নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলা না বলা কথা

নীলপরি

গল্পের বই পড়তে , গান শুনতে , ব্লগ লিখতে ও পড়তে ভালবাসি

নীলপরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমিকদের নাম তিরস্কৃত হয় কেনো?

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০৫



স্ট্রিট রোমিও, মজনু দিওয়ানা , কলির কৃষ্ণ বা কেষ্ট। এই শব্দ গুলো আমরা অহরহ শুনে থাকি । বলেও থাকি। কেনো? অবশ্যই কোনো ভালো অর্থে নয়। কাউকে বিদ্রূপ করতে! কারন তারা বিদ্রূপের ই যোগ্য। তারা কারা? যারা মেয়েদের অসম্মান ও অবমাননা করে। এমন কি কখনো তা সব সীমা অতিক্রম করে যায়।এই ঘৃণ্য কাজটাকে আমরা এককথায় ' ইভ টিজিং ' ( বহুল প্রচলিত) বলে থাকি। ইভ অর্থাৎ আদি মানবী। তাঁকে যারা টিজ করে তারা ইভ টিজার। এই শব্দ বন্ধের যৌক্তিকতা বোঝা যায়। কিন্তু, এদেরকে হঠাৎ আবহমান প্রেমিকদের নাম দিয়ে ভূষিত করা কেনো?



প্রথমে আসি রোমিওর কথায়। সবাই জানি রোমিও সেক্সপিয়রের নাটকের একটা চরিত্র। যে তার প্রেমিকা জুলিয়েটের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। এই নাটকে দেখতে পাই রোমিও কিভাবে নিজেকে প্রেমিক হিসাবে পরিনত করেছে। আর প্রেমিকাকে অসম্মান দূরের কথা তাকে সূর্য্যের আলোর সাথে তুলনা করেছে। এহেন প্রেমিক কিভাবে ইভটিজারদের সাথে তুলনীয় হয়?




এবারে মজনুর কথা একটু ভাবি । আরবের লায়লা - মজনুর প্রেম কাহিনীকে চিরকালীন ট্র‌াজিক কাহিনী বলা চলে। এটা হয়ত সবাই মানবেন। লায়লার অনত্র বিয়ে হয়ে যায় । তারপর মজনু মরুভূমির জঙ্গলে বসে শায়েরী লেখে। শেষমেশ লায়লার কবরের পাশে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করে। যদিও গল্প মতে মজনু হ্যান্ডসাম, শাহি খানদানের ছেলে। চাইলেই হাজারটা প্রেমিকা জুটে যেত। তা না করে মজনু জীবনটা জঙ্গলেই কাটিয়ে দিল। এই বিরলতম প্রেমিক পুরুষকে সমাজের জঘন্যতম পুরুষদের শ্রেণীতে টেনে আনা কেনো?



সব শেষে আসি কৃষ্ণ প্রসঙ্গে। এটা লিখতে গিয়ে কিছু দিন আগের দূটো ফিল্মি গানএর কথা মনে হচ্ছে। একটা ' কৃষ্ণ করলে লীলা, আমরা করলে......
আর একটা হিন্দী। সলমান খানের উপর পিকচারাইজড। ' কুড়িয়োঁ কা নেশা .........

ইশক কে নাম পে করতে সভি আব রাস লীলা হ্যায়
ম্যাঁয় করু তো শালা ক্যরেক্টার ঢিলা হ্যায়। '

গানের লিরিকগুলো খেয়াল করুন। শুনে মনে হবে নারীরা যেন ভোগ্যপণ্য।
এবার রাসলীলা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। সেটা কি ? বঙ্কিম চন্দ্র তাঁর শ্রী কৃষ্ণ চরিত্রে রাসলীলার খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন। গহীন অরণ্যের মধ্যে সেন্টার পয়েন্ট বা কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন রাধার সাথে কৃষ্ণ আর চারপাশএ গোপিনীরা বৃত্তাকারে নাচ গান করতে থাকেন। এক সময় দেখেন তাঁদের সাথেও কৃষ্ণ আছেন। এই হোলো রাস লীলা। ধার্মিক কথায় বলা যায় জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন।

ধর্ম কথা না হয় বাদ দিলাম। মহাভারত অনুযায়ী কৃষ্ণ বীর। তবে তিনি রাধা বা কোনো গোপিনীর গলায় সুদর্শন চক্র ঠেকিয়ে তাঁর কাছে আসতে বাধ্য করেননি! তিনি তাঁদের বাবা, ভাই বা স্বামীর মতো তথাকথিত সুরক্ষাদাতা নন। তবু তাঁরা গেছেন। তাও রাতের বেলা। সুরক্ষিত ঘর থেকে বিপদ সঙ্কুল জঙ্গলে। কিন্তু কেনো?
তাঁরা কৃষ্ণকে বা তাঁর বাঁশির সুরকে ভালোবেসে পছন্দ করে গেছেন। নিজের ইচ্ছায়।

