নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

নানা রঙের স্মৃতির পালক, যখন আমি ছোট্ট বালক!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৪

আজকের গল্প চকোলেট নিয়ে। আমার অনুজ সামিয়া তখনো জন্মেনি। আমরা তখন দু’ভাই বোন। এই আমি আর সুইট্যাপু। বাবা তখন সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে, আর আমরা থাকতাম ঠিক গণভবনের উল্টোপাশের কোয়ার্টারে। মা সহকারী শিক্ষিকা সরকারী স্কুলে, মধ্যবিত্তের নীচের দিকে অবস্থান।


দু'টাকা দিতেন মাঝে মাঝে আম্মি, তাই দিয়ে চকোলেট কিংবা ছোলা খাওয়া যেত। অথবা ধরেন হাওয়াই মিঠাই, এখন যা ক্যান্ডি ফ্লস! এক টাকায় দিত ছয়টা অথবা চারটে করে গোল গোল বলের মত! তার কি স্বাদ! অথবা মাঝে মাঝে হাতে লাঠি নিয়ে একজন লোক আসতেন, তিনি চিনি/স্যাকারিন আর ময়দা দিয়ে ইলাস্টিক জাতীয় চকোলেট বানাতেন, তা দিয়ে আবার ঘড়ি, সাপ ইত্যাদি হত! তার মত মজার চকোলেট ক’জনেই বা বানিয়েছে! এক টাকার পাইপ আইস্ক্রীমের নাম ছিল ড্রিঙ্কা! খেলাধুলোয় ক্লান্ত বিকেলে উৎফুল্ল মন আনতে ড্রিঙ্কার জুড়ি মেলা ভার ছিল তখন।


একদিন সুইট্যাপু দেখি খুব সুন্দর একটা বোতল নিয়ে এসছে, বোতলের গায়ে লেখা ফক্স চকোলেটস! ভিতরে লাল-কমলা-বেগুনী বাহারি রকমের চকোলেট! আপু বড় করে গলার স্বর উচুঁ করে বলল, জানিস, এটা বিদেশী চকোলেট, সত্তুর টাকা দাম! পলিথিনে মোড়ানো প্রতিটি চকোলেটের গায়ে যেন বিদেশের গন্ধ! আহা! জীবনের প্রথম বিদেশী চকোলেট! আমরা খুব হিসাব করে খাই, ও একটা, আমি একটা! সত্তুর টাকা দাম! চকোলেট এর ব্যাপারে অতিরিক্ত লোভী ছিলাম আমি, এখনো আছি। ধুমায়ে চুরি করে খাওয়া শুরু করলাম সুইট্যাপুর ফক্স চকোলেট! আহা! সে কি স্বাদ, সে কি মজা! বিশেষ করে বেগুনীটা! এরপর আমরা দুজন মিলে টাকা জমাতাম, কবে সত্তুর টাকা হবে, কবে আরেক বোতল ফক্স চকোলেট আসবে!


আমি উগ্রবাদী চকোলেট খোর বলতে পারেন। স্নিকার, মার্স, টেবলরোন, গ্যালাক্সি চেনা শুরু করলাম, শুরু হল আমার চকোলেট অভিযান। সাফারী কিংবা ক্যাডবেরীর প্রতি আকর্ষণ বোধ করিনি কখনো! আমার ফ্রিজ ভর্তি এখনো কিন্ডারের বুয়েনো আর কিটক্যাট। আজিজ মিমির কথা মনে আছে আপনাদের? কিংবা কমলার কোয়ার ছবি দেয়া শুধু মিমি লেখা চকোলেট? অদ্ভুত সেই সব দিন গুলো!


সময় গড়িয়ে যায়। সেদিন ফক্স চকোলেট এর বোতল দেখি সুইট্যাপুর বড় মেয়ে সারাহ এর হাতে। এক ঝাঁক স্মৃতি চলে আসল মনে, সেই ফক্স চকোলেট, সেই টেস্ট, চকোলেট এর হিসেব নিয়ে সুইট্যাপুর সাথে ঝগড়া! আমি চাইতেই সে আমাকে একটা দিয়ে বলল, মামা চকোলেট বেশী খায় না, দাতে পোকা হয়! বলে বোতল নিয়ে দৌড়!


এখন আমার ফেভারিট চকোলেট বুয়েনো হলেও আমি ফক্স চকোলেট এর সেই শৈশব স্বাদ ভুলতে পারিনি, দোকানে দাম করেছিলাম, দুইশ ত্রিশ টাকা বোতল! কেউ না খেয়ে থাকলে খেয়ে দেখবেন, কি অদ্ভুত মজা ফক্সে!


নানা রঙের স্মৃতির পালক, যখন আমি ছোট্ট বালক!

