নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[কারো সমালোচনা করো না, তাহলে নিজেও সমালোচিত হবে না]

Sujon Mahmud

কারো যদি গোপন সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে, তাহলে সেটা থাকে তার অন্যের কথার দৃষ্টাকোণ আর নিজের দৃষ্টি কোণ বুঝে নেওয়ার মধ্যে।।

Sujon Mahmud › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোয়েনসিডেন্স

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬


মোড়ের মাথায় উত্সুক হয়ে
দাঁড়িয়ে আছে আরাফাত ও
সৌরভ।বন্ধু হিরণের জন্য
অপেক্ষা করছে তারা।
নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে
গেছে অনেক্ষন আগেই।কিন্তু
হিরণের কোন দেখা নেই।
ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও কিছুক্ষন কেটে
যাওয়ার পর হন্ত-দন্ত হয়ে
হিরণকে আসতে দেখা গেল।
মুখে লেগে আছে বিজয়ীর
হাসি।
-সব খোঁজ খবর নিয়ে
ফেলেছি।,গর্বের সুরে বলে
উঠল সে।,তোরা কি
ভেবেছিলি,আমি পারব না?
আরে ফেলুদা নামটা তো আর
আমার এমনি এমনি হয়নি।
-হ্যা,হ্যা,বার বার অঙ্কে
ফেল করার জন্য হয়েছে।,বলে
উঠল সৌরভ।কন্ঠে স্পষ্ঠ
বিদ্রুপ।
বিরক্ত মুখে সৌরভের দিকে
তাকাল হিরণ।,ভুলে যাস না
আমি হলাম অঙ্কের সমুদ্র।
যার কোন তল নেই।অঙ্ক
ব্যাটার কপাল খারাপ।তাই
আমাকে বুঝল না।
-কি খবর যোগাড়
করলি?,উত্তেজনা নেচে
উঠে আরাফাতের চোখে।
এসব আজে-বাজে কথা
শোনার মত সময় তার হাতে
নেই।
-মেয়েটির নাম প্রভা।,কোন
ধরনের ভূমিকা ছাড়াই
বলতে থাকে হিরণ।,মারুফা
আফরিন প্রভা।সবেমাত্র
কলেজ চত্বর ডিঙিয়ে
ইউনিভার্সিটিতে ঢুকেছে।
বি.বি.এ. ফাস্ট ইয়ার।,এতটুকু
বলেই থেমে যায় সে।
-এ আর নতুন কি খবর
হলো?,তাচ্ছিল্য ঝরে পড়ে
সৌরভের কন্ঠে।,এগুলো তো
সবই আমাদের জানা।
-হ্যা তা ঠিক।তবে যেগুলো
জানিস না সেগুলো
হলো,মেয়েটার মা-বাবা
কেউ নেই।অনেক ছোটবেলায়
একটা রোড অ্যাকসিডেন্টে..
....,বাক্যটা পুরোপুরি শেষ
করল না হিরণ।অপূর্ণ বাক্যটা
বিষাদের জলো হাওয়ায়
নিজেই নিজেকে পূর্ণ করে
নেয়।,মামার বাসায়
মানুষ।,কিছুক্ষন চুপ করে
থেকে নিজের কথার খেই
ধরে সে।,মামা-রা বোধ হয়
খুব একটা সুবিধার লোক না।
আমার অন্তত তাই মনে
হয়েছে।
-তারপর?আর কি
জেনেছিস?,প্রশ্ন করে
আরাফাত।
-তার.....পর?তারপর তো আর
কিছু নেই।
-মানে?
-মানে আমার কাছে খবর
এতটুকুই।
হো হো করে হেসে উঠে
সৌরভ।,ব্যাস ফোস।দম শেষ।
ফেলুদার মগজাস্ত্র এতটুকুতেই
এসে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল।
-খ্যাক খ্যাক করে হাসিস না
তো।একদিনেই কি সবটা হয়ে
যাবে নাকি?এসব ব্যাপারে
তড়িঘড়ি করে কিছু হয় না।
সময় দিতে হয়।তবে যাই বলো
দোস্ত,মেয়ে কিন্তু অনেক
খাটো।একেবারে অত্যন্ত
ছোট-খাটো মহিলা।,শেষ
কথা গুলো আরাফাতকে
উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে দিলো
হিরণ।
-যা!এভাবে বলিস না।তার
চেয়ে বল,আমি অত্যধিক
লম্বা একজন পুরুষ।
-উ বা-বা।এক পাতাতেই এত।
আরও কয়েক পাতা যোগ হলে
তো তোকে আর খুঁজেই
পাওয়া যাবে না।
-বাজে কথা রেখে কিভাবে
এগুনো যায় সেটা বল?কিছু
একটা আইডিয়া দে।আমার
মনের কথাটা কিভাবে ওকে
জানানো যায়?
