নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুনতে হয়ত অনেকের কাছে খারাপ লাগবে, হয়ত নির্বোধদের ভোঁতা ধর্মানুভুতিতেও আঘাত লাগতে পারে, কিন্তু সত্যি কথা হল, গত কয়েক যুগ ধরে আমেরিকা এবং ইজরাইলের পরে মানবতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি হল সৌদি আরব। আজ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইজরাইল মিলে যত অনাচার করেছে সব সৌদি আরবের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তায় করেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সৌদি আরব আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। আর বাংলাদেশেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সৌদি আরবের পাঁচ বছর লেগেছিল, যা তারা দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যত যুদ্ধ হয়েছে সকল যুদ্ধেই সৌদি আরবের অবস্থান ছিল মুসলিমদের বিপক্ষে।
আজ যখন নাক উঁচু ইউরপিয়ানরা সিরিয়ার শরণার্থী নিতে রাজি হয়েছে, সেখানে সৌদি আরব তার পুরনো ভুমিকায়। দুর্বল ইয়েমেনের উপর তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা হয়ত অনেকেরই অজানা।
অঢেল তেল আর সম্পত্তির প্রাচুর্যের উপর ভাসতে থাকা একটি দেশের কাছে মানবিকতা বা মানবতা আশা করা যায় কি?
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: তারা আমোদ ফুর্তিতে বিজি
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
সুমন নিনাদ বলেছেন: সমস্যা যেই সৃষ্টি করুক, তবে সেই সমস্যা সৃষ্টিতে সৌদি আরবের অকুণ্ঠ সমর্থন সবসময়ই ছিল।
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
কালীদাস বলেছেন: উত্তম বলিয়াছেম। উহাদের মানবতা বাংলাদেশ নিজের ভালর জন্য কোন উদ্যোগ নিলেই জাগ্রত হইয়া ওঠে। সেইটা ফাকিস্তান হইতে স্বাধীন হওয়াই হউক আর রোহিঙ্গা প্রবেশ আটকানোই হউক। কারণ এই দরিদ্র জনগোষ্ঠী শিক্ষা/অর্থনীতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হইয়া উঠিলে উহারা সুকঠিন পুটুমারা খাবে, তৈলসম্পদ তখন কোন কর্মে আসিবে না। ভালকথা, উহাদের এক রাজপুত্র বছরখানিক পুর্বে এক বালক কর্মচারীর সাথে কুকর্ম সাধন করিয়া উহাকে হত্যা করিয়াছিল।
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮
ধুন্দুলওয়ালার দাঁত ব্যথা!! বলেছেন: যুদ্ধতা সৌদীতে লাগলে কী যে আনন্দ হইতো
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
আমার পথ চলা ১ বলেছেন: বাংলদেশ নিয়ে সৌদি আরবের ভূমিকায় আপনার সাথে আমি একমত।
তবে, তথাকথিত সভ্য ও উন্নত আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো মিলে তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তেল লুটপাট করে নিয়েছে, এখন সেখানে যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়েছে, পারমানবিক বোমার নাম করে ইরাকের তেল শুষে নিয়ে সেখানে এখন জাতিগত দাঙ্গা-যুদ্ধ বাঁধিয়েছে (আজ পর্যন্ত ইরাক থেকে একটা পারমানবিক বোমা উদ্ধার করে দেখাতে পারল না), লিবিয়াতেও প্রায় একই কায়দায় তেল লুট করে নিয়ে এখন সেখানে জাতিগত দাঙ্গ-যুদ্ধ বাঁধিয়েছে এবং সিরিয়ার বাশার সরকারকে উৎখাত করার জন্য আইএসআইএস (অস্র সরবরাহ সহ) এর জন্ম দিয়েছে। এখন বলছে- অন্যান্য আরব মুসলিম দেশগুলো কেন শরণার্থীদের অশ্রয় দিচ্ছে না! মুসলিম দেশগুলো তো এই সমস্যা সৃষ্টি করেনি, আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো মিলে এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তাই, ইউরোপ মূখী ও অন্যান্য আরব মুসলিম দেশে থাকা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে হোক বা যেভাবেই হোক, আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। অর্থাৎ যাদের তেল লুট করেছে, তারাইতো আজ শরণার্থী হচ্ছে। তাই লুটেরাদেরকেই এই সমস্যার সামাধান করতে হবে। সমস্যার সৃষ্টিকারীকেই সমস্যার সামাধান করতে হবে।
যুদ্ধ বাঁধাবে একজন, আর যুদ্ধের ধাক্কা (সাইড এফেক্ট) সামাল দেবে আরেকজন - এটাতো হওয়া উচিত না।