নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার খুব প্রিয় দুটো সিনেমা -ভাল লাগবেই, আই সয়্যার! লিঙ্ক সহ!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯

প্রথমে অসাধারন এক নান্দনিক মুভি!



সত্যি কথা বলতে কি, আমার মুগ্ধতা সীমা হারিয়ে ফেলেছে! আমার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে বাক্য! এত সুন্দর সিনেমা হয়!!





গত কয়েকদিন যাবত বাকি থাকা ওয়ার মুভি গুলো শেষ করছিলাম, হঠাত একটা সিনেমায় চোখ পড়ে গেল পোর্টেবল হার্ড ডিস্কে! ছেড়ে দিলাম এবং একজন দর্শক হিসেবে স্পেলবাউন্ড হয়ে গেলাম।





ওয়ার,স্পাই, একশন, রোমান্স, সাই-ফাই দেখে ক্লান্ত আমাদের মত মুভিখোরের জন্য সম্পূর্ন নতুন একধরণের মুভি ছিল যেন এটা! আমি এত ভূমিকা লিখিনা ইউজুয়ালী, বাট দিস মুভি ডিজার্ভস ইট!







দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে আঠারো শতকের বৃটিশ কলোনী ইবানী বা ইবানা। সেখানে জাহাজে করে এসে জয়েন করেন একজন নতুন সদ্য পাস করা অফিসার! এখন ইংলিশ অফিসারদের তো স্থানীয়দের বশে রাখতে স্থানীয় ট্রাইব দের ভাষা আত্মস্থ করতে হবে নাকি? এটার জন্য বৃটিশ সরকারের একটা ওপেন সিক্রেট ছিল একজন স্থানীয় ট্রাইব মহিলা কে শয্যাসঙ্গী করে নেয়া সিনেমাতে একটা ডায়ালগ ই এমন- ভাষা শেখার জন্য বিছানার চাইতে উপযুক্ত জায়গা আর কি ই বা হতে পারে!







একজন ট্রাইব মহিলাও সানন্দে এই কাজে অংশ নেন, বিনিময়ে পান ভাল খাদ্য-থাকার ব্যবস্থা। কিন্তু বাধ সাধেন নতুন অফিসার নিজেই, ব্যাপারটা সিনেমাতে তার ভাষায়---''নট একর্ডিং টু হিজ স্পিরিট''! সে প্রথমে সংযমী হয়, কিন্তু একসময় হার মানে মেয়েটির কাছে। আসলে মেয়েটির সৌন্দর্যের কাছে! কারন ট্রাইব মেয়েটি যে জেসিকা এলবা! tongue emoticon সে যাই হোক, ভাষা শিক্ষাও চলতে থাকে পুরোদমে, সেই সাথে দৈহিক ভালোবাসা হঠাত ই মোড় নেয় মানসিকে! বৃটিশ অফিসার বুঝতে পারেন তিনি প্রেমে পরে গেছেন উপজাতীয় মেয়েটির!







এর মাঝে হঠাত ফেরত আসেন বৃটিশ অফিসারের স্থানীয় গভর্নর কন্যা, হাবুডুবু খেতে থাকে অফিসারের প্রেমে ওদিকে অফিসার ডুবে আছেন নেটিভ মেয়েটার প্রেমে! হঠাত ই গভর্ণরের কাছে বিয়ের অনুমতি চেয়ে প্রত্যাখ্যিত হন বৃটিশ অফিসার, ভয় দেখানো হয় জেল জরিমানার। বাধ্য হয়ে গভর্ণর এর মেয়ে কেই বিয়ে করেন অফিসার।







লন্ডনে বিয়ে সেরে আবার তারা ফিরে আসেন সেই ইবানা উপকূলে। হঠাত একদিন অফিসার আবিষ্কার করেন, তার শয্যাসঙ্গী উপজাতীয় মেয়েটির কোলে সোনালী চুলো এক সদ্য প্রসূত সন্তান! জানতে পারেন এ সন্তান তার ই ঔরসজাত। পুরনো প্রেমে ডুবে থাকা সদ্য বিবাহিত অফিসারের মনে দারূণ প্রভাব পড়ে!





এভাবেই ক্রমশ এগিয়ে যেতে থাকে ঘটনা, শেষে আবিষ্কার হয় এক ভয়াবহ সত্য! অসাধারণ এই সিনেমাটা মাস্ট ওয়াচ তালিকায় থাকা উচিত। সিনেমার ব্যাপারে এর চাইতে বেশী বললে স্পয়লার হয়ে যায়, তাই এখানেই বলতি বন্ধ!





আইএমডিবিতে রেটিং পুওর(৬.৬) হলেও আমার রেটিং ৯! এবং সত্যি বলতে আমি মোটেও ওভার রেটিং করছিনা! আই সয়্যার, আপনি বিমোহিত হয়ে যাবেন! আমি মুগ্ধ, মুগ্ধ এবং মুগ্ধ!





