নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুমন নিনাদ

বাংলা ও বাংলাদেশ- আমার ভাগফল, আমার ভাগশেষ

সুমন নিনাদ

সুমন নিনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন হেনরি

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

জন হেনরি নামটা চেনা চেনা লাগছে কি? ভার্জিনিয়ার জন হেনরি? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন “জাগরণের গান” নামক অ্যালবামের ৩৮ নম্বর গান “ নাম তার ছিল জন হেনরি”। ফকির আলমগীর এর কণ্ঠ। গানটা আমি আগে কখনো শুনিনাই। না আপনাদের ভ্রু কুঁচকানোর কিছু নাই এতে। বাংলা ভাষার সব গান আপনারাও শুনেন নাই, আমি নিশ্চিত। আমি এমন অনেক গানের কথা জানি, আপনারা সেগুলোর নামও শুনেন নাই জীবনে। যাই হোক, মূল বক্তব্য ছেড়ে দূরে চলে যাচ্ছি। জন হেনরির কথা বলছিলাম। আমি বিগত এক বছর যাবত গানটা প্রায়ই শুনি। অনেক বার শুনেছি। এই রোগ আমার পুরনো। আমি একবার যেই গান শুনতে শুরু করি সেটা শুনতেই থাকি। যতক্ষণ কানে ব্যাথা না হয় ততক্ষণ শুনি। জন হেনরির প্রসঙ্গে কেন আসলাম সেটা জানতে হলে আপনাদের একটু কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে আশা করি ধৈর্যহারা হবেন না।



জন হেনরি একজন আমেরিকান লোকগাথার কিংবদন্তি। তাকে নিয়ে গল্পের জন্ম হয়েছিলো আফ্রিকান-আমেরিকান দিনমজুরদের মধ্যে। জন হেনরি রেলপথে স্টিল ড্রাইভারের কাজ করতেন,হাতুড়ি দিয়ে পাথর কাটা ছিলো তার কাজ। লোকগাথায় বলা হয় জন হেনরি যন্ত্রের সঙ্গে হাতুড়ি হাতে প্রতিযোগিতায় নেমে জিতেছিলেন এবং মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তিনি শারীরিক ভাবে অন্য সবার থেকে শক্তিশালী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন কৃতদাস এবং জন্ম হয়েছিল সম্ভবত তেনেসায়(Tennessee)। ১৯ শতকের মাঝের দিকে তিনি আমেরিকার পূর্ব উপকুলে নির্মানাধীন রেলপথে স্টিল ড্রাইভারের কাজ নেন। একসময় নির্মাণকাজের সাথে সম্পৃক্ত প্রকৌশলী নির্মাণ এলাকায় নিয়ে আসে একটি স্টীম ড্রিল মেশিন। শ্রমিকরা কাজ হারানোর ভয়ে ক্রুদ্ধ হয়। হেনরি মেশিনকে হারাতে পারবেন বলে বাজি ধরেন। যন্ত্রের সাথে প্রতিযোগীতায় তিনি জিতে যান এবং অবসন্ন হয়ে শেষে মৃত্যুবরণ করেন।



জন হেনরি নামক এই চরিত্রটি আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করে। আমার বিবেক নামক অদৃশ্য একটা মাংসপিণ্ডে জন হেনরি অষ্টপ্রহর হাতুড়ী দিয়ে ঘা বসায়। আমার হৃদয়ে জন হেনরির অনুরণন আমাকে বারবার দগ্ধ করে। চোখ বন্ধ করে একটু ভাবুন তো আমরা সবাই হেনরির মত যন্ত্রের সাথে এক অস্থির প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছি কিনা। হেনরি জিতে যান এবং মারা যান। আমরা হেরে যাই এবং বেঁচে থাকি। আর আমরা হেরে যাই বলেই প্রতিদিন বসদের কাছে হাতির পঞ্চম পা, সাপের অদৃশ্য লেজ এবং আছিলা কঞ্চি হজম করি।



আমরা যেন বড় হয়ে হেনরির মত জিততে পারি এবং মারা যেতে পারি। হেরে গিয়ে বেঁচে থাকার কোন দরকার নাই। কঞ্চিখেকো অগৌরবের এই জীবন আমার চাইনা।



Red Salute to You John Henry………………..

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: +++++++++++

২| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: +++++++++++

৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

সোজা কথা বলেছেন: জন হেনরির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। সত্যিই তিনি একজন অনুপ্রেরণার উৎস। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

আহমাদ ইবনে আরিফ বলেছেন: স্যালুট! লেখক এবং জন হেনরি উভয়কেই!

৫| ১১ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

সুমন নিনাদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সকলকে

৬| ১২ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জানলাম জন হেনরি সম্পর্কে...
ভালো লাগলো লেখাটি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.