নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[কারো সমালোচনা করো না, তাহলে নিজেও সমালোচিত হবে না]

Sujon Mahmud

কারো যদি গোপন সাফল্যের চাবিকাঠি থাকে, তাহলে সেটা থাকে তার অন্যের কথার দৃষ্টাকোণ আর নিজের দৃষ্টি কোণ বুঝে নেওয়ার মধ্যে।।

Sujon Mahmud › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন সম্পর্কে কিছু কথা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

স্বপ্নের স্নায়ুবিজ্ঞান সম্প্রতি বেশ কিছু
গবেষণায় ঘুমের সময় মানুষজনের মস্তিষ্কের বিভিন্নধর্মী সক্রিয়তা মাপা
হয়েছে ব্রেন স্ক্যানার দিয়ে। স্বপ্নের বিভিন্ন
বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখে সেসব গবেষণার
ফলাফল দেখে নেয়া যাক। গল্প বলা স্বপ্নেরা রেম ও গভীর নন-রেম দুই ধরনের ঘুমেই
দেখা দিলেও রেম- ঘুমেই এসব স্বপ্নের
প্রাদুর্ভাব বেশি। তাই রেম ঘুমের সময়ে
মস্তিষ্কে কি কি শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন হয় তার বিশ্লেষণের মাধ্যমে গল্প বলা স্বপ্ন নিয়ে
আলোচনা করবো আমরা। প্রাণীদের
উপর পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা
থেকে আমরা জানি ব্রেনস্টেমে
রেটিকুলার এক্টিভেটিং সিস্টেম রেম ঘুমের সময় সম্পূর্ণ সক্রিয় থাকে। এই সিস্টেমের সাথে সম্পর্কিত স্নায়ুদের সক্রিয়তা PET স্ক্যান করে দেখা সম্ভব। এই স্ক্যান থেকে পাওয়া ছবির একটা লক্ষ্যনীয় বৈশিষ্ট্য হলো স্বপ্নে গল্প বলা দৃশ্য দিয়ে ভরপুর হলেও প্রাথমিক দৃশ্য কর্টেক্সে তেমন কোন সক্রিয়তাই দেখা
যায় না। কিন্তু দৃশ্যতথ্য নিয়ে উচ্চস্তরের
বিশ্লেষন করে মস্তিষ্কের যেসব অঞ্চল
(দৃশ্য তথ্য সম্পর্কিত স্মৃতি সঞ্চয় নিয়ে কাজ করে যারা) —
তাদেরকে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠতে
দেখা যায় এসব পেট-
স্ক্যান ছবিতে। এ
থেকে সম্ভবত বলা
সম্ভব যে স্বপ্নেরা প্রায়ই কেন অতীতের
বিচ্ছিন্ন স্মৃতি নিয়ে গড়ে ওঠে — বিশেষ
করে সেসব দীর্ঘমেয়াদী দৃশ্য-
স্মৃতি যারা মস্তিস্কের দৃশ্য-তথ্য বিশ্লেষণ সম্পর্কিত এলাকায় জমা থাকে।
রেম ঘুমের সময়ে মস্তিষ্কের আরেকটা
লক্ষ্যনীয় বৈশিষ্ট্য হলো আবেগ নিয়ে কাজ
করা এলাকাগুলোতেও বেশ সক্রিয়তা দেখা
যায়। বিশেষ করে অ্যামিগডালা ও
অ্যান্টেরিয়র সিঙ্গুলেট অঞ্চলগুলো
প্রবলভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই অঞ্চলগুলো ভয়, উদ্বেগ, ব্যাথা সংশ্লিষ্ট আবেগীয়
প্রতিক্রিয়া এবং ভয় কিংবা ব্যাথা
সম্পর্কিত উদ্দীপনার সাথে জড়িত থাকতে
দেখা যায়। গল্প-বলা- স্বপ্নে ভয়, উদ্বেগ ও
আগ্রাসনের যে ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়
তার পেছনে এই দুইটি অঞ্চল দায়ী বলে মনে করা হয়। রেম ঘুমের সময়
প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের কিছু অংশ (ডর্সোল্যাটারাল)
একেবারেই নিষ্ক্রিয়
হয়ে যায়। আমরা জানি প্রিফ্রন্টাল
কর্টেক্স হচ্ছে মস্তিষ্কের সম্প্রতি
বিবর্তিত অংশ। কর্টেক্সের নিষ্ক্রিয়
হয়ে যাওয়া অঞ্চলটি যুক্তি, বিচার-
বিবেচনাবোধ আর পরিকল্পনার মতো
কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বপ্নে কেন আমরা
অযৌক্তিক, অদ্ভূতুড়ে আর অসম্ভব সব ঘটনা ও কাহিনী কেন মেনে
নেই তার একটি ব্যাখ্যা হলো এই
নিষ্ক্রি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.