ইচ্ছা - এই শব্দেই যতো বিপত্তি। মেয়েদের কোনো নিজের ইচ্ছে থাকতে পারে না। কারন সে মেয়ে। সে দুর্বল। এক আলাদা শ্রেণীভুক্ত। তার ভালো মন্দ বোঝেন পরিবার ও বৃহত্তর সমাজ । তাই প্রেমিক আর অপ্রেমিক এক হয়ে যায়। কোনো প্রেমিক যতোই গুণবান হোক , আর প্রেমিকা সেই গুণে যতোই মুগ্ধ হোক না কেন প্রেমিকের পকেটের ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ও কুলোগৌরব বিচার করে সেই গুণের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা রাখে একমাত্র মেয়েটির পরিবার। মেয়েরা আবার সুরক্ষিত জীবনের কি বোঝে? আমার মনে হয় আইন করে মেয়েদের ভোটাধিকার রদ করে দেওয়া উচিত। কারন যারা নিজের জীবন সংগী নির্বাচন করতে পারে না তারা দেশের প্রধান মন্ত্রী বা সঠিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন করবে কিভাবে? দেশের দূরাবস্থার জন্য মেয়েরাই দায়ী।

আবার ফিরে যাই ইভটিজারদের কথায়। এরা কি এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ফসল নয়? যে সমাজ তাদের মতো অপ্রেমিকদের মহান প্রেমিকদের তকমা দিয়েছে। কারন তারাও তো মেয়েদের হ্যা বা না - এর পরোয়া করে না। তাদের কথায় ' আমি বলছি বলেই তুমি আমার হবে। না যদি বলো তবে এসিড ছুড়বো এবং দরকার হলে তোমার জীবনও কেড়ে নিতে পারি! ' ভাবুন, মজনু কিন্তু বিবাহিত লায়লাকে এসিড ছোড়েনি উল্টে বেচারা নিজেই বিবাগী হয়েছিল।
হ্যাঁ। তবে, শিশুকন্যা বা বৃদ্ধার চূড়ান্ত অবমাননা ঘটলে এই সমাজই মোম বাতি মিছিল করে খবর তৈরী করে। মানছি। কিন্তু অন্তঃসারশূন্য প্রতিবাদের কোনো প্রয়োজন আছে কি ? কারন চোখের সামনে অপরাধ যখন ঘটে তখনও সমাজ দর্শকের ভূমিকা পালন করে তামাশা দেখে। তাই তো মজনু আর অপ্রেমিক এক হয়ে যায় ।

পরিশেষে ফিরে যাই রোমিওর কথায়। রোমিও বলেছিল যে প্যারিস রোমিও আর জুলিয়েটের প্রেমটাকে না বুঝেই মারা গেছে। দূর্ভাগ্য প্যারিস-এর। হুম। সত্যিই বড়োই দুর্ভাগা ছিল প্যারিস। আর তার চেয়েও দুর্ভাগা আমাদের এই সমাজ!

আপনার মতটা কি?

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: হিন্দী এমন বহুত গান আছে যেগুলো খুবই বাজে অর্থ প্রকাশ করে, কিন্তু আমরা মাথামোটা বাঙ্গালীরা কি অবলীলায় সেগুলো শ্রবণ করি।

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

নীলপরি বলেছেন: আমি একটা বাংলা গানের কথাও উল্লেখ করেছি । :)

যাহোক , আমার ব্লগে স্বাগতম । পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

২| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কথা আছে, ভিত্তি পাকা তো ইমারত মজবুত, সংস্কার ভালো তো চরিত্র ভাল ,
এখন কথা হচ্ছে আমাদের সংস্কার করবে কে !! শুধুমাত্র পরিবার, না সমাজ থেকেও কিছু শেখার আছে ।।
ইভ টিজিং হল একটি সামািজক ব্যধি ,এ গল্প আমরা সবাই জানি, বুঝি, অনুভব করি, তারপরেও এ ব্যধি থেকে মুক্ত হতে পারি না কেন !! কারণ, একটাই কাউকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর আপ্রাণ চেষ্টায় সফল হওয়া আর আমাদের নৈতিকতার মূল্যবোধের অভাব ।। আজও অনেক মেয়ে আছে তারা ইভ টিজিং স্বীকার হয়েও নিজের মধ্যে রেখে দেয়, কারো সাথে শেয়ার করেতে চায় না, কারণ, তার সাথে যে অপরাধ করেছে, সে হয়তো কোন প্রভাবশালী বা তার কোন দূর্বলাতার সুযোগ নিয়ে ।

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

নীলপরি বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বলেছেন । আপনার সাথে একমত ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অপ্রেমিকরা প্রেমিকদের সাথে তুলনীয় নয়!

তবে হ্যা সত্যিকারের প্রেমিকদের এখনো সমাজ মূল্য দিতে শেখেনি। এখনো আমাদের সমাজে কোন মেয়ে অত্যন্ত যোগত্য সম্পন্ন ছেলের সাথে প্রেম করলেও তার পরিবার থেকে নাকছিটকানো ব্যবহার পান!

এর শেষ কোথায়???

আমার মতো হয়তো আপনিও জানেন না!!!!!!

১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

নীলপরি বলেছেন: এর শেষ কোথায়???

