নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে করণীয়

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

দুশ্চিন্তা মারাত্নক এক ব্যাধী। যা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। ঘুণপোকার মতো কুরে কুরে খায় মানুষকে। তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপনের করার বিকল্প নেই। নিচে দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপনের কিছু টিপস্ দেওয়া হলো:

১. ইতিবাচক চিন্তা করা: নেতিবাচক চিন্তা থেকে ইতিবাচক চিন্তা অনেক ভালো। মনে রাখবেন ইতিবাচক চিন্তা মানুষকে দুশ্চিন্তামুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নেতিবাচক চিন্তা মানুষের অস্থিরতাই কেবল বাড়িয়ে দেয়। কিছু মানুষের স্বভাবই এমন যে, সর্বদা অপর মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবনা ভেবে সময় নষ্ট করে। বোকারাই কেবল এ কাজ করে থাকে। বুদ্ধিমানরা নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে। নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কারণ, এটা তারা ভালোভাবে বুঝে যে, অপর সম্পর্কে ভাবনা চিন্তা করে সময় নষ্ট করা মানে নিজের জীবনেরই সময় নষ্ট করা। এতে নিজেরই তি হয় বেশি। লাভের পাল্লা হালকাই থেকে যায়।

২. আল্লাহর উপর ভরসা করা: মহান প্রভূ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে খবর রাখেন। তিনি হলেন সূèদর্শী, সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। সকল ধরণের বিপদ মুসিবত তার কাছ থেকেই আসে। তাই যে কোনো বিপদে ধৈর্যহারা না হয়ে ধৈর্যধারণ করাই হবে ভালো মানুষের কাজ। বিপদ দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের পরীা করেন মাত্র। যিনি বিপদ দেন তিনিই একমাত্র বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। তাই আমাদের যাবতীয় সমস্যার কথা তার কাছেই বলতে হবে। তারই উপর ভরসা করতে হবে।

৩. ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যে পড়বে যে ব্যক্তির কোনো দুঃশ্চিন্তা থাকতে পারে না। মনে রাখবেন পাপই মানুষের ধ্বংস এবং দুশ্চিন্তার মূল কারণ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে মানুষের পাপ মুছে যায়। মানুষ এমন পরিচ্ছন্ন হয়ে যায় যে, কোনো মানুষ দৈনিক পাঁচবার গোসল করলে যেমন শরীরে কোনো ময়লা থাকে না। শুধু নামাজে রুকু সিজদা দিলে শুধু হবে না। পরিপূর্ণভাবে নিজেকে প্রতিপালকের প্রতি আতœসমর্পন করতে হবে। কেবল তাহলেই তার মনে প্রশান্তি নেমে আসবে।

৪. ভালো মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা: জ্ঞানীরা একটা কথা বলেছেন যে, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আসলেই ঠিক কোনো ভালো মানুষ যদি কোনো খারাপ মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে চলাফেরা করে তাহলে তার মধ্য থেকে কিছু খারাপ গুণ অথবা অভ্যাস মনের অজান্তেই তার ভেতর প্রবেশ করবে। অনেকে বলে থাকেন আপনি ভালো তো জগৎ ভালো। আসলে কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। কারণ, পরিবেশের প্রভাব খুব কম মানুষই এড়িয়ে যেতে পারে।

৫. বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা: একমাত্র আল্লাহই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বিপদের সময় সাহায্যকারী। শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্র“। সে মনের ভেতর নানাবিধ খারাপ চিন্তা উদয় করে মানুষের মনকে অস্থির করে তোলে। যে ব্যক্তি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করে তার ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতকারী শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে।
৬. প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করা: বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন কাজ কিছু কাজ করতে হয়। দূরদর্শী মানুষরাই প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করে। অলস মানুষরাই আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য রেখে দেয়। এ রকম করলে অনেক কাজ জমে যায়। এক সময় সকল কাজ একসাথে করতে গেলে তার মাথায় কোনো কিছু কাছ করবে না। কথায় আছে কালকে কালে খায়। অলস প্রকৃতির লোকেরা জীবনে উন্নতি করতে পারে না।

৭. সার্বণিক দোয়া ও জিকির করা: পবিত্র কুরআনে মানুষের মন স্থির হওয়ার উপায় সম্পর্কে বলা হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর স্বরণই মানুষের মন শান্ত হতে পারে। তাই বেশি বেশি আল্লাহকে স্বরণ করা উচিত। মানে আল্লাহর জিকির করা উচিত। যেমন সুবহানাল্লাহে ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ। আল্লাহু আকবার।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

কল্লোল পথিক বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

হতাস৮৮ বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাই... সুন্দর...

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

মাসুদ_খান বলেছেন: ভাই এইটুকুতে হবে বলে মনে হয় না। করণ এগুলো প্রায় কমন সবাই ট্র্রাই করে। একটু আরও বেশি কার্যকরি কিছু লেখে সিরিজ আকারে আরও কিছু পোষ্ট লিখুন। এটা আসলেই সকলের অনেক অনেক কাজে আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.