নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুমন নিনাদ

বাংলা ও বাংলাদেশ- আমার ভাগফল, আমার ভাগশেষ

সুমন নিনাদ

সুমন নিনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার তোরা মানুষ হ : মিরপুর বিহারী ক্যাম্পে মধ্যযুগীয় বর্বরতা

১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

ওরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশে আটকে পড়ে। না পাকিস্তান ওদেরকে ফেরত নেয়, না বাংলাদেশ তাদেরকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে মেনে নেয়। কিন্তু তবুও ওরা মানুষ। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার সবারই আছে। অবশেষে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর ওদেরকে এদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়। এই নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে যতটা না তাদের বাংলাদেশী বানানোর প্রচেষ্টা, তার চেয়ে অনেক বেশী ভোটের ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহারের আশা। কারন ওদের গায়ে পাকিস্তানের সীলমোহর। ওদের বস্তির সামনে বড় করে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো “ষ্ট্রেন্দ্রেড পাকিস্তানিজ”

ওরা এখন একটু একটু করে বাঙালি হবার চেষ্টা করছে। ভাঙ্গা ভাঙ্গা উর্দু আর বাংলায় কথা বলার প্রাণপণ চেষ্টা। মাঝে মাঝে হাসিই পায়। মাঝে মাঝে করুনাও হয়। কিন্তু মনে ভালবাসা জাগে কি?

ছোট খাটো ব্যবসা করে জীবনধারণ। দশ ফুট বাই দশ ফুট বস্তির ঘরে হালি হালি বাচ্চা কাচ্চা। ঘর থেকে রাস্তায় বের হলেই সবার ঘৃণাভরা চোখ। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারেনা। ওদেরকে কোন স্কুল নেয়না। ওরা অবাঙ্গালি।

একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল বাংলাদেশে এবং খোদ রাজধানী ঢাকার মিরপুরের কালশীতে অবস্থিত বিহারী ক্যাম্প এক ধূসর অন্ধকারের জগত। না শিক্ষা, না উন্নয়ন, না আধুনিকতার কোনকিছুর আলোই এখানে পৌঁছায়না।

আতশবাজী ফোটানো থেকে সৃষ্ট গোলযোগের ফলো আপ হিসেবে আজ ভোরে ঘুমন্ত বিহারীদের ঘরগুলো বাইরে থেকে আটকে দিয়ে সেখানে আগুন দেয়া হয়। মৃত্যুচিৎকার কিংবা আহাজারি কোনকিছুই দুর্বৃত্তদের কানে পৌঁছায়না। ঘরের ভেতরে আটকে পড়ে একই পরিবারের ৮ জন সহ মোট ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এর মধ্যে আবার ৫ জনই শিশু। নারীও আছে। আহতের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যাচ্ছে না। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই হল আমাদের সভ্য হবার নমুনা। আমরা নাকি এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ভেতরে নাকি মানবতাবোধ জেগে উঠছে।

কারা এই পৈশাচিক আর মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাথে জড়িত আমরা এখনো তা জানিনা। তারা বাঙালি হোক কিংবা অবাঙ্গালি বিহারীই হোক তাদের দিকে তীব্র ঘৃণা আর ধিক্কারের থুথু। আবার তোরা মানুষ হ।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

সুমাইয়া আলো বলেছেন: আপনার লিখা পড়ে মনে হল সেম কারনেই মায়ানমারে বাংগালিদের উপর অত্যাচার হয়। :(

২| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

রেজওয়ান26 বলেছেন: ঘরের ভেতরে আটকে পড়ে একই পরিবারের ৮ জন সহ মোট ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এর মধ্যে আবার ৫ জনই শিশু। নারীও আছে।- খুবই দু:খজনক, অমানবিক। হয়তো

