নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৭ (পর্ণ স্টারের জবান বন্দী থেকে)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪১

আজকে আমরা জনৈক পর্ণ স্টারের জবান বন্দী শুনব। এবং বরাবরের মত নীচে আগের ছয় পর্বের লিঙ্ক দেয়া হল, আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ!


সাবেক পর্ণ স্টার ডা শেলী লুবেন বেকার্স ফিল্ড ক্রিস্তিয়ান হাই স্কুলে নিজের অতীত সম্পর্কে একটি লেকচার দেন। শেলী লুবেন, পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট, পিঙ্ক ক্রস এমন একটি সঙ্গগঠন যা এডাল্ট ইন্ডাস্ট্রি ওয়ার্কার দের জন্য মোটামুটি একটি রিহ্যাবিটেলিয়েশন সেন্টার। এই পিঙ্ক ক্রস সংগঠন এডাল্ট মুভি ইন্ডাস্ট্রির লোকদের ইমোশনাল, আর্থিক এবং আরো নানা ধরনের সাহায্য করে থাকে।




তছনছ হয়ে যাওয়া একজন পর্ণ স্টারের জীবন নতুন করে শুরু করতে সাহায্য করে পিঙ্ক ক্রস। একি সাথে সেক্স ট্রাফিকিং এর ব্যাপারেও সতর্ক করে। এই পিঙ্ক ক্রস এডাল্ট ইন্ডাস্ট্রি কে মডার্ণ ডে স্লেভারী বা আধুনিক দাসত্ব হিসেবে গণ্য করে। আর যারা অভিনেতা অভিনেত্রীর কাজ করেন তাদের কে বিভিন্ন আইনী সাহয্যের জন্য এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে।

বিভিন্ন ধরণের মাদক, ভায়োলেন্স, এবং নানা ধরণের যৌণ রোগ বাড়াবাড়ি রকম পর্যায় পৌছাঁলে, সাবেক পর্ণ অভিনেত্রী শেলী লুবেন এবং তার স্বামী, মি গ্যারেট জানুয়ারী ২০০৭ এ প্রতিষ্ঠা করে পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশন এর। শেলী লুবেন বর্তমানে এন্টি পর্ণ আন্দোলনের একজন নেত্রীও। ২০০৪ সালে তিনি বড় আকারে অনলাইন পর্ণোগ্রাফীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন শুরু করেন। শেলী লুবেন এর স্টেজ নাম ছিল রক্সি, তিনি ১৯৯৪ সালে এই অন্ধকার জপগত থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হন।


অবশ্য চড়া মানের মাশুল দিয়েই তিনি পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি ছাড়তে বাধ্য হন, ১৯৯৪ সালে তিনি যখন বেরিয়ে আসেন, তখন তিনি জেনিটাল হার্পিস নামক এক ধরণের যৌন রোগে ভুগছিলেন। জেনিটাল হার্পিস সাধারণত ভাল হয়য় না, এবং এই রোগ থেকে পরবর্তী কালে সারভাইকাল ক্যান্সারে শেলী লুবেন পরবর্তীতে তার ইউটেরাস এর কিছু অঙ্গশ কেটে ফেলতে বাধ্য হন।


শেলী লুবেন তার রচিত বই “Truth Behind the Fantasy of Porn এর মাধ্যমে পর্ণ স্টার হিসেবে তার তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন, তার প্রতিষ্ঠান পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশন এর মাধ্য তিনি পর্ণ অভিনেতা-নেত্রীদের তো বটেই, আমাদের মত পর্ণ দর্শক দের এডুকেশন এর মাধ্যমে আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়ে হেল্প করেন।

থিওলজিকাল স্টাডিতে তিনি ব্যাচেলর ডিগ্রী নেন ২০০২ সালে ভিশন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০১৩ সালে তিনি মাস্টার্স কমপ্লিট করেন। বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি এগ্রেসিভলি এন্টি পর্ণ মুভমেন্ট গড়ে তোলেন ২০০৫ সালে। ২০০ এর বেশী বিভিন্ন রকম আর্টিকেল এবং সত্য ঘটনার বর্ণনায় তিনি ফেলে আসা অতীত কে তুলে ধরেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি Directors for International Institute for Cultural Renewal এর সদস্যা ছিলেন।

