নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুজায়েত শামীম

শামীম সুজায়েত

ছাত্রজীবনে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি।শুরু করা শখের বসে। একসময় তা নেশা থেকে পেশা।ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে পছন্দের এ পেশায় কেটে গেলো অনেকটা সময়। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমা পড়েছে পেশাগত জীবনে চলার পথে পাওয়া নানা অসঙ্গতির চিত্র।এখন লেখালেখি করি নিজের আনন্দে, ক্লান্তিহীন ভাবে যা ভালো লাগে।আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি যশোর উপশহর আবাসিক এলাকায়। আমার শৈশব ও কলেজ জীবন কেটেছে এখানেই।জীবন জীবিকার তাগিদে এখন গঙ্গাবুড়ির আলোঝলমল শহরে্ কাটছে সারাবেলা। যোগাযোগ:ই মেইল : [email protected]হটলাইন : +ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumon.sujayet জন্মদিন : 02.02.1977

শামীম সুজায়েত › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশগুলো বাঙালির, বাংলায় কথা বলে, বাংলায় করে প্রতিবাদ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১২

ভয়াবহ বিষাক্ত এক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই দেখছি লাশ। পোড়া লাশ, গুলিবিদ্ধ ঝাজরা লাশ, কোপানো লাশ, ডুবন্ত লাশ, গলিত লাশ, বস্তাবন্দি লাশ!

লাশগুলো সব বাঙালির। বাংলায় কথা বলে। বাংলায় করে প্রতিবাদ। বাংলায় লেখে গান, গল্প-কবিতা, বাংলায় করে ধর্ম চর্চা, বাংলায় করে যুক্তি-তর্ক, বাংলায় দেয় মতামত।

লেখক, ব্লগার মুক্তচিন্তার মানুষ অভিজিৎ রায়কে চলে যেতে হলো অন্ধকারময় বাংলাদেশ ছেড়ে। ভাবতে কষ্ট হয়, ভয়ে কাঁপতে থাকে শরীর, একজন বাংলা ভাষাভাষি মানুষ, একজন ব্লগার, একজন লেখক যিনি তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা "বইমেলা প্রাঙ্গন" থেকে ফেরার পথে নিষ্ঠুর নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হলেন। ঠিক এমনই এক বই মেলা থেকে ফেরার পথে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রগতিশীল লেখক ও অধ্যাপক হুমায়ন আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।



আমরা কি প্রগতিশীল, সৃষ্টিশীল ও মুক্ত চিন্তার মানুষদের বাঁচতে দেবোনা?

ব্লগার অভিজিৎ রায়ের সাথে কখনও আলাপ-পরিচয়ের সুযোগ হয়নি। তবে অনিয়মিত হলেও মুক্তমনা ব্লগের একজন নীরব পাঠক আমি। তাঁর লেখালেখির ধরণ বিজ্ঞান ও প্রকৃতি হওয়ায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই ধর্ম, ভগবান বা সৃষ্টিকর্তা নিয়ে তিনি তাঁর ধ্যান-ধারণার প্রকাশ ঘটাতেন যুক্তিতর্কের আলোকে। জন্মগত সুত্রে পাওয়া তিনি তাঁর "হিন্দুত্ব" নিয়েও সমালোচনা করেছেন। অভিজিত তাঁর নিজের লেখায় বলেছেন, "রক্ত ছাড়া মুক্তি আসবেনা। চরম অন্ধকার ছাড়া আলো বোঝা যাবেনা।"

কিন্তু তাঁর ক্ষত-বিক্ষত কোপানো লাশ আর মিরপুরে পুলিশের সহায়তায় ঝাজরা হওয়া পরিবহন শ্রমিক সুমন দাস ও রবিনের গুলিবিদ্ধ লাশের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনা আমি। দুটি লাশের মৃত্যু যন্ত্রণায় তারতম্য থাকলেও চলমান সময়ে লাশের মিছিলে যোগ হওয়া মুখগুলো আমাদের রাজনীতির নিষ্ঠুরতার করুণ পরিণতি। ক্ষমতা আগলে রাখা কিংবা ক্ষমতাচ্যুত করার মিশনে তাই "আইটেম" হচ্ছেন কেবলই সাধারণ মানুষ, যারা খেটে খাওয়া বাঙালি, যাদের গাড়িতে কখনও উড়বেনা জাতীয় পতাকা, থাকবেনা পুলিশের নিরাপত্তা বলয়।

কেবল অভিজিত, বিশ্বজিত, রবিন বা সুমন নয়, কোন মানুষেরই পেটের চিন্তা, পরিবারের সুখ-দু:খ, অসহায়ত্বর কথা কখনও ভাববেনা রাষ্ট্র। বরং তাদেরই ট্যাক্স ও ভ্যাটের টাকায় আকাশে আকাশে, দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াবেন যারা, ভাল ভাল সুস্বাদু খাবারে যারা পেটভর্তি করে আসছেন বাংলাদেশ সৃষ্টিলগ্ন থেকে, তারাই আমাদের লাশের স্তুপ ডিঙিয়ে ক্ষমতাসীন হন, অথবা ক্ষমতা আগলে রাখতে চান জনগণের ভোটাধিকার ক্ষুন্ন করে।

অভিজিত নাস্তিক, না আস্তিক, সেটি বিবেচ্য নয়। তিনি আওয়ামী লীগ ঘেষা, নাকি বামপন্থি, নাকি ডানপন্থি, সেটিও কথা না। তিনি একজন লেখক। তিনি যুক্তির পথে হাটতেন। আমাদের নিষ্ঠুর রাজনীতি তাঁর পথচলা থামিয়ে দিলো।

আমরা যারা বাংলা ব্লগে লেখালেখি করি, তারা মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে নিরীহ মানুষ, যারা নিজের আনন্দে লেখালেখি করেন, নিজস্ব মতামত, ধ্যান ধারণা একে অন্যের সাথে শেয়ার করেন। রাস্ট্রর নিয়ম-নীতি বদলে দেয়া, মানচিত্র বদলে দেয়া কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করেননা ব্লগাররা। আমরা কারোর ধর্মচর্চায় বাধা দেইনা। বরং নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি, লেখাপড়া ও চিন্তাশক্তির সমন্বয়ে করি ব্লগিং, যা কখনও কখনও রাষ্ট্র, সমাজ ও ধর্মের দোষত্রুটি তুলে ধরে মাত্র।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চলেছেন নানা পেশা ও বয়সের মানুষ। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই অসংখ্য লেখা আসতে শুরু করেছে দেশের বাংলা ব্লগগুলোতে। সামু ব্লগের নির্বাচিত পাতায় উঠে আসা লেখাগুলোর একটিতে ব্লগার মঞ্জুর চৌধুরী আহারে মুসলমান! আহারে ইসলাম! আহারে শান্তির ধর্ম! শিরোনামের লেখায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমি বাজি ধরে বলতে পারি ঐ সময়ে রাস্তায় কমসেকম এক দেড়শ মানুষ ছিল। প্রত্যেকে একটা করে মোক্ষম কিল দিলেই ওরা ভর্তা হয়ে যাবার কথা। আমরা বীর বাঙ্গালিরা পাউরুটি চুরি করতে গিয়ে ধরা পরা পাঁচ বছরের শিশুটিকে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিতে পারি, কিন্তু এইসব জানোয়ারগুলিকে ঠিকই বীরদর্পে পালিয়ে যেতে দেই।

বাঙ্গালির বীরত্ব এখন ফেসবুক এবং টক শোতে নিন্দা জানানো পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এর বেশি আমাদের কোন দৌড় নেই।"


অপর একটি লেখায় ব্লগার গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন, সরকার-বিরোধী এই দুই শক্তির মধ্যে ছায়াযুদ্ধ যখন প্রকট, তখন তাতে নাস্তিক ইসু ঢালতে পারলে লাভ কতটুকু, তা জামাতি শক্তি ইতোমধ্যেই জানে। নব্বইয়ের দশকে যখনি জামাতি রাজাকারগুলোর জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার হয়েছিল, তখনি 'নাস্তিক' 'নাস্তিক' সোরগোল তুলে তসলিমাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে তসলিমাবিরোধী নাস্তিক বিরোধী আন্দোলন করে রাজাকার বিরোধী আন্দোলনকে মাটির সাথে সফলভাবে মিশিয়ে দেয়া গিয়েছিল।

