নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামু আলাইকুম\nআমি আপনাদের সান ড্যান্স aka স্যাম রহমান :)

সানড্যান্স

এই যে ব্যাস্ততা বাড়ছে, এই যে নিকোটিন!জ্বালিয়ে দেয়া সিগারেটে ধোয়াচ্ছন্ন বেডরুমপ্রতিদিন ভাল্লাগেনার ছাই জমে এস্ট্রেতেব্যাস্ততার কালচে লাইটার, এই যে অলস ঘুম!এক কপি স্বপ্ন আসে সৌজন্য কপি হয়েসারারাত ঘুমিয়ে থাকি প্রচ্ছদে হাত বুলিয়ে।কাশাফাদৌজা নোমান

সানড্যান্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য রিটার্ণ অফ আরব্য রজনী, পঞ্চম পর্ব, ১২ মুহররম, ১৪৩৮ হিজরী।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬


ঘটনাটা অনেক কাল আগের, আমি আমার বাবার কাছ থেকে শুনেছি। কোথাও ভুল হলে শুধরে দিবেন। খুব সম্ভব হযরত মুসা (আ) এর সময়ের ঘটনা, আল্লাহ মুসা (আঃ) এর সম্প্রদায় বনী ইজরিয়েল কে সিরিয়া যেতে হুকুম করেন, মানে হল সিরিয়া এর তদকালীন অধিবাসীদের আক্রমন করে সিরিয়া দখল করে নিতে বলেছিলেন, এজন্য আল্লাহ সেই কওম কে ওয়াদা দিয়েছিলেন সেই যুদ্ধে তারা জয়ী হবেন!

কিন্তু মানুষ কি আল্লাহর কথা শোনে? মানুষ শোনে ভুট্টু সাহেবের কথা!!
যুদ্ধের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে ১২ জন বনী ইজরিয়েলী সিরিয়া যায় রেকি করতে, সেখানে মাত্র একজন সিরিয়ান তাদের গ্রেফতার এবং বন্দী করেন!! আপনি ব্যাপারটা বুঝতে ট্রাই করেন, বারোজন মানুষ কে একজন মানুষ ঠ্যাঙ্গায় দিসে, আটকে রাখসে, তার মানে তদকালীন সিরিয়ান অধিবাসীরা কি শক্তিশা্লী ছিল বোঝেন? ঘটনা গুরুতর, সেই বারোজন মুক্তি পেয়ে এসে মুসা (আঃ) কে বললেন, আমরা কিভাবে এই শক্তিশালী অধিবাসীদের সাথে যুদ্ধ করে জিতব? যে সিরিয়ার একজন আমাদের বারোজন কে আটকে রাখে? মুসা (আঃ) এই ঘটনা তাদের কে কাউকে বলতে মানা করলেন, বললেন আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে, আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন, তারা অবশ্যই জিতবেন


কে শোনে কার কথা? আল্লাহ রাসূলের নিষেধ তারা শুনলেন না, শুনলেন নিজের ভিতর কাপুরুষ ভুট্টু সাহেবের কথা, তিন থেকে চার জন বাদে সবাই বলে বেড়ালেন সিরিয়ার মানুষেরা বিশাল সাইজের, তাদের সাথে যুদ্ধে জেতা যাবে না, ব্যস সবাই ইন্ডিয়ান আর্মি হয়া গেল, যুদ্ধ খাল্লিবাল্লি!!


আল্লাহ তার ওয়াদায় বিশ্বাস না রাখায় নারায হলেন, সেই বনী ইজরেয়ীলারা আল্লাহর গজবে একি জায়গায় আটকে ছিল প্রায় চল্লিশ বছর, খেত শুধু মান্না সা্লোয়া, শেষ পর্যন্ত চল্লিশ বছর তারা একি জায়গায় আটকে ছিল, পরে আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন, এর মাঝে জান্নাতী হন মুসা (আঃ), হারুন (আঃ), খুব সম্ভব ইউশা (আ) তাদের ক্ষমা আল্লাহর দরবারে পাশ করান!!


বলতে পারেন এত কথা কেন বললাম? দুনিয়ায় এক গোটা মুর্খ জাতি হইল আরব, একদম টোটাল বকলম জাতি, আইয়্যাম এ জাহেলীয়াতের একটা ভাল ধারণা পাওয়া যায় এই জাতির কাজ কাম দেখলে! এই যে আমি নাজরান আছি, এই নাজরান, জিজান, আভা, খামিস মুশাইত ইত্যাদি তেল আর সোনাতে ভরপুর, এবং এগুলো ছিল ইয়েমেন এর অংশ, সৌদী আরব লীজ নিছিলো তাদের কাছ থেকে, পরে দেখে তেলে সোনায় ভরপুর, নগদ ভাড়াটে সৈণ্য এনে দখল নেয় তারা, আজ ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ ঘোষণা করছে, দেখেন কি বিখাউজ চুতিয়ারা, ইরাকে নূরি মালিকি শিয়া, তাতে কুনু সমস্যা হচ্ছে না তাদের, কিন্তু ইয়েমেনে হুতি তাদের জন্য মুশকিলা!! আরো বড় মুশকিল হল বাশার আল আসাদ! উল্লেখ্য এরা সবাই শিয়া!!