বিভিন্ন টিভি শো যেমন Nightline, FOX News, Dr. Drew Show, MTV, ABC 15, KGET, KERO, Dr. Phil, 700 Club, Joni Show, Howard Stern, Current TV and various Christian and secular TV shows তে তার সরব উপস্থিতি ছিল। বিভিন্ন ধরণের এন্টি পর্ণ মুভমেন্ট এর মাধ্যমে তিনি সমাজে তার স্থান প্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য তাকে বিভিন্ন সময় আইনী ঝামেলা এবং হুমকির মুখেও পড়তে হয়য়। পর্ণগ্রাফী সম্পর্কে তার ভাষ্য ছিল-

"Pornography is destroying the entire world. How can I not use my God given gifts to fight against an evil that is taking out millions of people?"

শেলীর কাজ দেখে একজন বলেন-

So enormous, so dreadful, so irremediable did the Trade's wickedness appear that my own mind was completely made up for Abolition. Let the consequences be what they would, I from this time determined that I would never rest until I had effected its abolition. - William Wilberforce




তিনি বলেন তার প্রতিষ্ঠান মহিলা এবং শিশুদের পর্ণ থেকে রক্ষা করার জন্য সব কিছু করতে সক্ষম। তিনি বলেন, আমরা পুরুষ দের ও সাহায্য করব, কিন্তু যেহেতু মহিলা ও শিশুরাই বড় ভিক্টিম, তাই আমরা তাদের রক্ষার ব্যাপারে জোর দিচ্ছি। আইন ও বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি এডাল্ট ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

পর্ণোগ্রাফীর ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলে থাকবেন, কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে কোনটা সত্য এবং কোনটা মিথ্যে। তিনি বেকার্সফিল্ড এ ভাষণের শুরুতেই বলেন, যেহেতু এই জগতে আমি ছিলাম, আমি আপনাদের শতভাগ সত্য অই তুলে ধরতে চাইছি। তিনি বলেন, যখন আপনারা পর্ণ দেখেন তখন আপনারা প্তিতাদের কেই দেখেন, উল্লেখ্য পর্নোগ্রাফীর সংগা থেকে তিনি একথা বলেন। তার জীবনে পর্ণ স্টার হিসেবে তিনি আট বছর নির্বাহ করেন, সে সম্পর্কে বলেন সেই আটবছর আমি দেহব্যবসা, স্ট্রিপিং ছাড়া কিছুই করিনি। তিনি উল্লেখ করেন বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট এর মোটামুটি সাইত্রিঁশ টি জায়গায় এসম্পর্কে নলা হয়েছে।



২০০৭ সালে ১১৯ জন পর্ণ স্টার মারা যান, এর মাঝে- এইডস এ মারা যান সাতজন, মাদকাসক্তি তে চব্বিশ জন, আত্মহত্যা করেন ১৯ জন, খুন হন ১৭ জন। ছয় জন মারা যান দূর্ঘটনায়। অজ্ঞাত কারণে আরো মারা যান সাত জন। ৩৯ জন মারা যান অসুখে ভুগে। ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ১২৫ জন পর্ন স্টার মারা যান এইডস এ। তিনি বলেন, একজন পর্ন স্টার খুব কম আয়ু বেচেঁ থাকেন। গত বিশ বছরে ১২৯ জন পর্ণ স্টার এর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে যেয়ে তিনি দেখেছেন এদের অধিকাংশই মারা গিয়েছে মাদকাসক্তি, এইডস, আত্মহত্যা, খুন ইত্যাদির কারণে। তিনি বলেন একজন পর্ণ স্টারের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল ৩৭-৪৩ বছর, যেখানে একজন স্বাভাবিক আমেরিকান আটাত্তর বছর পর্যন্ত বাচেঁন, অর্থাৎ সাধারণের চাইতে অর্ধেক জীবন বাচেঁন।


লস এঞ্জেলস এর পাবলিক হেলথ এর রিপোর্ট অনুযায়ি, অধিকাংশ পর্ণ স্টার ই যৌন রোগে ভুগছেন। তারা মূলত ২০০৩ সাল থেকেই এই ব্যাপারে নজর রাখছেন। তাদের ভাষ্যমতে একজন পর্ণ স্টারের যৌন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সাধারণ মানুষের চাইতে দশ গুন বেশী। দুইহাজার তেরোটি সিফিলিস্ এবং গনোরিয়া াক্রান্ট ৯৮৫ জন পর্ন স্টার এর হিসেব পাওয়া যায় ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মাঝে।


