নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ প্রেম প্রকাশের লাগাম টানুন, উদ্ধার তৎপরতার সক্ষমতা বাড়ান

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

একবার-দু'বার নয়। বারবার প্রমান হয়েছে। অসংখ্যবার প্রমান হয়েছে। কিন্তু আমরা অক্ষমতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করিনা। আমরা দুর্ঘটনা কবলিত বিপদগ্রস্থ মানুষদের জীবন্ত উদ্ধারে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা ভাবিনা।

দুর্ঘটনা পরবর্তি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাই যে আমরা মোটেও পারদর্শী নই, তা কেবল রানাপ্লাজায় নয়, পদ্মার বুকে পিনাকী ০৬ লঞ্চ ডুবির ঘটনায় প্রমান হয়েছে। লঞ্চডুবি, আগুণ লাগা, ভুমিকম্প বা ভবনধস, রেলদুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ কোন বিপর্যয় বা দুর্ঘটনায় আমরা চালাতে পারিনা আশানুরুপ উদ্ধার তৎপরতা। কারণ আমাদের ফায়ার সার্ভিসকে যুগপোযোগী হিসাবে গড়ে তোলা হয়নি। অথচ দেশপ্রেম প্রকাশের নামে আমরা দেদারসে খরচ করে গেছি রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা। কেবল রাষ্ট্র নয়, বেসরকারি পর্যায়েও চলে দেশপ্রেম প্রকাশের প্রতিযোগিতা। চলে ৭১ এর চেতনাকে পুজিঁ করে এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী রাজনীতিকদের জমজমাট ব্যবসা।

ছোট্ট একটি উদাহরণ দেই। আমরা গ্রিনিজবুক অব রেকর্ড গড়তে সর্বোচ্চ মানবপতাকা বানিয়ে ছিলাম ১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ওই বছর সর্বাধিক কন্ঠে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশন করে আমরা ভেঙে ছিলাম ভারতের রেকর্ড। কিন্তু পরের বছর পাকিস্থান আমাদের মানবপতাকার সর্বোচ্চ রেকর্ড ভেঙে ফেলে। প্রশ্ন হলো এই দুটি রেকর্ড গড়তে কত টাকা খরচ করেছে রাষ্ট্র? এটি নিয়ে কোন তর্ক-বিতর্কে যেতে চাইনা। তবে সহজ কথা হলো, ভারত বা চীন যদি মনে করে মানব সম্পদ ব্যবহার করে যত ধরণের রেকর্ড গড়া যায়, তত ধরণের রেকর্ড তারা প্রতিদিনই করতে পারে। এটি নিয়ে আমরা যতই লাফালাফি করিনা কেনো, ওদের ওপরে রেকর্ড গড়া সম্ভব না। তাছাড়া সর্বোচ্চ মানবপতাকা বানালে বা সর্বাধিক কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কি প্রমান হবে আমরা দেশ প্রেমিক।

কেউ কি বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের নাম বলতে পারেন, যারা নিজের দেশকে ভালবাসেন তা বোঝাতে "গলাবাজি" করেন, নানা অানুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে তা প্রমানের চেষ্টা চালান। আমি নিশ্চিত, এ উদাহরণ কেবল বাংলাদেশে সম্ভব।

মূল প্রসঙ্গে আসি। শাহাজাহানপুরের জিহাদকে আমরা জীবিত উদ্ধার করতে পারলাম না। জনগণের ট্যাক্স ও ভ্যাটের টাকায় যাদের বেতন হয়, তারা পরিস্কার বলে দিলেন, সেখানে কোন শিশু নেই। ভাবতে অবাক লাগে একজন মন্ত্রী কিভাবে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন! তাঁর নিজের সন্তান ওই পাইপের মধ্যে আটকে থাকলে তিনি কি তা গুজব বলে চালাতে পারতেন?