-খুব সোজা।খাওয়া-দাওয়া।
-অ্যা!
-আরে তোরা তো জানিস
আমি আবার খালি পেটে
কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা
করতে পারি না।চিন্তা-
ভাবনা করার জন্য একটু রসদ
চাই।
-ও হ্যা তাইতো।,মাঝখান
থেকে ফোড়ন কাটে
সৌরভ।,ফেলুদার
মগজাস্ত্রের কলকব্জাগুলো
তো আবার পেটের মধ্যে।
-তোর সাথে কিন্তু এবার
আমার একটা ফাটাফাটি
হয়ে যাবে।
-ফাটাফাটির কোন প্রয়োজন
নেই।,মধ্যস্থতা করে ফেলে
আরাফাত।,তার চেয়ে বরং
চল তোর ইঞ্জিনে তেল
চড়িয়ে নিয়ে আসি।
তিনজনের ছোট দলটা গুটি
গুটি পায়ে রেস্টোরেন্টের
দিকে পা বাড়ায়।

এই এলাকায় একটাই অভিজাত
রেস্টোরেন্ট।অভিজাত
বলতে মোটামুটি পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন।কিছুটা ভদ্র
গোছের।রেস্টোরেন্ট 32।
বেশ সাজানো গোছানো
এবং ছিমছাম একটি হোটেল।
তবে সার্ভিস খুব একটা
ভদ্রগোছের না।ভাত থাকলে
তরকারি থাকে না।আর ভাত
তরকারি দু’টোই যদি থাকে
তাহলে হাঁড়ি-পাতিলগুলো
উধাও হয়ে যায়।তবুও এদের
খদ্দেরের অভাব নেই।
ভেতরে ঢুকেই লাফিয়ে উঠল
হিরণ।,আরে ব্বাস।একেই
বলে কপাল।মেঘ না চাইতেই
জল।
-কি হলো?,জিজ্ঞেস করে
আরাফাত আর সৌরভ।
-ঐদিকে তাকিয়ে
দেখ।,বলেই কোণের একটা
টেবিল ইশারায় দু’জনকে
দেখিয়ে দেয় হিরণ।দু’টো
মেয়ে বসে আছে।যার মধ্যে
একজন প্রভা।আলটপকা প্রভার
সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিল
আরাফাতের।সে আর সৌরভ
রাস্তার একটু আড়ালে
দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছিল।
সময়টা তখন সন্ধা ছ’টা
নাগাদ হবে।প্রভা তখন তার
এক বান্ধবীর সাথে হেঁটে ঐ
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল।সেই
প্রথম দেখা।আর প্রথম
দেখাতেই প্রেম।তারপর বেশ
কয়েকবার প্রভার সাথে
দেখা হয়েছে আরাফাতের।
কিন্তু কথা বলার কোন
সুযোগই সে পায়নি।উপরন্তু
মেয়েটা সম্পর্কে কিছুই
জানত না সে।এখন অবশ্য
অনেক কিছুই জানে।হিরণ
আর সৌরভকে লুকিয়ে
গোপনে গোপনে মেয়েটা
সম্পর্কে অনেক খোঁজ খবর
নিয়েছে সে।ওরা চার ভাই-
বোন।তিন বোন এক ভাই।
প্রভাই সবার ছোট।সবার বড়
বোনের নাম দিবা।তারপর
এক ভাই অনি।সেজ বোনটার
নামটা জানা হয়নি
আরাফাতের।ওরা সবাই
মামার বাড়িতে মানুষ
হয়েছে।নামটা জানার পর
ফেসবুকে প্রভার আইডিটা
খুঁজে বের করে ফ্রেন্ড
রিকোয়েস্টও পাঠিয়েছিল
আরাফাত।কিন্তু কোন লাভ
হয়নি।ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
অ্যাকসেপ্ট করেনি
মেয়েটা।
সরাসরি কথা বলতে যাওয়ার
মধ্যে অনেক ফ্যাকড়া।কিন্তু
ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে
অনেক কথাই অবলীলায় বলে
ফেলা যায়।যেগুলো হয়তো
সামনা সামনি কোনদিনই মুখ
ফুটে বলে উঠা সম্ভব নয়।
হঠাৎ একদিন ঝোঁকের বশে
একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে
আরাফাত।সে আর প্রভার
মাঝখানে ভার্চুয়াল জগতকে
কিছু্তেই টেনে আনবে না
সে।যা হবে সরাসরি।দরকার
পড়লে চিরকুট কিংবা
চিঠি।সৌরভ আর হিরণ
প্রথমে ব্যাপারটা নিয়ে খুব
হাসাহাসি করেছিল।কিন্তু
পরে যখন দেখল আরাফাত এই
ব্যাপারে খুব সিরিয়াস তখন
ওরাও আধা জল খেয়ে মাঠের
মধ্যে নেমে পড়েছে।
-কি-রে হা করে দাঁড়িয়ে
আছিস কেন?যা কাজে লেগে
পড়।,ফিসফিস করে
আরাফাতকে বলল সৌরভ।
-কাজে লেগে পড়ব
মানে?,কল্পনার পুকুর থেকে
উঠে আসে আরাফাত।
-আরে ভাই,তুই-ই তো একটা
সুযোগ খুঁজছিলি।কোয়েনস
িডেন্সলি সেই সুযোগটা
এসে গেছে।যা গিয়ে তোর
মনের কথাটা বলে
ফেল।,হিরণও ফিসফিসিয়ে
বলে উঠে।
-ইডিয়টের মতো কথা বলিস
না।,গজরে উঠল সৌরভ।,চেনা
নেই শোনা নেই একটা
মেয়েকে গিয়ে বলে ফেলবে
আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ বলতে না পারুক।
আই লাইক ইউ,এই ব্যাপারটা
তো বুঝাতে পারবে।
-না-না এভাবে হবে
না।,বলতে বলতে পাশের
একটা টেবিল দখল করে বসে
পড়ল সৌরভ।তার দেখাদেখি
অন্য দু’জনও দু’টো চেয়ারে
বসে পড়ল।,তোর সাথে
এয়ারফোন আছে?
-তা আছে।,ব্যাবলার মত
জবাব দেয় আরাফাত।
-ব্যাস হয়ে গেল।
-কি হয়ে গেল?
-তোকে আমি যা বলে দেব
তুই শুধু তাই তাই বলে
যাবি।,বলেই আরাফাতের
মোবাইল থেকে নিজের
মোবাইলে একটা ফোন করল
সৌরভ।,যা দোস্ত আল্লাহর
নাম নিয়ে এগিয়ে যা।
দুরু দুরু বুক আর কাঁপা দু’টো হাঁটু
নিয়ে প্রভাদের টেবিলটার
দিকে এগিয়ে গেল
আরাফাত।হাসি মুখ নিয়ে
গিয়ে দাঁড়ালো টেবিলটার
সামনে।হাসতে গিয়ে
শীতের প্রকোপে ফাটা
ঠোঁট চড় চড় করে উঠল।
-হ্যালো।,নিজের কানে
সৌরভের কন্ঠস্বর শুনতে পায়
আরাফাত।,হ্যালো,মিস
এক্সিউজ মি।আমি কি
আপনাদের টেবিলটায় একটু
বসতে পারি।,প্রভাকে
উদ্দেশ্য করে সৌরভের বলা
বুলিগুলো তোঁতা পাখির মত
আউড়ে যায় আরাফাত।
-টেবিলে বসবেন কেন?আপনি
ঐ চেয়ারটাতে বসুন।,বলল
প্রভার সাথে থাকা
বান্ধবী।মুখে মুচকি হাসি।
হাসিটার সাথে ফিচকে
শব্দটাই অবশ্য বেশী
মানানসই।
একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে
যায় আরাফাত।নিজেকে
সামলেও নেয় সে।হাজার
হলেও সে একটি ফুড এন্ড
ব্রেভারেজ কোম্পানীর
টি.এস.ও.।এসব অস্বস্থিকর
পরিস্থিতি সামাল দেওয়া
তার কাছে বা হাতের
ব্যাপার।ছোট্ট করে ধন্যবাদ
জানিয়ে একটা চেয়ার
টেনে বসে পড়ল সে।
-নিজের পরিচয়টা
দে।,কানে ভেসে আসে
সৌরভের গলা।,আমার নাম
আরাফাত।মুজাহিদুল ইসলাম
আরাফাত।,বলতে শুরু করে
আরাফাত।,আমি একটা
কোম্পানীতে টি.এস.ও.