এপ্রিল ২০০৪ থেকে মার্চ ২০০৭ পর্যন্ত ২৮৪৭ টি নানাধরণের যৌন রোগে আক্রান্ত হন প্রায় দুই হাজারের ও বেশী পর্ণ স্টার। লস এঞ্জেলস এর হেলথ রিপোর্ট অনুযায়ী, যৌন রোগে আক্রান্ট পর্ন স্টারের মাঝে শতকরা স্ততুর ভাগ ই মহিলা। ২০০৪ সাল পর্যন্ত নতুন করে এইডস আক্রান্ত পর্ণ স্টার ছিলেন ৮৬ জন। এদের মাঝে কেবল মাত্র নয় জন জন সম্মুখে এই কথা স্বীকার করেন। সাধারণত পর্ন স্টার ক্লিনিক এ যেয়েই এরা চিকিতসা করান, যেখানে সেক্সোলজির উপর ডক্টরেট করা একজন চিকিতসক তাদের সাহায্য করে থাকেন।


১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পর্ন স্টার ক্লিনিক এখন পর্যন্ত ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের চিকিতসা করেছে, তাদের ভাষ্য মতে তারা পর্ন ইন্ডাস্ট্রি কে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করেন। মিস লুবেন বলেন, মানুষ কন্ডম পরা সেক্স এর দৃশ্য পছন্দ করেন না বলে, সেক্স ওয়ার্কার মানুষ কন্ডমে নিরুতসাহিত হন, যদিও কন্ডম কোন ভাবেই সব যৌন রোগ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেয় না। এই কন্ডমের ব্যবহার না থাকায় শতকরা ৬৬ ভাগ নারী পর্ণ অভিনেত্রীরা হার্পিসে ভোগেন। এই হার্পিসের তেমন ভাল প্রতিকার না থাকায় বাকি জীবন তাদের এই অসুখ বয়ে বেড়াতে হয়। তিনি বলেন আমরা এই ধরনের কন্ডম কিংবা প্রটেকশন সহ পর্ণ না দেখায় আমরা এইসব পর্ন স্টারের অকাল মৃত্যুর জন্য আমরাও দায়ী।

আমেরিকার কন্সটিটিউশান অনুযায়ী, আঠারো বছরের বেশী কেউ পর্ণে রিক্রুট, অভিনয় কিংবা জোর পূর্বক সেক্স কমার্শিয়ালে অভিনয় করলে তা সেক্স ট্র্যাফিকিং হিসেবে গণ্য হবে। অন্য যে কোন ইন্ডাস্ট্রীর তুলনায় এই পেশায় আত্নহত্যা, নেশা বা দূর্ঘটনায় মৃত্যুর হার সব চাইতে বেশী। বিভিন্ন পর্ণ নির্মাতারা উঠতি পুর্ন অভিনেত্রীদের যৌণ নিরাপত্তার কথা বললেও দর্শক চাহিদার বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত সব প্রতিশ্রুতি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে মডেলিং এর কথা বলে স্টুডিও তে এনে জোর পূর্বক কয়েক জন মিলে রেপ করে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে আপ্লোড করা হয়, মেয়ে কে হুমকি দেয়া হয় কোন কথা বললে তার পরিবার কে এই ভিডিও দেখানো হবে!!!


অল্প কিছু গ্ল্যামার, খ্যাতি কিংবা পয়সার জন্য মেয়েদের এই বিকিয়ে দেয়া কে তার জন্য সারাজীবনের অভিশাপ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

(চলবে)


পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৬

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৫

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৪

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-৩

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-২

পর্ণোগ্রাফীর টুকিটাকি-১

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫০

তরিকুল ইসলা১২৩ বলেছেন: চলুক.... ফেসবুকেও নোট আকারে দিতে পারেন, ভাই

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: সানির কি হবে?

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয়াবহ।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫২

বিজন রয় বলেছেন: পর্ণ জিনিষটাই ত্যাগ করা উচিৎ চিরতরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.