নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলা না বলা কথা

নীলপরি

গল্পের বই পড়তে , গান শুনতে , ব্লগ লিখতে ও পড়তে ভালবাসি

নীলপরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভদ্রাকুন্ডলকেশা

২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩



বধ্যভূমিতে কাকে নিয়ে যাচ্ছে ওরা ?
দস্যু নাকি তস্কর ?
তস্কর কাকে বলে ? কেমন হয় সে ?

এ যে দেখছি রোমাঞ্চ তরুন
সে ছাড়া জীবন হবে করুন !


প্রথামতো তস্করকেই বিবাহ করেন শ্রেষ্ঠীকন্যা ভদ্রা ।
স্বামীর সাথে অজানা পাহাড়ে চলেছেন সালঙ্কারা সুন্দরী ।
' আমি তো চেয়েছিলাম তোমায়
তুমিও কি চেয়েছিলে আমায় ? '
জানেনি সে এই প্রশ্নের উত্তর ।

আমি নই অলঙ্কারই অধিক মোহময়ী ।
তবে তাই হোক ।
পুরুষ তুমি নির্বোধ ।
স্মিত হাস্যে ভাবেন ভদ্রা ।
আমি ভার্য্যা নই , আমি সালঙ্কারা মোহিনী ।

মোহে মিশে যায় ক্রুদ্ধ অভিমান
অবোধ সত্তুক পায় না পরিত্রান ।


তার চাওয়ার হিসেব ছিল খুবই অস্পষ্ট । তাই ত্যগকেই
শ্রেয় মনে করে অলঙ্কার পরিত্যাগ করলেন ।
কন্যা চলেন সত্যের সন্ধানে
জ্যোৎস্না মুখ লুকায় বনে ।

এরপর কাটেন তিনি সংসারের মোহপাশ ।

কঠিন থেকে কঠিতর হয় তার কৃচ্ছসাধন
পন্ডিতদের থেকে করেন তিনি জ্ঞান আরোহন ।

একদিন বুঝলেন তিনি অতি বিদূষী । তবে তো
সর্বশ্রেষ্ঠাও যে তিনি তাও করতে হয় প্রমান । কিন্তু
যোগ্যতার পরীক্ষায় যোগ্যতরের অভাব যায় দেখা ।

অবশেষে কন্যা শ্রাবস্তীতে পৌঁছান
সারিপুত্র করেন তাঁকে তর্কে আহবান ।


কিন্তু কে করবে প্রশ্ন ? উত্তরই বা দেবে কে ?
সারিপুত্র করলেন তখন সমাধান । প্রথমে
ভদ্রাই করবেন সব প্রশ্ন । সেই নিয়মে -

শাক্যপুরুষ উত্তর করেন অতি বিশেষ
এভাবে ভান্ডারশূণ্য ভদ্রা হন নিঃশেষ ।

তখন সারিপুত্র শুধু একটিমাত্র প্রশ্ন
করতে চান ।ভদ্রাও তাতে সম্মত হন ।

এক কি ? এর উত্তর বলো
প্রশ্ন শুনে কন্যা হতভম্ব হোলো ।

নতিস্বীকার করেন ভদ্রা । উত্তর দিতে
তিনি অসর্মথ । এ যদি তোমার নেই জানা ,
তবে কিছুই জানোনি এখনো । বিনম্রভাবে
বলেন সারিপুত্র । তখন ভদ্রা তাঁর
শরণাপন্ন হন । সন্ন্যাসী বলেন পুনরায়

হয়ে না তুমি আমার শরণাগত
তোমাকে দীক্ষা দেবেন ভগবান তথাগত ।

সেই দিনই কন্যা বুদ্ধের নিকট যান । বুদ্ধ
তাঁকে বলেন -

অর্থহীন যদি হয় সহস্র শ্লোকাত্মক গাথা
জেনো অধিক প্রিয় একটিমাত্র শান্তিপ্রদায়িনী কথা ।


অনায়াসে ত্যাগ করেছিলেন অলঙ্কার
আশ্লেষে ধরে রেখেছিলেন অহঙ্কার ।
এতোদিনে সেকথা তিনি অনুধাবন করলেন
এভাবেই ভদ্রা অর্হৎ হতে পারলেন ।






বিঃ দ্রঃ - ভদ্রাকুন্ডলকেশা - থেরীগাথার এক নারী । এটা তাঁর অর্হত্ব প্রাপ্তির কাহিনী ।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৩৯

জেন রসি বলেছেন: বাহ! চমৎকার!