এরা সবাই জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

আরমান অরণ্য লিংকন বলেছেন: হয় আপনি বিহারী নতুবা আপনার বিহারীদের সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই। বিহারীদের আপনি দেশি ভাই বানিয়ে ফেলেছেন, তাহলে ওরা কেন এখন নিজেদের পাকিস্তানী বলে? বাঙ্গালীদের "বাঙ্গাল চুতিয়া" বলে গালি দেয়? আমি মিরপুরে ঘটনাস্থলের কাছেই থাকি। আসল ঘটনা না জেনে ফালতু কথা বলবেন না।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: কবি আবু তালিবকে ১০ নম্বরের রাস্তার মাঝের খুঁটিতে বেধে ছুরি দিয়ে শরীরের মাংস কেটেছিল এই বিহারিরা । তালিবের মৃতদেহ ওভাবেই ঝুলান ছিল মাস ধরে । কি মানবিক কাজ করেছিল , তাইনা ?

আপনি একজন বিহারি এবং পাকিস্থানের সমর্থক কিন্তু বাংলার ভাত খান ।

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায়রে ধর্ম!

হায়রে মানবতা!

হায়রে অনুভব!!!

আচ্ছা @লিংকন এবং শাহ আজিজ ভাই... তারা পাকিস্থানী ! কিন্তু মানুষতো!
তারা বাংলাদেশের ভোটার তথা নাগরিক! মাইগ্রেটেড নাগরিকত্ব বিশ্বব্যাপি প্রচলিত। এখন তাদের পুরানো পরিচয় বা সেই স্মৃতি কি আমাকে তাদের হত্যার অনুমতি দেয়?

তবেতো ব্রিটেন আমেরিকা, কানাডা সহ যেসব দেশে মাইগ্রটেড নাগরিকত্ব আছে ঐ দেশীরা অবাধে তাদের গণহত্যার লাইসেন্স পাইতেই পারে নাকি কন?

@লিংকন ভাই। আপনিতো খুব কাছের মানুষ বলছেন। আপনার পোষ্টে ঢু মেরেছি- তারা আতশ ফোটাচ্ছিল.. আপনাদের নামাজে সমস্যা হচ্ছিল- সেটা নিয়েতো প্রচলিত আইন আছে। আতশ ফোটানোর জন্য কালকেও কয়েকজনকে ভ্যানে করে নিয়ে যেতেও দেখেছি!!!

তাই কি আপনি বা আপনারা সরাসরি হত্যার অনুমতি পেয়ে গেলেন?
এই অনুমতি কি ধর্ম আপনাকে দিয়েছে?
রাষ্ট্র দিয়েছে?

নাকি বর্বরতার জঙ্গল আইনে আমরা চলছি!!!!!!

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২০

সুমন নিনাদ বলেছেন: না আমি বিহারী না। পাকিস্তানিও না। আমি দালাল যদি হই তবে শুধু বাংলাদেশের দালাল। লাল সবুজের দালাল আমি। যারা বাঙ্গালিদের গালি দেয় বা কবি আবু তালিবের সাথে চরম অমানবিকতা করেছিল তাদের প্রতি আমার ঘৃণা কিংবা ধিক্কারের অভাব নাই। কিন্তু আজকের ঘটনা কি সেই ঘটনার প্রতিশোধ? নিরীহ এই মানুষগুলোকে ঘরে আটকে পুড়িয়ে মারাকে যদি আপনি সমর্থন করেন বা ওই ঘটনা গুলোর প্রতিশোধ হিসেবে নিয়ে থাকেন, তাহলে দয়া করে মানসিক রোগের ডাক্তার দেখান। আপনার ভেতরে মানবিক গুনাবলীর অভাব আছে।

৭| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২২

সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু আমাকে সহায়তা করবার জন্য।

৮| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

এমএস ইসলাম বলেছেন: আজকে যদি কোন হিন্দু ঘরে আগুন লাগতো তাহলে এই মুক্ত চিন্তার দাবিদারেরা সারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু চিতকার করে বাংলার আকাশ বাতাসে ঘূর্ণিঝড় বইয়ে দিত আর এখন দেখছেন সুশীলগুলা কিভাবে হত্যাকারীদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে ??
আসলে এই জাতের মানুষগুলো মনুষত্ব অনেক আগেই বক্রি করে দিয়েছে আর এখন বিক্রি করছে তাদের অস্তিত্ব