উত্তর সত্যিই অজানা । :)

আপনার মন্তব্যের সাথেও একমত ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত।

বর্তমানে প্রেম-ভালোবাসা বিষয়টাকে হেলাফেলা বানিয়ে ফেলেছে প্রজন্ম। আর ইভটিজিং এর কথা কি বলবো! সবাই যদি ভালোবাসার মর্যাদা বুঝতো তাহলে তো হতই।

বিলিয়ার ভাইয়ের কথায় সহমত জানাই।

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

নীলপরি বলেছেন: আমার সাথে একমত হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ।

হুম , আমিও ওনার সাথে সহমত ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রেমের কারণে একবার যোগী হয়ে ঘর ছেড়েছিলাম
মশার কামরে টিকতে না পেরে ঘরে ফিরেছিলাম ।
বলেন এটাকে এখন কোন ক্যটাগরীতে ফেলবেন।
লিখা, ছবি ও বিশ্লেষন খুবই সুন্দর হয়েছে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

নীলপরি বলেছেন: যোগী যখন হয়েছিলেন তখন আপনাকে প্রকৃত প্রেমিক , মজনুদের দলেই রাখবো ।

আপনার লেখা ছবি ও বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে শুনে উৎসাহ পেলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা নিলাম আর আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা ।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রেমে বাবা মা বাঁধা সহ্য না হয়ে গলায় ফাঁস দিছিলাম , ভাগ্য ভালো দড়ি পাইনি ,গাছের লতা পেঁচিয়ে , লতা ছিড়ে পড়ে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি , তাকে পাইনি , সে সুখের সন্ধানে সুখের সংসারে। আমিও কি ইভটিজিংয়ে পড়ি !!!

তবে আপনার সাথে একমত হতেই হয়, মেয়েদের ভয় দেখাতে পারলেই ভালোবাসা চেয়েও দ্রুত করে নেয়া সহজ।

আপনার পোষ্টে ভালো লাগা রইল আপু ♥

১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

নীলপরি বলেছেন: গলায় ফাঁস দিছিলাম -- কথাটা শুনে ভয় পেলাম ।

তবে সম্মান করি আপনার আবেগকে । প্রেমকে । এই স্বার্থপর দুনিয়ায় আপনাদের মতো মানুষরাই প্রেমকে টিকিয়ে রেখেছেন ।

তাই আপনি বিরলতম মহান প্রেমিকদের দলেই পড়েন । :)

পোষ্টে আপনার ভালো লাগা পেয়ে আমারও খুব ভালো লাগলো । অনুপ্রেরণা পেলাম ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

খরতাপ বলেছেন: যারা তার বাঁশির সুর শুনে রাতের বেলা নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে কৃষ্ণের সান্নিধ্য পেতে গেছে, কৃষ্ণ কি তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছিল? তাদেরকে ধর্ষণ করেছিল? নাকি রাস লীলা নিয়েই সন্তুষ্ট হয়েছে? কৃষ্ণ যখন বৃন্দাবনে রাসলীলায় মত্ত, তখন তার বয়েস মাত্র ১২ বছর, মহাভারতে বীর হিসেবে যখন আবির্ভূত হন, তখন তার বয়েস ৪০ ছাড়িয়েছে।

আর তাকে বীর বলারই বা কারণ কি? অর্জুনের রথ টানা ছাড়া আর কোন ভূমিকায় তাকে দেখা যায়নি। যুদ্ধ শুরুর মুহূর্তেই তো তিনি অস্ত্র ত্যাগ করেছেন। তার হাতে একজনও নিহত হয়নি, যদিও দ্রোণাচার্যকে নিরস্ত্র করতে পুত্র অশ্বথামা নিহত হবার গুজব রটানো, কর্ণকে নিরস্ত্র অবস্থায় হত্যা করতে অর্জুনকে প্ররোচনা দেওয়া, এবং মা গান্ধারির দৃষ্টি থেকে পুত্র দুর্যধনের লজ্জাস্থান বাঁচানোর জন্য কলাপাতা দিয়ে আবৃত করাএ বুদ্ধি দিয়ে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবার ব্যাপারে তার অবদান ছিল। সেক্ষেত্রে তাকে দক্ষ ডিপ্লোম্যাট বলা যায়, বীর নয়।

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নীলপরি বলেছেন: মহাভারত নিয়ে আলোচনা করার জন্য পোষ্ট করিনি । তাও বলি , কৃষ্ণ শিশু বয়সে পুতনা রাক্ষসীকে বধ করে বীরত্বের সূচনা করেন । এরপর বিভিন্ন রাক্ষস বধ করে কং স বধ করেন । এছাড়াও অনেক যুদ্ধ জিতেছেন । বীর হিসাবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল বলেই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে তাঁকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায় । তিনি শর্তই দেন , যে পক্ষে তিনি থাকবেন তাদের হয়ে অস্ত্র ধরবেন । তবে সারথি হতে পারেন । সারথির যোদ্ধাকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকার আছে । যা তিনি করেছিলেন । আর অন্য পক্ষকে দেবেন তাঁর নিজের দুই অক্ষহৌনি নারায়নী সেনা । দুর্যোধন নারায়নী সেনা চেয়েছিল । অর্জুন তাঁকে ।