The Sleeping Dictionary (2007)



টরেন্ট লিঙ্ক:



টরেন্ট লিঙ্ক









অদ্ভূত ভালোলাগার দ্বিতীয় মুভি!



বিনা কারনে মাঝে মাঝে অনেক মুভি দাগ কেটে যায় মনে। হয়ত আপনাদের সেরকম ভাল লাগবে না, কিন্তু আমি মুভিটি তিনবার দেখেছি, প্রথম বার দেখতে যেয়ে দেখি অর্ধেক সিনেমার পর সাউন্ড নাই, পরের বার দেখলাম খালি সাবটাইটেল দিয়ে, আর আজকে আবার দেখলাম পুরনো ভালো লাগা থেকে!





জুয়ারী পিতার রেখে যাওয়া ঋণ শোধ করতে বাধ্য হয়ে পিক পকেটিং এর কাজ নেয় বব! চাইলেই সে পুলিশের কাছে যেয়ে ব্যাপারটা চুকে নিতে পারত, কিন্তু তার পিতা যে ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল সেই জ্যাক্স হুমকি দেয় তার পিতার ঋণ যদি সে শোধ না করে, তাহলে ববের বেচে থাকা একমাত্র স্বজন তার মা কে সে হত্যা করবে।







উপায় অন্তর না দেখে পাচ লাখ ডলারের ঋণ শোধ করতে পিক পকেটার হয়ে যায় বব।যেখানে যেভাবে সম্ভব সে পিক পকেটিং করতে থাকে, এরি মাঝে একদিন হঠাত পরিচয় হয় বারে কাজ করা লুসির সাথে, এক দুই কথায় তাদের অন্তরঙ্গতা বাড়তে থাকে, বারের কাজ শেষে সারারাত ন্যু ইয়র্কের রাস্তা ধরে হাটতে থাকে তারা, উদ্দেশ্যহীন ঘুরে বেড়ানো শেষে চুমু বিনিময় হয়। ভোর বেলায় বাড়িতে পৌছে দেয়ার সময় তাকে বিদায় জানায় বব।





কিন্তু লুসির আহবান এ তার বাসার ভেতরে চলে আসে বব। ভালোবাসা চলতে থাকে রাত ভর! হঠাত রাতে ঘুম ভেঙ্গে বব লুসিকে আবিষ্কার করে লুসি অতিরিক্ত ভালোবনাসা তাকে দিয়ে ফেলেছে, তিনচারবার তার নিজের পার্সোনাল নাম্বার লিখেও পরে চলে আসার সময় সব গুলো সে হঠাত পকেটে নিয়ে ফিরে আসে লুসিকে না জাগিয়েই!। সাথে করে নিয়ে আসে লুসির একটা পুরনো সাদা কাল ছবি!







রিটা বিধবা , ববের মা, যার একমাত্র কাজ হচ্ছে জুয়া খেলা, এদিকে নিজের ইনকাম বলতে শুধু পিক পকেটিং। বব হতাশ হয়ে যায় আস্তে ধীরে। চালিয়ে যেতে থাকে তার পিক পকেটিং, ভুলে যেতে চায় লুসিকে। হঠাত ই একদিন এক সাব ওয়েতে সে এক পুলিশ অফিসার আর তার ব্যাজ সহ লাগেজ নিয়ে বের হয়ে যায়। ব্যাজ হারানো চাকুরী চলে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। পুলিশ পূর্ন উদ্যোগে খুজতে থাকে বব কে!







এদিকে লুসি বব কে খুজতেই থাকে, সেও যে বড্ড ভালোবেসেছিল বব কে। হঠাত ই একদিন সাবওয়ের গেটের পাশে আবিষ্কার করে বব কে! প্রথম সাক্ষাতের পর তিন মাস পেরিয়ে যাওয়া বব লুসিকে ভান করে না চেনার! হঠাত লুসি বলে সে তিন মাসের প্রেগন্যান্ট! বব দিশেহারা লুসিকে জিগেস করে, সে কিভাবে শিয়োর হল যে এটা ববের ই সন্তান? জবাবে বেধড়ক এক চড় বসায় লুসি বব কে। আচমকা প্রস্থান করে লুসি।









এরপর বব তার প্রিয় মা কে নিজের ই বাসায় নতুন বয়ফ্রেন্ড সহ আবিষ্কার করে, ক্ষিপ্ত বব মেনে নিতে পারে না, ঝগড়ার এক পর্যায়ে মা তার নতুন বয়ফ্রেন্ড কার্ল এর সাথে চলে যায় কার্লের বাসায়। ক্ষিপ্ত বব কাররল কে মারতে উদ্যত হলে এক্স মেরিন কার্ল বেশ ভালরকম পিটুনি দেয় বব কে।

বব আবার খুজে বের করে লুসিকে, পুলিশ লেগেছে পিছে, এদিকে এবরশোন করাতে হবে লুসিকে!