৯| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

জাহিদ মজুমদার বলেছেন: জনাব আরমান অরণ্য: শিশুদের এভাবে হত্যার সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা চলে না।

১০| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

আরমান অরণ্য লিংকন বলেছেন: প্রথমে ওরা বাঙ্গালিদের বাড়ি ঘরে হামলা শুরু করে। সেটা সব পত্রিকায় চেপে গেছে। সেসব বাঙালি বাড়িগুলোতে কি নারী-শিশুরা ছিলো না? তাঁদের নিরাপত্তা কই ছিলো? তখন আপনাদের মানবতা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছেন? আমার এক বাঙালি বন্ধুর ৬০ বছর বয়সী মাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। পত্রিকা তো সেটা ছাপায় নি। কেন? সে বাঙালি বলে?

১১| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ এমএস ইসলাম এবং জাহিদ মজুমদার

১২| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

সুমন নিনাদ বলেছেন: আমরা সকল অত্যাচার আর বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। বর্বরদের কোন দেশ নাই। জাত নাই। ধর্ম নাই। কিন্তু আমাদের প্রতিবাদের ভাষা ঘরে আগুন জ্বালানো নয়।

১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

আরমান অরণ্য লিংকন বলেছেন: আতশবাজি ফোটানোর প্রতিবাদ করায় আপনার ঘরে ঢুকে আপনার মা-বোনকে পিটিয়ে বিহারীরা রক্তাক্ত করলে তখন মানবতা দেখাইয়েন, দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @আরমান অরণ্য লিংকন

বাঙালী বিহারী শব্দগুলো ব্যবহারই কিন্তু ভিন্ন অর্থ বহন করে। যেহেতু আমরা অন্য কোন দেশের সাথে লড়ছি না- উভয়েই একই দেশের অধিবাসী। আতশপোড়ানের পক্ষ আর বিপক্ষে এই দূর্ঘটনা- তাইতো।

আপনি বলছেন- মিডিয়া বিপক্ষদের খবর চেপে গেছে। আপনিতো ওপেন প্লাটফর্মে আছে- আপনি সেই প্রমাণ আপ করছেন না কেন?

হাজার লেখার চেয়ে একটা ছবির প্রমাণ অনেক শক্তিশালী।

আর মূল বিষয় - তারা হাজার অপরাধ করেছে- আপনিও তাই করবেন?

আপনারা কি থানায় জিডি করেছেন? যখন তারা প্রথমেই আক্রমন করলো- এবং যেহেতু আতশ পোড়ানো আইন বিরুদ্ধ- আপনারা সাথে সাথে থানায় গেলেতো সরকারের পূর্ন সমর্থনও পেতেন। নয় কি?

যদি না গিয়ে থাকেন- এবং জাননি এ কারণে বলা যায় এপর্যন্ত কোথাও বলেন নি- আপনারা আইনের সাহায্য চেয়েছেন!
অথচ আপনারা (আক্রমনকারীরা) কোন জোশে জজবায়, মানবতাকে ওভেনে চড়িয়ে দিলেন-এত হিটের জোশে যে- সারা রাত ইবাদতের পর ক্লান্ত ঘুমন্ত নারী শিশুর উপর আক্রমন করাকে বৈধ মনে করলেন?

না রাষ্ট্রীয় আইনে তা বৈধ না ধর্মীয় বোধে! বৈধ কি?