রাসলীলা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর পোষ্টেই পেয়ে যাবেন । যদি পড়ে থাকেন ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমারও এখন মনে হলে ভয় লাগে আপু। মনে মনে বলি কি পাগল আর নির্বোধ ছিলাম !!!
পাগলামিটা কাটলেও নির্বুদ্ধিতা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি আপু ! দোআ করবেন।

প্রতিউত্তরে কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম।
শুভ হোক আপনার প্রতিটি দিনক্ষণ।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

নীলপরি বলেছেন: নির্বুদ্ধিতায় তো আমি বোধহয় সর্বোচ্চ নম্বর পাবো । :)

আবার আসার জন্য আপনাকেও কৃতজ্ঞতা ।

প্রার্থনা করি খুব ভালো থাকুন ।

শুভকামনা ।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। সমাজটাকে বদলাতে হলে তো আমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
আজাকাল তো নামে শিক্ষিতরাই বেশি অপকর্ম করছে।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৬

নীলপরি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১০| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,




"রোমিও, মজনু , কৃষ্ণ "
এদের তিনজন প্রথম দু'জন হলেন নিঃস্বার্থ প্রেমের বলি আর অন্য কথায় প্রেম-ভালোবাসার আইকন, রোল-মডেল ।
মানুষ তাই স্বভাব বশেই ভালোবাসায় উত্তুঙ্গ কোনও ঘটনার নায়ককেই ঐ দুই নামেই ডাকে । শুধু যে নায়ককেই মজনু বলে তা তো নয় , কোনও কোনও নায়িকাকে তো " লাইলী" ও ডাকে । যদিও নায়িকাকে "জুলিয়েট" ডাকাটি তেমন একটা শোনা যায়না ।
আর "কৃষ্ণ" অবতার রূপে জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন ঘটিয়েছেন একাধিক ক্ষেত্রে অর্থাৎ বহুগামীতার আশ্রয় নিয়েছেন । রোল মডেল হয়েছেন বহুগামীতার ।
তাই বহুগামী পুরুষের বেলায় মানুষ "কৃষ্ণ"র সাথে তাকে তুলনা করে ।
ঐ নামীয় শব্দগুলোর প্রথম দিককার ব্যবহার কিন্তু "টিজিং" ছিলোনা , ছিলো সহানুভূতি থেকে উৎসারিত । দিনে দিনে এর ব্যাপক ব্যবহার এই শব্দগুলিকে দুষিত করে ফেলেছে । অতি বৃষ্টি যেমন ফসল পচিয়ে ফেলে , তেমনি এই শব্দগুলির অতি ব্যবহার এগুলিকে নর্দমায় নিক্ষেপ করেছে । আবার এই নামগুলোর আগে পিছে একটা আধটা বিশেষণ ও বসানো হয়েছে পচনটাকে আরও গেঁজিয়ে তুলতে । যেমন "মজনু দিওয়ানা" ।

যাক নামে কিছু আসে যায় না । আপনার লেখার মুল বক্তব্যটি যা তা মনে হয় , পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অন্যায়- অনাচার । সেদিকেই ফিরি ।
দেশ যে ধনে কাঙাল তা একবাক্যে আমরা সবাই স্বীকার করি । কিন্তু আমরা শিক্ষিত- অশিক্ষিত সবাই যে আদর্শরিক্ত, চরিত্র শূন্য কাঙাল তা স্বীকারে অনীহা প্রকাশ করি উচ্চকন্ঠেই । কারন, ঐতিহাসিক ভাবেই আমরা যে দাস-ক্রীতদাস, চাটুকার- স্তাবক, ভক্ত-ভীত, উচ্ছিষ্টভোগী ও আত্মপ্রত্যয়হীন মানুষ । এই মানুষেরা কখনই মুক্ত মন-মনন, জ্ঞান-বুদ্ধি ধারনে সক্ষম তো নন-ই , হতেও পারেন না । এই মানুষেরা মন-মনন, জ্ঞান-বুদ্ধি , বিবেক-বিবেচনা দ্বার চালিত হননা কখনই । এগুলির প্রবেশাধিকারও নেই ব্যক্তিতে - সমাজে ।
এই দলবদ্ধ মানুষের মধ্যে পুরুষ সংখ্যাধিক্য বলেই , তাদের গলার আওয়াজ উচ্চকিত হয়ে ওঠে আর "পুরুষতান্ত্রিক সমাজ" নামে আখ্যায়িত হয় যে সমাজ শুধু অজ্ঞতায়, অনাচারে , নির্বুদ্ধিতায় আচ্ছন্ন । নারী সংখ্যাধিক্য হলে এবং তারাও উচ্চকন্ঠের হতে পারলে " নারীতান্ত্রিক সমাজ" প্রতিষ্ঠা পেত । অবশ্য অঞ্চল ভেদে অনেক জাতিতে " মাতৃতান্ত্রিক " সমাজব্যবস্থা কায়েম আছে । নীলপরি ,




