নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ সিরাজুল কবির

ডাঃ সিরাজুল কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতিসংবেদনশীলতা: এলার্জি

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

এলার্জি পরিচিতি- পূর্বকথন
মানুষ পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষের উপর পরিবেশের অনুকূল ও প্রতিকূল প্রভাব অবশ্যই বিদ্যমান। প্রতিনিয়ত নানাবিধ পরিবেশ-উপাদান মানুষের শরীরের সংস্পর্শে আসে। জীবন ধারণের প্রয়োজনে পরিবেশগত উপাদান থেকে, খাদ্য- আহার/পানীয় রূপে এবং অক্সিজেন শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। অনেক উপাদান দৈনন্দিন ব্যবহারিক কাজে প্রয়োজন হয়। অনেক উপাদান ইচ্ছা- অনিচ্ছা, অজান্তে অনিবার্যভাবে শরীরে প্রবেশ করে। খাদ্য ও বায়ু মাধ্যমে এবং সংস্পর্শে আসা সব ধরণের উপাদান, আমাদের শরীর ‘বিশেষ বৈশিষ্টে’ সহনীয়, মোকাবেলা, ও প্রতিরোধ করে এবং সাবলীল স্বাভাবিক জীবন প্রবাহে ভূমিকা রাখে।
পরিবেশের অধিকাংশ উপাদান শরীরের জন্য সহনীয়, কোন কোন উপাদানকে শরীর সহনীয় করে নেয়। অনেক উপাদান গুণগত করণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
আমাদের জানা সর্ব সাধারণের জন্য অক্ষতিকর, নিরীহ, (innocuous) সহনীয় কোন উপাদান, ব্যক্তিবিশেষের শরীরের কোন অংশে স্পর্শকাতরতা বা অসহনীয়তা তৈরি করতে পারে। সাধারনভাবে অক্ষতিকর কোন উপাদানে সৃষ্ট- এধরনের কাতরতা বা অসহনশীল আচরণকে অঙ্গের ‘অতিসংবেদনশীলতা’ বা Hypersensitivity বলা হয়। অর্থাৎ ঐ বিশেষ উপাদানে ঐ অঙ্গ ‘অতিসংবেদনশীল’।
‘অতিসংবেদনশীলতা’ জনিত প্রতিক্রিয়া ভুক্তভোগী ব্যক্তিবিশেষ এভাবে প্রকাশ করে থাকে:
- ‘চিংড়ি, কচু, ডিম, বেগুন খেলে শরীরে আমবাত হয় ও গলা চুলকায়, যার জন্য পারতপক্ষে খাই না’।
- ‘গরুর দুধে ছেলের পেটের গোলযোগ বেড়ে যায়। এমনকি দুগ্ধজাত খাবার দেই না’।
- ‘পরিবারের একজনের ডিমে, অন্যজনের ইলিশ মাছে শরীরে চুলকানি হয়’।
- ‘বাচ্চার ঠাণ্ডা-সর্দি সারা বছর লেগেই আছে, কোন ঔষধে কাজ হচ্ছে না’।
- ‘নাকভার অবস্থায় ঘুম থেকে উঠে সকালে বাথরুমে গেলে অনবরত হাঁচি হয়’।
- ‘পিজ্জা খাওয়ার পর কয়েকবার ঠোঁট ও চোখের পাতা ফুলে যাওয়ায়, এখন আর খাই না’।
- ‘ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার, পুরানো কাপড় বা কাগজপত্র নাড়াচাড়া করার পর হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, এজন্য ঘরের কাজ করতে পারি না’।
- ‘বিশেষ ঋতুর আগমনে ভয়ে ভয়ে থাকি, ঐ সময় চোখ লাল হয়ে ফুলে যায় ও নাকে পানি ঝরে ও সুড়সুড়ি অনুভূত হয়’।
- ‘বাবার এজমা আছে, আমি সবসময় নাকের সমস্যায় ভুগি। ভয়ে ভয়ে থাকি না জানি আমারও এজমা হয় কি-না’?