এটা অপরাধ। তারা অপরাধ করে থাকলে আপনাদের উচিত ছিল সাথে সাথে থানায় জিডি করা, মামলা করা। কিন্তু কোনভাবেই আইন নিজের হাতে নেয়া এবং এমন বর্বরোচিত, কাপুরুষোচিতভাবে ঘুমন্ত মানুষকে আটকে পুড়িয়ে মারা বৈধ হতে পারে না।

১৫| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

সুমন নিনাদ বলেছেন: জনাব আরমান অরণ্য লিংকন, আমি কিন্তু বলেছি আমরা সকল অত্যাচার আর বর্বরতার বিরুদ্ধে। আমি কারো পক্ষে বা কারোর সাপোর্টে কথা বলছিনা। যে বা যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আমরা তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার চাই। আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৬| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

এমএস ইসলাম বলেছেন: মানবাধিকার এখন ব্যাক্তি বিশেষের বংশগত সম্পত্তি। তাই সবার জন্য মানবাধিকার এখন হিমাগারে আছে

১৭| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: @ আরমান অরণ্য লিংকন, কাউকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলে ১০ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যার বৈধতা আপনাকে কে দিল? কাউকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলে যদি ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা বৈধ মনে করেন তাহলে ১০ জনকে হত্যার বিপরীতে এবার কতজনকে হত্যা করা আপনি বৈধ মনে করেন৷ দেশে আপনাদের মত লোকের কারণে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এরকম৷ কাউকে পিটানোর পরিবর্তে হত্যা করা বৈধ হয় তাহলে দেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগ রেখে লাভ কি?

১৮| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

আরমান অরণ্য লিংকন বলেছেন: এটা তো আপনি আমাকে বলছেন, আমি মেনে নিলাম।
যেসব বাঙ্গালির ঘরে হামলা হয়েছে, তখন তো টহল পুলিশ ছিল। কি নিরাপত্তা পেয়েছে তারা? যাদের ওপর হামলা হয়েছে, তাঁদের কি বুঝাবেন? আমার যে বন্ধুটির নির্দোষ মাকে পেটানো হয়েছে পুলিশের সামনে তাকে কিভাবে বুঝাবেন? মিরপুরে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাঙালি-বিহারী পাশাপাশি থাকে। কখনো বিহারীরা বলতে পারবে না বাঙ্গালীরা ওদের অপর হামলা বা অত্যাচার করেছে। বাঙ্গালীদের ওরা মুখের ওপর চুতিয়া বলে গালি দেয়। আমি নিজে ওদের ক্যাম্পের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় চুতিয়া গালি শুনে চুপচাপ বিতণ্ডা না করে সরে এসেছি। আপনি কি ভাবছেন? বাঙ্গালীরা শখের বশে ওদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে?
আপনি ওদের দেশের নাগরিক বলছেন, অথচ ওরা এখনো ওদের ক্যাম্পের গেটের সামনে নন লোকাল পাকিস্তানী কথাটা সাইনবোর্ডে ঝুলিয়ে রাখে। আমি অবশ্যই এতোগুলো মৃত্যু কোনভাবেই সমর্থন করি না, কিন্তু আপনারা সব দোষ কেন বাঙ্গালীদের ওপর তুলে দিচ্ছেন? এক হাতে তালি বাজে না। সব দোষ বাঙ্গালীদের না।

১৯| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

েনভী ব্লু বলেছেন: সুমন নিনাদ ভাই ঠিক-ই বলছেন, যে কোন আইন বহির্ভূত হত্যা ই নিন্দনীয়। এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার হোক এইটায় আমার চাওয়া ।

২০| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

আরমান অরণ্য লিংকন বলেছেন: হ্যাঁ, খুনগুলোর তদন্ত হোক, অপরাধীরা শাস্তি পাক। খুন কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু আপনারা যেভাবে সব দোষ শুধু বাঙ্গালীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, আজকের সংঘর্ষের দায়ভার একচেটিয়াভাবে বাঙ্গালীদের নয়। আমার সব কথার মোরাল হচ্ছে এটা।

২১| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

সুমন নিনাদ বলেছেন: আরমান অরণ্য লিংকন, আমার লেখার শেষ প্যারাটা য়া করে আবার পড়েন। "কারা এই পৈশাচিক আর মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাথে জড়িত আমরা এখনো তা জানিনা। তারা বাঙালি হোক কিংবা অবাঙ্গালি বিহারীই হোক তাদের দিকে তীব্র ঘৃণা আর ধিক্কারের থুথু। আবার তোরা মানুষ হ।" একচেটিয়া দোষ কিন্তু আমি কাউকে দেইনি। আমি শুধু ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং নিরপেক্ষ বিচার দাবী করেছি।

২২| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @সুমন নিনাদ দেখুন এটা দেখী আবার নতুন টার্ন নিচ্ছে... দেখুনতো বাংলানিউজ কি বলছে.....