"রোমিও, মজনু , কৃষ্ণ "
এদের তিনজন প্রথম দু'জন হলেন নিঃস্বার্থ প্রেমের বলি আর অন্য কথায় প্রেম-ভালোবাসার আইকন, রোল-মডেল ।
মানুষ তাই স্বভাব বশেই ভালোবাসায় উত্তুঙ্গ কোনও ঘটনার নায়ককেই ঐ দুই নামেই ডাকে । শুধু যে নায়ককেই মজনু বলে তা তো নয় , কোনও কোনও নায়িকাকে তো " লাইলী" ও ডাকে । যদিও নায়িকাকে "জুলিয়েট" ডাকাটি তেমন একটা শোনা যায়না ।
আর "কৃষ্ণ" অবতার রূপে জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন ঘটিয়েছেন একাধিক ক্ষেত্রে অর্থাৎ বহুগামীতার আশ্রয় নিয়েছেন । রোল মডেল হয়েছেন বহুগামীতার ।
তাই বহুগামী পুরুষের বেলায় মানুষ "কৃষ্ণ"র সাথে তাকে তুলনা করে ।
ঐ নামীয় শব্দগুলোর প্রথম দিককার ব্যবহার কিন্তু "টিজিং" ছিলোনা , ছিলো সহানুভূতি থেকে উৎসারিত । দিনে দিনে এর ব্যাপক ব্যবহার এই শব্দগুলিকে দুষিত করে ফেলেছে । অতি বৃষ্টি যেমন ফসল পচিয়ে ফেলে , তেমনি এই শব্দগুলির অতি ব্যবহার এগুলিকে নর্দমায় নিক্ষেপ করেছে । আবার এই নামগুলোর আগে পিছে একটা আধটা বিশেষণ ও বসানো হয়েছে পচনটাকে আরও গেঁজিয়ে তুলতে । যেমন "মজনু দিওয়ানা" ।

যাক নামে কিছু আসে যায় না । আপনার লেখার মুল বক্তব্যটি যা তা মনে হয় , পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অন্যায়- অনাচার । সেদিকেই ফিরি ।
দেশ যে ধনে কাঙাল তা একবাক্যে আমরা সবাই স্বীকার করি । কিন্তু আমরা শিক্ষিত- অশিক্ষিত সবাই যে আদর্শরিক্ত, চরিত্র শূন্য কাঙাল তা স্বীকারে অনীহা প্রকাশ করি উচ্চকন্ঠেই । কারন, ঐতিহাসিক ভাবেই আমরা যে দাস-ক্রীতদাস, চাটুকার- স্তাবক, ভক্ত-ভীত, উচ্ছিষ্টভোগী ও আত্মপ্রত্যয়হীন মানুষ । এই মানুষেরা কখনই মুক্ত মন-মনন, জ্ঞান-বুদ্ধি ধারনে সক্ষম তো নন-ই , হতেও পারেন না । এই মানুষেরা মন-মনন, জ্ঞান-বুদ্ধি , বিবেক-বিবেচনা দ্বার চালিত হননা কখনই । এগুলির প্রবেশাধিকারও নেই ব্যক্তিতে - সমাজে ।
এই দলবদ্ধ মানুষের মধ্যে পুরুষ সংখ্যাধিক্য বলেই , তাদের গলার আওয়াজ উচ্চকিত হয়ে ওঠে আর "পুরুষতান্ত্রিক সমাজ" নামে আখ্যায়িত হয়, যে সমাজ শুধু অজ্ঞতায়, অনাচারে , নির্বুদ্ধিতায় আচ্ছন্ন । নারী সংখ্যাধিক্য হলে এবং তারাও উচ্চকন্ঠের হতে পারলে " নারীতান্ত্রিক সমাজ" প্রতিষ্ঠা পেত । অবশ্য অঞ্চল ভেদে অনেক জাতিতে " মাতৃতান্ত্রিক " সমাজব্যবস্থা কায়েম আছে । কোনও দিন " নারীতান্ত্রিক সমাজ" প্রতিষ্ঠিত হলেও কি এই অজ্ঞানতা, অবুদ্ধি, অবিবেচনা , অকল্যান থেকে সমাজ কি মুক্ত হবে ?
মনে হয় না । কারনগুলো আগেই বলেছি যা পুরুষ কিম্বা নারী ভেদে হয়না । কথায় বলে দুটো হাঁড়িতে ঠোকাঠুকি লাগেই । এক জায়গায় থাকতে গেলে মতভেদের , দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য, সম-বিবেচনার, অসহনশীলতার, অবুঝপনার কারনেই মন ভাঙার কারন ঘটেই । তাই এই দ্বন্ধ কাটিয়ে মিলনেই জীবন চলে, চলে সমাজ, চলে রাষ্ট্র । এটাই কাম্য একটি সুস্থ্যতার ভারসাম্য রাখার স্বার্থেই ।

আমি কিন্তু কোনও পক্ষের সাফাই গাইনি , না পুরুষের না নারীর ।

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৯

নীলপরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মূল্যবান পড়ে । আপনার সাথে একমত স্যর । নারী বা পুরুষ নির্বিশেষে ভালো বা মন্দ হতে পারে ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যারা নিজের জীবন সংগী নির্বাচন করতে পারে না তারা দেশের প্রধান মন্ত্রী বা সঠিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন করবে কিভাবে? যদিও ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া তবুও সুন্দর একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০০

নীলপরি বলেছেন: আপনি লাইনটা কোট করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১২| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি



দুঃখিত , টেকনিক্যাল কারনে মন্তব্যটা একটু ওলোট পালট হয়ে গেছে । নীচে ঠিক করে দিলুম ।

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

নীলপরি বলেছেন: আমি উপরেরটাতেই বুঝতে পেরেছিলাম স্যর ।

আবারো কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট আপি

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

নীলপরি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দিদি ।

শুভকামনা ।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,




"রোমিও, মজনু , কৃষ্ণ "
এদের তিনজন প্রথম দু'জন হলেন নিঃস্বার্থ প্রেমের বলি আর অন্য কথায় প্রেম-ভালোবাসার আইকন, রোল-মডেল ।
মানুষ তাই স্বভাব বশেই ভালোবাসায় উত্তুঙ্গ কোনও ঘটনার নায়ককেই ঐ দুই নামেই ডাকে । শুধু যে নায়ককেই মজনু বলে তা তো নয় , কোনও কোনও নায়িকাকে তো " লাইলী" ও ডাকে । যদিও নায়িকাকে "জুলিয়েট" ডাকাটি তেমন একটা শোনা যায়না ।
আর "কৃষ্ণ" অবতার রূপে জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন ঘটিয়েছেন একাধিক ক্ষেত্রে অর্থাৎ বহুগামীতার আশ্রয় নিয়েছেন । রোল মডেল হয়েছেন বহুগামীতার ।
তাই বহুগামী পুরুষের বেলায় মানুষ "কৃষ্ণ"র সাথে তাকে তুলনা করে ।
ঐ নামীয় শব্দগুলোর প্রথম দিককার ব্যবহার কিন্তু "টিজিং" ছিলোনা , ছিলো সহানুভূতি থেকে উৎসারিত । দিনে দিনে এর ব্যাপক ব্যবহার এই শব্দগুলিকে দুষিত করে ফেলেছে । অতি বৃষ্টি যেমন ফসল পচিয়ে ফেলে , তেমনি এই শব্দগুলির অতি ব্যবহার এগুলিকে নর্দমায় নিক্ষেপ করেছে । আবার এই নামগুলোর আগে পিছে একটা আধটা বিশেষণ ও বসানো হয়েছে পচনটাকে আরও গেঁজিয়ে তুলতে । যেমন "মজনু দিওয়ানা" ।

যাক নামে কিছু আসে যায় না । আপনার লেখার মুল বক্তব্যটি যা তা মনে হয় , পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অন্যায়- অনাচার । সেদিকেই ফিরি ।
দেশ যে ধনে কাঙাল তা একবাক্যে আমরা সবাই স্বীকার করি । কিন্তু আমরা শিক্ষিত- অশিক্ষিত সবাই যে আদর্শরিক্ত, চরিত্র শূন্য কাঙাল তা স্বীকারে অনীহা প্রকাশ করি উচ্চকন্ঠেই । কারন, ঐতিহাসিক ভাবেই আমরা যে দাস-ক্রীতদাস, চাটুকার- স্তাবক, ভক্ত-ভীত, উচ্ছিষ্টভোগী ও আত্মপ্রত্যয়হীন মানুষ । এই মানুষেরা কখনই মুক্ত মন-মনন, জ্ঞান-বুদ্ধি ধারনে সক্ষম তো নন-ই , হতেও পারেন না । এই মানুষেরা মন-মনন, জ্ঞান-বুদ্ধি , বিবেক-বিবেচনা দ্বার চালিত হননা কখনই । এগুলির প্রবেশাধিকারও নেই ব্যক্তিতে - সমাজে ।
এই দলবদ্ধ মানুষের মধ্যে পুরুষ সংখ্যাধিক্য বলেই , তাদের গলার আওয়াজ উচ্চকিত হয়ে ওঠে আর "পুরুষতান্ত্রিক সমাজ" নামে আখ্যায়িত হয়, যে সমাজ শুধু অজ্ঞতায়, অনাচারে , নির্বুদ্ধিতায় আচ্ছন্ন । নারী সংখ্যাধিক্য হলে এবং তারাও উচ্চকন্ঠের হতে পারলে " নারীতান্ত্রিক সমাজ" প্রতিষ্ঠা পেত । অবশ্য অঞ্চল ভেদে অনেক জাতিতে " মাতৃতান্ত্রিক " সমাজব্যবস্থা কায়েম আছে । কোনও দিন " নারীতান্ত্রিক সমাজ" প্রতিষ্ঠিত হলেও কি এই অজ্ঞানতা, অবুদ্ধি, অবিবেচনা , অকল্যান থেকে সমাজ কি মুক্ত হবে ?
মনে হয় না । কারনগুলো আগেই বলেছি যা পুরুষ কিম্বা নারী ভেদে হয়না । কথায় বলে দুটো হাঁড়িতে ঠোকাঠুকি লাগেই । এক জায়গায় থাকতে গেলে মতভেদের , দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য, সম-বিবেচনার, অসহনশীলতার, অবুঝপনার কারনেই মন ভাঙার কারন ঘটেই । তাই এই দ্বন্ধ কাটিয়ে মিলনেই জীবন চলে, চলে সমাজ, চলে রাষ্ট্র । এটাই কাম্য একটি সুস্থ্যতার ভারসাম্য রাখার স্বার্থেই ।