হিসেবে কর্মরত আছি।আমরা
দুই ভাই এক বোন।,এতটুকু বলেই
থেমে যায় সে।কানে
বাজছে,এত ডিটেইলসে বলার
কোন দরকার নেই।থেমে যা।
-আমি প্রভা।মারুফা আফরিন
প্রভা।,আরাফাত থেমে
যেতেই চিবিয়ে চিবিয়ে
বলল প্রভা।
-আর আমি আঁখি।জান্নাতুল
ফেরদৌস আঁখি।,একই
ভঙ্গিমায় বলল আঁখি।,কি
খাবেন বলুন?,যোগ করে দিল
সে।
-না-না আমি কিছু খাব
না।,বলেই বুঝতে পারল
বিরাট একটা গড়বড় হয়ে
গেছে।,জাস্ট এক কাপ
কফি।,কোনমতে বলল
আরাফাত।,সাব্বাস বাঘের
বাচ্চা।,কানে ভেসে এল
সৌরভের গলা।
বেয়াড়াকে ডেকে
খাবারের ফরমাশ দিয়ে দিল
প্রভা।,এবার বলুন তো আপনার
মতলবটা কি?,সরাসরি
আরাফাতের দিকে
তাকিয়ে প্রশ্ন করল সে।
আরেকটু হলে বিষম খেয়ে
বসত আরাফাত।,কি
ডেয়ারিং মেয়েরে
বাবা।,মনে মনে ভাবছে
সে।প্রকাশ্যে বলল,মতলব
মানে ঐ আর কি?,যতটা না
প্রভাকে তার চেয়েও অনেক
বেশি সৌরভকে উদ্দেশ্য
করে কথাটা বলল
সে।,দেখলাম পুরো
রেস্টোরেন্টটাই লোকে
লোকারণ্য।,চটপট জবাব
সৌরভের।,এই টেবিলটাই যা
একটু ফাঁকা।তার উপরে
সুন্দরী দু’জন মেয়ে বসে
আছে।তাই চলে এলাম।
-কিন্তু হোটেল তো পুরো
ফাঁকা।,সৌরভের কথার
পৃষ্ঠে বলে উঠল আরাফাত।
ভ্রু কুঁচকে আরাফাতের
দিকে তাকালো প্রভা আর
আঁখি।তাদের দিকে
তাকিয়ে বোকার মত একটা
হাসি উপহার দিয়ে দিল
সে।,তোকে যেটা বলতে
বললাম,সেটা বল।,ধমকে উঠল
সৌরভ।,আসলে হয়েছে
কি?,বলতে শুরু করল
আরাফাত।,হোটেলে ঢুকে
দেখলাম কোথাও কোন
খালি সিট নেই।শুধু
আপনাদের টেবিলটাই
কিছুটা খালি।তাই চলে
এলাম।এক কাপ কফি আর দুই
দুইজন সুন্দরীর সঙ্গ।
ব্যাপারটার মধ্যে আলাদা
একটা রোমাঞ্চ আছে।
-শোন,বলে সৌরভ।,চোখের
প্রশংসা শুরু করে দে।আস্তে
আস্তে নিচে নামবি।
-আপনারা একটা জিনিস
লক্ষ্য করেছেন কি-না জানি
না।,থেমে থেমে বলতে
থাকে আরাফাত।,আমার
চোখ দু’টো কিন্তু খুব সুন্দর।
-অ্যা!হ্যা।নিশ্চয়ই।,থতমত
খেয়ে যায় দু’জনেই।,ইউ হ্যাভ
এ বিউটিফুল আইস।,মুচকি
হাসি হেসে বলে উঠে আঁখি।
-আরে ইডিয়ট।,কানের মধ্যে
বেজে উঠে সৌরভের
গলা।,তোর চোখের প্রশংসা
করতে কে বলেছে?ওদের
চোখের প্রশংসা কর।
দুজনেরই।ঐতো মাছের
চোখের মত ঢ্যাবা ঢ্যাবা
দুইটা চোখ।আবার ঢং করে
বলা হচ্ছে,আমার চোখ দু’টো
খুব সুন্দর।গাধা কোথাকার।
-মাই মিসটেইক।মাই
মিসটেইক।,নিজের তূণ থেকে
ছুটে যাওয়া তীরটাকে খপ
করে ধরে ফেলে
আরাফাত।,আমি আসলে
বলতে চাচ্ছিলাম।আপনাদের
দু’জনের চোখ দু’টোই কিন্তু খুব
সুন্দর।একেবারে পদ্মপলাশ।
এমন সময় খাবার নিয়ে
হাজির হয়ে গেল বেয়াড়া।
দুই বাটি ভেজিটেবল স্যুপ আর
এক কাপ ধূমায়িত কফির
কাপ।দ্রুত কফিতে চুমুক দিতে
গিয়ে জিভ পুড়ে ফেলল
আরাফাত।সেই সাথে মড়ার
উপর খাড়ার ঘা সৌরভের
লাইনটাও কেটে গেছে।পূর্ন
গতিতে এয়ার কন্ডিশনার
চলছে।তবুও আরাফাতের
কপাল জুড়ে বিন্দু বিন্দু ঘাম
জমে উঠেছে।আর সমস্ত রাগ
গিয়ে পড়ছে আঁখির উপর।
আজকের দিনটা প্রভার
সাথে না আসলে কি এমন
মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত।
চুক চুক করে কফি খেয়ে
