নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ বড়ই বিচিত্র

১৭ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

মানুষ খোদা তাঁয়ালার আজব সৃষ্টি। বৈচিত্র তাঁর গঠন, আকার-আকৃতি, হাঁটা-চলা, বলা-কলা। শৈল্পিক তাঁর প্রতিভা। আকর্ষণীয় তাঁর দেহ-সৌষ্ঠব। কাব্যিক সুসমায় ভরা তার কথা। সৃজনশীল তাঁর প্রতিভা। পবিত্র কুরআন শরীফে মানুষকে সর্বোত্তম সৃষ্টি, দুর্বলতম সৃষ্টি, নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি- এসব নামে অভিহিত করা হয়েছে। আবার বলা হয়েছে মানুষ যখন তার মনুষ্যত্ব হারায় তখন সে জন্তু জানোয়ারের চাইতেও অধম হয়ে যায়। মানুষ তার চিন্তা-চেতনা, কাজ-কর্ম, সাধনায়-অরাধনায় ফেরেস্তাদেরকেও পিছনে ফেলতে পারে। আসলেই মানুষ ফেরেস্তাদের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। মানুষ হল আশরাফুল মাখলুকাত। কিন্তু একটা বিষয় আমাকে ভাবনায় নিমজ্জিত করে। চিন্তা করেও এর কোনো কূল কিনারা করতে পারিনা যে মানুষ আবার মানুষকেই কেন প্রজা বানায়। আমরা সবাই তো মানুষ তবুও কেউ আমীর কেউ ফকির কেন হব। সব মানুষের ভেতর থেকে গুটি কয়েক মানুষ হয়ে ওঠে অশ্চর্য রকমভাবে ক্ষমতাবান। ক্ষমতাবান মানুষরা ক্ষমতার গুটি চালে দুর্বল মানুষদের উপর। মানুষ মানুষকে চাকর বানায়। আবার এই মানুষই সুযোগ বুঝে সমাজের অসহায় মানুষগুলোর উপর মধ্যযুগীয় বর্বর নীতি চালু করে।

সামান্যতে মানুষ মাথা গরম করে ফেলে আবার একটু ভালবাসা ফেলে সে মোমের মত গলে যায়। মানুষ মানুষকে ভালবাসে। ভালবাসার জন্য সে জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দেয়। মানুষ মানুষকে ঘৃণা করে। ঘৃণার মাত্রা এতটাই বাড়ে যে সে অবশেষে খুন করেই ক্ষান্ত হয়। মানুষ মানুষকে বেইজ্জতি করে। সুযোগ ফেলে অপমান-অপদস্ত করতেও ছাড়ে না। মামলায় জড়িয়ে ঘর ছাড়া করে। আবার মানুষ মানুষকে এত সম্মান করে যে অনেক সময় সৃষ্টিকর্তার আসনেও বসিয়ে ফেলে যা সৃষ্টিকর্তার সাথে স্পষ্ট বেয়াদবিরই সামিল। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, তিনি মানব জাতীর সকল গুনাহ মাফ করবেন কেবল তার ক্ষমতায় ভাগ বসানো ব্যাক্তি ব্যাতিরেকে। মানে তাঁর সাথে অংশিদারিকে তিনি কিছুতেই ক্ষমা করবেন না।

আর এক ব্যাক্তিকে তিনি ক্ষমা করবেন না যারা মানুষের মনে কষ্ট দেয় এবং টাকা হাওলাত করে পরিশোধ করে না। বলা হয়েছে এ রকম ব্যাক্তি যদি শহীদও হয়ে যায় তবুও তিনি তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। সৃষ্টিকর্তার এমন নিরপেক্ষ বিচার সত্যিই অবাক করার মত। আমরা জানি সৃষ্টিকর্তা যা খুশি তা করতে পারেন যাকে খুশি তিনি মারেন যাকে খুশি তিনি জীবিত করেন। যাকে ইচ্ছা তিনি রাজা বানান যাকে ইচ্ছা তিনি প্রজা বানান। যাকে ইচ্ছা তিনি সম্মানিত করেন যাকে ইচ্ছা তিনি অপমানিত করেন। এটা তার অসীম ক্ষমতারই বহি:প্রকাশ। কিন্তু তিনি কর্জ দাতাকে কিছুতেই মাফ করবেন না। এ বিষয়ে তিনি ইচ্ছা করলে স্বৈরাচারি বিচারকের ভূমিকায় অবর্তীণ হলেও হতে পারতেন। বলতে পারতেন ‘তুমি আমার পথে শহীদ হয়েছো, আমি তোমার প্রতি সন্তুষ্ট, যাও তোমাকে আমি মাফ করে দিলাম’। এটা তিনি বলবেন না কেননা এ বিষয়ে তিনি পবিত্র কোরআন আর হাদীসে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রতিশ্রæতির ব্যাতিক্রম করেন না। কোরআন-হাদীসের বাণীতো আর মিথ্যে হতে পারে না।

মানুষ অতিমাত্রায় প্রতিশোধ পরায়ণ। সে প্রতিশোধ নিতে ভালবাসে। শয়তান তাকে প্রতিশোধ নিতে প্ররোচিত করে। অথচ আমাদের মহানবী (সা:) প্রতিশোধ না নিয়ে অপরাধীকে ক্ষমা করতে বলেছেন। বইতে পড়েছি, ক্ষমা মহৎ গুণ। ভাবতে অবাক লাগে মানুষ সামান্য কারণে মানুষের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। মানুষ মানুষকে মারে, অপমান করে, মানুষ মানুষকে বিপদে ফেলে মজা পায়। এসব দেখলে মানুষকে আর মানুষ বলে মনে হয় না। মনে হয় কুরআনের ঘোষণাই সঠিক মানুষ জন্তু জানোয়ারের চাইতেও অধম। সত্যিই বিচিত্র এই মানুষের জীবন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.