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হুম :D :) B-) ;)

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: এই তো, লোভ ধরায়ে দিলেন ফক্স চকোলেটের প্রতি। আজকে একটা কিনে আনবো।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০২

শায়মা বলেছেন: শিরোনাম দেখেই মুগ্ধ আমি!ছেলেবেলার ভালো লাগাগুলোর মত ভালোলাগা বুঝি জীবনে আসেনা আর! তবে ফক্স ক্যান্ডি আমার কখনও পছন্দ নয় যদিও তার ক্যানটা দিয়ে পেনসিল হোল্ডার বানাতে ভারী মজার!

লেখাটা অনেক ভালো লাগলো! মধুময় ছেলেবেলা ফিরে না আসলেও স্মৃতিগুলো থাকুক! অনেক ভালো থেকো ভাইয়া!

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

ভিটামিন সি বলেছেন: আপনার চকোলেট স্মৃতিচারণ পড়ে তো আধাই পাগলা হয়ে গেলাম। ফক্স চকলেট তো জীবনে খাই ই নি, চোখেও দেখি নি। লোভ লাগায়া দিলাইন ভ্রাতা। এই মাসের ফক্সের অভিযানে নামতে হবে দেখতাছি।

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভীষণ সুন্দর করে লিখেছেন --- অনেক অনেক ভাল লাগলো

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১২

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: আপনি তো সেইরকম চকলেটখোর :P

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০০

এনামুল রেজা বলেছেন: শৈশব, লজেন্স, চকোলেট.. অবিচ্ছেদ্দ ব্যাপার স্যাপার।

স্মৃতিচারণা পড়তে পড়তে হারিয়ে গেলাম নিজের শৈশবে, কিছু সময়ের জন্য।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভাল লাগল।

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

টুম্পা মনি বলেছেন: বাহ আপনিও দেখি আমার মত চকলেটখোর। আমি ছোটবেলায় চকলেট খেকো তো ছিলামই এখনো আছি। জন্মদিন গুলো বক্স বক্স চকলেট গিফট পাই।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছি শিয়াল খাইয়া জাহান্নামে যাইবার শখ নাই

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগল।
নস্টালজিক হইয়া গেলাম যে ভ্রাতা।

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: চার আনা দামের একটা অরেন্জ চকলেট পাওয়া যেত তখন।এখনকার কোন অরেন্জ চকলেটের স্বাদই তার ধারে-কাছে নেই।নস্টালজিক করে দিলেন ক্যান।মাইনাস।

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:১৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমার চকলেট জীবনের ইতিহাস খুব একটা মনে নাই। :(
কিন্তু এই জীবনে বহু স্বাদের চকলেট চেখে দেখেছি। যেহেতু চকলেট আমার প্রিয় তালিকায় নাই, তাই স্বাদ নিয়ে তেমন মাথা ব্যথাও নাই। তবে Bueno White Chocolate টা কিছুটা পছন্দ করি।
চকলেট পাগল অনেককেই দেখেছি। আজ আপনাকেও দেখলাম। :P

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজিজ মিমি আর মিমি চকলেটের কথা মনে পড়লো। আপনার বোনের নামটা তো বড় অদ্ভুত! সুইট্যা। নাকি সুইটিকে আদর করে সুইট্যাপু ডাকেন?

১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মাছুম আহ্‌মেদ বলেছেন: ইউ হেভ টু বুঝতে হবে, হগলতের জিহ্বাত লজেনের স্বাদ আইন্না দিয়া চুপচাপ বইয়্যা থাহন যাইতোনা। এমতাবস্থায় লজেন কিন্না দিয়া মাইনষেরে লোল হুগানোর ব্যবস্থা ও করন লাগবো ডাক্তুর সাব :D

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০১

সোহানী বলেছেন: হেহেহে পাইলাম আরেকজন.... যে আমার মতই বুড়া বয়সে ও চকলেটখোর .... যাহোক আমাদের ভাগ্য খুবই ভালো বলতে হবে কারন মামা/চাচা রা সব প্রবাসী হওয়াতে অফুরন্ত চকলেটের চালান পেতাম... আহ্ সেসব দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন। এখনো আমি বাইরে গেলে শুধু একটা লাগেজই থাকে চকলেট। গতবছর সামারে সুইজারল্যান্ডে চকলেট ফেস্টিভালে গেছিলামরে ভাই.... কি সব চকলেট..... কি যে স্বাদ...আহ যদি ছোট্ কালে যাইতে পারতাম !!!!!!!

ওহ্ তবে ফক্সের স্বাদ কিন্তু একই আছে.... তাই না......।

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৫

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ছোট ছোট পার্থিব জিনিস গুলোতে কিভাবে যেনো জড়িয়ে যায় অপার্থিব ভালোবাসা গুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.