যাচ্ছে আরাফাত।আর ভেবে
চলেছে প্রভার কানে
কিভাবে নিজের মনের
কথাটা তুলা যায়।ভাবতে
ভাবতে চট করে একটা বুদ্ধি
খেলে গেল তার মাথায়।
আলগোছে টেবিলে থাকা
টিস্যু বক্স থেকে একটা টিস্যু
তুলে নিল সে।তারপর হাঁটুর
উপর টিস্যুটাকে রেখে একটা
কলম দিয়ে কয়েক ছত্র লিখে
ফেলল।
অনেক চেষ্টা করেও বিলটা
দিতে পারল না আরাফাত।
বিল দিতে ব্যর্থ হলেও কয়েক
ছত্র লেখা টিস্যুটা ঠিকই
প্রভার হাতে ধরিয়ে দিতে
সমর্থ হয়েছে সে।না
সেটাতে আরাফাতের
মোবাইল নাম্বার লেখা
নেই।সে-তো আগেই ভেবে
রেখেছে তাদের মাঝখানে
ভার্চুয়াল জগতটাকে
কিছুতেই ঢুকতে দেবে না।
সেটাতে লেখা----
আগামীকাল বিকাল ৪.০০
টা,গুরুদয়াল ওয়াচটাওয়ার।

গুরুদয়াল ওয়াচটাওয়ারটাকে
যতটা উঁচু বলে মনে হয় সেটা
ঠিক ততটা উচু নয়।শহর দেখার
উদ্দেশ্য নিয়ে প্রায় কয়েক
কোটি টাকা ব্যয়ে এই
শৌখিন জিনিসটার
উত্পত্তি।সেই উদ্দেশ্যটা
সফল হয়নি।কেননা উপর
থেকে আবছা যে
ল্যান্ডস্ক্যাপটা দেখা যায়
সেটাকে শহর বলে চেনার
কোন উপায় নেই।
ঘড়িতে চারটা বাজার
অনেক আগেই
ওয়াচটাওয়ারের নীচে
পৌঁছে গেছে আরাফাত।
ইচ্ছে করলে নিজের মোবাইল
নাম্বারটা প্রভার হাতে
ধরিয়ে দিতে পারত সে।
কিন্তু তাহলে এই যে
অপেক্ষার মাধুর্য সেটা নষ্ট
হয়ে যেত।প্রভা যে আসবেই
এর কোন নিশ্চয়তা যদিও নেই
কিন্তু ক্ষীণ একটা সম্ভাবনা
আছে।মোবাইল নাম্বার
দিয়ে আসলে সেই
সম্ভাবনাটাও নষ্ট হয়ে যেত।
ঠিক চারটা দশে প্রভা এসে
হাজির হলো ওয়াচ
টাওয়ারের সামনে।পরণে
নীল রঙের শিফনের একটা
সালোয়ার।এক খন্ড নীল
আকাশ যেন ঢুকে পড়েছে
সালোয়ারটার ভেতর।
-ভাবতেও
পারিনি।,আরাফাতের
মুখোমুখি দাঁড়িয়েই বলতে শুরু
করল প্রভা।,সম্পূর্ণ অপরিচিত
একজন লোকের ডাকে
এভাবে কোনদিন হাজির
হয়ে যাব।
-আমিও ভাবতে পারিনি।
-বলুন কি বলবেন?,সরাসরি
প্রশ্ন প্রভার।
-মানে….ইয়ে…ওই
আরকি….মানে …আমার কিছু
কথা ছিল।,কোনমতে টুকরো
কয়েকটা কথা বলতে পারে
আরাফাত।
-আপনি শুধু শুধু সময় নষ্ট
করছেন।আমি জানি আপনি
কি বলতে চান।,বলল প্রভা।
তারপর নিজের কড়ে আঙুলের
একটা আংটি দেখিয়ে
নিয়ে আবারো বলল,আমার
ইনগেজমেন্ট হয়ে গেছে।
আমার মামার পছন্দ করা
ছেলের সাথে।ক’দিন পরেই
আমাদের বিয়ে।
নীরবে প্রভার সাথে ওয়াচ
টাওয়ারে উঠতে শুরু করল
আরাফাত।তার মাথায় যেন
আকাশ ভেঙে পড়েছে।গায়ে
গরম কাপড় থাকা সত্ত্বেও
কেমন যেন একটু শীত শীতও
করছে।
-আপনার মামার পছন্দ করা
ছেলে।আপনারও কি তাকে
পছন্দ?,গলা খাকাড়ি দিয়ে
গলাটা একটু পরিষ্কার করে
নিয়ে অবশেষে বলল
আরাফাত।শেষ চেষ্টা
করতে তো দোষের কিছু
নেই।
অদ্ভুত এক বোবা চাউনি
মেলে আরাফাতের দিকে
তাকাল প্রভা।বিষন্ন এক
হাসি হেসে বলল,মেয়েদের
পছন্দ-অপছন্দের গুরত্ব কবে
কোন পুরুষ দিয়েছে বলুন?তার
উপর আমি আবার মামাদের
আশ্রিত।ওদের কথাই আমার
জন্য সুপ্রীম কোর্ট।আমার বড়
বোনকেও মানতে হয়েছে।
সেজ বোনও মেনে নিয়েছে।
আমাকেও মানতে হবে।
-আমি আপনাদের কথা সবটাই
জানি।
-জানেন?