সুদান থেকে ভাড়াটে সৈণ্য এনে এই যুদ্ধ টিকিয়ে রাখা হচ্ছে, আছে আমেরিকান প্রযুক্তি! ইসলামের দোহাই দিয়ে পাকিস্তান আর মাসরের কাছে সৈণ্য চায় সৌদি আরব, মিশর সরাসরি না করে দেয়, হিস্ট্রি খুব খ্রাপ মাসরের, আগে এক যুদ্ধে মাসরের বিশ হাজার সৈণ্য প্রাণ হারায় হুতিদের কাছে, দশ হাজার যুদ্ধ বন্দী সেনার কান আর নাক কেটে নেয়া হয়, পাকিস্তানের কাছে সৌদি বাদশাহ যেদিন সৈণ্য চায়, তার একদিন আগে ইরানের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান কে হাই বলে আসেন, বলে আমরা কিন্তু পাশে আছি ইয়েমেনের হুতিদের!!!

এখন সৌদি আরব যুদ্ধ চালায় ইউনিক স্টাইলে, ড্রোন থেকে নতুবা জেট ফাইটার থেকে আকাশ থেকে বোম ফেলে শত শত নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ মেরে ফেলসে প্রতিদিন, একমাত্র এটাই সাফল্য, অথচ হুতিরা প্রকাশ্যে আহবান জানাইছে স্থল যুদ্ধের, তারা যাবে না, কারণ যুদ্ধ করবে সৌদি ন্যাশনাল গার্ড? যারা আরবে কাজ করতে আসা আজনবীদের নির্যাতন ছাড়া আর কোথাও সাহসের পরিচয় দেয় নি!!

এরকম খারাপ সিচুয়েশন এ এরা কখনো পড়েনি!! এই এক যুদ্ধ শেষ করে দিয়েছে আরবের ইকোনমি কে! ভয়াবহ খারাপ অবস্থা! আমরা যারা সরকারী অফিসার, তাদের বেতন কেটে নিচ্ছে ফোর্টি পার্সেন্ট, আমরা আজনবী, প্রতিবাদের সাহস হয় নি, কাজ নেই সাধারণ মানুষের, বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছে না!! সব কিছুতে অতিরিক্ত টাকা আরোপ করা হয়েছে, সৌদিদের মাসিক ভাতা বন্ধ!!

এরা এখন যে কোন উপায়ে যুদ্ধ বিরতি চায়, কিন্তু হুতিরা চায় না, যে গোবরে সৌদি বাদশাহ পাড়া দিয়েছেন, তাকে চোরাবালি বানিয়ে ফেলছে তারা, সম্প্রতি কাতারে আহবান করা হলে তারা স্পস্ট বলে দেয়, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাও, ফিরিয়ে দাও আরবের সুন্দরতম জায়গা আভা, খামিস, নাজরান, খামিস মুশাইত!!

এদের অবস্থা হইসে টোটাল মুক মাফি (ইডিয়ট), হুতিরা স্পস্ট বলে দিয়েছে, দরকাল হলে চল্লিশ বছর এই যুদ্ধ টিকায়ে রাখব, মাথা নত করাব সৌদি বাদশার...খারাপ হচ্ছে না, আল্লাহ সর্বোচ্চ বিচারক, উপযুক্ত শাস্তি দিচ্ছেন তিনি। বিলাসীতায় গা ভাসানো, আজনবীর অভিশাপে এই আরব আসলেই অভিশপ্ত এখন।

দ্য রিটার্ণ অফ আরব্য রজনী, পঞ্চম পর্ব, ১২ মুহররম, ১৪৩৮ হিজরী।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

আবাব বলেছেন: হুতিরা কয়দিন আগে ইউএই এর একটা HSV-2 হোতায়া দিছে। আমেরিকার ডেষ্ট্রেয়ারে রকেট মারছে। সম্ভবত হুতিরা মক্কা মদীনার নেক্সট খাদেম। যদিও ২/১ দিন হইল আমেরিকা হুতিদের উপরে বোম মারছে, তবে এটা ২/১ বারের বেশি হবে না বলে আমার ধারনা। ঐ এলাকা দিয়াই বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা করে পশ্চিমারা। সৌদীরা টোটাল মারা খাইল বইলা। মনে হয় আমরিকার ইলেকশনের পরেই আখেরি মারা খাবে।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: চতুর্থ পর্বটা কই গেলো?

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১

তানভীর আহমদ সায়েম বলেছেন: ব্যস সবাই ইন্ডিয়ান আর্মি হয়া গেল, যুদ্ধ খাল্লিবাল্লি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.