নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাণের মেলায় নিষ্প্রানের ছোঁয়া

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৬

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। এই গানটি আমাদেরকে বারবার ভাষা শহীদদের কথা মনে করিয়ে দেয়। শহীদদের কথা মনে হলে কেঁপে উঠে আমাদের বুক। হৃদয় শিহরিত হয়, অন্তর ব্যাকুল হয়ে উঠে। বাংলা ভাষা আমাদের শত জনমের শত সহ¯্ররে হাজারও স্বপ্নের ফসল। এভাবে বাংলা ভাষা আমাদের হৃদয়মূলে গেঁথে আছে। ভাষা শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীন সার্ভভৌম আজকের এই বাংলাদেশ। বইমেলার মূল মঞ্চের ডিজিটাল ব্যানারে আবদুল গাফফার চৌধুরীরর লেখা এই কবিতার লাইনটি লিখা রয়েছে। লাইনটিতে যতবার চোখ পড়ে ততবারই ভাষা আন্দোলনের কথা মনে পড়ে। শহীদ রফিকের রক্তেভেজা শরীর ভেসে উঠে চোখের সামনে। সেই শহীদদের ত্যাগকে চির স্বরণীয় করে রাখতে বইমেলার নাম দেয়া হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বলে। বইমেলা হল স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের মেধা ও মননের প্রতীক। বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক। বাঙালির চেতনার মর্মমূলে সুর বাজায় এই বইমেলা। বাঙালির আশা-আশাঙ্কার কেন্দ্রবিন্দুর মূলে আছে বইমেলা।
নতুন বইয়ের ভিন্ন রকম একটা গন্ধ থাকে। যাকে আমরা পাকা ধানের গন্ধের সাথে তুলনা করতে পারি। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ যে রকম বাবুই পাখিকে কাছে ডেকে আনে। কৃষক যেরকম ফসলের জন্য মমত্ব প্রকাশ করে। ঠিক তেমনি বাবুই পাখি আর কৃষকের মত বইপ্রেমীরাও ছুটে আসে বইমেলায়। নতুন বইয়ের খোঁজে তারা ঘর থেকে বের হয়। এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরে বেড়ান। কারুকার্যময় প্রচ্ছদ দেখে তারা মুগ্ধ হয়। নতুন নতুন বই তাদেরকে কাছে টানে। এভাবে তারা কাটিয়ে দেন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত। এরকমভাবেই বইয়ের দোসর বইপ্রেমীদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। তখন বইপোকাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মেলার চারপাশ। কেউবা ঠু মেরে থাকেন প্রিয় লেখকের সন্ধানে। পছন্দের লেখককে দেখা মাত্র তারা ছুটে যান তাদের কাছে। সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করেন। দুই এক কপি ছবি তুলতেও ভুল করেন না। কেউবা তোলেন সেলফি। এভাবে বইপ্রেমী-দর্শনার্থী-ক্রেতা-বিক্রেতাদের কলগানে মুখর হয়ে উঠে বইমেলার আঙ্গিণা। তখন বাতাসে কেবলই উড়ে বেড়ায় নতুন বইয়ের গন্ধ। এভাবে বইমেলার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
গ্রন্থমেলার চিত্র স্বচক্ষে দেখার জন্য সেদিন বিকালে গিয়েছিলাম বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে। সাথে ছিল তরুণ গল্পকার আমির হোসেন বিপ্লব। পরপর দুইদিন বইমেলার আঙ্গিণায় ঢুকে যা দেখলাম তা সত্যিই অবাক কারার মত ব্যাপার। কোথায় সে পরিচিত বইমেলা। এ যেন অপরিচিত কোনো বইমেলায় এসে পড়েছি। বইমেলার সেই ছবি যেন আর দেখা যাচ্ছে না। হই হুল্লোড়, কলরব, লাইনে দাঁড়িয়ে বইমেলায় ঢোকা সবই যেন অচেনা লাগছে। কিছু কিছু স্টলে দর্শনার্থী আর ক্রেতার দেখা মিললেও অনেক বইয়ের স্টল একেবারেই খালি দেখা গেছে। বই বিক্রেতাদেরকে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। কাউকে মোবাইলে কথা বলে কিংবা ফেসবুকে প্রিয় মানুষদের সাথে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। আবার কেউবা মন খারাপ করে গোমড়া মুখে বসে আছেন। মানুষের চেহারায় হাসি নেই। জনমনে অজানা একটা ভয় আর উৎকন্ঠা কাজ করছে সব সময়। লাগাতার অবরোধ আর থেমে থেমে হরতাল মানুষের জীবনে দুর্বিষহ করে তুলেছে এটা তারই চিত্র। মানুরের মনে আতঙ্ক-ভয়-শঙ্কা। তার উপর পেট্টোলবোমা আর বন্দুক যুদ্ধে মানুষ হত্যাতো আছেই। এক কথায় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে চলছে স্বরণকালের নির্জীব বইমেলা। বইমেলার সেই চির চাঞ্চল্য রূপ এখন আর চোখে পড়ছে না। তাই বলে বইয়ের দর্শক যে একেবারের আসছেনা এমন কিন্তু না। তবুও বইপ্রেমীরা বইমেলায় আসছে তবে উপস্থিতির হার অনেক অনেক কম। হরতাল-অবরোধ, পেট্টোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার ভয়কে জয় করে তারা ছুটে আসছে বইমেলা প্রাঙ্গণে। আগের বছরগুলোতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বইমেলায় প্রবেশ করতে হলেও এবার তা লাগছে না। হুড়োহুড়ি, ভিড়বাট্টা, শোরগোল কিছুই নেই। নির্জীব ভদ্র বইমেলা চলছে বলা যায়। এবারের বইমেলাকে নদীর ¯্রােতের মত নয় কিছুটা বাড়ির পাশের বড় দিঘীর শান্ত ঢেউয়ের মত এগিয়ে চলছে বলা যায়। এত কিছুর পরও বইমেলা বলে কথা।
কবি আসাদ চৌধুরীকে নিয়ে কিছু সাহিত্যামোদী-বইপ্রেমীদের মেতে থাকতে দেখা গেছে। এরপর মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরতে ঘুরতে কবি রফিক আজাদ, আসাদ চৌধুরী, আনিসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, এম আর মঞ্জু এবং তরুণ কবি আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সাইফ আলির দেখা মিলল। সময় প্রকাশনীতে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরেকে তার প্রকাশিত উপন্যাসে অটোগ্রাফে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অন্যপ্রকাশের স্টলে অর্থমন্ত্রীকে দেখা গেল পিছমোড়া দিয়ে বই পড়তে। মন্ত্রী মহোদয়কে অন্যপ্রকাশের সত্বাধিকারী মাযহারুল ইসলামের সাথে কথা বলতে আর হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে দেখা গেছে। বইমেলার সপ্তাহ দশদিন অতিবাহিত হলেও পেরেকে ঠোকাঠোকি কিন্তু এখনো বন্ধ হয়নি। এ রকমই চিত্র চোখে পড়েছে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে। লেখকদের আড্ডার স্থান ‘লেখককুঞ্জ’ এত বেশি ডিজিটাল হয়েছে যে তাকে চেনাই দায় হয়ে পড়েছে। লেখকদের বসার জায়গাটিতে এক গ্লাস মিনারেল ওয়াটার খাওয়ারও বন্দোবস্ত নেই। মেলা কর্তৃপক্ষের এমন বৈরী আচরণ ঠিক যেন মেনে নিতে পারছেনা মেলায় ঘুরতে আসা অনেক তরুণ লেখক।
তবুও এত বৈরী পরিবেশের পরও এভাবের বইমেলায় এ পর্যন্ত নতুন বইয়ের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর অন্যান্য বছরের মতই নতুন লেখকদের প্রচুর বই প্রকাশিত হয়েছে। তবে বিক্রির তালিকায় পুরাতন লেখকদের বই শীর্ষস্থান দখল করে আছে। হুমায়ূন ভক্তরাও বই কিনতে এসেছেন এই স্টলে। তবে অন্যান্য বারের মত অন্যপ্রকাশের স্টলে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। তবে বিক্রির তালিকায় প্রথম স্থানে আছে শেষ উপন্যাস দেয়াল।
