নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলে কিনা বলে !!!

পাগলের চিকিৎসা হয় না , পাগলামির ওষুধ নাই ।

মহাজাগতিক পাগল

আমি ছোট লোকের মাঝে আরও ছোট লোক , আমি পশ্চাদপদদের মাঝে আরও পশ্চাদপদ।

মহাজাগতিক পাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ভুল চিকিৎসার শিকার একজন মায়ের সন্তান বলছি , আপনি ডাক্তার না কসাই ?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

এসএসসি পরীক্ষায় আসা একটি উদ্দিপক - "জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার" নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে । ঝড় ওঠার ই কথা । এসএসসি এর মত এত বড় জাতীয় একটা মঞ্চে ডাক্তারদের সম্পর্কে এমন নেতিবাচিক কথা লেখা উচিত হয় নি । এতে মানুষের ভুল ধারণা জন্মায় ডাক্তারদের প্রতি ।

আচ্ছা ! জাহিদ সাহেবের পেশা টা পরিবর্তন করে ডাক্তার না লিখে যদি “ইঞ্জিনিয়ার” বা “স্কুল কলেজের প্রাইভেটখোর শিক্ষক” দিয়ে কিংবা কোন “সরকারি কর্মকর্তা” বা “রাজনীতিবিদ” অথবা “পুলিশ” দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হত তাহলে কি ফেসবুকে এত প্রতিবাদ হত ?

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে ।

আর প্রতিবাদ যদি না হত , তাহলে কি ধরে নেব এসব পেশার সামাজিক মূল্য কম সে জন্য প্রতিবাদ হয় নি ( বা হবে না) ?

আমার আবার ও খুব খুব জানতে ইচ্ছে করে ।


আমরা আসলে ধরেই নিই সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ খাবে , রাজনীতিবিদ মানেই দুর্নীতিবাজ হবে আর পুলিশ মানেই চাদাবাজি করবে । “সৎ” কথাটি এসব পেশার আগে কেন জানি শোভা পায় না – এটাই আমাদের মনে গেথে গিয়েছে ।

কাগজ পত্রে ঘাপলা থাকায় এক ট্রাফিক পুলিশ একবার এক ডাক্তারের গাড়ি আটকালেন , তাই দেখে ভেতরে থাকা ডাক্তার মনে মনে বলতে লাগলেন – “শালা টাকা খাওয়ার ধান্দা খালি ।“ কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ কোন টাকা খান নি । শুধু দায়িত্ব পালন করেছিলেন । যে ডাক্তার নিজের পেশা নিয়ে এত কন্সার্ন , সেই ডাক্তার ই অন্য পেশার সৎ অফিসার কে গালি দিচ্ছেন শুধু মনে গেথে যাওয়া ধারণার কারণে । এই কাজ টা আমরা হরহামেশাই করি ।


তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি , যে পেশার কথাই লিখি না কেন , ওভাবে লিখলে সব পেশাকেই ছোট করা হবে । এ জন্যই উদ্দীপকে নাম ব্যবহার করা হয়েছে । পেশা কে ছোট করা হয়ত উদ্দেশ্য ছিল না । জোক্স অ্যাপার্ট – বাস্তবেই হয়ত জাহিদ সাহেব নামে ডাক্তার আছেন যিনি চরম অর্থলোভী এবং প্রশ্নকর্তার সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় তিনি ভরা সমাজে জাহিদ সাহেবের গাড় মারার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু তীরটা গিয়ে লাগল পুরো ডাক্তার সমাজের গায়ে ।

এজন্য স্কুলে আমাদের ব্যকরণ পড়ানো হত । জাতি বাচক বিশেষ্য (Common Noun) আর নাম বাচক বিশেষ্য (Proper Noun) এর পার্থক্য কি আপনাদের মনে আছে নাকি পড়ার চাপে সব ভুলে গিয়েছেন ? সংজ্ঞা টা ক্লাস নাইন এর বাংলা ব্যকরণ বই থেকে দেখে নিবেন অথবা গুগলে সার্চ দিবেন । আমি শুধু কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি । “ল্যাপটপ” হচ্ছে জাতি বাচক বিশেষ্য আর “ম্যাকবুক” হচ্ছে এর নাম বাচক বিশেষ্য । “গায়ক” হচ্ছে জাতিবাচক বিশেষ্য আর “আইয়ুব বাচ্চু” হচ্ছে নাম বাচক বিশেষ্য । “ডাক্তার” হচ্ছে জাতিবাচক বিশেষ্য আর “জাহিদ সাহেব” হচ্ছে নাম বাচক বিশেষ্য । “নাম বাচক” বিশেষ্যের দায় তাই “জাতি বাচক” বিশেষ্য নিবে না ।