বিহারীদের জন্য বরাদ্দকৃত জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা ও বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার থেকে বস্তিবাসীদের বিদ্যুৎ সংযোগে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরপুরে কালশীর ঘটনা ঘটিয়েছে একটি বিশেষ মহল। এই বিশেষ মহলকে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনীতিক।

ওয়েলফেয়ার মিশন অব বিহারী এর চেয়ারম্যান ও অবাঙালিদের সংগঠন ইউসিবিএস এর প্রধান উপদেষ্টা মোস্তাক আহমেদ শনিবার দুপুরে কুর্মিটোলা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।

কুর্মিটোলা ক্যাম্প এলাকা থেকে বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাহাঙ্গীর সুমন এ খবর জানান।

মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রতিবছর একসঙ্গে বাঙালি ও অবাঙালি একইসঙ্গে শবে বরাত উদযাপন করে আসছে। কখনো আতশবাজি ফোটানো বা অন্য কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাধেনি।

তিনি বলেন, একটি দু’টি নয়, দশটি ঘরে আগুন দিলেও দশজন মানুষ পুড়ে মরার কথা নয়। তিনটি পরিবারের তিনটি ঘরে তালাবব্ধ করে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটায় বিশেষ মহলটি।

তিনি আরো বলেন, বিহারীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রভাবশালীদের লেলিয়ে দেওয়া ওই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে আতশবাজি ফোটানোর ঘটনা সাজায়। এরপর ফজরের নামাজ শেষে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার পর পরিকল্পিকতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।

তিনি বিহারী ক্যাম্পের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

- See more at: Click This Link

২৩| ১৪ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

সুমন নিনাদ বলেছেন: আর কিছু বলার নাই ভাই। বাংলাদেশে একটা গাছের পাতা পড়লেও তার একটি সুন্দর রাজনৈতিক ব্যাখা রেডিমেড থাকে। এ আর নতুন কি?

২৪| ১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই পোষ্টে তো প্রচুর পাকি সমর্থক!
বিম্পি-জামাতিরা এদের সমর্থন করবেই, কারন রহিংগাদের মত এদেরকে দিয়েও অল্প পয়শায় বা বিনা পয়শায় গুন্ডামি হাংগামা করানো যায়।

বিহারিদের এখনো নাগরিকত্ব দেয়া হয়নি বলেই জানি। তাদের ক্যাম্পে এখনো পাকি পতাকা উড়ে।
এদেশের বিহারিরা নাগরিক না হয়েও এদেশে যে অবাধ চলাচল সুবিধা পায়, অন্যকোন দেশে এটা কল্পনাও করা যায় না। অতচ তারা ৭১এ ব্যাপক গণহত্যায় জরিত ছিল।
উৎপাতকারি বিহারিদের দমন করার জন্য যথাযত ব্যাবস্থা নেয়া উচিত।
অগ্নিকান্ডে নিহতদের ঘটনায় তদন্ত করে ক্ষতিপুরন ও দোষিদের শাস্তি দিতে হবে।

২৫| ১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: ভৌগলিক সীমারেখার কারনে মানুষ আর জানোয়ারের মধ্যে পার্থক্য ভুলে যাবেন না । যে ৯ জন মানুষ মারা গেছে তাদের জন্য সমবেদনা জানানো উচিত । রাজণীতি আমাদের সবাইকে দিনেদিনে জানোয়ারে পরিনত করছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.