ব্লগার অভিজিতকে নিয়ে অল্প কথায় নাস্তিকতা ও আস্তিকতার ইতিহাস তুলে ধরে একটি পোস্ট দিয়েছেন ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি ওই পোস্টে যথার্থ বলেছেন পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ দেয় মানুষের উপর জোড় করে আস্তিকতা কিংবা নাস্তিকতা চাপিয়ে দেওয়া হলে ফলাফল বিপরীত হয়

বাস্তবতা হলো, আমরা যাার ব্লগে লেখালেখি করি, সময় এসেছে সব মত, পথ ও বিশ্বাসের লেখকদের এক কাতারে সামিল হওয়ার। প্লিজ কোন ভেদাভেদ করবেননা। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা মন্তব্য করে বসি। তদন্ত ছাড়াই বলে দেই এটা অমুক গোষ্টির কাজ।

নাস্তিক হলে তাকে আস্তিকরা মারবেন,

মুক্তিযোদ্ধা হলে রাজাকাররা মারবে,

আওয়ামী লীগ হলে বিএনপি বা জামাত-শিবিররা মারবে,

মৌলবাদীরা মরলে নাস্তিকরা মারবে,

বিএনপি-জামাত মরলে পুলিশ মারবে,

- এমনই সব প্রচলিত ধ্যান ধারণা আমাদের চিন্তা-চেতনার জায়গায় পঁচন ধরাতে শুরু করেছে। দোষারোপের রাজনীতিতে জড়িয়ে আমরা কখনও প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করিনা। এতে বাস্তবিক অর্থে লাভ হয় ওই শ্রেণীর, যারা আস্তিক ও নাস্তিকতার দ্বন্দে কৌশলে হাসিল করে নেই নিজেদের স্বার্থ । লাভ হয় ওই শ্রেণীর, যারা কখনও চায়নি বাংলাদেশ নামে কোন রাস্ট্রের জন্ম হোক।

একটি গবেষণা হওয়া উচিৎ, একজন "নাস্তিক" তার লেখালেখির মধ্য দিয়ে কতজনকে তার দলে টানতে পারেন। আমার মনে হয় খুব বেশি পারা যায়না। তাহলে একজন নাস্তিককে হত্যা করে ধর্মের কি লাভ ? তেমনই ভাবে একজন ধর্মান্ধ, মৌলবাদী অশিক্ষিত মানুষের বুকে বুলেট বিদ্ধ করে কিলাভ, যদি তার অন্ধত্ব ঘোচাতে না পারি।

এমনই নানা অসঙ্গতির উত্তর খুঁজে বের করার পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে সজাগ থাকার প্রয়োজন রয়েছে। ব্লগাররা যেন এই নোংরা রাজনীতির প্রতিপক্ষ দমনের "ট্র্যামকার্ড" হিসাবে ব্যবহার না হন।

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। সহমত।

ধিক্কার জানাই আর ভাবি আমরা কোথায় বাস করি !!!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধিক্কার জানায় মৌলবাদ,
ধিক্কার জানায় বাকস্বাধীনতা হরণকারীদের,
ধিক্কার, ধিক্কার, ধিক্কার।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

রামন বলেছেন:
তেতুল হুজুর, বাবু নগরী আর জামাতির নেতারা এসব সিরিজ হত্যার পরিকল্পনাকারী। এর আগে তেতুল হুজুর/ বাবু নগরী প্রকাশ্যে ব্লগারদের নাস্তিক উপাধি দিয়ে তাদেরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাংলার মাটি থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত তেতুল হুজুর বাবু নগরীর মত হিংস্র উগ্রবাদ জনকদের সমূলে উত্পাটন না হবে ততদিন এদের হাতে একের পর এক মুক্তচিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবিরা লাশ হবে৷

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: তেতুল হুজুরকে আমার কেনো জানি "ধোড়া সাপ" বলে মনে হয়! লোকটা আপদমস্তক একজন অশিক্ষিত অন্ধকারের মানুষ। এরা হুদাই ব্লগারদের নিয়ে চিল্লায়।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

সাবরিন কল্পনা বলেছেন: এইসব লেখালেখি তে আমি ভয় পাই!
নীরবে প্রতিবাদ জানায়।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমরা সবাই সোচ্চার হলে থাকবেনা কোন ভয়!

ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

সেলু বলেছেন: ব্লগাররা যেন এই নোংরা রাজনীতির প্রতিপক্ষ দমনের "ট্র্যামকার্ড" হিসাবে ব্যবহার না হন।
সহমর্মিতা প্রকাশ করছি, উপরের উদ্বৃত্তি কাজ লাগবে বলে মনে হয়। গুনী ব্লগারের খুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: একটি সহজ কথা সকলের উপলব্দিতে আসা জরুরি।

একজন নাস্তিক বা অন্য ধর্মের কেউ ইসলাম বিরোধী আলাপ আলোচনা ব্লগে বা ইন্টারনেটে করলে কি সবাই তার অনুসারি হয়ে যাবে?

সবাই তার কথা মেনে নিয়ে নাস্তিক হয়ে যাবে?

ইসলাম ধর্ম কি ধ্বংস হয়ে যাবে?

নিশ্চয় না। তাছাড়া ইসলাম কি কখনও বলেছে, যেমানুষটি আল্লাহ বিশ্বাস করবেনা, তাকে হত্যা করো।

তেমনই ভাবে ধর্মান্ধদের গালাগাল করে, পিটিয়ে, নির্যাতন করে আমরা কি পারবো গোড়ামি দূর করে দিতে?
_________________________________________
কেবল ব্লগার নয়, লেখালেখি জগতের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত সকলের জীবন আজ ঝুঁকিমুক্ত নয়।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সুন্দরে বলেছেন । সহমত।

ধিক্কার জানাই এসব জানোয়ারদের।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধিক্কার জানাই এসব জানোয়ারদের।
সহমত।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: লাশগুলো মানুষের । যেকোন জীবন অতি মূল্যবান । মানুষকে আধার করেই ধর্ম, রাজনীতি তাই মানুষ ধংস করা নিষ্টুর বোকামী ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: শতভাগ সঠিক বলেছেন। প্রতিটি জীবনই মূল্যবান।

আজ দেশজুড়ে চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি।

যে ছেলেটিকে বিএনপি বা জামাত করার দায়ে পুলিশ ক্রসফায়ার দিচ্ছে, সেও তো এই বাংলাদেশের নাগরিক,
বাঙালি তার পরিচয়।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খুনটা কে করেছে , তা নিয়ে অনেকে অনেক রকম চুলচেরা বিশ্লেষণে যাবেন ।
কেউ কেউ ইসলামকে দুষবেন , কেউ নাস্তিকদের ।
আমি এত কিছু বুঝিনা । আমি বুঝি ব্লগার মুক্তচিন্তার মানুষ অভিজিৎ রায় খুন হয়েছেন ।
যারাই খুন করুক , এদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই ।
পাশাপাশি নাগরিকের জিবনের নিরাপত্তা বিধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই সরকার কিছুতেই এই খুনের দায় এড়াতে পারবেনা ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: দেশে চলমান পরিস্থিতি সহ্য করতে না পেরে ২০ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম:

"আমাকে চিড়িয়াখানায় রেখে এসো,
বাঘ-ভল্লুকের সাথে হোক বসবাস।
আমি তো মানুষ নই,
মানুষরুপি জন্তু-জানোয়ার।
আমি পুড়িয়ে মারি, কুপিয়ে মারি,
ঝাজরা করি মানুষের বুক,
আমি তো মানুষ নই,
মানুষ রুপি জন্তু-জানোয়ার।
________________________________________
কি ভয়াবহ এক নিষ্ঠুর জাতিতে যে আমরা পরিণত হয়েছি, তা বলার ভাষা নেই।

যাকে পছন্দ হচ্ছেনা, তাকে বাঁচতে দেয়া হচ্ছেনা বাংলাদেশে।
ক্রসফায়ার আর পুড়িয়ে মারা চলছে সমান তালে।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৪

রিফাত ২০১০ বলেছেন: যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন কারো বেডরুম পাহারা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব নয় , যে দেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সাগর রুনি হত্যার বিচার করার আশ্বাস দিয়ে দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করে ১১১৩ দিনেও খুনিদের গ্রেপ্তার না করে খুনিদের বাঁচানোর জন্য আবার সরকারী মন্ত্রী মখা আলমগীর সাগর রুনির চরিত্রের দিকে নোংরা ইঙ্গিত করে , সে দেশে বই মেলার মতো একটা জায়গায় এভাবে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়াই স্বাভাবিক।