- ‘ছেলেবেলায় একজিমা ছিল, এখন মাঝে মধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়। আমার মা হাঁপানির জন্য inhaler ব্যবহার করেন’।
- ‘ধূলিঝড় ও খারাপ আবহাওয়ায় শ্বাসটান হঠাৎ বেড়ে যায়’।
- ‘ইমিটেশন গয়না ও বিশেষ ধাতুর তৈরি সামগ্রী ব্যবহারে ঐ গয়নার অবয়বে ত্বক লাল হয়ে চুলকায়’।
- ‘বাচ্চার জন্মদিন বেলুনে সাজানো যায় না। বেলুন ও রাবার সামগ্রীতে ত্বকের সমস্যা হয়’।
- ‘চুল কলপ করতে পারি না, মাথায় চুলকানিসহ ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়’।
- ‘কোন বিশেষ ঔষধ ব্যবহারের পর গায়ে ছোট-বড় লাল, লালচে চাকা, আর সঙ্গে চুলকানি হয়’।
- ‘বিশেষ ঔষধ খাওয়ার পর হঠাৎ ঠোঁট ও চোখের পাতা ফুলে যায়’।
- ‘একবার পেনিসিলিন ইনজেকশন নেওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে যাই। ডাক্তার ভবিষ্যতে পেনিসিলিন বা ঐ গ্রুপের ঔষধ না নিতে সতর্ক করে দিয়েছেন’।
- ‘পূর্বে সম্পূর্ণ ভালো ছিলাম, কারখানায় যোগ দেওয়ার পর এসমস্যায় ভুগছি’।
- ‘কুকুর পোষাকালীন নাক ও চর্মের সমস্যায় ভোগার পর, কুকুর বিদায় করে ভালো আছি’।
লক্ষণীয় যে বর্ণিত সমস্যাসমূহ কিছু অতিসাধারন প্রাকৃতিক উপাদান থেকে সৃষ্ট, যদিও কদাচিৎ অন্য কারণে হতে পারে।
অনুরূপ লক্ষণসমুহ ধুলিয় উপাদান dust, ফুলের রেনূ, ছত্রাক, পশু-পাখির লোম, খাদ্যদ্রব্য, বিবিধ রসায়ন ও ঔষধ, যা সাধারণভাবে ক্ষতিকর নয় (innocuous) থেকে সৃষ্টি হয়।
এ উপাদানসমূহ অধিকাংশ মানুষের কাছে অদুষ্ট, কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণ হয়।
কিসে এমন প্রতিক্রিয়া, এবং কেন কীভাবে হয়?
বুঝার সুবিধার জন্য একটি উদাহরণের সাহায্য নেওয়া যাক-
সখ করে পোষার জন্য বাড়িতে একটা বিড়াল আনা হল। কয়েক মাস পর বাবার চোখে চুলকানি ও মাঝে মাঝে হাঁচি শুরু হলো। তিন সন্তানের মধ্যে ছোটমেয়ের কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা গেল। মা ও বাকি দুই ছেলের এমন কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হল না।
এই ঘটনা কীভাবে বিশ্লেষণ করা যায়?
আনিত বিড়ালে এমন কোন উপাদান আছে, যা বাবা ও ছোটমেয়ের সমস্যা করলেও, মা ও বাকি দুই সন্তানের জন্য অদুষ্ট বা ক্ষতিকর নয়। খুব সম্ভব বিড়ালের লোম ও চর্ম নিঃসৃত প্রোটিন উপাদান সমস্যাগুলির কারণ। এই বিশেষ উপাদান বাবা ও মেয়ের শরীরের জন্য অতি-সংবেদনশীল (hypersensitive)। ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গে অতি-সংবেদনশীলতা বাবা ও মেয়ের উপসর্গের কারণ।
লক্ষণীয় যে বর্ণিত সমস্যাসমূহ কিছু অতিসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদান (ধুলিয় কণা, dust, ফুলের রেণু, ছত্রাক, পশু-পাখির লোম, খাদ্যদ্রব্য, বিবিধ রসায়ন ও ঔষধ, যা সাধারণভাবে ক্ষতিকর নয় (innocuous), যদিও কদাচিৎ অন্য কারণে হতে পারে।
বলা হয়ে থাকে- কোন রোগের কারণ নিশ্চিত না করা গেলে, এলার্জির কথা মনে আসবেই।
অতিসংবেদনশীলতা ও এলার্জি
ভিয়েনার শিশুরোগ চিকিৎসক Clemens von Pirquet লক্ষ্য করেন যে, তাঁর কিছু রোগী সাধারণভাবে innocuous ধুলা, ফুলের রেণু ও কিছু খাদ্য থেকে নাক, চোখ চুলকানি ও পানি পড়া, হাঁচি, শ্বাস-কষ্ট, ত্বক লালচে ও চাকা হওয়া প্রভৃতি উপসর্গে ভুগছেন। তিনি ধারণা করেন, বাহিরের এই উপাদানসমুহকে নিষ্ক্রিয়করণ বা অপসারণের নিমিত্তে শারীরিক প্রতিক্রিয়ায় এই অস্বস্তিকর উপসর্গের সৃষ্টি হয়।