গত ৬ ফ্রেব্রুয়ারি বইমেলা ছিল শিশুদের জন্য। সেদিন সকাল এগারটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ছিল শুধুই শিশুদের জন্য। মেলা কর্তৃপক্ষ এ সময়টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘শিশু প্রহর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সে কারণে শিশুদের জন্য মেলায় প্রবেশের ছিল সুবোন্দবস্ত। মা-বাবার হাত ধরে শিশুরা নিশ্চিন্তে মনের আনন্দে বইমেলায় এসেছে। ঘুরে বেড়িয়েছে। বই কিনেছে। বড়দের ভিড়ের কারণে শিশুরা অনেক সময় মেলায় ঢুকতে অনেক বেগ পেতে হয়। ঢুকলেও নিজেদের ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ খুব সংখ্যক শিশুই পেয়ে থাকে। মূলত শিশুদের মেলায় প্রবেশ সহজতর করার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বলছিলেন বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মুর্শিদুদ্দিন আহম্মদ। তিনি জানান, ৬, ৭, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শিশু প্রহর ঘোষণা করা হয়েছে। শিশু প্রহরের সময়কাল বেলা এগারটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।
এ বছরের বইমেলা আর অন্যান্য বারের বইমেলার ভেতর পার্থক্য রয়েছে অনেক। এর আগেও হরতাল অবরোধের ভেতর কখনো বইমেলা হয়েছিল কিনা জানিনা তবে এবারের মত লাগাতার হরতাল অবরোধ আর কখনো ছিল বলে মনে হয় না। বইমেলা প্রাণ হারানোর একটাই কারণ তা হল লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি। টানা অবরোধ-হরতালের কারণে বইমে লার চেহারা বর্ষার সজীবতা যেন হারিয়ে ফেলেছে। বইমেলা হয়ে গেছে শীতের শরীরের মত রুক্ষè আর নিরস। বইমেলার প্রাণ ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। বইপ্রেমীরা মেলায় আসবেন, ঘুরবেন, বই দেখবেন, কিনবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বইমেলার দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনো সেভাবে মেলা জমে উঠেনি। সমীকরণকে ঠিক মেলানো যাচ্ছে না। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা কিছু হলেও আসতেছে তবে বই বিক্রি অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গেছে।
এ বছর নতুন প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে আগামী প্রকাশনী থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, কালান্তর প্রকাশনী থেকে কবি ফররুখ আহমদের ‘হে বন্য স্বপ্নেরা’ সম্পাদনায় জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, কাকলী থেকে লতিফুর রহমানের বৈজ্ঞানিক ইতিহাস: সময়ের অতীত ও বর্তমান’, অন্যন্যা থেকে তৌহিদুর রহমানের ‘কি কথা তাহার সাথে’, জাগৃতি থেকে খান মাবুবের ‘বইমেলা ও বইসংস্কৃতি’, প্রথমা প্রকাশন থেকে বিশ্বজিৎ চৌধুরীর ‘বাসন্তী তোমার পুরুষ কোথায়’, পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে আনিসুল হকের ‘কপিচুমু’, প্রথমা প্রকাশন থেকে হরিশংকর দলদাসের ‘এখন তুমি কেমন আছ’, আদর্শ থেকে চমক হাসানের ‘গণিতের রঙ্গে হাসিখুশি গণিত’, ছায়াবীথি প্রকাশনী থেকে কুমের আলীর প্রথম উপন্যাস ‘ফিরে আসা রংধনু’, অন্যন্যা থেকে মেজর জেনারের (অব:) ইব্রাহিমের ‘সমকালীন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ও অন্যান্য’, সিদ্দিকিয়া পাবলিকেশন্স থেকে মহিউদ্দিন আকবরের ‘দশটি কিশোর উপন্যাস’, অবসর থেকে ফজল-এ-খোদার ‘আলো-ছায়ার জোয়ার-ভাটা’, আগামী থেকে হাসনাত আবদুল হাইয়ের ‘দুই হাতে দুই আদিম পাথর’, অনিন্দ্য প্রকাশনী থেকে আহমদ রফিকের ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’, কথাপ্রকাশ থেকে হাসান আজিজুল হকের উপন্যাস ‘শামুক’, ও সেলিনা হোসেনের ‘নুন পান্তার গড়াগড়ি’, অন্যপ্রকাশ থেকে পূরবী বসুর ‘কিংবদন্তির খনা ও খনার বচন, সংবেদ থেকে এসেছে পারভেজ হোসেনের ‘নভেলা হরণ’, তা¤্রলিপি থেকে বের হয়েছে জাফর ইকবালের ‘গ্রামের নাম কাঁকনডুবি’, মুক্তধারা থেকে আবু ইসহাক ইভানের ‘রবীন্দ্রনাথ কবি ও কাব্য’, মোহিত কামালেন ‘জাদুর বাকসে সোনার মোহর’, বিভাস থেকে ডক্টর এস