তাহলে কি আমরা বোঝানোর খাতিরে বা গল্প উপন্যাসে অথবা সিনেমায় খারাপ পেশার কোন লোক দেখাতে পারব না ? সব কিছু পজেটিভ ভাবে লিখতে হবে ? আমরা অবশ্যই পারব , এবং যিনি খারাপ তাকে খারাপ ভাবেই দেখাতে হবে । শুধু পেশা , জাতি বা ধর্মগত মিলের কারণে খারাপ মানুষটাকে নিজেদের ভেবে তার পক্ষে সাফাই গাওয়া কোন কাজের কথা নয় । একজন খারাপ ডাক্তার কে খারাপ বলা হলে , শুধু পেশা মিলে যাওয়ায় আমরা সেই খারাপ কে পুরো পেশার উপর জেঁচে টেনে নিয়ে আনব না । কখনোই আনা উচিত নয় ।


এবার আসি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটা লাইনের কাছে – “আপনি পশু , আমি কসাই । আপনি মানুষ, আমি ডাক্তার ।“

আমার মা বাথরুম থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন শুধু চিকিৎসার জন্য । আমার মা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছোট বেলা থেকেই । বা পায়ে একটু খুড়িয়ে হাটতে হয় । চার ঘন্টা অপেক্ষার পর ডাক্তার তাকে দেখলেন ২ মিনিটের জন্য । তার এক্স-রে করা হল । তারপর বলা হল আপনার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে । ব্যান্ডিজ করতে হবে , ক্র্যাচ নিতে হবে , এক মাসের ঔষধ , আর দেড় মাস বেড রেস্ট । এক সপ্তাহ পর আবার দেখিয়ে যেতে বললেন সেই ডাক্তার । আম্মা এক সপ্তাহ পর ঠিক ই ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন , তবে এবার বরিশাল সদর থেকে আসা অন্য আরেকজনের কাছে । তিনি এক্স-রে দেখে জানালেন কোন ফ্র্যাকচার নেই , শুধু মাংসপেশীতে ব্যাথা পেয়েছেন আমার মা । মাংস পেশীর ব্যাথায় পারমানেন্ট ব্যান্ডেজ কেন করা সেটা দেখে বরিশালের ডাক্তার খুব অবাক ই হলেন । ব্যান্ডিজ কেন করলেন সেই প্রশ্নের উত্তর দেবার কোন জবাব আমার মায়ের কাছে ছিল না ।

আমি বলি ? কেন ছোট্ট একটা বিষয় কে টেনে এত বড় করেছিলেন সেই লোভী ডাক্তার ? - বেশি টাকা খাওয়ার জন্য । ব্যান্ডিজ আর ক্র্যাচ বাবদ এক্সট্রা ছয় হাজার নিয়েছিলেন যেখানে হয়ত দু হাজারে কাজ হয়ে যেত । পটুয়াখালি সদরের এমন সিনিয়র একজন ডাক্তার , তার তো রোগীর অভাব নেই । তাহলে অভাব কি টাকার নাকি জ্ঞানের ? তাহলে কি ধরে নেব সিনিয়র হলেও তার জ্ঞান তার বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নি ? নাকি বাড়ে নি তার নৈতিকতা ? এ তো গেল ২০১৬ এর ডিসেম্বর এর ঘটনা ।

