নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধুর জন্য একটি কবর

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

যাকে ভালোবাসুন, তার জন্য একটি কবর বানান। যেখানে তার দোষ-ত্রুটিগুলোকে মাটিচাপা দিন। না হয় আপনার বন্ধুত্ব টিকবে না। কারণ, কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। শতভাগ খাটি কেউ নয়। আর মানবিক প্রবণতাকে অস্বীকারই বা করবো কিভাবে। আপনার বন্ধুটি ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি তাকে ক্ষমা করবেন একথা ঠিক। একটি চারা গাছ যেমন পরিচর্যার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠে - তেমনি ভালোবাসা, বিশ্বাস, সহযোগিতা আর সততার মধ্য দিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দৃঢ় হয়। এ বাণীর দ্বারা বুঝা গেল শুধুমাত্র যে কোনো বন্ধু হলে চলবে না। এ বন্ধুকে হতে হবে ভালো বন্ধু। মনে রাখবেন, নেশাখোর ব্যক্তিরও কিন্তু বন্ধু আছে। তাদের বন্ধুত্ব খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। আমাদের নবীজী (সা.) বলেছেন, “একাকী নিঃসঙ্গতার চেয়ে ভালো বন্ধু উত্তম আর নিঃসঙ্গতা মন্দ বন্ধুর চেয়ে উত্তম”। এ প্রসঙ্গে হযরত আলী (রাঃ) বলেন, “যদি কাউকে আজীবনের জন্য বন্ধু বানাতে চাও? তাহলে নিজের মনের মধ্যে একটা কবর খুঁড়ে নাও। যাতে সেখানে তার দোষ-ত্রুটিগুলো দাফন করতে পারো”। বন্ধুত্ব সম্পর্কে উপরের বাণী দুইটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ এবং হৃদয় স্পর্শ দুই-ই করতে পেরেছে। যার ফলে আমি এই লেখাটি লিখতে বসেছি।
এ কথা আমরা সকলে জানি যে, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সে একা চলতে পারে না। বন্ধুর সহযোগিতা মানব জীবনে অপরিহার্য। বন্ধু ছাড়া জীবনটাই অপূর্ণ থেকে যায়। কারণ, একজন প্রকৃত বন্ধু জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার ভাগিদার হয়। সে জন্য বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তা, সততা, সত্যবাদিতা এবং স্বভাব-চরিত্র দেখে নেওয়াটা অবশ্যই কর্তব্য। বন্ধু আমাদের জীবনকে যেমন সুন্দর করতে পারে তেমন দুর্বিষহও করতে পারে। তাই বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বণ জরুরী। আমাদের মহানবী (সা.) বন্ধুত্ব সম্পর্কে আরো বলেছেন, “মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে উঠে। সুতরাং বন্ধু নির্বাচনের সময় লক্ষ্য করা উচিত সে কাকে বন্ধু বানাচ্ছে”। সব ধরণের লোকের সাথে বন্ধুত্ব করা যায় না। ইসলাম ধর্ম এটাকে সমর্থন করে না। রাসূল (স.) বলেছেন, “দুনিয়াতে যার সাথে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রয়েছে, পরকালে তার সঙ্গেই হাশর হবে”। ইমাম গাযযালী (রা.) তিনটি গুণ দেখে বন্ধুত্ব করার কথা বলেছেন। তা হলো: এক. জ্ঞানী ও বিচণতা, দুই. চরিত্রবান, তিন. নেককার ও সৎকর্মপরায়ণ। সে জন্য বন্ধুত্ব করার আগে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
মানুষের মর্যাদা অনুযায়ী তাকে সম্মান করতে হবে, ভালোবাসাতে হবে একথা ঠিক। তেমনি একথাও ঠিক সব মানুষের চলাফেরা করা যাবে না। সকলের সাথে বন্ধুত্বও করা যাবে না। কারণ, বন্ধু বা সহযোগির দোষ-ত্রুটি মানুষের ভেতর প্রবেশ করে থাকে। সভাবতই, মানুষ তার বন্ধুকে অনুকরণ করে থাকে।
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি আপনার বন্ধুকে এই অনুরোধটুকু করবেন যে, প্রিয় বন্ধু, তোমার কাছে একটা অনুরোধ করব। রাখবে তো। তুমিতো শুধু না না করো। তোমাকে একটা কথা বলবো। তুমি কি আমার জন্য একটা কবর বানাতে পারবে? তোমার সেই কবরে আমি সমাহিত হব পরম সুখে। তুমি আমাকে মাটিচাপা দাও তাতে আমার আপত্তি নেই। তুমি আমাকে গালি দাও তাতে আমার অভিযোগ নেই। তুমি আমাকে অযত্ন অবহেলা করো তা নিয়েও আমার কোনো মাথাব্যাথা নেই। তবে একটি আবদার অন্তত রেখো, তোমার পাশে থাকার অধিকারটুকু অন্তত আমাকে দিও। আল্লাহর নিকট দুই হাত তুলে আমার জন্য একটু দোয়া করো। টমাস ফুলারের মূল্যবান একটি কথা দিয়ে এই লেখা শেষ করছি, “ভালো লোকের সংস্পর্শে থাকো। তোমার বুদ্ধি না থাকলেও সময় মতো সে তোমাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে”।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: ভালো লাগলো।ভাল লাগা রইলো।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন... :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.