শত শত পুলিশ র‍্যাব থাকার পরও কিভাবে এমন হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে এটাও কিন্তু ভেবে দেখতে।

দেশের প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশি চেক । এরকম অবস্থায় বই মেলার মতো একটি ক্রাউড জায়গায় হত্যাকাণ্ড কিভাবে সম্ভব !! ভেবে দেখতে হবে।

আমরা একটি সুস্থ সরকার ব্যবস্থা চাই। জনগণের জানমালের নিরপত্যা চাই।



রামন বলেছেন:

তেতুল হুজুর, বাবু নগরী আর জামাতির নেতারা এসব সিরিজ হত্যার পরিকল্পনাকারী। এর আগে তেতুল হুজুর/ বাবু নগরী প্রকাশ্যে ব্লগারদের নাস্তিক উপাধি দিয়ে তাদেরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাংলার মাটি থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত তেতুল হুজুর বাবু নগরীর মত হিংস্র উগ্রবাদ জনকদের সমূলে উত্পাটন না হবে ততদিন এদের হাতে একের পর এক মুক্তচিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবিরা লাশ হবে৷

প্রিয় ব্লগার রামন ,

আপনি একজন ভালো লাগার ব্লগার । যদি তেঁতুল হুজুর এ কাজ করে থাকে আপনার মতো আমিও নিন্দা জানাই কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। আশা করছি উত্তর দিবেন।

তেঁতুল হুজুর এ কাজ করেছে তার কি কোন প্রমাণ আপনার কাছে আছে। প্রমাণ থাকলে লিঙ্কটা দিবেন । আমি কয়েকজন হেফাজতি কে দেখাতে চাই।

যখন কোন মন্দির ভাঙ্গা হয় তখন সাথে সাথে তেঁতুল হুজুরদের দোষ দেন। পরে যখন প্রমাণিত হয় মন্দির ভাঙ্গতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার ! তখন আপনি চুপ থাকেন কেন ?

শহীদ মিনার ভাঙ্গতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ধরা খাওয়ার পর যখন তাকে পাগল বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তখন চুপ ছিলেন কেন ?

ছবির হাটের কথা কি মনে পড়ে ? সরকারের প্রতিবাদ করেছিলেন কি ?

পাবনার সিরিয়ার কথা কি মনে পড়ে। হিন্দু বাড়িতে আগুন দিয়ে লুট-পাট করার পর বলা হয়েছিলো এ কাজ মৌলবাদীদের । পরে যখন প্রমাণিত হলো ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ । তখন কি আপনি প্রতিবাদ করে ব্লগে পোস্ট দিয়েছিলেন ? কৈ আমার তো চোখে পড়েনি।

রামুর সংখ্যালঘুদের অমানবিক নির্যাতনের পর দোষ দেওয়া হয়েছিলো মৌলবাদীদের । পরে যখন প্রমাণিত হলো ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ তখন আপনি চুপ ছিলেন।

এরকম আরো কতো ঘটনা !প্রতিটি ঘটনা লিখতে গেলে একটি পোস্ট হয়ে যাবে।

সর্বশেষঃ দেশের জঙ্গি আছে এবং তা দমনের জন্য শেখ হাসিনার আরো ক্ষমতায় থাকা দরকার এটি আমেরিকা - জাতিসংঘের কাছে প্রমাণ করার জন্য সরকার নিজেই যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেনি তাই বা কি করে বুঝবো ?

আশা করি উত্তর দিবেন ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: পোস্টে মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

বাস্তবিক অর্থে কারোর বাড়ির বেডরুম পর্যন্ত পাহারা দেয়া দুস্কর। কথাটা ওভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী না বললেও পারতেন। যেমন বিএনপির সময় একজন স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, "আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে।"

কেউ যখন কোন দায়িত্বশীল পদে থাকেন, তাকে কথা বলতে হয় হিসাব করে। কিন্তু সেটা আমরা বুঝি ক'জন।

যাইহোক এটাও আমার আলোচনার বিষয় নয়। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সহবস্থান।

আমরা আর কোন ব্লগারকে খুন হতে দেখতে চাইনা।

ভাল থাকবেন।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৯

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: আমরা একত্রে প্রতিবাদ না করলে ওরা আরও সাহস পেয়ে যাবে। কেউ ওদের মতের অমিল হলেই তাকে নাস্তিক ইত্যাদি ট্যাগ মেরে হত্যা শুরু করবে। প্রতিবাদ হোক, সবাই জেগে উঠুক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমাদের সবাইকে করতে হবে প্রতিবাদ। উচ্চস্বরে, সবাইকে নিয়ে।

ভাল থাকবেন।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৫

মিতক্ষরা বলেছেন: "একজন নাস্তিককে হত্যা করে ধর্মের কি লাভ ? তেমনই ভাবে একজন ধর্মান্ধ, মৌলবাদী অশিক্ষিত মানুষের বুকে বুলেট বিদ্ধ করে কিলাভ, যদি তার অন্ধত্ব ঘোচাতে না পারি। "

প্রতিটি মৃত্যুই শোকের। প্রতিটি হত্যাকান্ডই নিন্দনীয়। অথচ বাস্তবে দেখা যায় এর বিপরীত। লগি বৈঠায় কয়েকজন শিবির হত্যার পরে কিছু মানুষ এই সামহোয়ার ব্লগেই কি উল্লাস দেখিয়েছিল!

কিছু মানুষ নামধারী তার বিপরীত বিশ্বাসের মানুষের জীবনের অধিকারকে স্বীকার করতে চায় না। এইসব হায়েনাদের বিরুদ্ধে শুভ বুদ্ধির মানুষদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: প্রতিটি মৃত্যুই শোকের। প্রতিটি হত্যাকান্ড নিন্দনীয়।

একটি মানুষ যখন মরে লাশ হয়ে যায়, তাকে সমালোচনার উর্দ্ধে রাখা অতি সাধারণ একটি ভদ্রতা। কেননা আমাদের সবাইকে মৃত্যু যন্ত্রণার স্পর্শ নিতে হবে।

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আর কত রক্ত চাই
************* পরিবেশ বন্ধু

আর কত লাছ পড়বে হায়নাদের খপ্পরে
আর কত রক্ত ঝরবে খুনিদের নখরে
হায় আজি কোথায় নিরাপত্তা
প্রকাশ্য চলে মানুষ হত্তা
আর মানবাধিকারের গাড়ে জ্বলে চিতা

এই করব সেই করব হুংকারে
কিছু লোক শ্রাব্য অশ্রাব্য গালি ছাড়ে
হায় আর হয়না কোন এর সমাধান
আর কতদিন চলবে এই প্রহসন ।

তোমরা হত্তা করছ জাতীর গর্ব আলোকিত মানুষ
যারা সত্য কথা অনায়াসে বলতে পারে
তোমরা হত্তা করছ জাতীর পথ প্রদর্শক কলম সৈনিকদের
যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য লিখতে পারে ।

অভিজিৎ রায় নিসংস খুন হয়
তেমনি শ্বাপদের আঘাতে খুন হয়েছিল হুমায়ুন আজাদ
আরও কত রক্তে ভাসবে বাংলার রাজপথ
তোমরা কারা এতসব মৃত্যুর মাঝেও চালাতে চাও ক্ষমতার রথ
আজ সময় এসেছে জাতীর সামনে দিতে হবে
এর চুরান্ত কৈফিয়ত ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: কঠিন বিদ্রোহী কবিতা হয়েছে।

মন্তব্যর পাতাটা যেন হয়ে গেলো শ্লোগান
" সময় এসেছে জাতীর সামনে দিতে হবে চূড়ান্ত কৈফয়ত।"

_____________________________
মন্তব্যর উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় দু:খিত।

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪২

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: ধর্মীয় উগ্রবাদীরা যদি চাপাতির পরিবর্তে কলম বা কিবোর্ড দিয়ে অভিজিৎ রায়ের সাথে লড়াই করত তবে হয়তবা একজন ধর্ম বিদ্বেষী এর ধর্ম প্রেমিক হবার সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারত। কিন্তু মূর্খরা হেঁটেছে ভুল পথে; তুলে নিয়েছে কলম ও কিবোর্ডের পরিবর্তে চাপাতি।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২

শামীম সুজায়েত বলেছেন:
এই ভুল পথে চলা যদি দীর্ঘ হতে থাকে, অভিজিতের মত অনেক প্রাণ হারাতে হবে আমাদের।

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "একটি গবেষণা হওয়া উচিৎ, একজন "নাস্তিক" তার লেখালেখির মধ্য দিয়ে কতজনকে তার দলে টানতে পারেন। আমার মনে হয় খুব বেশি পারা যায়না। তাহলে একজন নাস্তিককে হত্যা করে ধর্মের কি লাভ ? তেমনই ভাবে একজন ধর্মান্ধ, মৌলবাদী অশিক্ষিত মানুষের বুকে বুলেট বিদ্ধ করে কিলাভ, যদি তার অন্ধত্ব ঘোচাতে না পারি। "


দারুন একটা মন্তব্য করেছেন। আমিও আমার পোষ্টে এই কথাটাই লিখেছি।


"চরম উগ্রতা কোনদিনও কোন ক্ষেত্রে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। চরম আস্তিকের চাপাতির কোপের ভয়ে কোন নাস্তিকের মুখ বা কলম সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে হয়ত; কিন্তু সেই নাস্তিক ব্যক্তিটিকে আস্তিক বানানো সম্ভব হবে না। বিপরীতক্রমে, চরম নাস্তিকের ধর্ম নিয়ে খিস্তি-খেউর ও ফ্রি স্টাইল গালা-গালি শুনে কোন আস্তিকই তার ধর্ম বিশ্বাস ত্যাগ করবে না বলেই আমার বিশ্বাস। "

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: চরম উগ্রতা কোনদিনও কোন ক্ষেত্রে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। চরম আস্তিকের চাপাতির কোপের ভয়ে কোন নাস্তিকের মুখ বা কলম সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে হয়ত; কিন্তু সেই নাস্তিক ব্যক্তিটিকে আস্তিক বানানো সম্ভব হবে না। বিপরীতক্রমে, চরম নাস্তিকের ধর্ম নিয়ে খিস্তি-খেউর ও ফ্রি স্টাইল গালা-গালি শুনে কোন আস্তিকই তার ধর্ম বিশ্বাস ত্যাগ করবে না বলেই আমার বিশ্বাস। "



আমাদের ভেতরে রাজনীতি নিয়ে যত ভেদাভেদ থাকুক না কেনো,
নাস্তিকতা আর ধর্মান্ধতা নিয়ে ভেদাভেদা বা রক্তারক্তি সম্পর্ক সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। লেখালেখি জগতের প্রতিটি মানুষের উচিৎ হবে সব ধর্মের মানুষকে সম্মান করা।

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আমরা এখন বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের রক্তপানে ব্যস্ত। দায়িত্বশীল নেতা/নেত্রী থেকে বুদ্ধিজীবী বা দল উপদলের সমর্থক সবাই রয়েছে এর মধ্যে। যারা যে কোন ঘটনায় একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপিয়া সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় মগ্ন। প্রতিপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপানোর সাথে সাথে রয়েছে লাশের পরিচয় ও কর্মকান্ডের ভিত্তিতে কোন লাশে উল্লাস প্রকাশ কোন লাশে কান্না বিক্ষোভ। এভাবে চলছে উর্ধব্যক্তিরা আমাদের সেভাবে চালাতে চাচ্ছে আমরা চলছি দলবেঁধে আঁকাবাঁকা পথে রাজা মহারাজাদের দোলা কাঁধে নিয়ে।


অরণ্যে রোদন পোষ্টে একটা প্লাস দিলাম।

Any man's death diminishes me,
Because I am involved in mankind,
And therefore never send to know for whom the bell tolls
It tolls for thee.
.....John Donne

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, অরুণ্য রোদন!

ভাল থাকবেন।

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: এই দেশে সব চেয়ে কম দাম মানুষের ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: শতভাগ সত্য বলেছেন।
দাম নেই মানুষের।

১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রাজনীতি তথা ক্ষমতার স্বার্থে প্রয়োজন লাশ,তা যারই হোক না কেন?? তবে মনে হয় তার সুস্বাদু পরিচিত মানুষেরই।।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: লাশের রাজনীতি!

১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১১

মৌসুমী মালা বলেছেন: Khub khub koster ar parchina nite .amra alo haracchi dine
dine tar por je ondhokar asbe sekhan theko abar
aloy firte parbo mone hoyna. Parleo koto zug ....

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমরা আলো হারিয়ে অন্ধকারে ধাবিত হচ্ছি ক্রমান্নয়।

আলো আনতে ফিরতে হবে একই প্লাটফর্মে।

নিরাপদে থাকুন।

১৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৬

সোহেলী সুলতানা বলেছেন: "এমনই সব প্রচলিত ধ্যান ধারণা আমাদের চিন্তা-চেতনার জায়গায় পঁচন ধরাতে শুরু করেছে। দোষারোপের রাজনীতিতে জড়িয়ে আমরা কখনও প্রকৃত সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করিনা। এতে বাস্তবিক অর্থে লাভ হয় ওই শ্রেণীর, যারা আস্তিক ও নাস্তিকতার দ্বন্দে কৌশলে হাসিল করে নেই নিজেদের স্বার্থ "

"আরও একটি বিষয়ে সজাগ থাকার প্রয়োজন রয়েছে। ব্লগাররা যেন এই নোংরা রাজনীতির প্রতিপক্ষ দমনের "ট্র্যামকার্ড" হিসাবে ব্যবহার না হন।"
........ Agreed

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: Agreed, Agreed এবং Agreed

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২০

গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: "বাস্তবতা হলো, আমরা যাার ব্লগে লেখালেখি করি, সময় এসেছে সব মত, পথ ও বিশ্বাসের লেখকদের এক কাতারে সামিল হওয়ার। প্লিজ কোন ভেদাভেদ করবেননা।"

সম্পূর্ণ সহমত। দল, মত, বিশ্বাস দেখে পক্ষ নিতে নিতেই আজ এই অবস্থা। গন্ডায় গন্ডায় মানুষের (!) সামনে দিয়েই একজন আরেকজনকে খুন করে নির্বিঘ্নে চলে যায়। এখনো না-জাগলে এভাবে অপাঘাতে মৃত্যুই আমাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়াবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: দল, মত, বিশ্বাস দেখে পক্ষ নিতে নিতেই আজ এই অবস্থা। গন্ডায় গন্ডায় মানুষের (!) সামনে দিয়েই একজন আরেকজনকে খুন করে নির্বিঘ্নে চলে যায়। এখনো না-জাগলে এভাবে অপাঘাতে মৃত্যুই আমাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়াবে

Agreed

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৩

রামন বলেছেন:

সহ ব্লগার রিফাত ২০১০@
একটি প্রমানিত বিষয়কে কেন নতুন করে প্রমান করতে চাইছেন যা আমাকে ভাবাচ্ছে। আপনিতো একজন ইনফরমেটিভ ব্লগার। আপনার কি স্মরণ নেই হেফাজত কর্তৃক শাপলা চত্তর দখলের সেই দিনের কথা৷ আপনি কী ভুলে গেলেন তেতুল/ বাবুনগরীরা তখন জনসভা করে দেশের ব্লগারদের নাস্তিক / মুরদাদ ঘোষণা দিয়ে ফাসির দাবিতে সারা শহরে তান্ডব চালিয়েছিল। মূলত সেদিনের সেই বক্তৃতায় তারা পরোক্ষভাবে প্রতিভাবান ব্লগার / লেখকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল এবং তারই ধারাবাহিকতায় খুন হচ্ছে একের পর এক মেধাবী ব্লগার।
এটা আপনার কাছে অজানা নয় একটি প্রতিক্রিশীল গোষ্ঠী দীর্ঘদিন থেকে বাঙালি জাতিকে মেধা শুন্য করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। দেশের মেধাবী, সৃজনশীল ,প্রগতিশীল ব্যক্তিরা হচ্ছে এদের হাতের শিকার। স্বাধীনতা বিরোধীদের বীর্যে বানানো এই সমস্ত হিংস্র প্রতিক্রিশীলরা কখনও শিবির, হরকতুল জিহাদ , কখনও জে এম বি নামে আবির্ভাব হতে দেখেছি আমরা। আদতে এদের পশ্চাত দেশ একক.অর্থাৎ সেই জামাত-শিবির।

২১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মর্মভেদকারী লেখাটিকে দৃষ্টি আকর্ষণে এনে সামু আবারও প্রমাণ করলো যে, তারা শুধু সকল ব্লগারদের পক্ষে নন, তারা বাংলার পক্ষে, বাঙালির পক্ষে এবং সর্বোপরী বাংলাদেশের পক্ষে।