২০১৫ এর জানুয়ারি তে আমার মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠে মাথা ঘুরে পড়ে যান । জ্ঞান ফিরতে বেশ কিছুক্ষন সময় লেগে যায় । ভয়ে আতংকে আমি আর আমার বাবা কি করব বুঝতে পারছিলাম না । আমি কিন্তু ঢাকায় । সকাল ৬ টা বাজতেই ডাক্তারের খোজে বেরিয়ে পড়ে আমার বাবা । আর আমি ফোনে আছি বাবার সাথে । একজন পরিচিত ডাক্তার কে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসলাম । খুব ভাল মানুষ । তিনি প্রেসার মেপে দেখলেন । সারাজীবনের লো প্রেসারের রোগীর হাই প্রেসার অ্যাটাক । এরপর ঘুমের একটা ঔষধ দিয়ে বাবাকে বললেন বিকেলে ভাল একজন ডাক্তার দেখাতে । বিকেলে আম্মুকে নিয়ে যাওয়া হল পটুয়াখালীর সেরা মেডিসিনের ডাক্তারের কাছে । চেকাপ আর ৬-৭ টা টেস্টের পর ডাক্তার সাহেব বললেন হার্টের সমস্যা । একগাদা ঔষধ লিখে দিলেন আর বললেন পনের দিন পরে দেখা করতে । ঔষধ শুরু হবার পরে আম্মার উপসর্গ আরো বাড়তে লাগল । নতুন উপসর্গ শুরু হল । অফিসে ঠিক মত কাজ করতে পারতেন না । সারাদিন হাত পা ঝি ঝি করত আর শরীর ফুলে যেতে লাগল । বরিশাল থেকে আসা আরেক ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিলেন । তিনি আবার ঔষধ চেইঞ্জ করে দিলেন । এভাবে কিছু দিন গেল কিন্তু শরীর ফোলার বিষয়টা আর কমল না । আমাদের ধারণা হতে লাগল কিডনির কোন সমস্যা হল কি না! জুন জুলাই মাসে ব্যাঙ্কে কাজের চাপ বেশি থাকায় আম্মাকে তখন ও ঢাকায় এনে দেখানোর সুযোগ হয় নি । এরপর এক রকম জোর করে আম্মাকে ঢাকায় নিয়ে এসে ল্যাব-এইডে দেখালাম একজন নেফ্রলজিস্ট কে । রিকমেন্ড করেছিলেন আমাদের ফ্যামিলির এক ডাক্তার ভাইয়া । ডাক্তার কিছু টেস্ট করালেন । আর পরপর দু দিন দেখলেন । টেস্টের রেজাল্টের পর আগের দু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখে ডাক্তার মাথায় হাত দিলেন । আর কিছু দিন সেই আগের ডাক্তারদের ওষুধ চালিয়ে গেলে পারমানেন্টলি আম্মার কিডনি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারত । মাত্র ৫০০ টাকার এক সপ্তাহের ঔষধ আর দুইটা ইনজেকশন দেওয়ার পর আমার আম্মা সম্পুর্ন সুস্থ । ফুলে যাওয়া শরীর আবার আগের মর নরমাল হয়ে গেল । আমরা হাফ ছেড়ে বাচলাম । আল্লাহর কাছে দুয়া করলাম ডাক্তারের জন্য । কারণ আমার মা ছাড়া আমার ও আমার বাবার বেঁচে থাকার আর কোন অবলম্বন নেই । আমার মা ছাড়া আমরা দুজনেই অসহায় ।

এবার আমার প্রশ্নের উত্তর আপনারা দিন “আমার মা তো পশু ও ছিল না , ডাক্তারদের সাথে কোন শত্রুতা ও ছিল না , তাহলে কেন আমার মা কসাই এর আচরণ পেল ? তাহলে কেন আমার মা রোগী হবার পর ও ডাক্তারের কাছে আকাংক্ষিত সেবা পেল না ?

আমি ভুল চিকিৎসার শিকার একজন মায়ের সন্তান বলছি , আপনি তখন ডাক্তার না কসাই ???

আমি নিজে যে ভুল চিকিৎসার শিকার সে গল্প টা আজ না ই বলি । আমার বিশ্বাস এমন অসংখ্য ভুল চিকিৎসার গল্প প্রত্যেক ঘরে ঘরে ই আছে ।

বিশ্বাস এমন এক জিনিশ যা একবার চলে গেলে আর সম্পুর্ণভাবে কখনোই ফিরিয়ে আনা যায় না । ডাক্তারি পেশা কে আমি সর্বোচ্চ সম্মানের চেষ্টা করি । ছাত্রাবস্থায় যে পরিশ্রম টা তাদের করতে হয় সেটা নিজের কাছের ডাক্তার বন্ধু না থাকলে কেউ বুঝতে পারবেন না । শুধু এম.বি.বি.এস. ডিগ্রীর জন্য যে কষ্ট টা করতে হয় তা বোধ করি আমি সাতবার জন্মালেও করতে পারতাম না। তবে sorry to say , That is not enough. তাই ডাক্তারদের উপর থেকে আমার বিশ্বাস উঠে যায় নি ,আমার বিশ্বাস উঠে গিয়েছে বাংলাদেশী ডাক্তারদের উপর থেকে । আমি তাই চেষ্টা করি যত কম ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় , আর গেলেও ভাইয়া বা ঘনিষ্ঠ ডাক্তার বন্ধুদের রিকমেন্ডেশন নিয়ে ভাল হসপিটালে দেশের বাইরে থেকে প্রাক্টিস করে আসা ডাক্তার কে দেখানোর । ভাল চিকিৎসা সেবার জন্য অর্থ খরচ করতেই হবে , ভুল চিকিৎসায় জীবন ও অর্থ দুই ই যাওয়ার চেয়ে একবারে ভাল ডাক্তার দেখানোই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয় ?


আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা অল্পতেই জাজমেন্টাল হয়ে যাই । আমিও তাই , আপনারাও তাই । ডাক্তারদের কসাই বললে আমার নিজের খুব খারাপ লাগে । একজন ভাল ডাক্তার ডিগ্রীর পর ডিগ্রী নিয়ে , প্র্যাকটিস করতে করতে চুল পাকিয়ে ফেলেন , বউ বাচ্চাকে সময় পর্যন্ত দিতে পারেন না । তিনি অবশ্যই ৫ মিনিটের জন্য ১২০০ টাকা ভিজিট দাবি করতেই পারেন । আর একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার ৫ মিনিট দেখলেই বলে দিতে পারেন রোগীর কি হয়েছে ।

তবে আমার আফসোস শুধু এক জায়গায় , টাকা আপনি বেশি নিন তাতে কোন সমস্যা নেই, রোগ না বুঝলে রোগীকে রেফার করুন , কিন্তু কেন এই ভুল চিকিৎসা ? আর কেন এই ভুল ওষুধ ?

দয়া করে এটা করবেন না । আপনার জন্য হয়ত সে একজন রোগী , আমার জন্য সে আমার মা , বোন , বাবা অথবা সন্তান ।

আর একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার কে আমি কখনোই কসাই ডাকতে শুনি নি ।
এম.বি.বি.এস ডিগ্রি পাওয়া মানেই ডাক্তার হয়ে যাওয়া নয় । ডাক্তার হতে চাই অধ্যবসায় আর প্র্যাক্টিস । আর ডাক্তারি লাইনে যে খারাপ ডাক্তার থাকতে পারে সেটা আপনারা কেন মেনে নিতে পারেন না ? ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে যদি কম সিজির ইঞ্জিনিয়ার থাকতে পারে , তাহলে কেন খারাপ ডাক্তার থাকতে পারবে না ? এখানে খারাপ বলতে বুঝাতে চেয়েছি যে ডাক্তারের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কম ।

প্রথম সারির কিছু সরকারী এবং বেসরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে মেধাবী কিছু ডাক্তার প্রতি বছর ই বের হন । তবে বাংলাদেশে ডাক্তারির মান সামগ্রিক ভাবে ভাল না । তাই তো অ্যামেরিকা , অস্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের অন্যান্য দেশে গেলে আবারো নতুন করে সে দেশে ডাক্তারি পড়তে হয় । কারণ লাইফ নিয়ে যেখানে কারবার সেখানে সুক্ষ ভুল ও কোন এক্সকিউজ হতে পারে না । হয়ত এ কারণেই ভারত গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসে অনেকে । যাদের আরো বেশি টাকা আছে তারা সিংগাপুর অ্যামেরিকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসেন ।

আর সবাই মহৎ ডাক্তার হতে আসেও না । কেউ কেউ নিজের ছেলেকে ডাক্তার হিসেবে দেখতে চায় সোশ্যাল স্টাটাসের জন্য , কেউ চায় মেডিকেল লাইনে ইনভেস্ট করে আরো টাকা কামানোর জন্য । ছোটবেলার “এইম ইন লাইফ ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষের সেবা করব” – এমন ডাক্তার হাতে গোনা ।


আর রোগী মারা গেলে ডাক্তার পেটানো টা খুব ই অশোভন এবং ন্যাক্কার জনক কাজ।
তবে মৃত রোগী নিয়েও যেসব ক্লিনিক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার সাথে সাথে কিছু উত্তম মধ্যমের ও ব্যবস্থা করা উচিত।
আমরা জনগনেরাও মাঝে মাঝে ভুলে যাই , মাইর টা দিলে ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের ই দেওয়া উচিত যাদের চাপে ডাক্তার রা ভুল পদক্ষেপ নিতে মাঝে মাঝে বাধ্য হয় ।

