নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এএসপি বশীরকে মনে আছে আপনাদের? মনে থাকার অবশ্য খুব একটা জোরালো কারন নেই, কারন গোল্ডফিস বাঙালির আবার ভাল জিনিস মনে থাকেনা।২০১৪ র জুনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনে জালভোট প্রতিহত করার সময় ফোনে হুমকি দিলে এএসপি বশীর শামীম ওসমান কে এক হাত নিয়েছিলেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ নামক একটি মগের মুল্লুকে দাঁড়িয়ে সরকারী কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন সাংসদের অন্যায় হুমকির বিরুদ্ধে এভাবে রুখে দাঁড়ানো কিন্তু চারটে খানি কথা নয়। শিরদাঁড়া শক্ত হতে হয়। কলিজার আয়তনও বড় হতে হয়।
ডাঃ মীমের পেশাগত দক্ষতা কিংবা দায়িত্বশীলতা নিয়ে আমার প্রশ্ন করা অবান্তর। তাকে নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সত্য মিথ্যা যাচাই করা আমার কাজ না। তবে ডাঃ মীমের যে বিষয়টি আমাকে মনকে শিহরিত আর চেতনাকে আন্দোলিত করেছে তা হল তার সাহস। তার মেরুদণ্ডের জোর।
তার জবানবন্দি পড়ছিলাম। অবাক হচ্ছিলাম তার কলমের ধার দেখে। বিস্মিত হচ্ছিলাম, তার "জনপ্রধিনিতিকে না চেনার" ঔদ্ধত্ত দেখে। আশাবাদী হচ্ছিলাম তথাকথিত "ব্রিটিশ সভ্য সমাজের" মুখে তার কষাঘাত দেখে।
অন্যায় কে অন্যায় বলবার সাহস আমাদের আজ নেই। আজ জনসম্মুখে মানুষ খুন হলে আমরা উটপাখির মত মাথা গুজি। চিৎকার করবার চেয়ে নীরবে ধর্ষিত হওয়াই যেন আজ বেশি নিরাপদ।
এই মগের মুল্লুকে দুই একজন এএসপি বশীর ও ডাঃ মীম আমাদের নতুন করে কুকুরকে "কুত্তা" বলতে গালি দেবার সাহস যোগায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২০
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সাহস যোগায় কিন্তু সাহসী কি হতে পারছি?