সংবিধান ভিন্নমতকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাই ভিন্নমতের সাথে আমি একমত না হলেও তার মত প্রকাশের অধিকারকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। মত প্রকাশের জন্য কারণে কাউকে যেন প্রাণ দিতে না হয়।




এবং অভিজিৎ হত্যার বিচার চাই, বাংলা ভাষার ব্লগার হিসেবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশি হিসেবে।


শামীম সুজায়েত, আপনার প্রতিটি কথার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ব্লগাররা যেন আবারও কারও ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহৃত না হয়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার লেখা আমার ভাল লাগে। আরও বেশি ভাল লাগে যখন আপনার মন্তব্য পাই।

দেশে অনেকগুলো ব্লগ চালু আছে। এরমধ্যে কয়েকটি ব্লগ আছে, যারা চরমভাবে পক্ষপাতদূষ্ট। যেমন "আমার ব্লগে" গিয়ে কোন ভাবেই আপনি আওয়ামী লীগ বা সরকারের সমালোচনা করতে পারবেননা। সেখানে আপনি "নাস্তিকতা" পোষণ করে বা:হা:বা: পাবেন। তেমনই ভাবে "নাস্তিকভুক্ত" না হলে আপনি মুক্তমনাতে চান্স পাবেননা।

সামুর ক্ষেত্রে আমার যেটা মনে হয়,

সামু সরাসরি "ধর্ম বিদ্ধেষ" প্রশ্রয় দেয়না।
সামু "মৌলবাদ" লালন করেনা।
সামু ব্লগারদের স্বার্থে থাকে আপোষহীন।

আপনি যথার্থ বলেছেন, মত প্রকাশের জন্য যেন কারোর জীবন দিতে না হয়।

ভাল থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন।

২২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

সরদার হারুন বলেছেন: আমার ধর্ম সম্মন্ধে সাধারণ ধারণা আছে ।আমি কোন ধর্ম্ই মতের মিল না হলে তাকে মেরে ফেলতে হবে এমন কথা নেই । হালে কিছু লোক যারা ধর্ম স্মন্ধে
সাধারণ ধারণার অধিকারী তারা সব জান্তা সেজে অন্যধর্মকে সহ্য করতে পারেনা। আমি যতদূর জানি অর্ধেক জানা চেয়ে না জানা উত্তম।

তাই আমি এ হেন হত্যার তি্ব্র নিন্দা করি ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: এ হত্যার তীব্র নিন্দা জানায়।

যেখানে জীব হত্যা মহা পাপ, সেখানে মানুষ হত্যা চলছে হরহামেশায়।

২৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:




অভিজিৎ রায়ের ব্যপারে আপনার ধারনাটুকু ব্যতীত সকল জায়গায় আমার সহমত। বিচার বহির্ভূত কোন হত্যাকেই একজন সুস্থ চিন্তার মানুষ হিসেবে আমি মানতে পারি না এবং মানা যায়ও না। অভিজিৎ মেধাবী মানুষ ছিলেন হয়ত আমার ভাবনা চিন্তার সাথে তার অমিল ছিলো। কোন উগ্রতাই আমার পছন্দ ছিলো না বলেই হয়ত তার সাথে আমার মিল ছিলো না। তাই বলে তার প্রতি আমার কোন ক্ষোভ ছিলো না। তার ভাবনা সে লিখতেই পারে আমার ভাবনা দিয়ে আমি তার ভাবনা ডিফেন্ড করতে পারি তাই বলে তাকে খুন করতে পারি না।


অভিজিৎ হত্যার বিচার চাই - একজন মানুষ এবং অবশ্যই একজন ব্লগার হিসেবে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই।

"তার ভাবনা সে লিখতেই পারে আমার ভাবনা দিয়ে আমি তার ভাবনা ডিফেন্ড করতে পারি তাই বলে তাকে খুন করতে পারি না।"

- আপনার এই্ ভাবনাটুকু আমাদের সবার উপলব্দিতে আসা উচিৎ।
অনেক চমৎকার বলেছেন।

অভিজিতের "ইসলাম বিদ্ধেষি মনোবৃত্তি" অংশটুকু বাদ দিয়েই লেখাটা শুরু করেছি তাকে স্রেফ একজন ব্লগার বা "ব্লগ উদ্যোগতা" মনে করে।

"নিকনেম" ব্যবহার করে বা ছদ্মবেশে নাস্তিকতার বিস্তার ঘটাতে কেউ কেউ ব্লগিং করেন। কিন্তু আমি একটি কথা দৃঢ়তার সাথে মানি, তা হলো ব্লগে লেখালেখি করে কেউ কোন ধর্মপ্রাণ মানুষকে (নট মৌলবাদী) নাস্তিক বা ধর্মহীন বানাতে পারবেনা।

আপনি আগের চেয়ে অনেক সুস্থ আছেন আশাকরি। আপনার হাসপাতালে থাকার দিনগুলোতে বিচলিত ছিলাম বেশ। ভাল থাকবেন।

২৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

শুভ্র বিকেল বলেছেন: ধিক্কার জানাই ঐসব নর পশুদের!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধিক্কার ধিক্কার এবং ধিক্কার।

২৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

সোজা কথা বলেছেন: হয়তো নতুন করে আস্তিক - নাস্তিক ইস্যুটি ভালভাবে তুলে দিতেই অভিজিৎ দার হত্যাকাণ্ড। আর, শেষ লাইনের সাথে সম্পূর্ণ সহমত প্রকাশ করলাম। ব্লগাররা যেন কোনভাবে ইউজও না হোন!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: There is lot of subject for writing. But why a person likes to write about Atheists?

Sorry to write in English. From the cell phone, it was not easy to me to write Bangla sahib

২৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কলমের উত্তর কলমেই দিতে হয়।

কোনো হত্যাই সমর্থনযোগ্য নয়। সকল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: কোন হত্যাই সমর্থনযোগ্য নয়,
সকল হত্যার বিচার হোক,
দোষিরা শাস্তি পাক।

ব্লগারদের জীবন-সংসার হয়ে উঠুক নিরাপদ।

২৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: সব যাবে নষ্টদের অধীকারে।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০২

শামীম সুজায়েত বলেছেন: Everything will be going the grip of wicked men

২৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আপনার লেখার সাথে সহমত।
আজ ধর্মান্ধতা আর সাম্প্রদায়িকতার নামে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মানুষ পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখেছে। আর আমাদের ক্ষমতাশীলদের উদাসীনতা তাদের পালে হাওয়া দিচ্ছে।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: যারা আজ অভিজিৎ কে হত্যা করলো, তারা কি জানেনা, পবিত্র কোরআনের ৪২:১৫ আয়াতের "সূরা আশ-শুরা" তে মহানবীকে উদ্দেশ্যে করে কি বলেছেন আল্লাহ।

সূরা আশ-শুরা'র অর্থ হলো :

সুতরাং আপনি এর প্রতিই দাওয়াত দিন এবং হুকুম অনুযায়ী অবিচল থাকুন; আপনি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না। বলুন, আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন, আমি তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমি তোমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করতে আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। আমাদের জন্যে আমাদের কর্ম এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কর্ম। আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সমবেত করবেন এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তণ হবে।
__________________________

ইসলাম ধর্ম কখনও বলেনি ইসলামের বিরোধতিা করলে হত্যা করো।

২৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৯

মাসূদ রানা বলেছেন: অভিজিৎ নি:সন্দেহে মুক্ত চিন্তা, যৌক্তিক-বৈজ্ঞানীক মতামতের মোড়কে বিপরীত চেতনায় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের সাথে অন্যায় করে এসেছে, যারা তার ব্লগগুলো পড়েছেন তারা নি:স্বন্দেহে আমার সাথে একমত হবেন ............. কেননা কোন মতবাদকে ত্রুটিপুর্ন মনে হলে সেই ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো নিয়ে মুক্ত আলোচনার অধিকার ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলেরই রয়েছে .............. কিন্তু কোন মতবাদ, বিশ্বাসের সাথে মিথ্যা অপবাদ জড়িয়ে হীন তৃপ্তি অর্জনের প্রয়াস অনাকাংখিত ................ তথাপি, তার এসব নীতি বিবর্জিত তৎপরতার বিপরীতে হত্যাকান্ড কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, বরংচ নিন্দনীয় ...........