ডাক্তার ভাইয়েরা , যাদের কারণে আপনাদের কসাই ডাক শুনতে হয় , অপমান সহ্য করতে হয় তাদের নামের কিন্তু আপনারা চাইলেই তালিকা করে ফেলতে পারেন । এই উদ্যোগ টা আপনাদের ভেতর থেকে আসতে হবে । তালিকা করে ছড়িয়ে দিন , আইনি ব্যবস্থা নিতে জনগনকে সহায়তা করুন । ভুল চিকিৎসা কেউ করলে ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করে দিন । তাহলে দেখবেন ডাক্তারির মত এমন মহৎ পেশার দিকে আর কেউ কোন দিন আঙ্গুল তুলবে না ।

অনেক কিছু লিখে ফেলেছি , তবে অনুরোধ থাকবে ডাক্তার হিসেবে নয় – একজন মানুষ হিসেবে লেখাটা পড়বেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন ।

[ বিদ্রঃ সেইদিনের সেই এসএসসি প্রশ্নপত্রে বাধন সাহেব নামের এক ভাল ডাক্তারের কথাও বলা ছিল । আমরা চাই জাহিদ সাহেব এর পতন হোক এবং বাধন সাহেবদের উত্থান । মানবতার জয় হোক ]



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

আবুল খায়ের সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অধিকাংশ ডাক্তারই এখন কসাই। আর এটি মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস। আর মানুষ দায়ঠেকে এসব ডাক্তারের কাছে যায়।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

মানবী বলেছেন: আপনার মায়ের দুর্ভোগের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত!
আর “ইঞ্জিনিয়ার”, “স্কুল কলেজের প্রাইভেটখোর শিক্ষক”,“সরকারি কর্মকর্তা” অথবা “পুলিশ” - এঁদের কারো সামাজিক অবস্থান চিকিৎসকদের চেয়ে কম নয় কোন ভাবেই!

প্রথম যিনি ফ্র্যাক্চার নাহওয়া সত্ত্বেও ফ্র্যাকচারের চিকিৎসা করেছেন সেক্ষেত্রে লোভের চেয়েও অজ্ঞতাটা বড় কারন মনে হয়। তবে কার অজ্ঞতায় এমনটা হয়েছে তা জানতে এক্স-রে রিপোর্টে কি লেখা জানতে হবে। যদি সেখানে ফ্র্যাক্চার লেখা থাকে তাহলে রেডিওলজিস্টের ভুল আর লেখা না থাকলে নিঃসন্দেহে তা সেই চিকিৎসকের ভুল অথবা লোভ।

নাম ডাকওয়ালা চিকিৎসক মানেই ভালো চিকিৎসক এমন নয়। অনেক অনেক বড় বড় প্রফেসরের চেয়ে একজন সাধারন মেডিকেল অফিসারের ডায়াগনসিস এবং চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রে ভালো হতে পারে।

আপনার মায়ের দ্বিতীয় ঘটনার মতো একটি ঘটনা আমি নিজেও দেখেছি। যিনি সেই ভুল চিকিৎসা দিয়েছিলেন তিনি আমার বয়ঃজেষ্ঠ হলে্প পদমর্যাদায় বড় ছিলেননা, তারপরও মুখের উপর কিছু বলা সম্ভব হয়নি। পরে প্রফেসরকে দিয়ে কারেক্ট করাতে হয়েছিলো। এক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসা দেবার প্রথম কারন অজ্ঞতা আর দ্বিতীয় কারন ছিলো নিজেকে জাহির করতে চাওয়ার এক হাস্যকর(একজন চিকিসকের ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর) চেষ্টা!

আপনার পোস্টেই দেখুন, ভুল চিকিৎসা যারা দিয়েছে তারা ডাক্তার আর যারা এই ভুলটা শুরে সঠিক ছিকিৎসা দিয়ে তাঁকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছেন, তাঁরা ডাক্তার নন? :-)

প্রথম দলের ভ্রষ্টতার জন্য পুরো চিকিৎসক সমাজকে দায়ী করা নিঃসন্দেহে অন্যায় হবে। বাংলাদেশের হতদরিদ্র রুগীরাও কিন্তু প্রতিনিয়ত চিকিৎসায় সুস্থ হচ্ছে, সব চিকিৎসক কসাই হলে এমনটা সম্ভব হতোনা, তাইনা?

