নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদাসিদে মানুষ

যে ঘুড়ি উড়তে জানে না........

নীল কথন

হারিয়ে যাওয়া চশমার খোঁজে হাঁটছি........

নীল কথন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনু পাগলা

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯



‘মন মাঝি খবরদার

আমার তরী যেন ভেড়ে না

আমার নৌকা যেন ডুবে না

মন মাঝি খবরদার.......’


গানের শব্দে রাত দুপুরে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। কান পেতে কন্ঠ শুনে মনে হল মনু পাগলা। মনু পাগলা তবে মহল্লায় ফিরে এসেছেন। গত কয়েক বছরে যতবারই নিরুদ্দেশ হয়ে ফিরে এসেছেন, এই স্কুলের মাঠে বসেই গান গেয়ে মহল্লাবাসিকে তার উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। মাঝে মাঝে হুটহাট কোথায় যেন হারিয়ে যান। মহল্লার সবাই পাগলা কিছিমের মানুষ বলেই জানে। তবে তার গানের গলা বেশ সুমিষ্ট। আমি বিছানা ছেড়ে ওঠে গায়ে জামা জড়িয়ে ঘর থেকে বের হলাম। বাহিরে ভরা পূর্ণিমা। চাঁদে আজ যৌবন লেগেছে। আমাদের বাড়ি থেকে মহল্লার পথটা একেবারে সোজাসুজি। হাতের বামপাশে ধানক্ষেত। ধানক্ষেত পেরিয়ে মহল্লার রাস্তা সংলগ্ন ফতেহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর ডানপাশটায় ছোট্ট একটা পুকুর। পুকরটায় শান বাঁধানো ঘাট। পুকুরের সাথেই আমাদের বাড়ির পাঞ্জেগানা মসজিদ। ফাল্গুনের এই রাত্রে চারিদিকে উচড়ে পড়া জোৎস্না চোখে আরাম জুড়িয়ে দেয়। স্কুলের মাঠে গিয়ে মনু পাগলার পাশে বসলাম। মনু পাগলা গান থামিয়ে বিড়িতে কষে টান মেরে বললেন, ‘ভালা আছেননি?’

আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে বললাম, ‘আপনি কোথায় হুটহাট হারিয়ে যান?’

হো হো করে বিকট শব্দে হেসে বললেন, ‘সামনের রেল স্টেইশনে যাইবেন? চা খামু।’

আমি রাজি হয়ে যাই। অদ্ভুত এক অট্টহাসি হেসে প্রতিবারেই উনি এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। পাগলা বলেই আমি তা সহজে মেনে নেই।



অদ্ভুত এক মানুষ মনু পাগলা। ছিপছিপে একহারা গড়নের শরীর। তার পাগলামির ধরণটা একটু আলাদা। কারো তেমন কোন ক্ষতি করেন না। সারা দিন-রাত মুখে বিড়ি গুঁজে মহল্লার এপাশ ওপাশ হেঁটে বেড়ান। তাকে মহল্লার অঘোষিত পাহারাদারও বলা চলে। বিড়ি খাইয়ে তাকে দিয়ে সহজে অনেক কাজ করানো যায়। অবশ্য রাতের আঁধারকে পুঁজি করা লোকজন, তাকে দিয়ে কাজ করে খুব একটা ভরসা পায় না। বেচারা মনু পাগলা পরদিন সকালে মহল্লার মোড়ে দাঁড়িয়ে হাটের হাঁড়ি ভেঙ্গে তা নিয়ে মুখরোচক গল্প করে। অবশ্য মাঝে মধ্যে গালগল্পের ঝাঁঝালো স্বাদ পান। মার খেয়ে কয়েকবার খেসারতও দিয়েছেন। একদিন সাত সকালে মহল্লার হানিফ চাচার হোটেলে নাস্তা করতে গিয়ে জানতে পারলাম, মনু পাগলাকে গতকাল রাতে পুলিশে ধরছিল। গভীর রাত্রে একা হাঁটাই তার অপরাধ। তবে গাড়িতে তুলে থানা পর্যন্ত নিয়ে তাকে যেতে পারেনি। কলেজ মোড় পেরিয়ে কিছুদূর পর পথেই জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে। তিনি নাকি পুলিশের কাছে বিড়ি চেয়েছেন। পুলিশেরও বুঝতে বাকি রইল না একে থানা পর্যন্ত নিয়ে গেলেই বিপদ।



