নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুমন নিনাদ

বাংলা ও বাংলাদেশ- আমার ভাগফল, আমার ভাগশেষ

সুমন নিনাদ

সুমন নিনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ জাতীয় পতাকার অবমাননা

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

ভেবেছিলাম চুপ থাকব, কিন্তু থাকতে পারলাম না। মাননীয় সুশীল ও প্রগতিশীল সমাজ, জাতীয় পতাকার উপর দাঁড়িয়ে কেউ নামাজ পড়লে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়, মানতে পারছি না। গালি দেন, ছাগু বলেন, ছুপা মৌলবাদী, জামাতী যা ইচ্ছা বলেন কিন্তু আমি এটা মানতে পারলাম না। পতাকার উপর পা রেখে দাঁড়ানো দেখছেন কিন্তু সেজদাও যে দিয়েছে সেটা তো আর দেখছেন না। কারন অনলাইনের বাজারে সেই ছবিটা কেউ ছাড়ে নাই।

স্টেডিয়ামে নামাজের ব্যাবস্থা থাকলে হয়ত উনি পতাকার ব্যাবহার করতেন না। ফাঁসি চাইলে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষেরও ফাঁসি চান। রাজাকার আমজাদ খানের যখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি যখন তার মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন, তখন জাতীয় পতাকার অবমাননা হয় নাই? লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাইবার দিন হাজার হাজার পতাকা মানুষের পদতলে পিষ্ট হয়েছিল, সবাইকে ফাঁসি দিয়েছেন কি?

দেশপ্রেম আর যার যার ধর্ম সেই সেই পালন এই দুইয়ের মাঝে কোন সংঘর্ষ নাই। সাংঘর্ষিক হল আমাদের চেতনা। সাংঘর্ষিক হল আমাদের মানসিকতা।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: =======সাংঘর্ষিক হল আমাদের চেতনা। সাংঘর্ষিক হল আমাদের মানসিকতা।[/sb===

প্রথমে নিজের মানসিকতা ঠিক করুন।।
সবার কাছেই নিজের ধর্মের কিছু নমনীয় ব্যাপার আছে। বাংলাদেশের মত ধর্মনিরোপেক্ষ একটি রাষ্ট্রের কাছে জাতীয় পতাকার মর্যাদা সবার উপরে। আমাদের রাষ্ট্রে মুসলিম হিন্দু বোদ্ধ সবাই সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করে।

তাই নিজের পাবলিসিটি করার জন্য এসব ফালতু পোষ্ট না করাই ভালো।।

==শুভ কামণা==

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

সুমন নিনাদ বলেছেন: প্রথমত, আপনি আমার পুরা লেখাটি পড়েন নাই মনে হচ্ছে। "পতাকার উপর পা রেখে দাঁড়ানো দেখছেন কিন্তু সেজদাও যে দিয়েছে সেটা তো আর দেখছেন না। কারন অনলাইনের বাজারে সেই ছবিটা কেউ ছাড়ে নাই।" এই বিষয়টা চিন্তা করেছেন?

দ্বিতীয়ত, "রাজাকার আমজাদ খানের যখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি যখন তার মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন, তখন জাতীয় পতাকার অবমাননা হয় নাই? লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাইবার দিন হাজার হাজার পতাকা মানুষের পদতলে পিষ্ট হয়েছিল, সবাইকে ফাঁসি দিয়েছেন কি?"

তৃতীয়ত, নিজের পাবলিসিটির পেছনে আমি ছুটছি না, ছুটছে তারা যারা এই বিষয়টিকে বিতর্কিত করে নিজেদেরকে লাইম লাইটে আনবার চেষ্টা করছে।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এটা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ, এখানে জাতীয় পতাকার সম্মান ধর্মের উপরে। তিনি তো জানেনই যে স্টুডিয়ামে নামাজের ব্যবস্থা নেই, তাইলে তিনি গেলেন কেন? ঘরে বসেও তো খেলা দেখা যায়, পতাকা সেজদা কিংবা পায়ে পিষ্ট করার জিনিস নয়