একই সাথে মিথ এবং কবিতা দুটোরই স্বাদ পেলাম।

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩২

নীলপরি বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা ।

২| ২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ কিছু জিনিস অচেনা। তাই পুরোপুরি উপভোগ করতে পারলাম না।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

নীলপরি বলেছেন: আমিও খুব বেশী জানিনা । বৌদ্ধ ভিক্ষুণীদের গল্পগুলো ভালো লাগে, তাই লিখলাম । :)
অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা

৩| ২১ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

কল্লোল পথিক বলেছেন:


বাহ!চমৎকার মুগ্ধ হবার মত কবিতা।
কবিতায় একরাশ ভালোলাগা রেখে গেলাম।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

নীলপরি বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে শুনে উৎসাহ পেলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০১

বিজন রয় বলেছেন: ভদ্রাকুন্ডলকেশা-বঙ্কিমীয়।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০১

নীলপরি বলেছেন: মন্তব্যে আপ্লুত হলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আসলে মিথোলোজী নয় পুরো বিষয়টাই এক নারীর বিদুষী হওয়ার কাহিনী। সাবলীল কাব্য ঝংকারে অর্হৎ প্রাপ্তীর বর্ণনা অসাধারণ লাগলো। ভোগ নয় ত্যাগেই মহিমা।কীভাবে বিসর্জনের মাধ্যমে অর্হৎ লাভ করতে হয় এটা তার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কবিকে সুন্দর বিষয় উপস্থাপনের জন্যে মোবারকবাদ। ভালো থাকবেন।

২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১১

নীলপরি বলেছেন: সহমত আপনার সাথে ।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনুপ্রেরণা পেলাম।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাব্বাহ! এতকিছু অপ্রচলিত জ্ঞান আরোহণ করলেন কী করে? আর তার পরে কবিতায় রূপান্তর? মোটেই সহজসাধ্য কাজ নয় এটা!
এ অসাধারণ কাজটি করার জন্য অভিবাদন ও সাধুবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টির চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন কবিতাশৈ্লীর মাধ্যমে।
কবিতায় + +

২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহ পেলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৫৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সম্পর্কে নবতর ধারণা লাভ করছি দিনে দিনে!! এই ব্যাপারটাও জানতাম না!!! (+)

২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

নীলপরি বলেছেন: এই রে! আমার এখন পুরনো ধারনার কথা জানতে ইচ্ছা হচ্ছে !
থেরীগাথার নারীদের গল্পে অনেক মিথ মিশে থাকলেও সেই সমাজটার কথাও জানা যায়। তাই আমার ভালো লাগে।
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা । :)

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৯

স্টাইলিশ বয় বলেছেন: নীলপরি, আমার পোস্ট থেকে আপনার মন্তব্য গুলোকে আমিই ডিলিট করে দিয়েছিলাম। কেন দিয়েছিলাম সেটা বলতে গেলে এখন পুরো মহা-ভারত ব্যাখ্যা করা লাগে! তবে সেদিকে না গিয়ে সংক্ষেপে বলছি!

আমি খুব ক্রিয়েটিভ একটা মানুষ! কখনোই অযথা সমালোচনায় জড়াইতে চাই না। তাছাড়া সম্প্রতি আমি যাদের অপছন্দের তালিকায় আছি, তারা নিয়মিতই আমার ব্লগ পর্যবেক্ষনে যায় আসে। সুতরাং তারা আমার ঐধরেন ইমোশনালি মার্কা প্রতিউত্তর দেখলে পিছনে নানা রকমের কথা বার্তা বলতে পারে। অনেকে বেশ মজাও পাচ্ছে! আর ব্যক্তিগতভাবে কেউই বোধহয় চায় না, অন্যের কাছে মজার পাত্র হতে!

তাছাড়া ইচ্ছা আছে পোস্ট ড্রাফট করে নেওয়ার! কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং নেট কানেকশন দূর্বল থাকার কারণে আর সেটা হয়ে উঠছে না। আর যতদিন পর্যন্ত পোস্ট ড্রাফট না করছি, ততদিন পর্যন্ত ঐ মন্তব্যগুলো থাকলে নিজের কাছেই খারাপ লাগছিল! আশাকরি আপনি কিছু মনে না করে বিষয়টাকে একটু ভিন্ন ভাবে দেখার চেষ্টা করবেন! আমি আমার পোস্ট থেকে অহেতুক কখনোই কারো মন্তব্য সরাই না। কিন্তু আপনারটা সরানোর জন্য দুঃখিত! তাছাড়া কেন সরালাম সেটা তো উপরেই বলে দিলাম।

যাহোক কবিতাটা যে আগেই পড়েছিলাম সেটা নিশ্চই আমার লাইক দেওয়া দেখে বুঝেছিলেন। আপনি খুব সুন্দর কবিতা লিখতে পারেন! তবে ইদানিং ভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত আপনার অন্যান্য পোস্ট গুলোও খুব দারুন হচ্ছে! এভাবেই হাসি খুশিতে ব্লগিং করে যাবেন সেই আশা রাখি!