আমি কিন্তু কোনও পক্ষের সাফাই গাইনি , না পুরুষের না নারীর ।

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:১২

নীলপরি বলেছেন: বুঝতে পেরেছি । আমি আপনার ঊপরের মন্তব্যেইউত্তর দিয়েছি । :)

অনেক ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

জেন রসি বলেছেন: বেশ ইন্টারেস্টিং পোস্ট। যদিও বিষয়বস্তু সিরিয়াস। আগে দেখতাম যারা তাদের নায়িকাদের জন্য রোদ বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকত, দেয়ালে দেয়ালে নাম দিয়ে কাব্য লিখত :P তাদের রোমিও, মজনু এসব বলে ট্রল করা হতো। এরা কিছুটা বোকা টাইপের হয়! আরেক দল আছে পাড়ায় মহল্লায় বখাটে হিসাবেই পরিচিত। তাদের মধ্যে অনেকে চরিত্রহীন খেতাব পেলেও কেউ কেউ রোমিও মজনু খেতাবও পেয়ে যায়!

আর কৃষ্ণকে নিয়ে আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আধিপত্যবাদের কথা বলা হয়।

আমাদের সমাজ পরিবার নারী পুরুষের ভালোবাসা সহজ ভাবে এখনো মেনে নিতে পারেনা।। ভিন্ন ধর্মের কেউ পরস্পরকে ভালোবাসলে তাদের উপর নেমে আসে ফতোয়া! যখন কোন কাপল সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় একসাথে থাকে তখন তাদের চরিত্রহীন বলে ফতোয়া দেওয়া হয়! আর অপর দিকে একই সমাজ, ধর্ষণ হলে মেয়েদের দোষ খুঁজে বেড়ায়! ইনিয়ে বিনিয়ে ধর্ষকদের সমর্থন করতে থাকে। সুতরাং এখানে প্রেমিকদের বিভিন্ন অপবাদে ভূষিত হয়ে সাফার করতে হবে আর অপ্রেমিকরা ফতোয়া দিয়ে যাবে এমনটাই স্বাভাবিক। সমাধান একটাই। সমাজের এসব বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়ম কানুন ভেঙ্গে ফেলা!

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছেন কথাগুলো । ভালো লাগলো । আপনার পুরো মন্তব্যের সাথেই একমত ।

কৃষ্ণকে নিয়ে আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আধিপত্যবাদের কথা বলা হয়।--

এখানে হয়তো একটু বোঝার ভুল হয়ে যায় । একটা সময় ছিল যখন অবতারদের নিয়ে ভক্তি গদগদ রচনা লেখা হত । এখনো হয়ত হয় । তারপর অবতারদের ভিলেন করে উপস্থাপন শুরু হোলো । এটা করতে গিয়ে কিন্তু সেই পুরুষতান্ত্রিকতার ফাঁদে পড়তে হোলো ।
আমি মনে ধর্মগ্রন্থের থেকেও বেশী আধুনিক পলিটিক্যাল ড্রামা । কৃষ্ণের হাত ধরেই গণতন্ত্রের সূচনা । আবার রাধা কিন্তু মিসেস কৃষ্ণ নন । নিজের কৃতিত্বে কলঙ্কিনী থেকে দেবী হয়েছেন । সেল্ফ আইডেন্টিটি তৈরী করেছেন ।

যাহোক পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । :)

শুভকামনা ।

১৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: সামাজিক ব্যাধি- ইভ টিজারদের পক্ষাঘাত গ্রস্থ বলা ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে । তবে নারী-পুরুষ পরস্পর দোষারোপ করা থেকে বের হয়ে আসতে পারলে হয়তো একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে ।
আমাদের প্রতিবাদগুলো কেমন যেন পুস্তকি হয়ে যাচ্ছে । আমাদের অতিরিক্ত সহ্য শক্তিই এর জন্য দায়ী ।

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

নীলপরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন । তাই মনে হয় মাঝে মাঝে ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা ।

১৭| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

শূন্যনীড় বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। ভালোবাসার অনেক নিদর্শন একসাথে।

ভালোবাসা অমর হোক।

ধর্ষকের মুখে জুতার বাড়ি পড়ুক।

আপনার জন্য শুভকামনা।

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

নীলপরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । :)
আপনাকেও শুভকামনা ।

১৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইচ্ছা - এই শব্দেই যতো বিপত্তি। মেয়েদের কোনো নিজের ইচ্ছে থাকতে পারে না। কারন সে মেয়ে। সে দুর্বল। এক আলাদা শ্রেণীভুক্ত। তার ভালো মন্দ বোঝেন পরিবার ও বৃহত্তর সমাজ । তাই প্রেমিক আর অপ্রেমিক এক হয়ে যায়। কোনো প্রেমিক যতোই গুণবান হোক , আর প্রেমিকা সেই গুণে যতোই মুগ্ধ হোক না কেন প্রেমিকের পকেটের ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ও কুলোগৌরব বিচার করে সেই গুণের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা রাখে একমাত্র মেয়েটির পরিবার। মেয়েরা আবার সুরক্ষিত জীবনের কি বোঝে? আমার মনে হয় আইন করে মেয়েদের ভোটাধিকার রদ করে দেওয়া উচিত। কারন যারা নিজের জীবন সংগী নির্বাচন করতে পারে না তারা দেশের প্রধান মন্ত্রী বা সঠিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন করবে কিভাবে? দেশের দূরাবস্থার জন্য মেয়েরাই দায়ী। নারী অবহেলা বন্ধ হোক