মাথা নাড়ে আরাফাত।
দুজনেই দুজনের দিকে অপলক
তাকিয়ে থাকে কয়েক
সেকেন্ড।বিষন্ন এক হাওয়া
যেন অদৃশ্য কোন এক দড়ি হয়ে
মুহূর্তের জন্য বেঁধে ফেলেছে
ওদের।আস্তে আস্তে চোখ
সরিয়ে নেয় প্রভা।মুচকি
হাসি হেসে বলে,আপনার
চোখ দু’টো কিন্তু সত্যিই
সুন্দর।
লজ্জা পেয়ে দৃষ্টি সরিয়ে
নেয় আরাফাত।,এটা
কোয়েনসিডেন্স কি-না
জানি না।,স্বগত সুরে বলতে
থাকে সে।,আমার সিলেট
শহরে ট্রান্সফার হয়ে
গেছে।সেই সাথে
প্রমোশনও।আর. এস. এম. হয়ে
সিলেট যাচ্ছি আমি।
কালকে রাতেই জানতে
পারলাম।আর এক সপ্তাহ এই
শহরটায় আছি।
-কংগ্রাচুলেশন।
-আজ রাতে যাব টিকেট
কাটতে।,প্রভার কথা যেন
শুনতেই পায়নি আরাফাত।
সম্মোহিতের মত বলে চলেছে
সে।,আজ থেকে ঠিক ছয়দিন
পরে আমাদের কি আবার
দেখা হতে পারে?ঐটাই
হয়তো শেষ দেখা।
একটু দ্বিধায় পড়ে যায়
প্রভা।কি বলবে ভেবে ঠিক
করতে পারে না।,ঠিক আছে।
দেখা করব।,কিছুক্ষন ইতি
উতি চারপাশটাকে দেখে
নিয়ে জবাব দেয় সে।
-ধন্যবাদ।তাহলে ছয়দিন পর
বিকাল পাঁচটায়
রেস্টোরেন্ট 32তে আপনার
কফির দাওয়াত।আর হ্যা,এই
ছয়দিন একটু ভাববেন
আমাদের এই সম্পর্কটাকে
কোন ডেস্টিনেশন দেওয়া
যায় কি-না।চিন্তা করবেন
না।আপনার ডিসিশন যদি
নেগেটিভও হয় তাতেও কোন
অসুবিধা নেই।আপনাকে না
পাই কোন এক রীনা মীনা
ঠিকই আমার ভাগ্যে জুটে
যাবে।,বলেই আবারো এক
দৃষ্টে প্রভার চোখের দিকে
তাকিয়ে থাকে আরাফাত।
নীচ দিয়ে বয়ে চলা মরা
নদীর কয়েক ফার্লং আধমরা
জল ক্লান্ত দেহে নদীটাকে
নতুন জীবন দেওয়ার চেষ্টা
করে চলেছে অবিরাম।কিন্তু
নদীটার শবদেহ,দৃষ্টিহীন
চোখে তাকিয়ে থাকে
আকাশটার দিকে।

ছয়দিন পরের এক শীতের
বিকেল।রেস্টোরেন্ট 32তে
একটা টেবিলে প্রভার
মুখোমুখি বসে আছে
আরাফাত।সামনে ধূমায়িত
কফির কাপ।অল্প একটু করে
কফিতে চুমুক দিচ্ছে তারা।
এই পর্যন্ত ওদের মধ্যে একটাও
কথা হয়নি।
-আমি অনেক ভেবে-চিন্তে
সিদ্ধান্ত
নিয়েছি।,নীরবতা ভেঙে
বলতে শুরু করল প্রভা।,এটা
আমার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব
না।আমি দুঃখিত।
আরাফাতের বুকের মধ্যে
জ্বলে থাকা ক্ষীণ আশার
প্রদীপটা দমবন্ধ হয়ে নিভে
গেল।,কোন ব্যাপার না।
আমি কিছু মনে করিনি।এতে
আপনার দুঃখিত হওয়ার কিছু
নেই।দোষটাতো আমারই।
আমিই ভুঁইফোড় ধূমকেতু হয়ে
আপনার জীবনে ঢুকে
পড়েছিলাম।,বলল সে।আর
কোন কথা ফোটে না
আরাফাতের মুখে।পাক
দিয়ে ঠেলে আসা
কান্নাটাকে অনেক কষ্টে
দমন করে সে।
-আমাদের আর দেখা না
হলেই বোধহয় দু’জনের জন্যই
মঙ্গল।
-দেখা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই
কম।আমি তো কালই চলে
যাচ্ছি।এই শহরটার সাথে
আমার কোন নাড়ির টানও
নেই।সুতরাং আপনি নিশ্চিত
থাকুন।এটাই আমাদের শেষ
দেখা।
বিষন্ন এক হাসি হেসে
কফির কাপে ঠোঁট ছোঁয়াল
প্রভা।আরাফাতকে
কথাগুলো বলতে পেরে
কিছুটা হালকা বোধ করছে
সে।বুক থেকে যেন ভারী
একটা পাথর নেমে গেল।গত
ছয়দিন ধরে অনবরত একটা
যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গিয়েছে
তার মন।অনেক ভাবে
বিচার বিশ্লেষণ করে তবেই
এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।
তবুও বুকটা কেন যেন থেকে
থেকে মোচড় দিয়ে উঠছে।
ব্যাপারটা কিছুই বুঝতে
