নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার লেখা আরব্য রজনীর গল্প গুলো! একাদশতম পর্ব!

২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:১৭

আরব্য রজনী নিয়ে আমার নারী ভক্ত ও আশেকানরা খুব বিরক্ত, তারা নতুন পোস্ট চাইছে, সরি, মনে থাকেনা, আজ মনে করায়ে দিসে বেশ কয়েকজন, তাই আজ নতুন পোষ্ট!

১৫ ই সেপ্টম্বর ২০১৪ ইং

আরব দেশে আমার হাল্কা একটা প্রেম হইসিল, তেমন ডিপ না, কিন্তু এই রূপ ভোলা খুব টাফ। আপনি যতই বলুন ইরাক/ইরান/সৌদি মেয়েরা সুন্দর, আসলে মাত্রাতিরিক্ত সুন্দর হল সিরিয় মেয়েরা। এরা খুব ফ্রী, কো অপারেটিং, এবং প্রিয়ংবদা!


অফিসিয়াল কাজে একদিন রেড ক্রিসেন্ট হসপিটাল খুজতে এক দাতের হসপিটালে ব্রেক নিছিলাম, পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ রাস্তায় কোন কিছু খুজে বের করা সহজ নয়। এদিক সেদিক এম্বুলেন্স এ করে ঘুরে গেলাম সেই দাতের হসপিটালে, সেখানকার রিসিপশনিস্ট দেখে আমার দুনিয়া আখেরাত এক হয়ে গেসিল!


দ্রুত কাজে নেমে পড়লাম, ভাংগা আরবী আর ভাংগা ইংলিশে কিছুক্ষণ পরপ সে জানাল আমি খুব বোকা!
আমি ইংরেজীতে আস্তে ধীরে তাকে বললাম তুমি গাধা ডাক আপত্তি নাই!


বিশ্বজয়ীর হাসি দিয়ে জানাল, আরব দেশে যে সব কিছু আরবীতে যে, এখানে রেড ক্রিসেন্ট এর নাম "আল হিলাল আল আহমার"!! সে আর ইংলিশ কুলায়ে উঠতে না পেরে দাতের ডাক্তার কে নিয়ে আসল, ডাক্তারের ইইংলিশ আআমার আরবীর মত। মিশর, সিরিয়া ইত্যাদি দেশে ডাক্তারি পড়া সব আরবীতে, এমন কি বাস্ট(পোস্ট) গ্রাজুয়েশন ও।তবু সিরীয় লোকজন খুব মাইডিয়ার টাইপ, পরিচয় শুনে ভেতরে নিয়ে বসাল, কথা বার্তা হল, তারা সিরীয়, আমি যখন বললাম

"সো ইউ আর পিপুল অফ বাশার আল আসাদ?"

ডাক্তার মন খারাপ করে বললেন

""নত গুদ, হি ইজ আ ব্যাদ ম্যান, হি ইজ কিলিং পিপুল! ""

আরো টুকটাক গল্প করলেন, পরিচয় দিয়েছিলাম আগেই, এরি মাঝে "দিনা" কফি নিয়ে হাজির। সেই রিসেপশনিস্ট, সেই আই লাইনারে আকা চোখ, সেই মুক্ত ঝরানো দাতের হাসি, সেই গোলাপি গাল, সেই আমার "দিনা!"


ডাক্তার সাহেব ঠিকানা দিতে দিতে আরো কিছুক্ষণ গল্প করলেন, জানলাম আম্রিকার সব ঘাটি যা আরব দেশে আছে, সব গুলোতে এই রিফিউজি সিরিয়ার মেয়েরা খাদ্দামা বা সেক্স স্লেভ! দীর্ঘ দিনের গৃহ যুদ্ধ তাদের পেটের দায়ে একাজ করতে বাধ্য করেছে, সৌদি আরব আমেরিকার পক্ষ নিয়ে তাদের এভাবেই সাহায্য করছে!

আসার সময় ডাক্তার আর দিনা, দুজন কেই অনেক ধন্যবাদ দিলাম। আমার ধন্যবাদের বিপরীতে দিনার বলা ওয়েল্কাম আমি এখনো শুনতে পাই!!

সবচাইতে মর্মান্তিক এবং শোকের বিষয় হল আমি বিদায় নেয়ার সময় দিনার পাচ বছরের কন্যা কে বড় এক প্যাকেট "চিতোস" চিপস কিনে দিয়াসছিলাম!

কি আছে জীবনে? খাল্লিবাল্লি!!


১৬ সেপ্টম্বর ২০১৪ ইং!

কিছুদিন আগে রাস্তায় দাড়িয়ে বিড়ি টানছি, হঠাত এক মার্সিডিজ এসে থামল, এক নানার বয়সী লোক নামল, কিছুক্ষণ পর বোরকা পরা এক মেয়ে। চপলতা আর আকৃতি দেখে ভাবলাম নানার মেয়ে, পাশে বসা প্রতিবেশী কে জিজ্ঞাসা করলাম, নানার মেয়ে এত কম বয়সী কেন? বন্ধু বলে ওহে বেকুব, এইটা নানী, খালা নয়!