ভাল থাকবেন! হ্যাপি ব্লগিং!

২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

নীলপরি বলেছেন: আপনি একদম ঠিক ই করেছেন। আমি ভেবেছিলাম নির্দিষ্ট সময় পর থেকে মন্তব্যগুলো বুঝি অটো ডিলিট হয়ে যাচ্ছে ! :)
এই নিকটাও খুব ভালো হয়েছে।এখন তো দেখি অনেকে পাবলিক কি খাবে সেটা ভেবে লেখে। আজ সেরকম একটা লেখায় আপনার দারুন মন্তব্য দেখলাম! সেখানে লেখক নিজের উপলব্ধিকে জেনারালাইজ করেছেন কোনো পরিসংখ্যান ছাড়াই ।
আপনার মতো লেখকরা যদি
অভিমান করেন তো আমাদের মতো পাঠকরা খুব হতাশ হবো। তাই সব ভুলে লিখুন। :)

আমার লেখা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: মুগ্ধতা!!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

এবং মুগ্ধতার কথা বলছি আবার।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

নীলপরি বলেছেন: কবিতা পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।
আপনি ও ভালো থাকবেন।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল থেরাগাথা বুদ্ধ সন্ন্যাসীদের জীবন সংগ্রামের এবং নির্বান শিক্ষাদীক্ষা অর্চনার বর্ণনার বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য । থেরাগাথার নারীর কবিতা অর্চনায় তাদের হৃদয় ভাঙার সততা ও সৌন্দর্য দিয়ে বলা হয় কথা । থেরাগাথার এই অসাধারণ নারী গভীরভাবে মানুষের পাশে থেকে প্রকাশ করেন তার ভাবনা এবং এইভাবে আমাদের নিজস্ব সম্ভাব্য দীপক অনুস্মারক পরিবেশনাও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে দেখা যায় কাল থেকে কালেও ।
পালি ভাষায় লিখা থেরাগাথা কাব্য সংগ্রহশালা বলতে গেলে এখন আর চোখেই পড়েইনা । এই কবিতাগুলির সংগ্রহশালার আকার ছোট সত্ত্বেও এগুলি আদি বৌদ্ধধর্মের প্রাবল্যের যুগে নারীদের সাহিত্যের সাথে পরিচিতি এনে দেয় ।

নীলপরীর এই কবিতাটি সে সময়কার সাহিত্য কর্মের উপর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দলিল তাতে কোন সন্দেহ নেই । কবির এই কবিতাটি জানান দেয় যে আধ্যাত্মিক অর্জনে নারীরাও পুরুষদের সমান এবং এই গুলি প্রাচীন দক্ষিণ এশিয়ার সমাজে নারীদের পুরুষ মোকবেলায় বিশেষ সক্ষমতারই পরিচায়ক ।
এ কাব্যসম্ভারকে এত সুন্দর সাবলিল ভাবে আধুনিক কবিতার ছন্দের অপুর্ব গাথুনিতে নান্দনিকভাবে প্রকাশ করা খুবই একটি কঠীন কাজ । এই অসাধারণ কাজের জন্য কবির প্রতি থাকল উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ।

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:০১

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্য খুব ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
শুভকামনা ।

১১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,




একটি জটিল গাঁথা থেকে গল্প তুলে এনে তাকে কবিতার আদল দেয়া চাট্টেখানি কথা নয় ।
সাহসী কাজ এবং তা যথার্থই সম্পন্ন করেছেন ।
প্রশংসা যোগ্য ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নীলপরি বলেছেন: আপনার গঠনমূলক মন্তব্য সবসময় অনুপ্রেরণা দেয়। প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

১২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক থন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২২

নীলপরি বলেছেন: আপনাকে ও আবারো ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।

১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:২৭

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা আপুনি!:)


তস্কর আর সাধ্বীকন্যার ইতিহাস.....

