নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু পরধিকার চর্চা না করে পারছি না। নচিকেতা-সুমন-অঞ্জন আমার কাছে তিনবেলার খাবারের মত। এই তিনজনেরই গানের অন্যতম একটি দিক হল ধর্ম-নিরপেক্ষতা, অধর্ম আর কুধর্মের কুৎসিত চেহারা বরাবরই তাদের গানে ফুটে উঠেছে। এই তিনজন গায়কের(আমার নায়কও) তিনটি বিখ্যাত গানের কিছু লাইন তুলে ধরলামঃ
নচিকেতা/এই বেশ ভাল আছি
"ভেঙে গেলে জোড়া যায় মন্দির মসজিদ,
ভাঙা কাঁচ, ভাঙা মন যায় না,
রাম আছে, শ্যাম আছে, কোরাণী সেলাম আছে,
রক্তলোলুপ কিছু হয় না।
এদেশ টা ফাঁকা আছে, বিদেশের টাকা আছে,
ধর্ম না গ্রাস করে আমাদের পাছে।"
অঞ্জন দত্ত/রঞ্জনা আমি আর আসব না
"ধর্ম আমার, আমি নিজে বেছে নিই নি,
পদবীতে ছিলনা যে হাত।
মসজিদে যেতে হয়, তাই যাই জোর করে যাই
বছরে দু এক বার"
কবীর সুমন/ আমি চাই
"আমি চাই হিন্দু নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু,
আমি চাই বিজেপি নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।"
এবার মূল বক্তব্যে আসি। ভারতকে বলা হয়, " A land of diversity." ভারতের এই প্রায় ষাট বছরের গনতন্ত্র চর্চার ইতিহাস সত্যিই অনুসরনীয়। হ্যাঁ, ভারতেও ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা হয়েছে, মসজিদ ভাঙ্গা-মন্দির গড়া নিয়ে যুদ্ধ হয়েছে, তারপরেও আমি বলব, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারত অনেক সফল। আমরা তাদের ধারেকাছেও নাই। বাই দ্য ওয়ে, ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে আমি যার যার ধর্ম সেই সেই নির্বিঘ্নে পালনের পরিবেশকে বুঝি।
গতকাল থেকে নিউজ ফিডে দেখছি, ভারতের কট্ট্ররপন্থি দল ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’এর নেতা অশোক সিংহাল একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তা হল, "২০২০ সালের মধ্যে ভারতে হিন্দু রাষ্ট্র এবং ২০৩০ সালে গোটা বিশ্বই হিন্দুতে পরিণত হবে।"
নচিকেতা নিশ্চয়ই কাল থেকে আবার ভাবছেন,
"ধর্ম না গ্রাস করে আমাদের পাছে।"
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
সুমন নিনাদ বলেছেন: Click This Link
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
হোৎকা বলেছেন: রামছাগলের দিবাস্বপ্ন। তবে রেন্ডিয়া এখনই কট্টর হিন্দু দেশ । মুসলিমরা সেখানে ৩য় শ্রেণীর বাসিন্দা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
(একজন নিশাদ) বলেছেন: কি দেখে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন।