নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুহৃদ আকবর

Do Well, Be Well

সুহৃদ আকবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫


ভালোবাসা আছে বলেই পৃথিবীটা এতো সুন্দর। আজো নদীতে জোয়ার উঠে, পাখিরা গান গায়, বাগানে ফুল ফোটে। ভালোবাসা পবিত্র একটি শব্দ। এ শব্দটির ভেতর লুকিয়ে আছে পৃথিবীর যত সুখ। অফুরন্ত সম্ভাবণার বীজ লুপ্ত আছে এই শব্দে। নীল আকাশে রঙধনুর সাত রং যেমন একাকার হয়ে আছে তেমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার ভেতর অমৃত আর মধুর স্বাদ মিশে থাকে। ফুলের সৌরভের মতই ভালোবাসা মানুষের জীবনকে সুন্দর করে তোলে। ভালোবাস ছাড়া কোনো মানুষই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে হয়-মানুষ বেঁচে থাকার জন্য ভালোবাসে। পরিপূর্ণ একজন মানুষ কাউকে না কাউকে ভালোবেসে বেঁচে থাকে। মানুষ বাঁচার জন্যই ভালোবাসে।
আমি কখনো ভালোবাসার বিরোধী নয়। তবে পশ্চিমা দেশের অনুকরণে ভালোবাসা পালনের পক্ষপাতি কখনোই ছিলাম না। এটা ঠিক যে, ভালোবাসা বলতে আমাদের দেশে তরুণ-তরুণীর অবৈধ প্রেমকেই বুঝিয়ে থাকে। যা মোটেই সমাজ, ধর্ম এবং দেশের আইনসিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নয়। কেননা মানুষ সমাজদ্ধ জীব। প্রত্যেক মানুষ কোনো না কোনো ধর্মের অনুসারী হয়ে নির্দিষ্ট আইনের অধীনে জীবন অতিবাহিত করে থাকে। বিবেকবান সম্পন্ন মানুষ একে সমর্থন দেয় না। ইতিমধ্যে ভালোবাসা দিবসে নিয়ে দুএকটি স্বাধীনতার কথা মিডিয়াতে এসেছে। একটি গ্রুপ প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। না জানি ভবিষ্যতে এরা প্রকাশ্যে যৌনকর্ম সম্পাদনের ঘোষণা দিয়ে বসেন কিনা। যদি কখনো এমন হয় তাহলে মানুষ আর কুকুরের ভেতর কি এমন পার্থক্য থাকল! কুকুর মানুষের সামনে যৌনকর্ম করে থাকে। যৌনতা ভালোবাসার চরম পর্যায় একথা ঠিক। তেমন একথাও ঠিক যৌনতা গোপনীয় একটা কাজ। গোপন কাজ গোপনে করার ভেতরই কল্যাণ রয়েছে। যেমন “বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”।
বর্তমানে ভালোবাসার নামে যে নোংরা জঘণ্য, বর্বর সংস্কৃতি চলছে তা কুকুরকেও হার মানায়। এ কথা বললেই একদল যুবক ক্ষেপে যাবেন। বলবেন আপনি হলেন, কট্টরপন্থী লোক। আপনাদের মত লোকদের মতই দেশের এই অবস্থা। তার মানে উনি উলঙ্গ হয়ে আছেন এটাই তার কাছে ভালো। আমার প্যান্ট নিয়ে টানাটানি করছেন আমিও যেন উনার মতো নেংটা হয়ে যাই। উনি নাম রেখেছেন, আবদুর রহমান। যদি উনার কথাই ঠিক হয় তাহলে মুসলানি নামটা পাল্টে অন্য ধর্মের সাথে যুক্ত করে নাম রাখেন না কেন? কেউ যদি তার সমালোচনা করেন তাহলে তিনি হয়ে যান কট্টরপন্থী লোক। উনাদের অবস্থা আর কাজকারবার দেখে মানিক মিয়ার সেই কথাটিই মনে পড়ে গেল। “তাহাদের বিবেক ভরিয়া বিলাই মুতিয়া দিয়াছে”।
মানুষ যখন শিশু থাকে তখন ফুল আর আগুনের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। শিশু ফুল দেখলে যেমন হাত বাড়ায় তেমনি আগুন দেখলেও হাত বাড়ায়। সে তখন বস্তুর প্রতিক্রিয়া বুঝতে শিখে না। বড় হলে সে বুঝতে শিখে এ হলো ফুল যা তাকে আনন্দ দিবে। এ হলো আগুন যা তাকে পুড়িয়ে মারবে। অযাচিত ভালোবাসা মানুষের জীবনে ধ্বংস করে দেয়। যে ভালোবাসা সমাজ এবং ধর্ম সমর্থন করে না সে ভালোবাসা কোনো ভালোবাসাই নয়। তাই ভালোবাসতে হবে সত্য, সুন্দর ও পবিত্র বস্তুকে। ভালোবাসতে হবে মা-বাবাকে। কোনো নোংরা অপবিত্র বস্তুকে মানুষ ভালোবাসতে পারে না। ভালোবাসার অর্থ ব্যাপক। সংকীর্ণ প্রকাশের ভেতর এর তাৎপর্য সীমাবদ্ধ নয়। এর অর্থ ব্যাপক। এর ব্যাপ্তি সাগরের মতো। আমার মা হলেন ভালোবাসার বটবৃ। স্ত্রী শস্যক্ষেত্র, কন্যা পাখির গান, ছেলে ফুল বাগান, বন্ধু আকাশের চাঁদ। ভালোবাসা, তুমি অনেক ভালো থেকো - আমি তোমাকে বড্ড ভালোবাসি, একথা জানিও।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

বিজন রয় বলেছেন: লেখাটি ভাল লাগল।
++

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

আলোকিত-পৃথিবীর-সন্ধানে বলেছেন: মানুষের বিবেক নীচে নামাতে নামতে হীন হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.