নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

......

জীবন একটা বিষাদময় সুন্দরতম ঘটনার সংকলন!!!

শঙ্খচিল_শঙ্খচিল

বিষাদ হোক আর বিস্বাদ হোক কিংবা মজা লুটার -ই হোক, আমার বিশ্বাস সব পথ-ই সুন্দরে শেষ হয়। আবার কিছু সুন্দরও বিষাদময় হয়! বিষাদময় সুন্দরতম সময়গুলাকে দেখলে খুব মায়া লাগে, কেমন যেন মায়ার ছায়া বিছানো। মায়া মিশানো সময়ে আর মজার কুঠি\'র জগতে স্বার্থপর আমি মজা খুজি, মজা লুটি।

শঙ্খচিল_শঙ্খচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোনলি শেপার্ড

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১০


হ্যালোইন এর সন্ধ্যা। এই সন্ধ্যেবেলা ‘আমার বুকের মধ্যে হাওয়া ঘুরে উঠে’। আমি আমাতে ডুব দেই। নিজেকে সৌভাগ্যবানদের একজন ভাবতে ভাল লাগছে (অথবা লাগাচ্ছি); বাইরে বসে ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে নিজেদেরটার তুলনায় মশগুল। ভাবতে অবাক লাগে, ছোট ছোট ঘটনা যার আপাতদৃষ্টিতে তাৎপর্য নেই বললেই চলে, এরকম অনেক গুলা ঘটনা আসলে অনেক কথা, অনেক বাঁক পেড়িয়ে কোন এক মোহনায় অদ্ভুতরকম তাৎপর্যমন্ডিত হয়ে উঠে! কোন একটা নির্দিষ্ট হয়ত এতটা প্রভাব বিস্তার করতে অক্ষম। ছোট ছোট বিভিন্ন অনুঘটনাই আসল কারন সৃষ্টির পথে অগ্রগামী! বিভিন্ন মুভি, নিউজ, এটা সেটা দেখে দেখে অথবা আসে পাশের মানুষ জনের আলাপ আলোচনায়, ঠিক কখন থেকে যেন ভেতরে বাইরের হাতছানি! মাঝে মাঝে বাইরেও, মিলিয়ে দেখা ভিতরের স্বপ্নেরই সরূপ!
প্রায় বছর দুয়েক আগে, কোম্পানির ট্রেইনিং-এ চীন ভ্রমণ শেষে দুই সপ্তাহ পর ফিরে আসলেও, বুকের গভীরের সলাজ আকাঙ্ক্ষা আবিস্কারঃ – বাইরে যাব। তারও অনেকদিন পর, মাঝে মাঝে নয়-ছয় অফিস ঘণ্টার লাইফটাতেই নয়-ছয়ের অশনি আদুরে ছায়ার আবির্ভাব। অতঃপর একপাশে সরিয়ে রাখা বইপত্রের আবার বর্ধিত কদর!

ফলাফল- গতকাল স্নো ফল হইছে। শুরু হয়ে গেছে- শীত! আজকে দুপুরেও ঘাসের বুকজুড়ে হিমশীতল ঠাণ্ডার পরশথেকে বঞ্চিত করতে পারেনি ওই সূর্য্যিমামা। সামনে নাকি মাসের পর মাস সাদা চাদরে সব ঢেকে যাবে! হিমশীতল স্পর্শে কলিজা ঠাণ্ডা হতে হতে সবাই শীত নিদ্রায়! অল ওয়ার্ক অ্যান্ড নো প্লে ওইল মেক জ্যাক, এ ডাল বয়! আর এবার আমি প্রতক্ষ্যদর্শী :D


সিগ্রেট ছেড়ে দিছি। খারাপ লাগছে! আরে নাহ- নিকোটিন এর জন্যে খারাপ লাগছে না। খারাপ লাগছে সুখে দুঃখে সে ছিল, আর কেউ থাকুক/ না থাকুক, সে ছিল- অন্যভাবে বলতে গেলে, আমিই বয়ে বেড়িয়েছি এতকাল! সঙ্গী হিসেবে বড় ভাল ছিল! আমার অব্যক্ত কথার সাথে তার যেমন ঐকতান ছিল, তেমনি উচ্চারিত শব্দের সাথে তার উচ্ছ্বাস ছিল।
ওহ... হ্যাঁ, বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট চলিচ্ছে! ভিন্ন আইটেমের রান্না, জিমনেশিয়াম এ কাপঝাপ; আর সুইমিং পুল এ সাঁতার। বিষয়ডা খারাপনা। নিজেকে অকোপাই রাখা। আমার মনে হয়, নেশা ছাড়া জীবন চলেনা। প্রত্যেকটা জীবনের সাথে নেশা জড়িত। কারো হয়ত খেলার নেশা; কারোর গড়ার- তো কারো কিছুই না করার!হৃদপিণ্ড দুর্বল বিধায় কোনটার ই শেষ দেখতে পারলাম না! নতুন নেশার সন্ধানে এখানে ওখানে ঢু মারা আরকি। ড্যানি ম্যাকাস্কিল এর ভিডিও দেখি ‘ওয়ে ব্যাক হোম’। আমার চোখে ধরা পড়েনা-হাউ এ জিনিয়াস ইস ক্রিয়েটেড!! ওরা অন্য ধাতুতে গড়া- বুলি কপচে ব্যস্ত হয়ে পরি অন্য কোন এন্টারটেইনমেন্ট এ।

