নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধু সামনে পা বাড়াও – একে একে সবই জানতে পারবে ..

সুমন জেবা

প্রতিনিয়ত শিখেই যাচ্‌ছি

সুমন জেবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা কথাটি ছোট্ট অতি :

১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২৭





আজ ১১ই মে বিশ্ব "মা" দিবস (ইংরেজি: Mother's Day)

বেশিরভাগ দেশেই মা দিবস হল একটি সাম্প্রতিক রীতি, যা উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে ছুটির দিনটির রীতি অনুসারে চলে এসেছে। আসলে মা দিবস একটি সম্মান প্রদর্শন জনক অনুষ্ঠান যা মায়ের সন্মানে উদযাপন করা হয়। এই মা দিবসে কি লিখব ভাবতে ভাবতেই দিন গরিয়ে সন্ধা নামল ।তারপরেও ভাবনাতেই ঘোরপাক খাচ্ছি । কিছু তো লিখতেই হবে .. হঠাৎ একটা কবিতা মনের বিণায় টুংটাং আওয়াজ তুলল :



রাত থম থম স্তব্ধ, ঘোর-ঘোর-আন্ধার,

নিশ্বাস ফেলি, তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার।

রুগ্ন ছেলের শিয়রে বিসয়া একেলা জাগিছে মাতা,

করুণ চাহনি ঘুম ঘুম যেন ঢুলিছে চোখের পাতা।

শিয়রের কাছে নিবু নিবু দীপ ঘুরিয়া ঘুরিয়া জ্বলে,

তারি সাথে সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরাণ দোলে।

ভন্ ভন্ ভন্ জমাট বেঁধেছে বুনো মশকের গান,

এঁদো ডোবা হতে বহিছে কঠোর পচান পাতার ঘ্রাণ?

ছোট কুঁড়ে ঘর, বেড়ার ফাঁকেতে আসিছে শীতের বায়ু,

শিয়রে বসিয়া মনে মনে মাতা গণিছে ছেলের আয়ু।

ছেলে কয়, “মারে, কত রাত আছে? কখন সকাল হবে,

ভাল যে লাগে না, এমনি করিয়া কেবা শুয়ে থাকে কবে?”

মা কয়“বাছারে ! চুপটি করিয়া ঘুমা ত একটি বার, ”

ছেলে রেগে কয় “ঘুম যে আসে না কি করিব আমি তার ?”

পান্ডুর গালে চুমো খায় মাতা, সারা গায়ে দেয় হাত,

পারে যদি বুকে যত স্নেহ আছে ঢেলে দেয় তারি সাথ।

নামাজের ঘরে মোমবাতি মানে, দরগায় মানে দান,

ছেলেরে তাহার ভাল কোরে দাও, কাঁদে জননীর প্রাণ।

ভাল করে দাও আল্লা রছুল। ভাল কোরে দাও পীর।

কহিতে কহিতে মুখখানি ভাসে বহিয়া নয়ন নীর।

-জসীমউদ্‌দীন, [পল্লী জননী ]



মনে পড়ছে তো সবার । আসলে এই কবিতা'র পর মা কে নিয়ে লেখার আর স্পর্ধা হয় না, বা হলো না । শুধু এ টুকুই বলবো ..



মা’কে সারাজীবনে আমরা সবাই হয়তো হাজারবার, হয়তোবা লক্ষবার ডেকেছি। মা এই অংকটা পারছি না, মা পেট ব্যথা করছে, মা বাবাকে বলে দাওনা আমাকে একটা নীল শার্ট কিনে দিতে। পায়ে কাঁটা ফুটলে ‘মাগো’ বলে ডেকে উঠেছি, আর ভয়ের স্বপ্ন দেখেও ‘মা’ বলেই চিৎকার।



কিন্তু একটু ভেবে দেখবো কি সবাই.. নিজের প্রয়োজনের বাইরে মা’কে একবারও ‘মা’ বলে ডেকেছি কিনা ? একবারও কি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পেরেছি জীবনে যে- ‘মা’ ‘মাগো’ বলে ডাকলাম, মা বললেন, কিরে খোকা কি চাস, আর আমি বললাম, মাগো তোমাকে শুধু ডাকার আনন্দ পাবার জন্য ডেকেছি।



আমার কিন্তু আজ শুধু "মা" ডেকে মনোতৃপ্তি লাভ করার জন্য বারবার ডাকতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু ছেলের এই অকারণের ডাক শোনার জন্য অত সময় তিনি দিবেন কোথ্থেকে ....

কারন আমার মা তো এই মুহুর্তটি তে আমার কাছে নাই। তিনি যে ময়মনসিংহে..





সবাই কে 'মা দিবসের' শুভেচ্ছা..

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধঅরন কবিতাটি শেয়ারের জণ্য ধন্যবাদ।...

মায়ের যে অনন্য রুপ ফুটেছে এরপরে আর কিছূ বলার থাকে না।

মায়ের স্নেহে ধন্য হোক সবার সকল ক্ষন!

১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

সুমন জেবা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই ..

মায়ের স্নেহে ধন্য হোক আমাদের সবার সকল ক্ষন! ধন্যবাদ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.