নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদাসিদে মানুষ

যে ঘুড়ি উড়তে জানে না........

নীল কথন

হারিয়ে যাওয়া চশমার খোঁজে হাঁটছি........

নীল কথন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের গল্প

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬





দরজার কলিংবেল অনবরত বাজছে। ডা: সেলিম মিয়া হাতের পত্রিকাটা সামনের টেবিলে রেখে হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুললেন। কিছু বলার পূর্বেই তসলিম গলগল করে বলা শুরু করল-

-বড় সাব, শিগগির চলেন। সজীব ভাইজান একটার পর একটা গরম চা পানির মত গিলে খাচ্ছে। আমি মানা করছি, কিন্তু আমার কথা শুনছে না।

গায়ে জামা জড়িয়ে বের হলেন সেলিম মিয়া। ছেলেটার অদ্ভুত গুন, টাটকা গরম চা পানির মত অনায়াশে খেয়ে পেলে। ওকে পুশলিয়ে পাড়ার বদ ছেলেরা মাঝে মাঝে এমন কাজ করে। দোকানের সামনে যেতেই আশেপাশে দর্শক শ্রেনীর সবাই হুড়মুড় করে এদিক সেদিক পালিয়ে গেল।

-আমজাদ মিয়া, তোমাকে না বলছি সজীবকে নিয়ে এমন খেলায় মাতবানা। তুমি ভালো করে জানো, ও তোমার আমার মত স্বাভাবিক মানুষ নয়। একটু পিছিয়ে। কিন্তু সে কারো কোন ক্ষতি করে না। চুপচাপ থাকতেই পছন্দ করে। তবুও তোমরা ওর সাথে এমন করে কি মজা পাও?

-আই মানা করছি। কিন্তু বেবাকে জোর করইলে কেমনে বাধা দিউম।

-আর কখনো এমন করবা না।

-জ্বী, ডাক্তার সাব।

সজীব বাসায় ঢুকে স্যান্ডেল এলোমেলো ছুঁড়ে মেরে মায়ের রুমে ঢুকে মায়ের কোলে শুয়ে পড়ে। ডা: শিউলী মুন্নী পরম মমতায় ছেলের মাথায় হাত বুলাতে থাকে। রুমের দরজার পর্দা ঠেলে মা-ছেলের নির্মল ভালোবাসার স্রোত দেখে সোফায় গিয়ে বসে সেলিম মিয়া। এমন করে মত আর কতদিন দুজনে সজীবকে আগলে রাখবে। সময়ে স্রোতে চুলোয় যাচ্ছে বয়স। কমছে আয়ু। ভাবনার রেখা দিনদিন শিকড় ছড়াচ্ছে।





ছোট্ট শহর বসুরহাট। এখানে ডা: সেলিম মিয়া গত দুই যুগ ধরে স্থানীয় হাসপাতালে কাজ করছে। এখানেই স্থায়ী নিবাস করে গড়েছে। ২০ বছর আগে ঘর আলো করে সজীবের জন্ম। সাহেদ এবং সাদিয়ার পর সজীব। ভীষণ খুঁশি সবাই। সাহেদ আর সাদিয়ার আনন্দ চোখে-মুখে। ওরা একটা ছোট্ট বাবু পেয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর পর জানল, সজীব স্বাভাবিক ছেলের মত না। অনেক দেরিতে কথা বলা, পরবর্তীতে খুব কম কথা বলা। মাঝেমাঝে খিটখিটে মেজাজ। জানতে পারলো, সজীব অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারে ভুগতেছে। বুকে চেপে স্বাভাবিকভাবে সজীবকে আগলে রাখা শুরু করছে ডা:সেলিম মিয়া আর ডা: শিউলী মুন্নী। শিউলী ডাক্তারি প্র্যাকটিস পুরো ছেড়ে দিয়েছে সজীবকে সময় দিতে। এখন সাহেদ ইঞ্জিনিয়ার এবং সাদিয়া বাবা-মায়ের মতই ডাক্তার। কিন্তু দুজনেই এখন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। মাঝে মাঝে খোঁজ নেয় সজীবের। তবে সজীবকে তাদের কাছে রাখার মত আগ্রহে উচ্ছ্বাসিত না।



-শোনো, আমাদের বয়স হচ্ছে। কখন কার মরণের ঢাক আসে। আমি বলি কি, তুমি সাহেদ বা সাদিয়ার সাথে ফোনে কথা বল সজীবের ব্যাপারে। ওকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাবে কিনা। সজীব ওদেরকে পেলে খুব খুশি হয়- বলল শিউলী।