এমন ইলিয়াছের ‘নারী শিক্ষার অগ্রদূত নওয়াব ফয়জুন্নেসা’, ঝিঙেফুল থেকে সাফায়েত ঢালীর ‘জ্বলিছে স্বাধীনতা’, কাকলী প্রকাশনী থেকে তাশরিক-ই-হাবিব এর দুটি বই যথাক্রমে ‘গল্পকার শহীদুল জহির’ এবং ‘ভরদুপুরে ও অন্যান্য গল্প’, সাহিত্যদেশ থেকে রাহমান মুজিবুরের ‘শেষ কথা বলা হল না’, লিয়াকত হোসেন খোকনের ‘বাংলাদেশ নদ-নদী ভ্রমণ’, মুক্তধারা থেকে উম্মে মুসলিমার ‘তুচ্ছ প্রেম গুচ্ছ প্রতারণা’, নবরাগ থেকে যথাক্রমে সুলতান আহমেদ শহীদের ‘নবীকথা’ ও রকিব হাসানের ‘লাইটহাউসের ভূত’ এবং দুখু বাঙালের ‘পায়রা নদীর পদ’ ঐতিহ্য থেকে কবি জাকির আবু জাফরের ‘ব্যাক্তিগত জোছনার বিজ্ঞাপন’, কবি সাজ্জাদ হোসাইন খানের ‘জ্বিনের দেশে কবির উড়াল’ ও ‘বিবেকের চৌকাঠ’, প্রথমা প্রকাশ রফিক-উম-মুনীর অনুদিত গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘কর্ণেলকে কেউ লেখে না’, একই প্রতিষ্ঠান থেকে তাহমিমা আনামের ‘দ্য গুড মুসলিম’, ভিন্নমাত্রা প্রকাশনী থেকে মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহর ‘ভালবাসার সন্ধি বিচ্ছেদ’, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স থেকে জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর ‘শামসুর রাহমান ও বন্ধু’, কাকলী থেকে আনিসুল হকের ‘মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস’, অন্যন্যা প্রকাশনী থেকে হুমায়ূন আহমেদের তিন অমর সৃষ্টি ‘মিসিরআলি সমগ্র’, ‘হিমুসমগ্র’, এবং ‘শ্রভ্রসমগ্র’, অন্বেষা থেকে তসলিমা নাসরিনের ‘শরম’, সময় প্রকাশনী থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘জীবনস্মৃতি সব মনে নেই’ এবং ‘গাঙচিল’ প্রভৃতি।
গ্রন্থমেলায় লোক সমাগমের জোয়ারভাটার মধ্যে বই বিক্রি নিয়ে অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। মেলায় ঘুরতে আসা কবি সাইফ আলি বলেছেন, দেশের পরিস্থিতির কারণে মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা কম সেই কারণে বইও কম বিক্রি হচ্ছে। কাকলী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী এ কে নাছির হোসেন সেলিম হাসতে হাসতে বললেন, ‘খুব ভালো’। পরক্ষণে তিনি আবার বলেন, বুঝতেই পারছেন দেশের পরিস্থিতি। লোকসমাগম মোটামুটি হচ্ছে তবে বিক্রির কথা নাইবা বললাম। আদর্শ প্রকাশনীর মালিন মামুনুর রশিদ বলেন, ভাই কী বলব? আপনারা দেখতেইতো পাচ্ছেন। হতাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনিও। আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলেও একই মন্তব্য পাওয়া যায়। তবে দুই একজন প্রকাশক আপাতত সন্তোষ প্রকাশ করেন। দিন দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। আশানুরূপ বিক্রি না হলেও বিক্রি যে একেবারে তা কিন্তু নয়। সেই সাথে সামনের দিনগুলোতে বিক্রিও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন মেলায় অংশ নেয়া প্রকাশকবৃন্দ। এত কিছুর পরও পৃথিবীর সবচেয় বর্নিল, শান্ত, স্নিগ্ধ, স্বাস্থ্যকর মেলা হচ্ছে বইমেলা। প্রিয়জনকে নিয়ে আপনিও বইমেলা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

লেখক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
মোবাইল-০১৭৬৬১০৭০৮৮



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাই, রিপোর্টের ভূমিকাটা অতিরিক্ত এবং অকারণ বড় হয়ে গেছে| যাই হোক অনেক খবর জানলাম| শুভেচ্ছা

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

সুহৃদ আকবর বলেছেন: ধন্যবাদ ‘অারণ্যক রাখাল’ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.