আম্মা জানালেন, মনু পাগলা আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। মনু পাগলারা আগে গ্রামে থাকতেন। ওখানটায় আমাদের আদি নিবাস। পরে আমার দাদার মারফতেই মনু পাগলার বাবা এই মহল্লায় বাড়ি করেন। উনি পাইকারী লুঙ্গী কাপড়ের ব্যবসা করতেন। নৌকায় করে গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে ঘুরে খুচরা বিক্রেতাদের লুঙ্গী কাপড় দিয়ে আসতেন। ব্যবসা বেশ ভালোই চলত। সেই সুবাদে জায়গা জমিও বেশ করছেন। মনু পাগলারা চার ভাই, এক বোন। বোন সবার বড়, বিয়ে হয়ে যায়। বড় ভাই পড়াশুনায় বেশ ভালোই ছিলেন। ঢাকার কোন কলেজ থেকে নাকি বি.এ পাশ করেন। একদিন ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রোড এক্সিডেন্টে তিনি মারা যান। মনু পাগলার মেজো ভাই পিকলু ও সেজো ভাই জগলু তখন স্কুলে পড়ত। মনু পাগলা তখনও বর্ণমালা ভালো করে শিখেননি। সেই আশির দশকের কথা। পুত্র শোকে মনু পাগলার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষে একদিন মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর পিকলু টেনেটুনে স্কুলের গন্ডি পার করলেও জগলুর আর স্কুলের গন্ডি পার করা হয় না। মনু পাগলাকে মাওলানা বানানোর নিয়ত করেছিল তার বারা। সেই সুবাদে দূরের কোন চরাঞ্চলের মাদ্রাসায়ও রেখে এসেছিল। বাবা মারা যাবার পর সেখান থেকে চলে আসেন মনু পাগলা। ওখানটায় আর যাওয়া হয় না। তবে সেই থেকেই নাকি তিনি মাঝে মধ্যে নিরুদ্দেশ হন।



আমাদের মহল্লা পৌরসভার আওতায়ভুক্ত হবার পর জমির দাম হু হু করে বেড়ে যায়। আর এলাকায় বসতিও ঘন হতে থাকে। সেই সুবাদে মনু পাগলাদের জায়গা-জমির দামও বেশ চওয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু তার মেজো ভাই পিকলু বেশ বাঁদরে স্বভারের মানুষ। একটু পড়াশুনা করেছেন বলেই পুরো পরিবারের হর্তাকর্তা এখন তিনি। শশুরবাড়ি থেকে কিছু টাকা নেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু জমি বিক্রি করে বাড়িতে দালান তুলেন। বাজারে একটা হার্ডওয়্যারের দোকানও দেন। সেজো ভাই জগলু আলাভোলা জগতের বাসিন্দা। প্রয়োজন ছাড়া তেমন কারো সাথেই কথা বলেন না। গায়ের জামা লুঙ্গীও সহজে পাল্টান না। গোছল করেন শুক্র-শুক্র দু’বার। তবে তার বেশ ভালো একটা গুণ আছে। তিনি বেশ সুন্দর করে ব্যানার, পোষ্টার লেখতে জানেন। বাড়ির সামনে চার চালের ছোট্ট একটা আর্টের দোকান খুলে বসেছেন। তার স্ত্রী বেশ সুন্দরী। জায়গা সম্পত্তি দেখেই মেয়ের গরীব বাবা-মা মেয়েকে জগলুর হাতে তুলে দেয়। বড় ভাইয়ের বউয়ের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় জগলুর ঘরেই মনু পাগলার খাবার-দাবার চলে।



মনু পাগলাদের বাড়ির সামনেই বেশ বড়সড় এক টুকরো জমি। পতিত জলাশয় এখন। কিন্তু মহল্লার ব্যস্ততম মোড়ের সাথেই জমিটার অবস্থান। তাতে জমিটার উপর চোখ পড়ে শাহীন উকিলের। মধ্যবয়স্ক শাহীন উকিল এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার বাবা জেলা সার্কেল অফিসার ছিলেন। মা রাজনীতিতে জেলা পর্যায়ের সভানেত্রী ছিলেন। বাবা-মা বেঁচে থাকাকালীন শাহীন উকিলের বড় ভাইয়ের জ্বালায় এলাকার মানুষের জীবন বেশ নাভিশ্বাসে উঠেছিল। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে একদিন ঘুম থেকে ওঠে দেখেন, তিনি আর দুপায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারছেন না। তার ডান পা পুরোপুরি অবশ হয়ে যায়। এরপরই শাহীন উকিলের উত্থান। বড় ভাইয়ের মত পেশি শক্তির ক্ষমতা না দেখালেও বেশ সিদ্ধহস্তে দাবা খেলার গুটি চালাতে জানেন। মনু পাগলাদের পতিত জমির জাল দলিল বের করে দ্বিতীয় পক্ষ তৈরি করলেন। মধ্যস্থকারী হিসেবে শাহীন উকিল সুঁচ হয়ে ঢুকলেন। শেষে দ্বিতীয় পক্ষের ক্রমাগত চাপ সইতে না পেরে, জমি পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে পিকলু ও জগলু শাহীন উকিলের শরণাপন্ন হন। শাহীন উকিলের কাছেই তারা স্বল্পমূল্যেই জমি বিক্রি করে দেন। বছর না ঘুরতেই মনু পাগলাদের বাড়ি আঁধার করে ওখানটায় আকাশছোঁয়া বহুতল ভবন দাঁড়িয়ে যায়।



