নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুমন নিনাদ

বাংলা ও বাংলাদেশ- আমার ভাগফল, আমার ভাগশেষ

সুমন নিনাদ

সুমন নিনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরুর সাইজ আজ আমাদের কাছে মহত্ত্বের মাপকাঠি

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

খুব সম্ভবত বাংলাদেশ হল পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে যাকাতের শাড়ি হল একটি ব্র্যান্ড। যাকাতের শাড়ি মানে কমদামী শাড়ি, যা বড়লোকরা গরীবদের মাঝে যাকাতের মৌসুম এলে বিলি করে থাকে। এটি বড়লোকদের কাছে এক ধরনের ফ্যাশন। এক ধরনের ইনভেষ্টমেন্টও বলতে পারেন। কিংবা বিজ্ঞাপন।

কোরবানির ঈদে লাখ টাকা খরচ করে বড় গরুটা কোরবানি দেয়াও কিন্তু একইভাবে তাদের কাছে ফ্যাশন। যার গরু যত বড় তিনি তত বড় মানুষ। ধর্মীয় অনুভূতি ছাপিয়ে সামাজিক মানসম্মান কিংবা বড়লোকির বিজ্ঞাপনই কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের কাছে মুখ্য।

যাকাত কিংবা কোরবানির গুরুত্ব কিংবা ধর্মীয় অনুশাসনকে মোটেও আমলে না নিয়ে আমরা আজ এটাকে ফ্যাশন কিংবা জনপ্রিয়তার বিজ্ঞাপনে পরিণত করেছি। গরুর সাইজ আজ আমাদের কাছে মহত্ত্বের মাপকাঠি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

বালক বন্ধু বলেছেন: খুব অল্প কথায় সমাজের কঠিন বাস্তব চিত্রকে তুলে ধরেছেন। এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রতি বছরই যখন যাকাতের কাপড়ের বিজ্ঞাপনগুলো দেখি তখন এদেরকে গালি দিতে দিতে যাই। পত্রিকাতে যখন যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা পড়ি তখন সত্যিই দুঃখ হয়। ইচ্ছে করে যে যাকাতের কাপড় বিলি করতে গিয়েছে তাকেও ঐ ভাবে পায়ের নিচে পিষ্ট করে মেরে ফেলি।
আজকে খবরের কাগজে দেখলাম একটু গরুর দাম ২২ লাখ টাকা উঠেছে! চিন্তা করা যায়? যে কোরবানীর মূল উদ্দেশ্যে নিজেকে বিনয়ের সাথে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে সমর্পণ করা সেই কুরবানী নিয়ে আমরা কতটাই না তামাশা করছি!

এই সব কিছুর পেছনেই কাজ করছে ধর্ম থেকে আমাদের দূরে সরে থাকার কারণে। আমরা কোরআন এবং হাদীছ থেকে দূরে সরে গিয়েছি। আমরা জীবনের জন্য ধর্মকে অনভিপ্রেত মনে করছি। যে কারণে ধর্মীয় জ্ঞানগুলো আমরা অর্জন করছি না। তাই আমাদের মাঝে সেই অনুভূতিটা তৈরী হয়নি যেই অনুভূতিটা তৈরী হলে আমরা কোন ধরণের লোক দেখানো কাজ করতাম না।

পোস্টটি লিখার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৫

সুমন নিনাদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভকামনা বালক বন্ধু

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সুমন কর বলেছেন: যাকাত কিংবা কোরবানির গুরুত্ব কিংবা ধর্মীয় অনুশাসনকে মোটেও আমলে না নিয়ে আমরা আজ এটাকে ফ্যাশন কিংবা জনপ্রিয়তার বিজ্ঞাপনে পরিণত করেছি।

ভালো বলেছেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

ভার্চুয়াল কবি বলেছেন: লজিক মনঃপুত হইল !

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: সময় উপযোগী পোস্ট। আসলে কোরবানির মূল উদ্দেশ্য থেকে অনেক দূরে সরে মানুষ কোরবানিকে সামাজিক মর্যাদার আনুসংগ বানিয়েছে। কে কত টাকা দিয়ে পশু কিনলো, কার পশুতে কত কেজি মাংস হলো, প্রতি কেজি মাংসের দাম কত পড়লো, পশু কেনায় কে কত লাভবান হলো এইসব অপ্রয়োজনীয় আলোচনায় মেতে থাকতে মানুষ বেশি পছন্দ করছে। এর মূল কারন পন্যদাসত্ব। পন্যের দাসত্ব করতে করতে মানুষ কোরবানির পশুকেও অন্য আর পাঁচটা জিনিষের মত ভোগ্য বানিয়ে ফেলেছে। আমরা একটা ভুল প্রাকটিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এবং যত দিন যাচ্ছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরো ভ্রান্তিতে নিপতিতো হচ্ছে। কারন আমাদের সমাজে মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদানের কেউ নাই। ধর্মীয় ক্ষেত্রে এ দায়িত্ব আলেম সমাজের। কিন্তু দু:খের বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও স্বচ্ছ না। জ্ঞান গরিমার কথা নাই বা বললাম।

তবে এবার দেখলাম একটি প্রতিষ্ঠান কোরবানির বিষয়ে তাদের সদস্যদের আহ্বান করেছ কোরবানির পশুর দাম কারো সাথে শেয়ার না করতে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো- স্রষ্টা আমাকে যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন তাই দিয়ে পশু কিনেছি, কোরবানি তো শুধু তাঁর সন্তুষ্টির জন্যই। ভাল লাগলো বিষয়টা। সমাজে এই প্রাকটিস শুরু করলে আশা করা যায় কোরবানির লোক দেখানো বিষয়টা দূর হবে। প্রতিষ্ঠিত হবে কোরবানির শাশ্বত গুরুত্ব।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

সুমন নিনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্যের সাথে আমিও সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.