যে ধর্মের দোহাই দিয়ে এই হত্যাকান্ড স্বয়ং সেই ধর্মেরই প্রানভ্রমরা আল-কোরানের দুটা আয়াত লক্ষ করুন::

Surah: সূরা আল আহযাব ( The Coalition )
Total verse: 73

(33:48)
আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট।

Surah: সূরা আন নিসা ( The Women )
Total verse: 176

(4:140)
আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।


আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইসলামকে যথাযথভাবে বোঝার তৌফিক দিন ...................।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক উপকারী একটা কমেন্ট করেছেন আপনি। আগামীতে কোন লেখায় রেফারেন্স হিসাবে "সুরা আল আহযাব" উল্লেখ করতে পারবো। অবশ্যই আগে ভাল ভাবে পড়ে বুঝে নিতে হবে আমাকে।

আপনার মন্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একমত।

আমরা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কথা বলি, কিন্তু "নাস্তিকতা" ও যে একধরণের সাম্প্রদায়িকতা, তা বলিনা কখনও।

তারপরও বলবো, গুটি কয়েক মানুষ যদি ইন্টারনেটে ভিন্নমত পোষণ করে, করুক তার মত, মেরে ফেলে দিতে হবে?

৩০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
কেবল অভিজিত, বিশ্বজিত, রবিন বা সুমন নয়, কোন মানুষেরই পেটের চিন্তা, পরিবারের সুখ-দু:খ, অসহায়ত্বর কথা কখনও ভাববেনা রাষ্ট্র।

অপরাধীদের দ্রুত সনাক্তকরণ এবং তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির জন্য রাষ্ট্রের কাছে জোরালো আবেদন জানাচ্ছি !


সহমত এবং ধন্যবাদ ভ্রাতা।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: রাষ্ট্রের কাছে জোর দাবি:
অপরাধীদের দ্রুত সনাক্তকরণ এবং তদন্ত সাপেক্ষে
দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি

৩১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আমার পথ চলা ১ বলেছেন: কোন হত্যাই সমর্থন যোগ্য নয়। সকল হত্যাকান্ডের যথাযথ বিচার দাবী করছি।
সকলের তরে আমার একটি অভিমত:-

আস্তিক বা নাস্তিক বর্তমান সময়ের একটি বড় আলোচনার উপাদান। এগুলো হল বিশ্বাসের ব্যাপার। যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে। এটাতে কোন সমস্যা বা সংঘাত নেই। তবে উগ্র নাস্তিকতাবাদ এবং উগ্র আস্তিকতাবাদ দুটোই খারাপ। সেটা পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই হোক না কেন। একটু জেনে রাখা ভাল, বিবর্তনবাদীদের একাংশের ধারনা মতে "যাদুবিদ্যা - ধর্ম - বিজ্ঞান" এভাবে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার বিবর্তন সাধিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে "যাদুবিদ্যা - ধর্ম - বিজ্ঞান" তিনটি বিষয়ই মানব সভ্যতায় স্ব স্ব মহিমায় বিদ্যমান (এটি বিবর্তনবাদের একটি বড় সমালোচনাও বটে)। বর্তমান পৃথিবীতে নাস্তিকদের চেয়ে আস্তিকদের সংখ্যাই বেশি।

আস্তিক হচ্ছে এক কথায় যারা সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মে বিশ্বাসী। যার যার বিশ্বাস অনুযায়ী আস্তিকরা ধর্ম কর্ম পালন করে। সেটা যে কোন ধর্মেই হতে পারে। তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হল উগ্র আস্তিকতাবাদ অর্থাৎ কেউ যখন জোর করে অন্যকে নিজের বিশ্বাসের দিকে প্রভাবিত করতে চায় বা অন্যের বিশ্বাসের প্রতি কটুক্তিমূলক আচরণ প্রদর্শন বা এগুলো কোন কিছুতেই কাজ না হলে ভিন্নমতাবলম্বীকে নিঃশেষ করে দেয়ার চেষ্টা করা। আর তখনই সংঘাত তৈরী হয়। যা কখনোই সমর্থনযোগ্য বা কাম্য নয়।

নাস্তিকরা সাধারনত কোন সৃষ্টিকর্তা বা ধর্মে বিশ্বাস করে না। তারা বস্তুবাদে বিশ্বাসী। তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হল উগ্র নাস্তিকতাবাদ অর্থাৎ তারা খুব ধূর্ততার সহিত তাদের কথায় বা আচরণে বা কলমের কালিতে উগ্র হিংস্রতার মাধ্যমে আস্তিকদের বিশ্বাসের উপর তথা সৃষ্টিকর্তা ও ধর্ম নিয়ে কটুক্তি ও আজেবাজে মন্তব্য করে। তাদের এই কর্মকান্ড উগ্র আস্তিকতাবাদকে উষ্কে দেয় বা উগ্র নাস্তিকতাবাদীরা উগ্র আস্তিকতাবাদীদেরকে তাদের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়। আর তখনই সংঘাত তৈরী হয়। যা কখনোই সমর্থনযোগ্য বা কাম্য নয়।

এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে ধৈর্য্যশীল, সহমর্মী হতে হবে। নিজেদের কথাবার্তা আচার আচরনে অন্যকে আঘাত করা বা অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করা হতে বিরত থাকতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে "ভাল - মন্দ" এই দুটি শব্দ আপেক্ষিক ব্যাপার। তাই একজনের কাছে যেটা ভাল, অন্যজনের কাছে সেটা হয়ত খারাপ। তাই যার যার বিশ্বাস নিয়ে সে সে জীবন পরিচালনা করবেন। কেউ কাউকে জোর করে নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না, বা অন্যের বিশ্বাসকে নিয়ে কটুক্তি করবেন না।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: নিজেদের কথাবার্তা আচার আচরনে অন্যকে আঘাত করা বা অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করা হতে বিরত থাকতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে "ভাল - মন্দ" এই দুটি শব্দ আপেক্ষিক ব্যাপার। তাই একজনের কাছে যেটা ভাল, অন্যজনের কাছে সেটা হয়ত খারাপ। তাই যার যার বিশ্বাস নিয়ে সে সে জীবন পরিচালনা করবেন। কেউ কাউকে জোর করে নিজের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না, বা অন্যের বিশ্বাসকে নিয়ে কটুক্তি করবেন না।

এই উপলব্দিবোধ জাগিয়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব।

ভাল থাকবেন।

৩২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১

তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: কিন্তু তাঁর ক্ষত-বিক্ষত কোপানো লাশ আর মিরপুরে পুলিশের সহায়তায় ঝাজরা হওয়া পরিবহন শ্রমিক সুমন দাস ও রবিনের গুলিবিদ্ধ লাশের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনা আমি।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: বাস্তবিক অর্থে, বিবেক দিয়ে আমরা যদি চিন্তা করি, লাশ দুটির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

সুমন দাস, রবিন ও অভিজিৎ হত্যাকান্ড আমাদের দেশের দুই প্রান্তের দুই অন্ধর নিষ্ঠুরতার বর্হিপ্রকাশ। একটি পক্ষ ক্ষমতার জন্য অন্ধ, অপর পক্ষটি ধর্মে অন্ধ।

৩৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

থার্ড পার্সন প্লুরাল বলেছেন: ধিক্কার জানাই ঐসব জানোয়ারদের ।

রুখে দাঁড়াবার সময় এসেছে আমাদের ।আর কত হারাবো গুনী মানুষ ?আমরা কি সেচ্চার হবো না ?

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধিক্কার!

