নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গেট ঠেলে ঢুকতেই বাসার দরজা খুলে দিল কেউ। সম্ভাষণ বুকে টেনে রুমে পা ফেলতেই চোখ আটকালো দেয়ালে। চারিদিকের সব দেয়ালে সুখ স্মৃতি ঝুলানো। ভুলে গেলাম কোথায় আমি। ছবির হাঁটে! সোফায় বসতেই চোখ এখানেতো , আবার ওখানে। বয়সের ভারে নতুজান সোফা, চেয়ার, আলমিরা, শোকেস, কার্পেট কিংবা শোকেসের কাঁচ সামগ্রী। মাথার উপরে দুটো ফ্যান ঘুরছে বয়সকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। পুরো রুমজুড়ে ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের সৌখনতার ছাপ আঁকা। এই রুমের সাথে সন্ধি করে পুরো বাড়ির ইট-কাঠে স্মৃতির স্বাক্ষর এঁকে আছে স্বযত্নে। বছরের খুব কম সময় এই দেয়ালের ইটগুলো মানব বন্ধু খুঁজে পায়। মাঝে মাঝে সময়টা বছরকে ছাড়িয়ে যায়। মানব বন্ধুর আদরে সবকিছু প্রানময় ওঠে তখন। ছবিগুলো ধুলি মুক্ত হয়। চায়ের কাপ আর পিরিচ ঠোকাঠুকি শুরু করে। আদরে এ স্মৃতি বাক্সের টিকে থাকার চেষ্টা বহু বছর।
কত নদী কত স্মৃতি সাগর আঁকড়ে ধরে রাখে। তবুও নদীরা সাগরকে সঙ্গকোনে জমিয়ে রাখে । সেই নাড়ীর টানে নদীরা সাগরের মোহনায় ছুটে যায় বারংবার। পৃথিবীতে কে বা কাকে মনে রাখে স্মৃতিতে আধেক। ঊনিশ আঙ্গুল মানব মন স্মৃতির ছাপ আঁকে অর্নবের তীরের বালুতে। বাকী এক আঙ্গুল মানব মন বেছে নেয় পাথর। সতত অটুট থাকে স্মৃতি স্বাক্ষর।
মুক্তগদ্য
-২০০৪২০১৩
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৮
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আরো লেখেন