নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসিফ মহিউদ্দিন যখন পবিত্র ক্বাবাঘরের বিদ্রূপাত্মক ছবি পোস্ট করেছিল, সুমন নিনাদ তার প্রতিবাদ করতে ভোলেনি। জাতীয় পতাকার ওপর দাঁড়িয়ে স্টেডিয়ামে নামাজ আদায় করা নিয়ে যখন দেশের সুশীল সমাজ দ্বিখণ্ডিত, সুমন নিনাদ তখন জাতীয় পতাকার ওপর পা দিয়ে দাঁড়ানোর জন্য কারো শাস্তি দাবী করার প্রতিউত্তরে জাতীয় পতাকার ওপরে মাথা রেখে সেজদা দেবার জন্য জাতীয় পুরস্কার দাবী করেছিল। যদি কেউ প্রমান দিতে পারেন অদ্যাবধি ইসলামের বিরুদ্ধে কিংবা কারো ধর্মানুভুতিতে আঘাত দিয়ে সুমন নিনাদ অনলাইনে একটি শব্দ লিখেছে তাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে আইডি ডিএকটিভেট করে আজীবনের জন্য ফেসবুক এবং সামু ব্লগে লেখা বন্ধ করে দিব।
শুধু মানুষ খুন করার প্রতিবাদ করায় সুমন নিনাদকে জারজ, বেজন্মা, দেশদ্রোহী, মালাউন, শুয়োরের বাচ্চা, ভারত চলে যা, তোর উইকেট পড়বে এবার ইত্যাদি অসংখ্য গালি এবং হুমকি হজম করতে হয়েছে। একটা গণতান্ত্রিক(!) দেশের সিংহভাগ মানুষ যখন নির্বিচারে মানুষ খুনের পক্ষে অবস্থান করে সেই দেশকে সুমন নিনাদ মানুষের দেশ নয় বরং শুয়োর-শকুনের দেশ বলে তখন সে দেশদ্রোহী হয়ে যায়। অথচ সেদেশে খুনীরা প্রতিদিন নির্বিচারে খুন করে, রেহাই দেয় না মাতৃগর্ভে থা শিশুকেও। শতশত নারী এবং শিশু ধর্ষিত হয়। অপরাধী সরকার এবং সরকারী বাহিনীর আশ্রয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যায়। এরা কেউ দেশদ্রোহী নয়। শুধু সুমন নিনাদ এসবের প্রতিবাদ করলে দেশদ্রোহী হয়ে যায়। হায়রে আমার সোনার বাংলা! সত্যি সেলুকাস-কী বিচিত্র!!
না, যারা মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে সুমন নিনাদ তাদের পক্ষের লোক নয়। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন, যারা আইন এবং মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চাপাতির কোপে ইসলাম কায়েম করার চেষ্টা করে চলেছে সুমন নিনাদ তাদেরও লোক না।
এই দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই সুমন নিনাদের কলম চলবেই।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
ভোরের শিশির । বলেছেন: + দিলাম
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২
সুমন নিনাদ বলেছেন: আমার সোনার বাংলা এখন খুনী আর জল্লাদদের অভয়ারণ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬
এই স্বাধীনতা চাইনি আমি বলেছেন: এই স্বাধীনতা আমি চাইনি ।