পারছে না প্রভা।তাহলে
কি সেও…..আর ভাবতে চাইল
না প্রভা।
কফি শেষ করে রেস্টোরেন্ট
থেকে বেরিয়ে এলো ওরা।
মাথা নিচু করে হাঁটছে
দু’জনে।টুক টাক কিছু কথা-
বার্তা বলছে নিজেদের
মধ্যে।
-এবার তাহলে
আসি।,মোড়ের মাথায়
বিদায় জানালো প্রভা।
-আগামীকাল সকাল ৮ টার
দিকে আমার ট্রেন।তোমার
জন্যও টিকেট কেটে
ফেলেছিলাম।তুমি তো
তোমার সিদ্ধান্ত
জানিয়েই দিয়েছ।তবুও আমি
আগামীকাল সকাল ৮ টা
পর্যন্ত তোমার জন্য অপেক্ষা
করব।বগী নাম্বার চ।সিট
নাম্বার একুশ-বাইশ।
-তুমি কিন্তু এবার
বাড়াবাড়ি করছ।বড্ড বেশি
ছেলে-মানুষি হয়ে যাচ্ছে
কিন্তু।
-আমি তো বলছি না
তোমাকে আসতেই হবে।আসা
না আসা একান্তই তোমার
নিজস্ব ব্যাপার।তবে আমি
ঠিকই তোমার পথ চেয়ে বসে
থাকব।বগী নাম্বার চ।সিট
নাম্বার একুশ-বাইশ।চলি।,
বলেই হনহন করে হেঁটে চলে
গেল আরাফাত।,আমি
তোমার চোখের সত্যিটা
ধরে ফেলেছি প্রভা।,মনে
মনে ভাবছে সে।,আমি
জানি তুমি আসবে।
তোমাকে যে আসতেই হবে।
আরাফাতের গমন পথের
দিকে ব্যাথাতুর দৃষ্টি মেলে
তাকিয়ে রইলো প্রভা।
দু’জনের কেউই লক্ষ্য করেনি
এক ঝটকায় ওরা দু’জনেই
আপনি থেকে তুমিতে নেমে
এসেছে।

কিশোরগঞ্জ রেল-স্টেশন।স্ব-
মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে
সিলেটগামী উপকূল একপ্রেস।
স্টেশন চত্বর জুড়ে মানুষের
ঢল।চ নম্বর বগীর সামনে
দাঁড়িয়ে আছে আরাফাত।
তাকে দু’দিক থেকে ঘিরে
রেখেছে সৌরভ আর হিরণ।
কোন ধরনের কথা-বার্তা না
বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে
ওরা।
ট্রেনের হুইসেল বেজে উঠল।
সৌরভ আর হিরণের সাথে
কোলাকুলি করে একটা
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ট্রেনে
উঠে এলো আরাফাত।চকিতে
একবার দেখে নিলো স্টেশন
গেটটা।অনেক মানুষের ভিড়
লেগে আছে সেখানে।কিন্তু
না,মানুষের সেই ঢলে প্রভার
কোন চিহ্নও নেই।
গড়াতে শুরু করেছে ট্রেনের
চাকা।হাত নেড়ে সৌরভ আর
হিরণকে বিদায় জানাতে
জানাতে ট্রেনের সাথে
ছুটে চলেছে আরাফাত।
পেছনে ফেলে যাচ্ছে
পরিত্যাক্ত কিছু স্মৃতির বুনট
আর একজন বনলতা সেনকে।
আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে
বগীর ভেতরে ঢুকে গেল
আরাফাত।শূণ্য দৃষ্টি মেলে
তাকালো নিজের সিটগুলোর
দিকে।তাকাতেই ধক করে
একটা বিট মিস করে ফেলল
আরাফাতের হৃৎপিন্ডটা।দু’ট
ো চেয়ারের একটা চেয়ারে
বসে আছে প্রভা।কিছুক্ষনের
জন্য নির্বাক হয়ে প্রভার
দিকে তাকিয়ে রইল সে।
তারপর স্থলিত পায়ে প্রভার
দিকে এগিয়ে যেতে লাগল।
-একদম চমকে দিয়েছি।কি
বলো?অনেক ভেবে
দেখলাম,আমার জন্য তুমিই
পারফেক্ট।হ্যা,যার সাথে
আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল
তোমার থেকে তার টাকা-
পয়সা হয়তো অনেক বেশি।
আজীবন সুখে থাকতাম।কিন্তু
জীবনে বেশি সুখ কি ভালো
বলো।তার চেয়ে বরং একটু
ব্যালেন্স থাকা ভালো।একটু
সুখ,একটু দুঃখ,একটু অনিশ্চয়তা।
এমন সময় টিকেট চেক করতে
করতে তাদের দিকে এগিয়ে
এলেন টিকেট
চেকার।,টিকেট
প্লিজ।,বললেন তিনি।
হা করে প্রভার মুখের দিকে
তাকিয়ে আছে আরাফাত।
টিকেট চেকারের কথাটা
শুনতেই পায়নি
সে।,টিকেটটা
দাও।,আরাফাতকে ধাক্কা
দিয়ে বলে প্রভা।
-ও হ্যা,টিকেট।টিকেট?