অবশ্যই কোন পাঠ্য বইয়ে ঢালাও ভাবে কোন পেশা সম্পর্কে এধরনের নেতিবাচক বক্তব্য অনুচিত। পুলিশাদের মাঝেও অনেক সৎ অফিসার আছেন, অবিশাস্ব্য হলেও সত্য। আর ইন্জিনীয়র, সরকারী কর্মকর্তাদের মাঝে সৎ মানুষের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়।

ভালো থাকুন মহাজগতিক পাগল :-)
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

শফিক2003 বলেছেন: BSMMU এর head the ডিপার্টমেন্ট neurology এর বিখ্যাত ডাক্তার ( প্রফেসর রেজাউল। ..) যিনি islamic bank কাকরাইল এ প্রাকটিস করে , .এই কসাই টানা তিন মাস আমার বড় বোনের চিকিৎসা করে এপিলেপসি এর ট্রিটমেন্ট এর মেডিসিনে দিয়ে ট্রিটমেন্ট করে , আমার বোন এই তিন মাসে তেমন কোনো খাবার খেতে পারতো না। পরে একজন ENT স্পেসালিস্ট সিট স্ক্যান করে তার মাথায় একটি বড় tumer সনাক্ত করে। ততদিনে tumer এর আকার অনেক বড় হয়ে যায়। আমার বোন তখন কথা বলতে পারতো না ,আকারে ইঙ্গিতে মৃর্তুর আগে শুধু বলে গেছে তার ছেলে দুটুকে যেন ভালো ডাক্তার বানাই। কসাই এই ডক্টরকে আমি এখনো দেখি কাড়ি কাড়ি টাকা গুনছে আর সাদা দাড়িতে হাত বুলাচ্ছে। ২০১২ এর ১০ মে আমার বোন operationer আগেই মারা যায়। আমার কাছে ঐ লোভী ডাক্তারের সব প্রেসক্রিপশন এখনো আছে

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল।
আমি অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পায় । মনে হয় যদি সঠিক চিকিৎসা না পায়।
আশা করি বাংলা দেশের ডাক্তারদের একদিন শুভ বুদ্ধির উদয় হবে

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

জেন রসি বলেছেন: সব পেশার মানুষেরই কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে। সেটা পালনে কেউ ভুল করতে পারে। আবার কেউ কেউ অধিক মুনাফার জন্য জেনেশুনে দুর্নীতি করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে যখন কোন পেশার মানুষ অন্যায় কিছু করে তখন সে পেশার সাথে জড়িত সবাই তাকে বাঁচাতে চায়। ব্যাপারটা হাস্যকর। যেমন ধরুন কোন পুলিস অন্যায় করলে পুলিস ডিপার্টমেন্ট তাকে সাপোর্ট দেয়। সাংবাদিক বা সেনাবাহিনীর খেত্রেও আমরা এমনটা দেখেছি। আর ডাক্তাররা এমন কাজ প্রায়ই করেন। আসলে সব পেশার মানুষই অন্যায় করতে পারে বা করে। সেটাকে অন্যায় হিসাবেই দেখতে হবে। এখানে সে পেশার সাথে জড়িত সবাইকে দোষ দেওয়া বা সে একই পেশায় আছে বলে অন্যায়কারীকে সমর্থন দেওয়া দুটোই অযৌক্তিক চর্চা বলে মনে করি।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

নিলুফা ইয়াসমিন বলেছেন: :(

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

অবনি মণি বলেছেন: আমি নিজে যে ভুল চিকিৎসার শিকার সে গল্প টা আজ না ই বলি । আমার বিশ্বাস এমন অসংখ্য ভুল চিকিৎসার গল্প প্রত্যেক ঘরে ঘরে ই আছে।

আমি নিজেও স্বীকার। সময়ের অভাবে লিখতে পারছিনা। এতো সম্মান করি এদের কিন্তু আমার জীবন থেকে চলে যাওয়া চার চারটি বছর কি ফিরিয়ে দিতে পারবে সেই বিখ্যাত ডাক্তার?? কাকে প্রশ্ন করব!!!!!!