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

নীলপরি বলেছেন: শায়মাদির ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা ।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৬:২৭

কালনী নদী বলেছেন: প্রাপ্তির কবিতা বোন, পাঠান্তে মুগ্ধতা।

২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫২

নীলপরি বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা আমাকে প্রেরণা দিল।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

সুব্রত দত্ত বলেছেন:
অর্থহীন যদি হয় সহস্র শ্লোকাত্মক গাথা
জেনো অধিক প্রিয় একটিমাত্র শান্তিপ্রদায়িনী কথা।

সবচেয়ে জরুরি কথা মনে হলো এই চরণ দুটি। কিন্তু আমরা ক’জনই বা বুঝি।
ভালো লাগল আপনার পোস্টটা। (অবশ্য এটা বরাবরই লাগে :) )

২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

নীলপরি বলেছেন: আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালোলাগা রেখে গেলাম।

২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১২

নীলপরি বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার ও ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

১৭| ২৭ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

এহসান সাবির বলেছেন: এটা তো ইতিহাস মনে হচ্ছে। ভদ্রাকুন্ডলকেশা - থেরীগাথার এক নারী' তকে নিয়ে তেমন কিছু জানি না।

শুভেচ্ছা।

২৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

নীলপরি বলেছেন: থেরীগাথায় বৌদ্ধভিক্ষুণীদের কথা বলা আছে । এর কিছুটা সত্যি কিছুটা মিথ । থেরীগাথা থেকে সে সময়ের সমাজে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায় । আম্রপালীর অর্হত্ব প্রাপ্তির গল্প যতটা পরিচিত , এঁদেরটা মনেহয় ততটা নয় । লিখতে ইচ্ছা হোলো । :)

আপনি সময় দিয়ে পড়লেন দেখে খুব ভালো লাগলো ।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
খুব ভালো থাকুন আর তাড়াতাড়ি ব্লগে লেখা দিন ।

১৮| ২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

স্টাইলিশ বয় বলেছেন: নতুন কোন কবিতা পাইতেছি না কেন? নীলপরির ভান্ডার ফুরাইলো নাকি? :(

২৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

নীলপরি বলেছেন: আজকে একটা পোষ্ট করলাম । সময় পেলে দেখবেন । আমার কবিতার খোঁজ নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভালো লাগলো । :)

শুভকামনা ।

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনায়াসে ত্যাগ করেছিলেন অলঙ্কার
আশ্লেষে ধরে রেখেছিলেন অহঙ্কার ।

এতোদিনে সেকথা তিনি অনুধাবন করলেন
এভাবেই ভদ্রা অর্হৎ হতে পারলেন ।

এমনই অসংক্য অহম মাকড়শা জালে জড়িয়ে আমরা জন্মান্তরে আবর্তন করি.. মুক্তির পথহীন।
অহংকারহীনতার অহংকারও যে কত ভয়ানক প্রকৃত অহম ত্যাগের মর্মার্থ দারুন ফুটেছে।:)

++++++++++++++

০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন মন্তব্যটা । আমি কবিতায় কতটা বোঝাতে পেরেছি জানিনা । তবে আপনি যে মর্মার্থ লিখেছেন সেটাই বলতে চেয়েছিলাম । :)

অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা ।

২০| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১১

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। ভদ্রাকে'তো জানতে পারলাম কিছু।
আসলে কিন্তু নারীরা স্বামীর গহনাকে পেলেই বেশি খুশি হয়। পুরুষদের চোখেও তখন নারীকে মোহময়ী করে তুলে। যদিও এটা চোখের তৃষ্ণা। মনের তৃষ্ণা কিন্তু মনেই মিলে।

আপনার লেখা কতটা বুঝতে পারলাম জানি না। তবে মানুষের বাহ্যিক রূপ দেখে বিশ্বাস করা বা আনন্দিত হওয়া সত্যিই নির্বুদ্ধিতার প্রকাশ। আর নিজকে (এক) চিনতে না পারলে পরকে বুঝা খুব কঠিনই থেকে যায়। প্রতিটা মানুষরেই আগে নিজেকেই ভালোভাবে বুঝতে চেষ্টা করা উচিৎ।

সুন্দর সুন্দর লেখার জন্য অসংখ্য শুভেচ্ছা নিবেন। শুভ হোক পথচলা

০১ লা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

নীলপরি বলেছেন: হুম । অন্যকে জয়ের আগে নিজেকে জয় করা ভালো । :)

কবিতা পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ।

২১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: উচ্চ মার্গীয় লেখা! মাথার ওপর দিয়ে গেলো । তবুও ভালো নতুন কিছু শিখতে পারলাম ।

০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

নীলপরি বলেছেন: এসব বলে লজ্জা দেবেন না প্লিজ !

কবিতা পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

শুভকামনা । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.