৩৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:২৬

রাফা বলেছেন: ষ্টিকি পোষ্টের শিরোণাম ভুল হলে দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে।বাঙালী বানানটা ঠিক করে দিন ।

আমরা নিজেরাই উপলব্দি করতে পারছিনা যে আমরা মানুষ।আমরা বিপদে পাশে দাড়াতে ভুলে গেছি।আমাদের যে অবক্ষয় তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো কিনা জানিনা।এরপর হয়তো আমি বা আপনিও হোতে পারেন একই অস্রের স্বিকার।আততায়ী আমাদের চারিদিকেই ওত পেতে আছে।এদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ না হোতে পারলে আমি কোন আশা দেখছিনা।এই মৃত্যুর মিছিল মনে হয় আরো অনেক বড় হবে।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমারও তাই ধারণা, মৃত্যুর মিছিল আরও বড় হতে থাকবে।

ও, স্টিকি পোস্টে "বাঙালি" বানান ঠিক আছে ভাই। বাংলা বানানের ক্ষেত্রে এখন "ি" এবং "ী" নিয়ে ক্যাচাল কমে গেছে।

আপনাকে উইকিপিডিয়া, প্রথম আলো পত্রিকায় আবুল মকসুদের "বাঙালি প্রজম্ম থেকে প্রজম্ম" এবং যুগান্তর পত্রিকায় রাহাত খানের "একুশে বাঙালি জাতিকে দিয়েছে দিশা" শিরোনামের লেখায়, দেখুন ওরা "বাঙালি" বানান এটাই লিখেছে। রেফারেন্স লিঙ্ক দিলাম।

লিঙ্ক

http://bn.wikipedia.org/wiki/বাঙালি_জাতি

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/422317/বাঙালি-প্রজন্ম-থেকে-প্রজন্মে

http://www.jugantor.com/first-page/2015/02/09/217837

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই যেকোন ভুল-ভ্রান্তি বিশেষ করে বানান ভুল হলে তা সংশোধন করে দেয়ার পরামর্শ একজন ব্লগার হিসাবে সবসময় প্রত্যাশা করি।

৩৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩৮

আবির\'দা বলেছেন: তার এই মহৎ কর্মের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি!
১) “মুহাম্মদের যতই বুদ্ধি আর সাহস থাকুক না কেন, আজকের যুগে তার জন্ম হলে তিনি একজন বিন লাদেন, হিটলার বা বড়জোর একজন চেঙ্গিস খান হতে পারতেন, নবী হতে পারতেন না।” (http://goo.gl/uZL7Uu)
২) "মুহাম্মদের ইসলাম অমুসলিমদের রক্ত পান করে বড় হয়েছিল, মুহাম্মদের মৃত্যুর পর থেকেই নিজেদের রক্ত মাংশ খেয়ে আজ পর্যন্ত বেঁচে আছে।" (http://goo.gl/w4tLWF)
৩) "রেইপিষ্ট পাকিস্তানী আর আল্লাহর মধ্যে পার্থক্য কতটুকু? এই আল্লাহর পুজো মানুষে করে?" (http://goo.gl/7tNr3l)
৪) "মোল্লা ব্যাটা যখন শিশুটিকে ধর্ষণ করছিল আল্লাহ তখন হাসছিলেন, না কাঁদছিলেন? … শিশুটির যদি একটা কুত্তা থাকতো, সেই কুত্তার সামনে মোল্লার বাবারও ক্ষমতা হতোনা শিশুটিকে রেইপ করে। একটা নিরপরাধ, অসহায় শিশুকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে আল্লাহর কি একটা কুত্তার শক্তিও নাই?" (http://goo.gl/vZNdo4)
৫) "কোরান হলো নাটকের পান্ডুলিপি, তা’ও ৭৫ভাগ অন্যান্য বই থেকে নকল করা। মুহাম্মদ তার পারিবারিক ঝগড়া-ঝাটি আর ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে যে সকল আয়াত কোরানে যে ভাবে লিখেছেন, সেখান থেকে আসল ঘটনা উদ্ধার করা কঠিন।(http://goo.gl/z8kNkh)

৩৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:২১

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন । আপনার সাথে সহমত শামীম ।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভ হোক সবার পথচলা।

৩৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিষয়টা অপ্রাসঙ্গিক, এবং এখানে ততটা গুরুত্বপূর্ণও না। তবু একটা কমেন্টে এটা উঠে এসেছে বলে একটু আলোকপাত করতে ইচ্ছে হলো।

বানানের ব্যাপারে কোনো পত্রিকা, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ না করে 'বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম'-এর উল্লেখ করাই শ্রেয় বলে মনে করি।

প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ

এখন থেকে বাংলা একাডেমী তার সকল কাজে, তার বই ও পত্র–পত্রিকায় এই বানান ব্যবহার করবে। ভাষা ও সাহিত্যের জাতীয় প্রতিষ্ঠানরূপ বাংলা একাডেমী সংশ্লিষ্ট সকলকে– লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বিশেষভাবে সংবাদপত্রগুলিকে– সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে এই বানান ব্যবহারের সুপারিশ ও অনুরোধ করছে।

নিয়মটা জানা থাকলে সরাসরি শুদ্ধাশুদ্ধ'র ব্যাপারে মতামত দেয়া যায়। কোনো লেখক বা পত্রিকা বা ইন্টারনেট ভুল করেও, কিংবা অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দের বানানে ভুল করে থাকতে পারেন। এজন্য নিয়মটা জানা দরকার।

বাংলা বানানের জন্য 'বাংলা একাডেমী বাংলা বানান-অভিধান' বইটা অনেক উপকারী। রেফারেন্স হিসাবে এ বইটার উল্লেখই বুদ্ধিমানের কাজ :)

****

'বাঙালি/বাঙালী' শব্দের বানানের ব্যাপারে নিয়মটা দেখুনঃ

২.০১ ই ঈ উ ঊ

সকল অ-তত্সম অর্থাত তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার উ-কার ব্যবহৃত হবে। এমনকি স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যেমন গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), শাড়ি, তরকারি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, বাঙালি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, সরকারি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বে-আইনি, ছড়ি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, মামি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, ছুঁড়ি, নিচ, নিচু, ইমান, চুন, পুব, ভুখা, মুলা, পুজো, উনিশ, উনচল্লিশ।

অনুরূপভাবে- আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন : খেয়ালি, বর্ণালি, মিতালি, সোনালি, হেঁয়ালি।



***

এ ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিংকঃ

বাংলা বানান প্রমিতীকরণের ইতিহাস


বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম

০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

শামীম সুজায়েত বলেছেন: Onek upokari comt and link dichen. English word die a Bangla likhte kharap lagche, kintu kritoggota prokash er jonno likhlam DEAR DHULO BALI CHAI

৩৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০০

প্রবাসী১২ বলেছেন: সামু কি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে? আপনার সাহসী শুদ্ধ লেখাটিতো সামুতেতো ট্যাগ পাওয়ার উপযোগী হওয়ার কথা নয়?

আমরা পঁচে গেছি। সবদিকে এখন শুধু দুর্গন্ধ। এখানে এখন আর কেউ মানুষ নয়। হয় এ' দল, না হয় ঐ দল। যাদের মন্ত্র হয় তুমি, না হয় আমি। আমি তুমি নেই, তুমি আমি নেই। সবাই এখন উগ্রবাদী, সর্বহারা। খতম করে করে বাঁচো, ক্ষমা করে নয়, দমন করে বাঁচো, দয়া করে নয়; এ-ই এখন মন্ত্র।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় বদলাতে হবে অনেক কিছু।
ভাল থাকবেন।

৩৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১১

সোহানী বলেছেন: আচ্ছা একটা কথা বলেন, ক'জন মানুষ অভিজিৎ কে চিনতো বা তাঁর চিন্তা চেতনার সাথে যুক্ত ছিল বা তাঁর অনুসারী ছিল বা ক'জন তার লিখা পড়েছিল !!!! এবং তাঁকে মেরে ফেলার পর তাঁর লিখা ক'জন পড়েছে বা পড়ার আগ্রহ দেখিয়েছে, ক'জন তাঁর ভাবনাকে আবার নুতন করে ভাবছে ... উত্তরটা কিন্তু সহজ... হিসাবটা ও সহজ।

লিখায় সহমত ও ++++++

০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: Thanks

৪০| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

ব্রিক্সশাওন বলেছেন: আবির'দা কিন্তু আসলে উগ্রপন্থী একজন লোক একটু খেয়াল করে দেখুন তিনি যে সব উনার নিজের মনগড়া লিঙ্কগুলো দিয়েছেন এসব উস্কানির জন্য তার বিচার হয়ে যেতো অন্য কোন দেশ হলে কারণ তিনি নাম্তিক হন আর যাই হন কেউ কিন্তু তার বিশ্বাসের প্রতি আঘাত হানছেন না কিন্তু তিনি অন্যের ধর্মানুভুতির প্রতি আঘাত হানছেন। আমার কথা হলো তুমি চান্দু নাস্তিক হও আর যাই হও সেটা তোমার ব্যক্তিগন ব্যাপার
কিন্তু তোদের অন্যর ধর্মানুভূতির প্রতি আঘাত করার অধিকার কে দিয়েছে।
একেই বলে ওভার স্মার্ট। এর প্রকৃত অর্থে যানে না আস্তিকতা কি কিংবা নাস্তিকতা কি!এদের জন্যই সমাজে বির্শঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃত অর্থে এরা সমাজের কীট। এরা কখনো মায়ানমারে কিংবা ফিলিস্থিনে যে মুসলিম শিশুটি ধর্ষিত হেলো তার প্রতিবাদ করে না। এরা কখনো সিমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদ করে না কারণ এরা প্রকৃত রাজাকার।

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪১

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমারও সেটি বুঝতে কষ্ট হয়। পৃথিবীতে লেখার বিষয়ের তো অভাব নেই। "মুক্তমনা" বলতে কি কারোর "ধর্মে" আঘাত করা ?