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি, বাবাকে একবার এক ডাক্তার ৮ টি টেস্ট দিয়েছিল!!!!!! সবকটি পরিক্ষার ফল স্বাভাবিক আসে। উনি হয়তো ভালই পয়সা কামিয়ে নিলেন, কিন্তু যাদের ভিটে বৈ সম্পত্তি বলতে কিছু নেই, দিনে আনে খায় এমন মানুষদের কি হবে???

সব ডাক্তার যে এমন, তেমনটি না মোটেও! ভাল ডাক্তারও পেয়েছি, যিনি কোন টেস্ট না দিয়েই ট্রিটমেন্ট দিয়েছিলেন এবং ফলও পেয়েছিলাম। কিন্তু আফটার অল বলতেই হয়- আমাদের দেশের ডাক্তার হলো ভদ্র পোশাক পরা নির্মম কসাই!!!!

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৭

দুর্বার ২২ বলেছেন: আমার পরামর্শ নিজের পরিবারের জন্য ডাক্তার তৈরী করেন!!!! ততদিনে বাইরের দেশে রুগী দেখান ....

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

বর্ষন হোমস বলেছেন:


শ্রেষ্ঠ ওয়াশ মূলক লেখা।

১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: BSMMU এর head the ডিপার্টমেন্ট Rhematology এর বিখ্যাত ডাক্তার প্রফেসর মিনহাজ রহিম চেৌধুরী ( যার সিরিয়াল নিতে ফজরের নামাজের পর স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে হয়) যিনি japan bangladesh hospital এ প্রাকটিস করে) তাঁর কাছে আমি আমার Rhematic arthritis problem নেয়ে গেলে তিনি পুনরায় রোগ নির্ননেয়র জন্য ১৫ হাজার টাকার টেস্ট দেন; রিপোর্ট এর পর আমাকে যে ওষুধ দেন তা খেয়ে আমি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পরি ...পরে আবারও দেখা করতে গেলে উনি আমাকে প্রতিমাসে একটা ফান্ড গঠন করার কথা বলেন এবং হাটুতে ইনজেকশন দিতে বলেন ৪টি করে প্রতিটি ১৪০০টাকা করে আমি অপারগতা প্রকাশ করে শুধু ওষুধ দিতে বললে তিনি বিরত্ত হয়ে কিছু স্টেরয়েড ওষুধ দিয়ে দেন; যা অনলাইনে ঘেটে বিবরণ পড়ে জানতে পারে যে ত্রীব্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে..যেমন : কিডনি, হার্ট, ফুসফুস জনিত সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি করে ...আমি এই ওষুধগুলো খাওয়া বন্দ করে আবারও দেখা করে বলি আমাকে নন-স্টেরয়েড ওষুধ দেন । তখন উনি বলেন আপনার চিকিৎসা ব্যয়বহুল এগুলো ছাড়া আর কোন ওষুধ নেই: উল্লেখ্য, আমি উনার কাছে ইনজেকশনের নামটা জানতে চেয়েছিলাম ; উনি বললেন যে, এই ইনজেকশন কোম্পানি থেকে সরাসরি আসে আর উনি ছাড়া অন্যকেই ঠিকমত দিতে পারবে না;

বর্তমানে আমি উনার ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত আছি। উনার ওষুধ খেয়ে আমার স্বাভাবিক খাবার ব্যহত হচ্ছিল। যা উনার মত্ এত উচ্চ ডিগ্রী সম্পন্ন লোকের নিকট থেকে কাম্য নয় । এখন মনে হয় কেন মানুষ বিদেশের চিকিৎসায় ভরসা করে।
একজন ডাক্তার ৪০-৪৫ বছর বয়সে এত ডিগ্রি কিভাবে অর্জন করে। আমজনতার ডিগ্রী যাচাইয়ের কোন সুযোগ এ দেশে নেই।

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: ৯৯% ডাক্তারই কসাই, নির্মম, অসৎ, লোভী, হৃদয়হীন।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