-তোমার ইচ্ছে হলে তুমি বল। আমার ইচ্ছে নেই। আমার মন বলে ওরা খুশি হয় সত্য, তবে কাছে রাখার ব্যাপারে ওদের তেমন আগ্রহ নেই। আগ্রহটা বেশ ভাঁটা পড়ছে। ওরা এখন ওদের সংসার নিয়ে বেশি ভাবে।

-হুম। বলে দেখি।

-বল, কোমল মানব মনের লাগামটা টেনে ধরে ওরা এখন দৈত্য মনের পূজারী। ওদের বলে সুখকর কোন ফল পাবে না বোধহয়।





সকালের তাজা বাতাস বুক ভরে নেওয়া সেলিম মিয়ার দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। তার সহযাত্রী সজীব। বাসায় ফিরে গোছল সেরে রুমে ঢুকেই শিউলীর মনমরা মুখ চোখে পড়ে সেলিম মিয়ার।

-কিছু হয়েছে?

-সাহেদ-সাদিয়া রাজি না। সরাসরি বলছে না। অনেক অজুহাত দাঁড় করাচ্ছে।

একটু হেসে,

-জানতাম আমি, আসলে বাস্তব অনেক কঠিন। সজীবকে আমাদের মত করে কেউ এতো ভালোবাসবে না। হয়ত পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে স্নিগ্ধ মনের। সেই ক্ষেত্রে সজীব দুর্ভাগা।

চোখ ভারী হয়ে আসছে শিউলীর। সেলিম মিয়া মাথায় শিউলীর মাথায় হাত রাখতেই, শিউলী সেলিম মিয়াকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কান্না শুরু করে। চোখ ঘন হয় সেলিম মিয়ার। কান্না চেপে রেখে বলে-

-আমি ঠিক করছি, ওর ব্যাপারে একটা অটিস্টিক কেয়ার সেন্টারের সাথে কথা বলে আসব । আমাদের মৃত্যুর পর ও ওখানে বেশ ভালো থাকবে। ওর নতুন বন্ধু হবে। যত্ন পেয়ে হয়ত ও পুরোই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নতুন জীবনে ভালোই থাকবে। খবর নিয়ে জানতে পারছি, ঢাকাতে কিছু সেন্টার আছে ভালো মানের। আমাদের এই তিনতলা বাড়ীটা ওকে দিয়ে দিব। বাড়ীর ভাড়া দিয়ে ওর জীবন ভালোই চলে যাবে। তুমি ভেবো না। জীবনের রূঢ় বাস্তবতাকে মেনে নাও হাসিমুখে। এতোটা বছর ওকে আমরা আগলে রেখেছি। যতদিন নি:শ্বাস আছে আগলে রাখব। ও যখন তোমার কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমায়, প্রতিদিন সকালে তীব্র বিশ্বাসে আমার হাত ধরে হাঁটে –আমার ভীষণ ভালো লাগে, মনটা ভরে যায় অন্য এক সুখে, এইতো আমাদের প্রকৃত সুখ।



২৯০৬২০১৩

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

শিব্বির আহমেদ বলেছেন: ভাল্লাগসে লেখা । পুত্তুম পিলাচ :D

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২০

নীল কথন বলেছেন: পাঠ করায় ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জীবনমুখী একটা গল্প !

অনেক ভাগ্যবান আমি বা আমার সন্তান যে আমরা সুস্থ দেহে আছি ! কিন্তু একজন অটিস্টিক বাচ্চার পিতামাতার , বিশেষ করে মায়ের যে যন্ত্রণা আমরা সেটা কোনোদিন বুঝবো না ।

সে সব শিশুর প্রতি আমাদের যতটা সম্ভব মানবিক আচরণ করা দরকার !

এত ইরেগুলার হলে কি চলে ? পোষ্ট না হয় কম দিস , ব্লগিং টা একটু বাড়া এখানে। ভালো থাকিস ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫

নীল কথন বলেছেন: প্রেমের গল্পের চেয়ে জীবনমুখী গল্প আমাকে বেশি টানে।

হুম। তুমি ভাগ্যবান। আসলেই যার হয় সেই বুঝে। সবচেয়ে বড় কষ্ট বাবা-মার কষ্টটা সে বুঝে না, এটাই বেশি যন্ত্রনাময়।

-কয়জনই বা করে।

-চলে চলে। ভুলেই গেছি যে আমার এখানে আইডি আছে। হা হা। মনে পড়ায় একটা গল্প আপলোড করলাম। মাঝে মাঝে আসার চেষ্টা চালামু। কাউকে চিনিনা তোমাকে ছাড়া। নিজ থেকে আগ বাড়িয়ে নতুন করে পরিচয় হবার শক্তি নেই। :(

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: ছোট্ট কিন্তু মনে নাড়া দিয়ে গেলো

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৫

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ নীল। পিচ্ছিটা কি আপনি?