এটাও আবার খারাপ না-ভাবি-এর মজা অন্যরকম। আ্মআদমি আমি, আম চোখ দিয়েই তো দুনিয়া দেখব। অনেক আগের কোন এক সন্ধ্যার কথা মনে পড়বে। হয়ত কোন একটা পুকুরের শান বাঁধানো ঘাট। অথবা রাজমিস্ত্রীর শৈল্পিক শেষ আঁচড়ের প্রতীক্ষায় নির্মানাধীন পরিত্যক্ত চারতলা ভবন। সাদা ম্যড়ম্যেড়ে টুকরো টুকরো মেঘদল; উথাল পাথাল জোস্নায় ভেসে যাওয়া সময় অথবা সময়কে ভাসিয়ে দেওয়া—কিছু যুবক! গান, আড্ডা আর খিলখিল হাসিতে বয়ে বেড়ানো অপার্থিব সময়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি- ওই হারিয়ে ফেলা সময়, যা হারানোর জন্যই বরাদ্দ ছিল!

অনেকের সাথেই পরিচয় হোল- হচ্ছে। সিরিয়ার ‘ইব্রাহিম’! তাকে এখনো বলা হয়নাই- দামেস্ক এর সাথে আমার কাটানো শৈশব। সারাদিন দস্যিপনার ফাকে ফাকে সিরিয়ার রাজধানি দামেস্ক অথবা ইথিওপিয়া’র আদ্দিস আবাবা! ভ্যলচেব নামে আছে একজন- রাশিয়ার! তাকেও বলা হয়নাই, জ্যাঠার হাতে আঁকা পৃথিবীর ম্যাপ এ শুধুমাত্র আয়তনে বড় হওয়ার কারনে রাশিয়া’র প্রতি কত ভাললাগা! জ্যাঠার সাথে আমার মনে হয় খুব বনত। অদ্ভুত এক সাইকেল এক্সিডেন্ট এ অকালে না চলে গেলে হয়ত আমিও কিছু স্মৃতি উপহার পেতাম। আব্বার কাছ থেকে শুনা দু একটা ঘটনা শুনতে শুনতে কতকাল মনে হত এই সব আমার সামনে ঘটেছে! জ্যাঠাকে আমি হিংসা করি! খালি হাতে এইরকম ম্যাপ আকার জন্যে-ত অবশ্যই; অধিকিন্ত মানুষটা কখনোই বুড়ো হবেনা! কাঁচা দাড়িতে সাদাকালো যুবকের স্মৃতি-ই সবাই বয়ে বেড়াচ্ছে! থাক সেসব কথা--

---এরা সবাই পরিনত। শুনলে হয়ত হাসবে, হয়ত হাসবে না! চোখ কুচকে ভাবার চেষ্টা করবে, আমার শৈশব!


এসবও থাক নাহয়। সবই থাক আজ। আমরা বরং হ্যালোইনেই ফিরে যাই। একটা মুখোশ নেই- এনোনিমাস আর ভূতের কস্টিওম। এনোনিমাস মুখোশের আড়ালে সযত্নে আড়াল করি- পোকার ফেস... ভাবলেশহীন! আর ভূতের কস্টিওম এর আড়ালে নিজের সকল ভয়। অতঃপর ঝাঁপিয়েপরি মুখ ভেংচে, গগনবিদারী চিৎকারে...পরিত্যক্ত জাহাজের ক্যাঁচক্যাঁচ কাঠের ডেক এ----
শুধু নিজের ভয় ভুলতেই, ... আর ভয় দেখাতে!

হ্যাপি হ্যালোইন!
৩১.১০.২০১৪

(লেখাটি ইতিপূর্বে ফেসবুক নোট-এ প্রকাশিত)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে ।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

শঙ্খচিল_শঙ্খচিল বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।
ভাল থাকবেন :)

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আপনার লিখা বেশ গোছানো। আশা করছি নিয়মিত আপনার লিখা পাবো।

পোষ্টে +

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১

শঙ্খচিল_শঙ্খচিল বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, ভাই।


ধন্যবাদ, আমি নিজের জন্যেই মাঝে মাঝে লেখার চেষ্টা করি।


ভাল থাকবেন :)

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভালো লেগেছে লেখা। লিখতে থাকুন ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১২

শঙ্খচিল_শঙ্খচিল বলেছেন:
আপনার ভাল লাগায় আমার মুগ্ধতা !
ভাল থাকুন, সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.