৪১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: একজন "নাস্তিক" তার লেখালেখির মধ্য দিয়ে কতজনকে তার দলে টানতে পারেন। আমার মনে হয় খুব বেশি পারা যায়না। তাহলে একজন নাস্তিককে হত্যা করে ধর্মের কি লাভ ? তেমনই ভাবে একজন ধর্মান্ধ, মৌলবাদী অশিক্ষিত মানুষের বুকে বুলেট বিদ্ধ করে কিলাভ, যদি তার অন্ধত্ব ঘোচাতে না পারি।

সহমত!!



"আমি বাজি ধরে বলতে পারি ঐ সময়ে রাস্তায় কমসেকম এক দেড়শ মানুষ ছিল। প্রত্যেকে একটা করে মোক্ষম কিল দিলেই ওরা ভর্তা হয়ে যাবার কথা। আমরা বীর বাঙ্গালিরা পাউরুটি চুরি করতে গিয়ে ধরা পরা পাঁচ বছরের শিশুটিকে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিতে পারি, কিন্তু এইসব জানোয়ারগুলিকে ঠিকই বীরদর্পে পালিয়ে যেতে দেই।
বাঙ্গালির বীরত্ব এখন ফেসবুক এবং টক শোতে নিন্দা জানানো পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এর বেশি আমাদের কোন দৌড় নেই।"

বাঙালীর দৌড় এদ্দূর ই। এতটুকুই বা কয়জন সৎ হয়ে করে!!!

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

শামীম সুজায়েত বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার সহমতের অভিপ্রকাশ ।

আমরা মানবতার পক্ষে,
আমরা সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আমরা চাই লেখার স্বাধীনতা।

৪২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

বিদগ্ধ বলেছেন: আপনার লেখার সাথে সর্বান্তকরণে একাত্মতা প্রকাশ করছি। অভিজিৎ হত্যার সুষ্ঠু অনুসন্ধান-পূর্বক বিচার চাই।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: একাত্মতা প্রকাশ

৪৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

অেসন বলেছেন: আপনি অভিজিত এর মতামতকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করুন, পাল্টা যুক্তি দিয়ে তার যুক্তিকে অসাড় প্রমানিত করুন।
কিন্তু হত্যা করার অধিকার কি ধর্ম দিয়েছে না রাষ্ট্র দিয়েছে?
আমি অভিজিত এর একমত না হলেও তার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি।
আপনার সাথে সহমত।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

শামীম সুজায়েত বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
সকল মানুষের উপলব্দিবোধ জাগ্রত করা জরুরি।

৪৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: অভিজিৎ কি বলল বা কি করল বা কি লেখলো তাতে ধর্মের কিছু যায় আসে না; কিন্তু যারা একারণে অভিজিৎকে হত্যা করলো তারা কিন্তু ঠিকই ধর্মকে হত্যা করলো!!!

এদেশে এসব হত্যাকান্ডের বিচার কখনই হবে না; কারণ সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় চেতনা- এসকল কিছুই এখানে ব্যবসায় উপাদান যা রাজনৈতিকভাবে বহুল ব্যবহৃত!

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: রাজনৈতিকভাবে বহুল ব্যবহৃত! তবুও চালিয়ে যেতে হবে চেষ্টা।

৪৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

নবীউল করিম বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যখন বুয়েটের মূর্খ শিক্ষকটা হালকা-পাতলা গালমন্দ করসিল সেটা "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" হয় নাই। কাজেই তার উচিৎ বিচার হৈসে। বিনা বাতচিতে সাত বছরের জেল।

কে বা কাহারে অনলাইনে নাকি অফলাইনে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র বানাইসিল। যে বানাইসিল হালায় ফোনফ্যাক্সের দোকানে চাকরি করত। অনতিবিলম্বে হালারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হইল।

বঙ্গবন্ধুর ব্যাঙ্গচিত্র বানানোর ক্ষেত্রেও সেটা কিন্তু "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" হয় নাই, "অবমাননা" হৈসে।

তারেক জিয়াও নাকি লণ্ডনে বসে কিয়ৎ দিবস পূর্বে পুনঃরায় জাতির পিতাকে অবমাননা করে কি জানি কি একটা বলার স্পর্ধা করল। সঙ্গে সঙ্গে বাঙলার বুকে সমাবেশ করার অধিকারটাও হারাইল হইল বি.এন.পি। এখানেও তারেক জিয়ার বক্তব্যে "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" নামক সাবজেক্টটা তেল আনতে গেসিল।

সব স্বাধীনতাগুলো আসে কোথায় জানেন? - ইসলামের ব্যাপারে গুঁতানোর ক্ষেত্রে।

শার্লি এব্দো?- ইঁনি বেজায় ভালমানুষ। আহাহা... বেচারাটা কিইবা কর্সিল। নবীর ব্যাঙ্গচিত্রই তো বানাইসিল! তাই বলে জঙ্গীরা কি এক্কেবারে মেরেই ফেলবে!! "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" নাই বুঝি?

থাবা বাবা?
- ভগবান উঁহাকে স্বর্গ নসীব করুক। কতই না সুইট একটা আদমি ছিল! গায়ের রঙ এক্কেবারে চকলেট কালার। কিইবা অপরাধ কর্সিল? হাদিস গ্রন্থকে "নুরানী চাপা সমগ্র" নামে সংকলিত করে নবীজির(সঃ) নামে সামান্য কিছু অশ্লীল চটিই না লিখেছিল! তাই বলে এত কিউট একটা মুক্তিসেনাকে শহীদ(!) করেই দিতে হবে? "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" বলে কিছু আছে নাকি নাই?

অভিজিৎ রায়?
- দুজ্ঞা দুজ্ঞা! বেচারা তো অন্য লেভেলের পরহেজগার ছিল। জঙ্গীরা অযথাই তাকে হত্যা করল। সে তো বইমেলায় জায়নামায আর তছবীর স্টল দিতে গেসিল।
কি আর এমন অপরাধ কর্সে? ইসলামকে বানোয়াট ধর্ম বলসে, নাস্তিকদের ইসলাম নিয়ে গালাগালির প্ল্যাটফর্ম "মুক্তমনা" ব্লগ সাইট বানাইসে আর মাঝেমধ্যে উম্মুল মুমেনিনগণের চরিত্র নিয়ে একটু-আধটু মিথ্যাচারই বা কর্সে।
তাই বলে এক্কেবারে 'হত্যা'? "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" বলে কিছু আছে কিনা কলিযুগে?

এই হোচ্ছে আজকালকার মডারেট মুসলিম(!)-দের ধর্মপ্রেম। সকল "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" গজায় যখন মিথ্যাচারগুলো ইসলাম নিয়ে হয়।

ধোনের আগা কাটলেই মুসলিম হওয়া যায় না। খাসি ছাগলেরও আগা কাটা থাকে।
লেখেছেন : @Mahi Al Jawad

৪৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

কোবির বলেছেন: অযুত পরিমাণ ধিক্কার রইল

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধিক্কার রইলো।

৪৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধিক্কার

৪৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখা হচ্ছে না অনেকদিন আগের মত।
কেবল পড়ছি, আপনারা যা লিখে চলেছেন।
ভাল থাকবেন।

৪৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১

গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো আছেন ভাই?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আছি । চলছে। ভাল থাকবেন।

৫০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন

৫১| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৩৩

সালমান মাহফুজ বলেছেন: আপনার ওয়ালে এসে শিরোনামটা দেখে পড়তে ঢুকলাম ।

চমৎকারভাবে সময়টাকে অংকন করলেন । মানবিকবোধসম্পন্ন মানুষদের নাড়া দেবার মত ।

কিন্তু দুঃখের বিষয়, সময়টা পাল্টায় নি । এখনো শুধু লাশ গুনছি আর মৌনতাযাপনে আরো মৌন হচ্ছি ।

অভিনন্দন এমন একটি পোস্ট পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:২৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: ব্লগে আসা হয়না আগের মত । অনেকদিন পর এসে মনটা শুধু ভাল হয়ে গেলো তা নয়, একই সাথে লেখা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহবোধ করলাম আপনার চমৎকার মন্তব্যে। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.