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: নাড়া দিয়ে গেল!!! ভালো লিখেছেন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার প্রথম ফ্যান। হা হা হা। আসলে কেউ কখনো বলেনি যে আপনার লেখা মিস করা যাবে না। আপনি বললেন। তাও অপরিচিত হয়ে। আর আমি কখনো ভাবিওনি আমার একটার গল্পের হলেও কেউ ফ্যান হবে।
-মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশাও করছিলাম। সতত ভালো থাকুন আজ আমি কোথাও যাবে না। (নাম জানি না তো)

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন লিখেছেন,,,,,,ভীষণ ভাল লাগলো,,,,,,,,,,

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৯

নীল কথন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগায় আমি প্রীত।

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ++++++

অনেক শুভকামনা :)

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১

নীল কথন বলেছেন: প্রীত হলাম। পাঠের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সত্যি অসাধারণ লিখেছেন।


অনেক ++++++++++++++

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩২

নীল কথন বলেছেন: তাই। বাস্তবতা আরো কঠিন। যদিও সত্যি এমন একটা ছেলে আছে। বাবা মাও ঠিক এমন। বাট বাকীটুকু জানিনা। তাই লিখে ফেললাম মনের মত করে। ব্যাথাময় গল্প লিখতে আমার ভালো লাগে।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: জীবনমুখী একটা গল্প !

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

নীল কথন বলেছেন: হুম জীবনমুখী গল্প। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ++++++

অনেক শুভকামনা :)

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন।

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: জীবনের গপ ভালা লাগছে

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

নীল কথন বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ কবি ভাই। আপনাকে চিনি। আপনি আমাকে চিনেন না। :ঢ়
-কেমন আছেন?

১২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: :(

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

নীল কথন বলেছেন: জীবন এমনি। মন খারাপ করে আছেন যে।

১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

আমিনুর রহমান বলেছেন:



চমৎকার লিখেছেন। সজীবের বাবা-মার তো তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য কিছু রেখে যেতে পারছে কিন্তু ওই বাচ্চাগুলোর কি হবে যাদের বাবা-মা গরীব বা নেই :(

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

নীল কথন বলেছেন: হুম। সেটা আরো নির্মম। কিন্তু আমার নিজের পর্যালোচনা থেকে দেখলাম, ধনীদের সন্তানদের বেশি এই সমস্যা হয়।

১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা, আমি

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

নীল কথন বলেছেন: কত বছর আগের?

১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: চেস্টা করলে চিনে নিতে পারব :) আপনে কি চতুরে লিখতেন?

এই তো চলে যাচ্ছে - আপনার কি খবর?

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

নীল কথন বলেছেন: জী। এখনো লিখি।

১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

আমি ইহতিব বলেছেন: নিষ্ঠুর বাস্তবের গল্প। কষ্ট লাগে অটিস্টিক বাচ্চাগুলোকে দেখলে, আল্লাহ এদের জ্ঞান বুদ্ধিতে অপূর্ণতা দেন বলেই হয়তো রূপ মাধুর্য এতো বেশী দিয়ে দেন যে শুধু তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছে করে নিষ্পাপ মুখগুলোর দিকে। ভালো থাকুক এই বাচ্চাগুলো আর তার পরিবারের সবাই। গল্পে +++

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

নীল কথন বলেছেন: হুম। ভালো থাকুক ওরা।

১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভাললাগাময় প্লাস রইল ++++

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

নীল কথন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি ভাবলাম আর কেউ মন্তব্য করবে না। :)

১৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: ৯১ এর শেষ বা ৯২ এর দিকের মনে হয় (ঠিকমত বসা শিখিনি তখনো), দেখে কিন্তু বোঝাই যাচ্ছেনা, কী স্মর্টলি বসে আছি ;) B-) :P

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

নীল কথন বলেছেন: ৯১ তে আমার বয়স ৬। আমি বসতে পারতাম। হু। স্মার্টলি বসা। এতো পুরোনো ছবি সংগ্রহে থাকা মানে ভাগ্যবান।

১৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১১

অপ্রচলিত বলেছেন: খুব চমৎকার একটি জীবনের গল্প। দারুণ হয়েছে। অনেকগুলো প্লাসের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন ;)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নীল কথন বলেছেন: কৃতার্থ ভ্রাতঃ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.