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১০

সুমন নিনাদ বলেছেন: জাতীয় পতাকার সম্মান ধর্মের উপরে এই নিয়ে আমার কোন বিতর্ক নেই। পতাকা পায়ে পিষ্ট করার জিনিস নয় সেটাও শতভাগ মানি। কিন্তু উনার ইনটেনশন কী ছিল সেটা দেখতে হবে। পতাকার অবমাননা উনি করছেন কিভাবে? পতাকার উপর পা রাখার জন্যে উনাকে ফাঁসি দিলে, আমিও পতাকার উপর সেজদা দেবার উপহার হিসেবে তার জন্য জাতীয় পুরস্কার দাবী করছি।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

সুমন নিনাদ বলেছেন:
স্বাধীনতা তুমি
পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
স্বাধীনতা তুমি
উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।
স্বাধীনতা তুমি
বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদীর রঙ।
স্বাধীনতা তুমি
বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে এক রাঙা পোস্টার।

স্বাধীনতা তুমি / শামসুর রাহমান

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: আচ্ছা, কোনো কিছুর উপর না দাড়িয়ে বা কাগজের উপর দাড়িয়েও কি সেজদা দেয়া যায়না??
জানাবেন।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

সুমন নিনাদ বলেছেন: বলেছেন: অবশ্যই যায়। ওইভাবে চিন্তা করলে বিছানা কেন গাছের তলায় মাটিতেও তো সুন্দর ঘুমানো যায়, যায় না? আচ্ছা একটা কথা বলেন, পতাকার উপর পা রাখার জন্যে উনার ফাঁসির দাবী করেন তাহলে সেজদা দেবার জন্য কেন পুরষ্কার দাবী করছেন না? বী লজিক্যাল ব্রাদার।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

লক্ষীপেঁচা বলেছেন:
আসলে, জায়নামাজের মতো পবিত্র ও ভাল কাজে জাতীয় পতাকার ব্যবহারে ওদের প্রবল আপত্তি থাকবারই কথা। যদি জাতীয় পতাকা দিয়ে তরুনীর ব্রা বানানো হতো, গালে আকানো হতো,................. তখন তাদের আপত্তি থাকে না।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

সুমন নিনাদ বলেছেন: ব্রা বানালে সমস্যা কি? জাতীয় পতাকাকে বুকে ধারণ করা হল

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেমাই খান, মাথা ঠান্ডা রাখেন

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৯

আবুল হাসান নূরী বলেছেন: একজন ক্রিকেটপাগল মানুষ (সেই সাথে একজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি) হিসেবে সেদিন তিনি মাঠে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের খেলা দেখতে। এত ভিড়ের মধ্যেও তিনি একটু জায়গা খুঁজে নিয়েছেন আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য। জায়নামাজ সাথে না থাকায় উপায়ন্তর না দেখে নিজ দেশের পতাকাকেই জায়নামাজ বানিয়ে নিয়েছেন। কুকুরের গায়ে পতাকা জড়ানো কিংবা এর উপরে বসে গল্পগুজব করার মতো অন্য কোনো কাজ তো আর তিনি করেন নি।

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

সুমন নিনাদ বলেছেন: ভাল বলেছেন, ধন্যবাদ আবুল হাসান নুরী

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২৯

বাংলার জামিনদার বলেছেন: জাতীয় পতাকা একটা জাতীর সর্বোচ্চ সন্মানের জিনিষ। তাকে কোনো অবস্থাতেই পায়ের নীচে রাখা যাবেনা। তার উপড়ে দাড়ানো, বসা, শোওয়া যাবেনা। আপনার উপলক্ষ যাই হোক।

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যে ব্যক্তি ফাঁসি চাচ্ছে, বাপ্পা বোধহয়, ওঁর মাথার সমস্যা আছে। কিন্তু ধর্মকে অবশ্যই জাতীর নিচে রাখতে হবে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

সুমন নিনাদ বলেছেন: সহমত ভাই

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: পতকানুভূতি আহত হয়েছে কারণ তারা দেশপ্রেমিক। কিন্তু ভিনদেশী সংস্থা থেকে টাকা নিয়ে সে দেশের আদর্শ বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করার সময় বিপ্লবীদের দেশপ্রেমের কথা মনে থাকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.