মানবী বলেছেন: বাংলাদেশের এক শ্রেনীর চিকিৎসকের অসততা আর কেউ কেউ বড় বড় ক্লিনিকের কর্ণধার ব্যবসায়ীদের হাতের পুতুল হয়ে নিঃসন্দেহে অন্যায় ও অসৎ উপায়ে অর্জন করছে তবে তারা সংখ্যাগুরু নয়।
উপরে যাঁরা নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন তাঁদের প্রায় অধিকাংশ নাম ডাক ওয়ালা বড় বড় ক্লিনিক বা হাসপাতালে বসে এমন সব বিশেষজ্ঞদের দেখিয়েছেন। এধরনের প্রাইভেট ক্লিনিকের অধিকাংশের মূল উদ্দেশ্য অর্থাপার্জন, সেবা প্রদান নয়।
ইউনাইটেড হাসপাতালে মেডিসিনের চিকিৎসক সাধারন জ্বর বা পা ব্যাথার রুগীর কাছে ১২০০ টাকা ফি নেয় এবং প্রেসক্রিপশন রুগীর হাতে না দিয়ে সরাসরি নিজেদের ফার্মেসীতে পাঠিয়ে দেয় এমন উদ্ভট ঘটনাও শুনেছি।

প্রথমত প্রতিটি রুগীর অধিকার আছে তাঁর শরীরে কি হয়েছে এ্ববং তাঁকে কি ওষুধ দেয়া হয়েছে তা জানার, আমাদের দেশের ছত্রে ছত্রে পৌঁছে যাওয়া দুর্নীতির জীবাণু একদল চিকিৎসককেও আক্রান্ত করবে, এতে অয়াক হবার কিছু নেই।
সবাই নাম ডাকওয়ালা চিকিৎসকের কাছে ছুটে না গিয়ে একটু কষ্ট করে, গরীবি হালের সরাকারী হাসপাতাল বা যেকোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে দেখালে এসব ক্লিনিকের চেয়ে ভালো চিকিৎসা পাবে বলে মনে হয়।


আর যাঁরা মনে করছেন বিদেশে গেলে নিশ্চিন্ত তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই বিদেশে অয়িকল বাংলাদেশের মতো অজস্র ভুল চিকিৎসা হয়ে থাকে। ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত, ভুল চিকিৎসা হলো ভুল চিকিৎসা। আমি নিজে দুই প্রফেসরের মাঝে টানা পোড়নে হতে দেখেছি রুগীর ডায়াগনোসিস ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার কিনা তা নিয়ে। ৯ মাস পর রুগী আবার পরীক্ষা করে ক্যান্সার নিশ্চিত করেছেন, এটা খোদ আমেরিকার ঘটনা।

আরেকজন বয়স্কা রুগী দীর্ঘদিন তাঁর বুকে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকদের, এমনকি নিজেই বলেছেন এ্যান্জিওগ্রাম করতে। কয়েক বছর চিকিৎসকদের গরিমসির পর তাঁকে এ্যান্জিগ্রামে রেফার করা হয়, যেদিন এ্যান্জিওগ্রামের সিরিয়াল এসেছে তার আগের রাতে তাঁর ম্যাসিভ হার্ট এ্যাটাক। ইমার্জেন্সী ওপেন হার্ট সার্জারী করে চারটি বাইপাস করা হয়।

বাংলাদেশি আমেরিকান এমন একজনকে জানি, আমেরিকার চিকিৎসকেরা দীর্ঘদিন তাঁর পা ব্যাথার হাজার চেষ্টা করে সমাধান দিতে পারেনি। তিনি দেশে গিয়ে আত্মীয়ের মাধ্যমে সি এম এইচে দেখিয়েছেন, সেই ডায়াগনোসিস আর চিকিৎসায় তাঁর সমস্যার সমাধান হয়েছে।
বিদেশ মানেই স্বর্গ নয়, অর্থের লোভে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট এদের কেউ কেউ করিয়ে থাকে।

দেশ অথবা বিদেশ, সবখানে ভুল ডায়াগনোসি আর চিকিৎসা হতে পারে যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অজ্ঞতার কারনে হয়ে থাকে আর অনেক ক্ষেত্রে লোভের কারনে। একারনে ঢালাও ভাবে সবাইকে কসাই বালাটা নিতান্ত ছেলেমানুষী।

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) : আপনি পঙ্গুহাসপাতালের আউটডোরে বা ঢাকা মেডিকেল কলেজের আউটডোরে কোন অর্থপেডিকের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দেখতে পারেন।

আর যেসব চিকিৎসক বা ক্লিনিক ভুল চিকিৎসা দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে সকলে মিলে সোচ্চার হয়ে মিডিয়ায় প্রকাশ আর কেস করার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা যেতে পারে পরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিগ্রস্থ আমাদের দেশে তা কতোটা সম্ভব জানা নেই।

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১১

সানহিমেল বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন। বিস্তারিত পরে ভাল লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.