ঐদিকে জ্যাক্স এর অত্যাচার সীমাহীন হয়ে উঠেছে দিন কে দিন! বব লুসিকে নিয়ে যায় এবোরশন করাতে, সেখানেও পুলিশের রেইডে প্রেগন্যান্ট লুসিকে নিয়ে পালায় সে! হাজির হয় কার্ল এর বাসায়। সেখানে পৌছে সে আবিষ্কার করে এবার সে নিজেই পিক পকেটিং এর স্বীকার হয়েছে। এবোরশন করানোর জন্য জমানো টাকা এবার অন্য কেউ নিয়ে নিয়েছে! দিশেহারা হয় বব! সেখানে হঠাত প্রেগন্যান্সি সিকনেসে আক্রান্ত হলে রিটা জানতে পারে লুসি প্রেগন্যান্ট, হস্পিটালাইজড লুসিকে দেখাশোনার সময় রিটা ছেলে বব কে বোঝানোর চেষ্টা করে সে কি আদৌ লুসি কে ভালবাসে?



Loosies (2011)



টরেন্ট লিঙ্ক

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

চমৎকার রিভিউ।++++
Loosies মুভিটা দেখছি বাকিটা দেখার জন্য ডাউনলোড দিলাম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১০

সানড্যান্স বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

আবু শাকিল বলেছেন: দেখার ইচ্ছা রাখলাম।

রিভিউ ভাল লেগেছে।

ধন্যবাদ ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১১

সানড্যান্স বলেছেন: খুশি হলাম!

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

যোগী বলেছেন:
প্রথমটা দেখেছি পরেরটা দেখব।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১১

সানড্যান্স বলেছেন: ফাদ্দাল!!!

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

ভুল্কিস বলেছেন: প্রথমটা দেখিনি, ইভেন কি পরেরটাও না B-)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৬

সানড্যান্স বলেছেন: দেখে ফেলুন!

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

মিউজিক রাসেল বলেছেন: চেষ্টা করবো

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১১

সানড্যান্স বলেছেন: না দেখলে মিস!!

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

যদিও যে কোন মুভি রিভিউ পোষ্টে টরেন্ট লিংক থাকলে পাঠক হিসেবে আমাদেরই অনেক সুবিধা হয়, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টরেন্ট সাইটের লিংক দেবার কারনে আমরা স্বত্বাধিকারী মাধ্যম থেকে কপিরাইট সংক্রান্ত অনেক অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছি। তাই লিংকটি সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অনুরোধ রইল।

যদি সম্ভব হয় তাহলে অন্য কোন উপায়ে সহব্লগাররা যেন মুভিটি সংগ্রহ করতে পারেন তার একটি বিকল্প ব্যবস্থা উল্লেখ্য করে দিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৩

সানড্যান্স বলেছেন: এগুলোর ব্যাপারে বোধয় স্বত্তাধিকারিদের সমস্যা থাকার কথা নয়, কারন থাকলে কিক এস এ পাওয়া যেত না। ঠিক আছে আমি মাথায় রাখব, লিঙ্ক দিব না, ডাইরেক্ট এড্রেস কপি করে দিব, ওটাকে এড্রেস বারে দিলেই চলে আসবে।

আপনাকেও ধন্যবাদ!

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুইটা আনকোরা মুভির নাম জানলাম। ধন্যবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৩

সানড্যান্স বলেছেন: না দেখলে বিশাল মিস ভাই!

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

আরমিন বলেছেন: ওয়াও, দারুন রিভিও! দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে !

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

সানড্যান্স বলেছেন: অবশ্যই দেখবেন!

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মুভি দুটোর উপর আপনার সংক্ষিপ্ত আলোচনা বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। দুটো ভিন্ন ভিন্ন কাহিনী কিন্তু যথেষ্ট টুইস্ট আছে দেখলাম। লিংক কাজ করছে না। বিকল্প কোন উপায় থাকলে বলতে পারেন। পোস্ট খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো সানড্যান্স।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

সানড্যান্স বলেছেন: কিক এস টরেন্ট এ সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন ভাই

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৬

তুষার কাব্য বলেছেন: দারুন রিভিউ! দেখা হয়নি এখনও।দেখতে হবে :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৫

সানড্যান্স বলেছেন: অবশ্যই দেইখেন!

১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

সোহানী বলেছেন: ভাই রিভিউ দিয়ে তো মাথা খারাপ করে দিয়েছেন...... বাট লিংক কাজ করছে না... কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই এর কথা শুইনা কি লিংক উঠাইয়া নিসেন !!!

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

এস কাজী বলেছেন: রিভিউ পইড়া তো পাগ্লাইয়া গেলাম। এত্তু মুভি দেখলাম । এই দুইটা দেখলাম না কেন???? শিগ্রই দেখে ফেলবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.