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

নীলপরি বলেছেন: লাইন কোট জন্য ধন্যবাদ ।
আপনাকেও শুভকামনা ।

১৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা কিংবদন্তী তুল্য অবস্থানে । তাদের হেয় করা ঠিক নয়। আর প্রেমে যে পড়ে সে একটু বোকামো করে ফেলে। যা মানুষের খেল তামাশার ব্যাপারে পরিণত করতে হয় ।

তবে ইভটিজার কখনো প্রেমিকপুরুষ নন। সমাজের দুষ্ট ক্ষত ।

১৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

নীলপরি বলেছেন: সহমত ।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।

২০| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকটা সত্য; তবে, রোমিও সবচেয়ে বাজেভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে; মজনু একটু ভালো পজিশনে আছে

১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

নীলপরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন । সহমত ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।

২১| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তবাজার অর্থনীতি আর ভোগবাদী জীবন দর্শনে প্রেম ভালবাসা চিপসের মোড়ক মাত্র!
চিপসটা খেয়ে মোড়ক ফেল দেয় সবাই!
পবিত্র প্রেম আসে বিশ্বাস থেকে। বিশ্বাসীর জীবন দর্শনে সত্য, প্রতিশ্রুতি, অনুভব, চেতনা খুবই মূল্যবান।
তারা প্রেমিক হলে উত্তম প্রেমিক হতে পারে- কিন্তু তারা সমাজের অবহেলিত অংশ হয়েই আছে।

সমাজকে নিয়ন্ত্রন করে যারা তাদের সন্তানেরা সাফাত গং চেতনার! সেখানে প্রেমের জন্য অপেক্ষা, সারাজীবন চীরকুমার থাকা বোকামো মাত্র। আর কে চায় বোকা থাকতে ? তাই সবাই ছুটছে প্রেম ভালবাসার ফ্যাকেট হাতে লিটনের ফ্লাটে!
চেতনার ভিত্তি ধ্বসে গেছে।
তারপরও যারা সেই গভীর প্রেমকে ধারন লালন বিকাশ করতে চান-তারা হন উপহাসের পাত্র।
আবার নীরবে আত্মদানের কাহিনীও অগোচরে ঝড়াপড়া পাতার মতো কত ঝড়ে যাচ্ছে কে খবর রাখে?
আর নি:শেষ করে দেয়া এক রশিতে জীবন দিয়ে প্রেমের ভয়কে জয় করতে গিয়ে হারিয়ে যাবার সংখ্যাও কম নয়!

এসবের পিছনে সবচে বেশি দায়ী অজ্ঞানতা। প্রেম, কাম আর ভালবাসাকে এতটাই ঘৃনা, অসহিষ্ণুতা আর
অশুচি ভাবে শিশুমনে গেথে দেয়া হয়...যা ভাবনারও অতীত
কিন্তু সেই শিশুটিই যখন যৌবনের অনুভবে কুড়ি মেলতে শুরু করে শুরু হয় চেতনার লড়াই
এই টানাপোড়েনে সুস্থ প্রেম-ভালবাসার বিকাশ রুদ্ধপ্রায়।

দূর যা ! লিখতে লিখতে দেখি মিনি পোষ্ট হয়ে গেল! ;)

দু:খিত ভায়া। এমন বিষয় ! -লিখতে গেলে অনেক কিছু চলে আসে।

আপনার ভাবনাটা সুস্থ সমাজের জন্য। যা পৃথিবীতে বিরল! আর আমরাতো রীতিমতো আইসিইউতে আছি ;)

ভাল থাকুন

১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

নীলপরি বলেছেন: দারুন করে গুছিয়ে লিখেছেন । আর তাতে আপনার মন্তব্য যদি মিনি পোষ্ট হয়ে যায় তবে আমারই লাভ হয়েছে । :)

অনেক কৃতজ্ঞতা ।

আসলে টপিকটা সেদিন হঠাৎ ই মাথায় এলো ।আর লিখে ফেললাম । আমার লেখার মধ্যে অনেক ফাঁকফোঁকর থেকে গেছে । আপনাদের সাবলীল মন্তব্যগুলোই এটাকে সমৃদ্ধ করে তুললো!
নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোষ্টে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।
আপনিও ভালো থাকুন ।

২২| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫০

সুমন কর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আগের ভালোবাসা ছিল প্রকৃত। আর এখনকার ভালোবাসাগুলো সব স্বার্থ জড়িত।
ছোট করে এটুকুই বলে গেলাম।

১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪

নীলপরি বলেছেন: আসল কথাটাই বলে দিয়েছেন । :)
হুম । পুরোটাই যেন গিভ এন্ড টেক হয়ে গেছে ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।

ভালো থাকুন ।

২৩| ২৫ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: গভীর অনুধাবন।

২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

নীলপরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভকামনা ।

ভালো থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.