নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিষাদ হোক আর বিস্বাদ হোক কিংবা মজা লুটার -ই হোক, আমার বিশ্বাস সব পথ-ই সুন্দরে শেষ হয়। আবার কিছু সুন্দরও বিষাদময় হয়! বিষাদময় সুন্দরতম সময়গুলাকে দেখলে খুব মায়া লাগে, কেমন যেন মায়ার ছায়া বিছানো। মায়া মিশানো সময়ে আর মজার কুঠি\'র জগতে স্বার্থপর আমি মজা খুজি, মজা লুটি।
১।
বাসা থেকে বের হতেই, চোখ চলে গেল আকাশের দিকে। কি বিশাল, বিস্তীর্ণ আকাশ! আমার হাতের নাগালের বাইরে!
২।
সেদিনের সাথে পার্থক্য আজ বড় বেশি। সেদিন ক্লান্ত আমার আকাশপানে বাড়ানো হাত আরও উচুতে উঠেছিল; মাঠের পরে শুয়ে, তারাজ্বলা আকাশে লক্ষ কোটি তারার পানে উদ্ধেলিত হাত, স্পর্ধারও বেশি চেয়েছিল। প্রাপ্তি খুব কম হলেও আকাশ মুচকি হেসেছিল, নেমেও কি এসেছিলো খানিকটা!?
নইলে, তারাগুলো হাতের নাগালের এত কাছাকাছি থাকত না। মৃদুমন্দ বাতাস, নিচে নরম ঘাসের গালিচা, উপরে অসীম আকাশ। নিজেকে আরও ক্ষুদ্র মনে হলেও, হাত কিন্তু খুব বড় হচ্ছিল। স্বপ্ন না-সত্যি বলছি, একদিন প্রায় ধরেই ফেলেছিলাম, ফসকে গেল!
তারপর থেকে আবাক হয়ে দেখি, আমার হাত আর উঁচুতে উঠছে না! আকাশ আমার হাতের নাগালের বাইরেই রয়ে গেল।
৩।
মনে পড়ে, আরেকদিন কোন এক শরতের বিকেল। সাদা ছেড়া বিক্ষিপ্ত টুকরো টুকরো মেঘ, ইতস্তত ভাবে ভেসে যাচ্ছিল। নীলের মাঝে সাদা, কি ভীষণ প্রকট! অজান্তেই হাত উঁচু হল। স্বার্থান্বেষী আমি মানুষ, সুন্দরকে নিজের করে পেতে চাইলাম!
৪।
এখনকার মত তখনও আমি কালপুরুষ খুজতাম। অসি আর তীর ধনুক নিয়ে সদাপ্রস্তুত সেই কালপুরুষ! কুয়াশা, মেঘ-এর আবরণ ভেদ করে যেদিন দেখা মিলত, বলতাম...
“তুই উপরটা সামলা, নিচে আমি আছি।”
নিচে থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হয়, মাথায় চিনচিনে ব্যাথা। তখন আমার জায়গা বদলের ইচ্ছা। বলতাম, “তুই আর আমি, আমি আর তুই! আয় না অদল বদল হই।”
কালপুরুষ, রাজি হয়না! সে জায়গা ছাড়তে পারেনা!
বলি-- ব্যাপার না, একদিন আমি-ই যাব।
একসময়কার আকাশছোয়ার আকাঙ্ক্ষা আজও সলাজে বুকের গভীরে বহন করে চলি। কারন আমার বিশ্বাস, অধরা আকাশ একদিন আমি ঠিক্ ছুঁয়ে দেব। কারন, সেদিন আকাশ-ই আমার হাতে ধরা দেয়ার জন্য ব্যাকুল হবে। আর সেদিন, আমি আর কালপুরুষ, কালপুরুষ আর আমি; পাশাপাশি বসে অই নক্ষত্রালোক পাহারা দেব।
৫।
............আজ বাসা থেকে বের হতেই, চোখ চলে গেল আকাশের দিকে। কি বিশাল, বিস্তীর্ণ আকাশ!
অথচ, এখনও আমার হাতের নাগালের বাইরে! ............
©somewhere in net ltd.