তিনি প্রান্তিক অঙ্গে ঘটমান এই প্রতিক্রিয়াকে ‘অতি-সংবেদনশীলতা’ (hypersensitivity) বলে অভিহিত করেন এবং প্রক্রিয়ার নামকরন করেন ‘Allergy’. Allergy গ্রীক শব্দ থেকে উদ্ভূত। প্রাচীন গ্রীক ভাষায় allos অর্থ ‘অন্য’ এবং ergon অর্থ ‘কাজ’ অর্থাৎ অন্য ধরণের কাজ। Pirquet ১৯০৬ সালে ‘এলার্জি’ (concept) ধারণা প্রবর্তন করেন।
কিছু সংখ্যক ব্যক্তির ধুলা, ফুলের রেণু, প্রাণীজ পশম, ছত্রাক ও কিছু খাদ্য থেকে প্রদাহজনিত ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া হয়। এসমস্ত উপাদানসমুহ সাধারণের জন্য নিরাপদ, সহনীয় ও অক্ষতিকর (innocuous) কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকের বিচিত্র ধরনের অস্বস্তিকর, অসহনীয়, দুর্বোধ্য উপসর্গ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণ। আপাত দুর্বোধ্য প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট এই অস্বাভাবিক ক্ষতিকর উপসর্গকে ‘অতি-সংবেদনশীলতা’ বা hypersensitivity reaction এবং এরোগকে ‘এলার্জি’ নামে অভিহিত করা হয়।
অতি-সংবেদনশীলতার প্রকারভেদ
প্রথমদিকে সব ধরনের অতি-সংবেদনশীলতাকে ‘এলার্জি’ বলা হতো। পরবর্তীতে পরিষ্কার হয় যে বিভিন্ন এলার্জি-রোগের পদ্ধতিগত ভিন্নতা থাকলেও গুনগত ১ টি common প্রতিরোধমূলক প্রক্রিয়া প্রত্যেক রোগে ক্রিয়াশীল। এই common প্রক্রিয়ার নাম ‘প্রতিরোধক-প্রতিক্রিয়া’ যা শরীরের ‘প্রতিরোধ ব্যবস্থা’র (Immune System) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এখন এলার্জির কারণ হিসাবে ‘প্রতিরোধ ব্যবস্থার’ অসংগত, অসংযত সক্রিয়করণ ও আচরণ’ স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য।
Kimishige and co-worker ১৯৬০ সালে এলার্জি সৃষ্টির রহস্য জানার চেষ্টায় প্রথম এক ধরনের প্রতিরোধক গ্লোবিন প্রোটিন (immune globin- Ig) সন্ধান পান যার নামকরণ করেন IgE এন্টিবডি। এটা এমন এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার যা বিস্ময়করভাবে এলার্জি সৃষ্টির মূল-রহস্য উদঘাটনে, জানতে ও বুঝতে সহায়ক হয়েছে। সর্বশেষ এই IgE এন্টিবডি আবিষ্কারের পর বিভিন্ন ধরনের অতি-সংবেদনশীলতায় ভিন্ন ভিন্ন এন্টিবডির ভূমিকা প্রকাশ পায়।
Hypersensitivity reaction শ্রেণী বিন্যাস
১৯৬৩ সালে Philip Gell and Robin Coombs ৪ শ্রেণীতে Hypersensitivity reaction বিন্যস্ত করেন, যা ‘টাইপ’-১ থেকে ‘টাইপ’-৪।
‘টাইপ-১’ ‘টাইপ-২’ ‘টাইপ-৩’ ‘টাইপ-৪’
বিশেষত্ব ত্বরিত Hypersensitivity এন্টিজেন-এন্টিবডি প্রতিক্রিয়া Cytotoxic: কোষ বিধ্বংসী-এন্টিজেন-এন্টিবডি প্রতিক্রিয়া Immune-complex জনিত এন্টিজেন-এন্টিবডি প্রতিক্রিয়া Cell-mediated: কোষ মাধ্যমে বিলম্বিত প্রতিক্রিয়া
মাধ্যম IgE IgE or IgG IgG T-cell, cytokine
প্রান্তিক কোষে প্রভাব Basophils, mast cells RBC, WBC, Platelets Various host cells Various host cells
কোষ নিঃসৃত রসায়ন ও অন্যান্য Histamine, serotonin , leukotriens Complement ADCC Complement, neutrophil proteases cytokines
প্রতিক্রিয়া শুরুর সময় ত্বরিত- কয়েক মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন ৪৮-৭২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মাত্রায়
ত্বকীয় প্রতিক্রিয়া লালচে, চাক-চাক হয়ে ফুলে যাওয়া কিছুনা আরথাস ফোস্কা, খস-খসে, শক্ত হওয়া