একদিন সাতসকালে আম্মা আমার রুমের দরজা বেশ সজোরে নাড়াতে থাকেন। বিছানা থেকে লাফ দিয়ে ওঠে দরজা খুলতেই আম্মা বলতে লাগলেন, ‘শুনছিস, মনু গত রাত্রে শাহীন উকিলকে খুব পিটিয়ে পালিয়েছে। শাহীন উকিলের অবস্থা এখন যায় যায়। এখানকার হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে।’ আমি আম্মার কথা শুনে গায়ে জামা চেপে দৌড়ে মোড়ে আসি। জানতে পারি রাত্রের অন্ধকারে মনু পাগলা তাদের বাড়ির পিছনের ছায়াবাড়ির ছোপটায় শাহীন উকিলের উপর হামলা করে বসেন। সাথে অবশ্য জগলুর স্ত্রীও হালকা আঘাতের শিকার হয়েছেন। বুঝতে অবশিষ্ট থাকল না, হামলার কারণ শাহিন উকিল ও জগলুর সুন্দরী স্ত্রীর গোপন অভিসার। শাহীন উকিলের জীবন এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও তিনি আর কখনও হাঁটতে পারেননি।



মেঘে মেঘে বেলা পার। এরপর মাস, মাস পেরিয়ে বছর। তবুও মনু পাগলা সেই যে পালিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন, আর ফিরে আসেন নি। এই কয়েক বছরে আমি পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে অন্য বঙ্গে চাকরি জুটিয়ে নেই। দূরত্ব হলেও জীবনের প্রয়োজনে এখনটায় চলে আসি। প্রথম প্রথম নিজেকে এই পরিবেশে সামলিয়ে তুলতে হিমশিম খেলেও ধীরে ধীরে বৈপরীত্য আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিই। এখানটায় এসে অনেক কিছুই নতুন দেখি। প্রায়শ পালা গান, কবি গানের আসর বসতে দেখে আমার আগ্রহ তীব্র হয়ে ওঠে। এখানের ছোট্ট শহরটার পাশেই আড়ূয়াবর্ণী দরপাড়া। মাইকে পাব্লিসিটির কল্যাণে জানতে পারি, ওখানটায় পালা গানের আসর বসবে। যাব ঠিক করলাম। সঙ্গী হিসেবে গান পাগল কলিগ হাফিজ ভাইকে সহজেই রাজি করাতে পারি।



শীতের রজনীতে কুয়াশা আর চন্দ্র আলোয় মাখামাখি। দুটোই গায়ে মেখে ভ্যানে চড়ে পালা গানের আসরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ভ্যানে আমাদের সহযাত্রী হিসেবে বয়োজ্যেষ্ঠ এক বৃদ্ধকে পেয়ে যাই। উনি পালা গানের বেশ ‍মুগ্ধ শ্রোতা। পালা গান, কবি গান শুনতে তিনি দূর-দূরান্তে চলে যেতেন। দুঃখ সুরে জানালেন, ‘আগের সেই জাঁদরেল বয়েতিরা নেই। সব মারা গেছেন। এখন আর আগের মত আসর জমে না।’ আমরা দু’জনে আসরে ঢুকে এক কোনায় বসলাম। যথারীতি গানের পালা শুরু হল। গানে গানে কে কাকে হারায় তা দেখে মুগ্ধ হই। তবে একজন বয়েতিকে দেখে আমি এক মুহূর্তে থমকে যাই। মাথায় ঝাঁকড়া চুল এবং মুখে দাঁড়ি চাপালেও আমার চিনতে অসুবিধে হল না, উনি যে মনু পাগলা। হয়ত প্রথম বলেই আসর বেশ জমজমাটই লেগেছে। আসর শেষে হাফিজ ভাইকে বসিয়ে রেখে আমি প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকি। মনু পাগলা আমাকে দেখেই হুড়মুড় করেই প্যান্ডেলের অন্য পথ দিয়ে বের হয়ে যান। আমি তার পিছু পথ ধরি। উনি দ্রুত পায়ে হেঁটে বাঁশ ঝোপের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান। বাঁশ ঝোপ পেরিয়ে একটু সামনে যেতেই দেশলাইর কাঠি জ্বালানোর শব্দ পেয়ে পিছনে ফিরি। মনু পাগলা দক্ষ হাতে বিড়ি ধরালেন। আমার কাছে এসে হাত ধরে একটু টেনে নিয়ে পথের ধারে ঘাসের উপর বসলেন। জোৎস্না আলোয় সামনের ধানক্ষেত স্পষ্ট হয়ে উঠল।



