেন এমন কয়েকজন মৃত মানুষ, যদিও সেই একাউন্ট গুলো নিস্কৃয়।

ভাল থাকবেন।

https://www.facebook.com/sumon.sujayet

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

হাসান নাঈম বলেছেন: ইয়াহু মেইলের মত একটা নির্দিস্ট সময় ধরে কোন এ্যাকটিভিটি না থাকলে সেই এ্যাকাউন্ট হাইড/ডি্লিট করার একটা ফিচার চালু করা যেতে পারে। তাহলে বিষয়টা আরো সহজ হত।

তবে চালু থাকলেও খুব একটা ক্ষতি নাই। আমি যতক্ষন আমার কোন বন্ধুর মৃত্যু সংবাদ না জানছি ততক্ষন সে আমার কাছে জীবিত - তাই না? মৃত মানুষগুলি কিছুদিন বন্ধুদের স্মৃতিতে জীবিত খাকলেই বা ক্ষতি কি?

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: কেমন ঘোর লাগানো লেখা, নিজের মৃত্যু চিন্তা করতে করতে পড়লাম।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হাই হাই কী বলেন! নিজের মৃত্যুর কথা ভেবেন না প্লিজ।
তবে এটি ঠিক, মৃত্যুর পর আমাদের ফেসবুকের ভবিষ্যত কি হবে, তা আগে ভাগে ভেবে রাখা উচিৎ।

মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

ব্লগার শান্ত বলেছেন: ধরুন আজ এই মূহুর্তে আমি মারা গেলাম?
তাহলে কি হবে এসবের?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: যতক্ষুণ জীবন,
ততক্ষণ সামাজিকতা।
_____________________________

মরবেন কেনো ভাই! বেঁচে থাকুন অনন্তকাল। বেঁচে থাকুক আপনার সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.