উদহারণ Allergy, Anaphylaxis Transfusion reaction, hemolytic disease of newborn Serum sickness, malarial kidney damage Contact dermatitis, transplant rejection

‘প্রতিরোধ ব্যাবস্থা’র বৈশিষ্ট্য হল, যে কোন উপাদানকে ‘নিজের’ (self)এবং ‘নিজের নয়’ (non-self) সনাক্ত করার ক্ষমতা। ‘নিজের নয়’ এমন কোন উপাদানকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর/আগ্রাসী বিবেচনা করে ঐ উপাদানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ‘প্রতিরোধী প্রোটিন’ (IgG, IgA, IgE) তৈরি করে; যাকে immunoglobin এন্টিবডি বলা হয়। এলার্জিক ব্যক্তির ‘প্রতিরোধ ব্যাবস্থা’য় কিছু বিচ্যুতির ফলে রূপান্তরিত immune response- বিভিন্ন শ্রেণির ‘অতি সংবেদনশীলতা’ বা ‘এলার্জি’ করে।
সাধারণভাবে অদুষ্ট বিবেচিত উপাদানে ‘প্রতিরোধ ব্যবস্থা’র অতি-সংবেদনশীল অসংগত (misdirected) TH2 প্রতিক্রিয়ায় (response) এলার্জেন-নির্দিষ্ট অতিমাত্রায় IgE উৎপাদন, যা উচ্চকিত immune defense প্রতিক্রিয়া। ইম্মিউন সিস্টেমের গোলযোগ, বিচ্যুতিতে এলার্জির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
Hypersensitivity reaction শ্রেণি বিন্যাসে বিবেচিত হয়:-
• ‘প্রতিরোধ ব্যবস্থা’র কোন অংশ, কিভাবে প্রতিক্রিয়ায় অংশ নেয় এবং
• কত সময় ও দ্রুততায় প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
নতুন শ্রেণি বিন্যাসে:
• এলার্জি ‘টাইপ-১’ ত্বরিত প্রতিক্রিয়া।
• ‘টাইপ-২’ ও ‘টাইপ-৩’ প্রতিক্রিয়া – প্রধানত ঔষধ জনিত।
• ‘টাইপ-৪’ প্রতিক্রিয়া সংস্পর্শ জনিত contact dermatitis.
প্রথমদিকে সব ধরণের অতি-সংবেদনশীলতাকে ‘এলার্জি’ বলা হতো। এখন শুধুমাত্র ‘টাইপ-১’ ও ‘টাইপ-৪ প্রতিক্রিয়াকে এলার্জি বলা হচ্ছে।
‘টাইপ-১’ এলার্জি: ত্বরিত এলার্জেন-এন্টিবডি প্রতিক্রিয়া
‘প্রতিরোধ ব্যাবস্থা’ অধিক মাত্রায় IgE তৈরি করায় প্রান্তিক কোষ mast cell নিঃসৃত histamine এর প্রতিক্রিয়া। Histamineপ্রতিক্রিয়া প্রান্তিক অঙ্গ থেকে রক্তে বাহিত হয়ে দূরবর্তী প্রত্যন্ত অঙ্গে histamine বিস্তারের পরিমাণের উপর অঙ্গভিত্তিক ক্রিয়া নির্ভর করে। ব্যক্তিভেদে লক্ষণ সমূহের ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
‘টাইপ-৪’ এলার্জি: T-cell মাধ্যমে বিলম্বিত প্রতিক্রিয়া
Cytokine IL2 naïve T-cell কে উদ্দীপন করে, যা পর্যায়ক্রমিক বিভিন্ন ধাপে effector Immune cells: macrophages and Tc cells দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিক্রিয়া করে। এখানে প্রতিক্রিয়া দেরীতে হয়। এন্টিজেনের সংস্পর্শে আসার কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন পর প্রতিক্রিয়া হয়। Peak reaction ৪৮-৭২ ঘণ্টায় হয়।
পরিবেশে শত শত সাধারণ উপাদান আছে ,যা এধরনের সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, যাকে আমরা এলার্জি বলি। যে উপাদান এলার্জি তৈরি করে, তাকে এলার্জেন বলে।
এলার্জি সম্বন্ধে ন্যূনতম বা বিশদভাবে ধারনা পেতে হলে, আমাদের বুঝতে/জানতে হবে এলার্জিগত সমস্যা, এর সৃষ্টির কারণ ও পদ্ধতি, এবং গতি-প্রকৃতি। বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে ‘প্রতিরোধ ব্যবস্থা’ (Immune System), কারণিক উপাদান, নিঃসৃত রাসায়নিক উপাদানের আন্ত- জৈবক্রিয়া ও আঙ্গিক প্রতিক্রিয়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.