বিড়িতে টান লাগিয়ে বলতে লাগলেন, ‘হুনো মাইজ্জা মিয়া, শাহিন উকিল্লা একটা আস্ত লম্পট। ভাবীর লগে মেলা দিন লুকাইয়া কথা কইতে দেখছি। বুইজ্জি ব্যাটার মতি গতি খারাপ। ঐদিন রাইতে কু-কাম কইত্তে গেছে। দেই আঁর মন মেজাজ খারাপ অই গেছে। ঘরের উঠান তন বাঁশ নিয়া ইচ্ছামত হিডছি। চইল্লা আইছি, বাড়িতে আর যামু না।’

আমি ওনার মুখ পানে চেয়ে বললাম, ‘শাহিন উকিল আর কখনও হাঁটতে পারেননি, পারবেনও না। পাপের শাস্তি সবাই পায়, হয়ত একটু আগে-পরে। কিন্তু আপনাকে দেখে আমি বেশ অবাক হয়েছি। এই কী আমাদের সেই মনু ভাই!’

বিড়ি ফুঁকে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, ‘ছোডকালে আঁনগো গ্রামে একজন লোকেরে বেবাকে কুমড়া হঁচা কই ডাকতো। লোকটা মাদ্রাসায় হরছে। বেশ ভালা আছিল। কারো ক্ষতিও কইরতো না। কিন্তু মাঝে মাঝে গান-টান গাইতো। এডা এলাকার কিছু মুরব্বি আর হুজুররা সহ্য কইরতে হারত না। একদিন নাকি আঁডে কুমড়া বেচতে গিয়ে তাঁর কুমড়া হঁচা অইছে। এরহর তন ওনারা লোকটার নাম দিয়া দিছে কুমড়া হঁচা ইসমাইল্লা। আঁর আব্বা আঁড-আঁড লুঙ্গি-কাপর নিয়া যাইত। মাঝে মইধ্যে আঁই সঙ্গে যাইতাম। একদিন তোরাবনি আঁডে দেই উনি। উনি ঐ এলাকায় থাকতো। বাড়িত আর যাইতো না। ঐ এলাকার লোকেরা ওনারে বেশ সম্মান করইত। আব্বাও উনারে অনেক হছন্দ করত। আমরা এক রাইত ওনার লাগে থাকছি। ওনি আনগোরে গান হুনাইছে। ঐদিনই আঁই প্রতথম লালনের গান হুনছি। এরহর উনিই আঁরে ওইখানে মাদ্রাছায় ভর্তি করায়। আঁর হড়ালেয়া ভালা লাগতো না। তবে গান অনেক ভালা লাগতো। আব্বা মারা যাওনের হর আম্মা একলা একলা মেলা কষ্টে আঁনগোরে হালছে। এলাকার অনেক মানুষ আঁনগো উপর জায়গা জমি লইয়া ঝুলুম শুরু কইরছিল। মাইনষের এইগুলা আঁর ভালা লাগতো না। এমনে এমনে আঁই কেমন অই গেছি। তয় আঁর গান নিয়া থাকতেই ভালা লাগত। তাই মন ভালা না লাগলেই ইসমাঈল ভাইর কাছে চইল্লা যাইতাম। উনি আঁরে লালনের আখড়ায় নিয়া যাইতো। বয়াতির লগে হালা গানের আসরে নিয়া যাইতো। আইস্তে আইস্তে আঁই বয়াতি অই যাই। গানই অন আঁর জীবন মরন। গানই আঁর সংসার।’



আমি নিশ্চুপ হয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, ‘এভাবে বুঝি জীবনের গল্পগুলো গান হয়ে যায়। গানগুলো হয়ে যায় মনের সরাইখানা। আর গানগুলো বেজে যায় হাজার বছর ধরে।‘

উনি গান ধরলেন,

‘কে বোঝে মাওলার আলেকবাজি

করছে রে কোরানের মানে,

যা আসে যার মনের বুঝি।।

কে বোঝে মাওলার আলেকবাজি.......’




২৬০৩১৪

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

আমিনুর রহমান বলেছেন:





গল্পে ভালো লাগা। আপনার লিখনী বেশ গুছানো।

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০২

নীল কথন বলেছেন: সত্যি বলতে ভাবছিলাম কোন মন্তব্য পাবো না। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল বেশ খানিক। পঠনে কৃতজ্ঞতা। সতত ভালো থাকুন।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: যত্ন নিয়ে লেখা। বেশ ভালো লাগলো।

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

নীল কথন বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভাল লাগল গল্পের বর্ণনাশৈলী ৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.