-হ্যা,টিকেটটা দাও।
-কিন্তু টিকেটটা তো
তোমার কাছে।তুমি দাও।
-আমি দেব মানে?আমার
কাছে তো কোন টিকেট
নেই।
-টিকেটটা তোমার কাছেই।
গতকাল হাঁটতে হাঁটতে আমি
তোমার ব্যাগের মধ্যে
ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম।
কোয়েনসিডেন্সলি তোমার
ব্যাগের চেনটা তখন খোলা
ছিল।
অবাক হয়ে গিয়ে নিজের
ব্যাগ খুলে প্রভা।একটু
হাতড়াতেই বেরিয়ে আসে
হলদে রঙের টিকেটটা।
তাজ্জব বনে যায় সে।
অবচেতন মনেই টিকেট
চেকারের দিকে টিকেটটা
এগিয়ে দেয়।
-আমার তো আসার কথা ছিল
না।আমি যদি না আসতাম।
তাহলে কি হতো?
-আমি জানতাম তুমি আসবে।
তবুও যদি না আসতে তাহলে
কি আর হতো?বীনা টিকেটে
রেলভ্রমনের শাস্তি স্বরুপ
কিছু টাকা জরিমানা হতো।
-কিংবা ছয় মাসের
জেল।,আরাফাতের কথার
সাথে যোগ করে দিলেন
টিকেট চেকার।হেসে উঠল
দুজনেই।হাসতে হাসতেই
আরাফাতের কাঁধে মাথা
রাখে প্রভা।,আর যদি আমি
ব্যাগটা না আনতাম?
তাহলে?তাহলে কি হতো?
-দু’জনেরই জেল হয়ে যেত।
তারপর রাতের বেলা
জেলের ভেতর ক্যান্ডেল
লাইট ডিনার।সেই সাথে
সেই থ্রি ম্যাজিক্যাল
ওয়ার্ড।আই লাভ ইউ।
-যা।,বলে একটা ছোট্ট চাপড়
বসিয়ে দিল আরাফাতের
বুকে।
-তুমি যে চলে এলে,তোমার
বাড়ির লোককে জানিয়ে
এসেছো কি?
-হ্যা।একটা চিঠি ছেড়ে
এসেছি।না লিখলেও চলত।
-কেন?
-আমার যে কোন পিছুটান
নেই।,গলাটা ভারী হয়ে
আসে প্রভার।
-কই বললে না তো।,কিছুক্ষন
চুপ করে থেকে বলল
আরাফাত।
-কি বলবো?
-ঐ,আই লাভ ইউ’র বিপরীতে
যা বলতে হয়।
-ভালোবাসি তো।,লজ্জা
রাঙা মুখে বলল প্রভা।
প্রভার কথা শেষ হতেই
তাকে আলতো করে জড়িয়ে
ধরল আরাফাত।
পোঁ করে বেজে উঠল ট্রেনের
সাইরেন।চারপাশের
প্রকৃতিকে সচকিত করে
ঝকাং ঝাঁক শব্দ তুলে ছুটে
চলেছে বিশাল যান্ত্রিক
অজগর।
¬¬¬সমাপ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। তবে বেশি বড় না করে
দুই খন্ডে প্রকাশ করলে ভালো হত প্রিয়

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

Sujon Mahmud বলেছেন: কষ্ট করে পড়ে তার পড় কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ.....পর্বরতী পোস্ট করার সময় আপনার কথাটা মাথায় রাখব।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

Sujon Mahmud বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.