নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

নানা রঙের স্মৃতির পালক, যখন আমি ছোট্ট বালক-০৩!

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২৬


ঢাকার শহরে পোলাপান মায়ের পেট থেকে পড়ার পর হাঁটতে শেখার আগে বাসে চড়তে শেখে! আমিও শিখেছিলাম। আমাদের মত নিম্ন বিত্ত/ মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র দূরের যাত্রার বাহন হল বাস। কখনো গাড়ীর দরজা খুলে স্কুলে নামিনি আমরা, মাঝে মাঝে বড়লোক বন্ধুদের গাড়ীর দরজা অতিরিক্ত জোরে বন্ধ করে বন্ধুর ধমক খেয়েছি। বাসায় এসে মন খারাপ করে থেকেছি, আমার তো গাড়ি নাই!


তবে ঢাকার বাসে যে চড়েনি, সে কি কখনো জানতে পারবে - ''জ্ঞানহিন মানুস পসুর সমান'' ? অথবা ''বেবহারে ভংশের পরিছয়''? আমরা বাসে চড়তাম, আর ভাড়া ফাঁকি দেয়ার নানা কৌশল আবিষ্কার করতাম। মাঝে মাঝে ধরেন ''ডাইরেক'' বাসে দুই বন্ধু উঠেছি, ফার্মগেইট যাব, জনপ্রতি বারো টাকা ভাড়া বলে উঠাইসে, উঠে ভাড়া দেয়ার সময় ছয় ছয় বারো টাকা দিয়ে দাতঁ কেলায়ে বলসি মামা, ইষ্টুডেন! মামা ঐ এক কথায় বুঝে যেতেন, আমরা তাদের মত অসহায় পরিবারের কোন পড়ুয়া ইষ্টুডেন!



দাঁড়ি গোফ উঠে গেলে, ইষ্টুডেন বলতে খারাপ লাগত, কি উপায়?
আমাদের অনেক উপায় আছে। আগেও লক্ষ্য করেছি, মুরুব্বীরা যারা ফাকিঁ দিতে চাইতেন, তারা হেল্পার ভাড়া কাটতে আসলে বলতেন স্টাফ! এসময় আপনাকে কিছুটা তাচ্ছিল্য ধরে রাখতে হবে, যাতে হেল্পার আপার হ্যান্ড নিতে না পারে! আর আরো একটা ব্যাপার আছে, আপনি যদি শুদ্ধ ভাবেই বলেন স্টাফ, তাইলে নিঃ সন্দেহে আপনি স্টাফ নন! এজন্য পরবর্তীতে বলতাম মামা, ইশটাপ! কেউ কখনো সন্দেহ করেনি, এলোচুলের এই ছেলেটি ইষ্টাপ না!


আমি টেম্পুতেও প্রচুর চড়ি। আমি একটা অদ্ভূত জিনিস আবিষ্কার করেছিলাম, সে প্রসঙ্গে আসছি, আমি ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলে পড়তাম তখন, থাকতাম কল্যানপুরেই। আমার অভিনব আবিষ্কার ছিল রুমাল দিয়ে ব্রা বানানো। আমরা স্কুল থেকে কল্যানপুরে যাতায়াত করতাম টেম্পুতে। আমরা ছুটির সময় বারোজন ছেলে এক টেম্পুতে আসতাম, দু পাশে ছয়টা করে রুমালে বানানো ব্রা, বাতাসে ফুলে ফেপেঁ ধরা থাকত লেগুনার পাশে! তিন দিনের মাথায় হাসিব স্যার এসেম্বলিতে দাড় করায়ে হাটু আর পাছা রক্তাক্ত করে দিলেন আমাদের!


আমি অস্বীকার করব না আমি ইভ টিজার না। তবে নির্মল আনন্দ কে কখনো ক্রস করিনি। বেশীরভাগ সময় করতাম রানিং অবস্থায়। বাসের গেটে কিংবা লেগুনার ফুট স্ট্যান্ডে দাঁড়ায়ে আছি, পাশে রিক্সায় অন্তরংগ মুহুর্তে হুড তুলে ঝাপটি মেরে আছে কপোত-কপোতী, আমি চিৎকার করে বলতাম---বাসায় জানে?
বেশীরভাগ সময় কোন উত্তর আসত না, একবার এসেছিল, বাস রিক্সা ক্রস করার পর ছেলে মেয়ে দুইজন একসাথে হুড ফেলে চিৎকার দিয়ে বলেছিল, হ্যা মামা জানে!

এ জীবনে ইষ্টাপ ই রয়ে গেলাম!

নানা রঙের স্মৃতির পালক, যখন আমি ছোট্ট বালক-০৩!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১:০৯

মোঃমোজাম হক বলেছেন: মনে পড়লো মুড়িরটিন, রামপুরা টু সদরঘাট ;)

২| ২৫ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:২০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ছোট বেলার স্মৃতি পাঠ ভালই লাগছে।

পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায়.......।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আপনার বাসায় জানে তো ;)

৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

তুষার কাব্য বলেছেন: আহ ! স্মৃতিময় শৈশব ! মাঝে মাঝে বড্ড জ্বালায় ডাক্তার সাব :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.