ধাক্কা সামলে উঠতে পারি নাই। বন্ধু আবার বলতেছে এই মেয়ে এখনো মাদ্রাসায় (স্কুলে) পড়ে অথচ দেখেন নানার চুল দাড়ি সব ধবধবে শাদা!

ধাক্কা শেষ হয় নি, আরো আছে, গাড়ীর ড্রাইভিং সিটে আমার চাচার বয়সী এক তরুণ বসা, আর পেছনের সীটে আরেক বোরকা পড়া মহিলা বসা, বন্ধু ১০ বছর ধরে আরব দেশের এই এলাকায়, সে জানাল ওই বউ বাচ্চাও নানার, আর সামনের সীটে আমার চাচার বয়সী লোকটা হল প্রথম ঘরের পুত্র। নানা আমার শেষ দুজন বিবি কে নিয়ে শপিং করতে বের হইসে, একেবারে ছোট নানীর বই খাতা, আর ইমিডিয়েট ছোট নারীর ঘরের সন্তানের জন্য ল্যাকটোজেন!


খুব মন খারাপ লাগল শুনে, আমার হাত ব্যথা হয়ে যাইতেছে আর নানার নাকি বিবি এখন তালাক দিয়ে থুয়ে ছয়টা!

এখানে বিয়ের আগে মেয়ের কোন বক্তব্য গ্রহণ করা হয় না, মেয়ের বয়ঃসন্ধিরর পর থেকে বাবারা মেয়েদের নিলাম করে থাকেন, যে দাম বেশী দিতে পারবে, তার সাথেই মেয়েকে বিয়ে দেন।

আগে একদিন বলেছিলাম, এখানে এটা লজ্জা নয়, ক্রেডিটের বিষয়, সম্মানের প্রতীক একাধিক স্ত্রী থাকা। যার যত বেশি স্ত্রী আছে, সে তত বেশী সম্মানিত। অনেক ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রী ধনবান হলে সে নিজেই স্বামীকে টাকা পয়সা দিয়ে উতসাহ দেয় দ্বিতীয় বিয়ের জন্য!
তবে মেয়েদের রাইটস একেবারেই নেই তা নয়। আপনি চাইলেই স্ত্রীর আয়ে ভাগ বসাতে পারবেন না। আপনি চাইলেই মারধর করতে পারবেন না, কোনভাবে স্ত্রী থানায় কম্পলেন দিলে আপনার আখবার খারবান (খবর খারাপ) হয়ে যাবে।


এখানে দোকানের ভিতর স্ত্রী লোকের সনখ্যা বেশী হলে পুরুষেরা বাইরে দাড়িয়ে থাকে, স্ত্রী লোকেরা বের হলে দেন পুরুষের বের হবে।
রাস্তায় গাড়িতে স্ত্রী লোক থাকলে সেই গাড়ি এক মুহুর্তের মাঝে ছেড়ে দিবে, কোন রূপ চেকিং নয়। এই সুযোগ নিয়ে দুবাই থেকে ড্রাগস আনে কিছু লোক।


আমার বাসার সামনে এক মিশরীয় কে দুবার পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। প্রথম বার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার জন্য, দ্বিতীয়বার দোকানে অচেনা মহিলা বসতে দেয়ার জন্য। অচেনা স্ত্রী লোক আপনার দোকানে বসে কি করে? আন্তা হারামী! শাস্তি হইছিল সাত দিনের জেইল!
তবে আরব দেশের সব চাইতে বড় ছ্যাঁচড়া চোর এই মেয়েরাই, বড় বড় শপিংমল এ ঠুশঠাশ বোরকার তলে জিনিস পত্র ঢুকাবে, আপনি খালি দেখবেন, তেমন কিছুই করতে পারবেন না!

উপযুক্ত প্রমান ছাড়া অভিযোগ অথবা অপরাধ প্রমাণ করতে না পারলে আখের আপনার খারাপ হবে, তার কিছুই না!

আমার ব্লগ ধরে পেছনে গেলে বাকি পর্ব গুলো পাওয়া যাবে। সবাইকে ধন্যবাদ!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

মাছুম আহ্‌মেদ বলেছেন: কি আছে জীবনে? খাল্লিবাল্লি!! B-))

২| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

নজরুল উড়াল চন্ডী বলেছেন: বেপক বিনুধন

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: হা: হা: হা: :D

সবুর করেন, সবুরে মেওয়া ফলে। তবে সেই মেওয়া খাওয়ার মত দাঁত থাকলে হয়। ;) :P

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:১৪

মোহামমদ অাবুল বাশার বলেছেন: আরবে নাকি ইসলামের এওগুলা খনি। কেমনে খাইতাম হুদা ভাত গোস্ত দি !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.