বাস্তবতা হলো, আমাদের কাছে এমন কোন প্রযুক্তি নেই, যেটি ব্যবহার করে আমরা ঘটনাস্থলের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌছাতে পারি, তথ্য উপাত্ত পেতে পারি। অথবা বলা যায়, প্রযুক্তি থাকলেও ব্যবহার জানার মত দক্ষকর্মী বাহিনী নেই সরকারের। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২৬ ডিসেম্বর রাতে শুনলাম ফায়ার ব্রিগেডের পাঠানো জুস খেয়েছে শিশুটি। অথচ সকালে জানানো হলো ঘটনাটি গুজব!

এই গুজব যখন আকাশে-বাতাসে ঘুরছে, তখন নিজেদের জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে তৈরি করা খাচার সাহায্যে মৃত জিহাদকে উদ্ধার করলো কয়েকজন যুবক। এটি কি রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিদের জন্য চরম লজ্বা নয়!

স্পেক্ট্রাম ভবন ধস, রানা প্লাজা ধস এবং বিভিন্ন সময়ে নৌযান দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে অসংখ্যবার। আমার মত সবাই হয়তো ঘটনার পর দু-পাঁচ দিন আলোচনা করবেন, লেখালেখি করেবেন এবং একপর্যায় আমাদের এই অক্ষমতার বিষয়টি ভুলেও যাবেন।

আসুন আমরা দেশপ্রেম প্রকাশের নামে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা ব্যায় না করে উদ্ধার তৎপরতার সক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের ফায়ার ব্রিগেড বাহিনীকে দক্ষ করে তুলি। আমরা তো আমাদের দেশকে ভালবাসি। আমরা আমাদের ৭১ নিয়ে গর্ববোধ করি, যুদ্ধে নিহত-আহত সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা ভোরে লালন করি বুকের ভেতর। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক বা সন্দেহ প্রকাশের কিছু নেই। এই দেশে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের মঙ্গল চাই। কে মুক্তিযোদ্ধা, কে রাজাকার, কে আই এস এর চর, কে ভারতের দালাল, কে কার বিয়াই, এ নিয়ে বাকবিতন্ড ছাড়ুন, দেশপ্রেমের নামে উৎসব-আনন্দের বাজেট কমিয়ে ফেলুন। ফায়ার সার্ভিসকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঘুষখোর অশিক্ষিত অকর্মন্য লোভী অলস অদক্ষ লোক দিয়ে দক্ষ সার্ভিস পাওয়া যায়না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হুম! অকর্ম লোকগুলোই বললো, সেখানে জিহাদ নেই। গুজব!!!!!

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

বোকামানুষ বলেছেন: একদম মনের কথাগুলো বলেছেন

কবে যে আমরা বুজবো দেশপ্রেম রেকর্ড গড়ে বোজানো লাগে না দেশপ্রেম থাকলে দেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তখন এমনিতেই বোঝা যাবে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার কথায়।

ভাল থাকবেন।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

সুফিয়া বলেছেন: জনগণের ট্যাক্স ও ভ্যাটের টাকায় যাদের বেতন হয় তাদের পেছনে আর টাকা খরচ না করে সরকারের উচিত স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিকে আরও আধুনিকায়ন কিভাবে করা যায় তা নিয়ে ভাবা ।

ধন্যবাদ। লেখাটা ভাল লাগল।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আপনার প্রস্তাবনা সমর্থনযোগ্য।
এটাই করা উচিৎ।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০২

সুমন কর বলেছেন: বাস্তবতা হলো, আমাদের কাছে এমন কোন প্রযুক্তি নেই, যেটি ব্যবহার করে আমরা ঘটনাস্থলের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌছাতে পারি, তথ্য উপাত্ত পেতে পারি। অথবা বলা যায়, প্রযুক্তি থাকলেও ব্যবহার জানার মত দক্ষকর্মী বাহিনী নেই সরকারের। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২৬ ডিসেম্বর রাতে শুনলাম ফায়ার ব্রিগেডের পাঠানো জুস খেয়েছে শিশুটি। অথচ সকালে জানানো হলো ঘটনাটি গুজব!


চরম অপ্রিয় সত্য বলে ফেলেছেন।

৩+।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: হুম, চরম অপ্রিয় সত্যর মুখোমুখি বাংলাদেশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.